Ajker Patrika

চাকরির বয়সসীমা বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে গ্রেপ্তার ১২ শিক্ষার্থীর জামিন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
চাকরির বয়সসীমা বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে গ্রেপ্তার ১২ শিক্ষার্থীর জামিন

সরকারি চাকরিতে বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে গ্রেপ্তার ১২ শিক্ষার্থীকে জামিন দেওয়া হয়েছে। আজ রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আহমেদ তাদের জামিন দেন।

যাদের জামিন দেওয়া হয়েছে তারা হলেন চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ চাই কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মামুন রশিদ রতন, সদস্যসচিব মো. রাসেল, হুমায়ন কবির মানিক দাস, আল আমিন, শেখ ফরিদ, আজম মোহাম্মদ, মো. সাদ্দাম হোসেন, আব্দুল হাকিম, রিমা আক্তার, শারমিন আক্তার দৃষ্টি, ফাতেমা আক্তার ও মো. শরীফুল হাসান শুভ। 

দুপুরে আসামিদের আদালতে হাজির করে শাহবাগ থানা-পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের এসআই আল আমিন তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অন্যদিকে আসাম পক্ষে জামিনের আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের জামিন মঞ্জুর করেন।

এর আগে সরকারি চাকরিতে বয়সসীমা ৩৫ বছর দাবি করা ১৪ আন্দোলনকারীর বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা করে পুলিশ। শাহবাগ থানার এসআই এম এলিস মাহমুদ বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

মামলায় অবৈধভাবে জনতাবদ্ধ হয়ে সড়ক অবরোধ, অগ্নিসংযোগ ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে ১৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৪০০/৫০০ জনকে আসামি করা হয়।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ‘সরকারি চাকরিতে আবেদনের বসয়সীমা ৩৫ চাই’ এর কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে শনিবার (১১ মে) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসি মোড়ে রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিভিন্ন ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে আসামিরা সভা ও মিছিল, মিটিং করে। এ দিন তারা টিএসসি থেকে শাহবাগ মোড় ঘেরাও করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ব্যানার ফেস্টুন, জীবননাশকারী পদার্থ দাহ্য জ্বালানিসহ আত্মহত্যার স্লোগান ও বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে মিছিল নিয়ে পাবলিক লাইব্রেরির সামনে পাকা রাস্তার ওপর আসে। পুলিশ তাদের নিবৃত করতে সড়কে লোহার ব্যারিকেড দেয়।

আন্দোলনকারীদের রাস্তা ছেড়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়। কিন্তু তারা পুলিশের কথা না শুনে ব্যারিকেড ভেঙে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের ধাক্কা দিয়ে শাহবাগ মোড়ে গিয়ে অবস্থান করে এবং রাস্তার ওপর বসে যান চলাচলে বন্ধ করে দেয়। এ সময় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, বারডেম হাসপাতালে আসা রোগী ও তাদের স্বজনেরা আটকা পড়ে আর্তনাদ করতে থাকে।

এজাহারে আরও বলা হয়, একপর্যায়ে আন্দোলনকারীরা একটি বাসে ভাঙচুর করে এবং তাদের কাছে থাকা জীবননাশকারী পদার্থ দাহ্য জ্বালানি দিয়ে আগুন ধরিয়ে উসকানিমূলক বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। হ্যান্ড মাইক ও মৌখিকভাবে রাস্তা ছেড়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করলে তারা রাস্তা না ছেড়ে ডিউটিরত পুলিশের সঙ্গে মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। সেখান থেকে পুলিশ আন্দোলনরত ১২ শিক্ষার্থীকে আটক করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত