Ajker Patrika

গৃহকর্মীদের জন্য আইন করার অনুরোধ জাপা মহাসচিব চুন্নুর

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৮ মে ২০২২, ১৫: ১২
গৃহকর্মীদের জন্য আইন করার অনুরোধ জাপা মহাসচিব চুন্নুর

দেশে প্রায় ১২ লাখ গৃহকর্মী রয়েছে। তাদের অনেকে নির্যাতনের শিকার হয়। তাই তাদের জন্য একটি আইন তৈরি করতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মুজিবুল হক চুন্নু। 

আজ রোববার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মহান মে দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। 

সাবেক শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেন, ‘২০১৫ সালে আমি শ্রম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলাম। তখন এই হলে (বিআইসিসি) আপনাকে (প্রধানমন্ত্রী) বলেছিলাম, বাংলাদেশে ১২ লাখ গৃহশ্রমিক রয়েছে। ১০-১২ বছরের বাচ্চা ছেলেমেয়েরা কাজ করে। বেশির ভাগ গৃহকর্তা ও গৃহকর্ত্রী তাদের ওপর অমানুষিক নির্যাতন করে। কাজের নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা নেই। একটা নীতিমালা আমরা করেছিলাম, আপনি অনুমোদন দিয়েছিলেন। সেই অনুমোদন দেওয়ার সাত বছরেও অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। তাই গৃহকর্মীদের জন্য আইন তৈরি করার অনুরোধ করছি।’ 

শ্রম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকার সময়ের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে মুজিবুল হক বলেন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে কর্মসংস্থানের বিষয় নেই। কর্মসংস্থানের জন্য দক্ষ জনশক্তির প্রয়োজন হয় এবং তার জন্য প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হয়, সেটার ম্যান্ডেট হলো শ্রম মন্ত্রণালয়ের। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে, সেই কাজ শ্রম মন্ত্রণালয় করতে পারছে না, করছে অন্য মন্ত্রণালয়। 

মুজিবুল হক প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনার নির্দেশে প্রতিটি উপজেলায় টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (টিটিসি) তৈরি করা হচ্ছে। তার মধ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কোনো অবদান ও কাজ নেই। যা করছে অন্য মন্ত্রণালয়। যে মন্ত্রণালয় এই কাজ করছে, তারা কিন্তু বিদেশে জনশক্তি পাঠায়। তাদের অনেক কাজ, এই কাজ করার জন্য ওই মন্ত্রণালয়ের জনশক্তি নেই, যেটা শ্রম মন্ত্রণালয়ের শ্রম অধিদপ্তরের রয়েছে। তাই টিটিসির সঙ্গে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়কে সম্পৃক্ত করার অনুরোধ করেন তিনি। 

শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীনে তেজগাঁও, আশুগঞ্জ, চট্টগ্রাম, খুলনা, নোয়াখালী, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, লালমনিরহাট ও মোংলায় ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমল থেকে দামি জমি রয়েছে বলে জানান সংসদীয় কমিটির এই সভাপতি। তিনি বলেন, ‘এসব জায়গা পতিত আছে। এগুলোতে যদি আয়ের কোনো প্রকল্প করা যায়, তাহলে এই মন্ত্রণালয়ের শত শত কোটি টাকা আয় হবে, যা শ্রমিকের কল্যাণে ব্যয় করা যাবে। এ বিষয়ে আপনার (প্রধানমন্ত্রী) নির্দেশনা থাকলে, শ্রম মন্ত্রণালয় উদ্যোগ নিতে পারবে।’ 

প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিলে নারায়ণগঞ্জ ও টঙ্গীতে শ্রমিকদের জন্য বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণ করা সম্ভব হবে বলেও জানান তিনি। 

অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ানের সভাপতিত্বে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত