Ajker Patrika

মঙ্গলবার তিতুমীর শিক্ষার্থীদের ফের অবরোধের ডাক

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ২২: ৫০
Thumbnail image
তিতুমীর কলেজের সামনে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। ছবি: ভিডিও থেকে

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারীর সঙ্গে বৈঠকের পরও কোনো আশ্বাস না পাওয়ায় ফের মহাখালীতে আগামীকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত রেল ও সড়কপথ অবরোধ কর্মসূচি ডেকেছেন শিক্ষার্থীরা।

আজ সোমবার রাতে তিতুমীর কলেজের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী নুর আলম অবরোধ কর্মসূচির কথা জানিয়ে বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করার জন্য কমিশন গঠন বা কোনো উদ্যোগ না নেওয়া হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।’

পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী সোহাগ বলেন, ‘আমরা সব ধরনের ক্লাস ও পরীক্ষাও বর্জনের ঘোষণা দিয়েছি। এই আন্দোলন চলবে।’

এর আগে বেলা ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সরকারি তিতুমীর কলেজকে স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে মহাখালীতে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের দুই পাশের সড়কেই যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। মিছিলটি আমতলী মোড় হয়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মহাখালী রেলক্রসিং এলাকায় চলে আসে।

দুপুর পৌনে ১২টার দিকে নোয়াখালী থেকে ঢাকার দিকে আসা আন্তনগর ট্রেন উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি তাঁরা আটকে দেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় কয়েকজন ট্রেনে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। এ সময় ট্রেনটি গতি কমিয়ে গন্তব্যের দিকে যেতে থাকে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে মহাখালী এলাকায় লাইনে দুটি আন্তনগর ট্রেন আটকে যায়। এর মধ্যে জামালপুরের তারাকান্দিগামী অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকামুখী বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনটি আটকে ছিল।

মহাখালীর আমতলী ও আরজতপাড়া রেলক্রসিং এলাকায় শিক্ষার্থীদের অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত গণপরিবহন চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়। ঢাকার বাইরে থেকে কয়েকটি বাস বাড্ডা, গুলশান ঘুরে মহাখালী আন্তজেলা বাস টার্মিনালে আসে। তবে মহাখালী থেকে কোনো বাস ছেড়ে যেতে পারেনি। এতে বৃহত্তর ময়মনসিংহ বিভাগ, রাজশাহী বিভাগ ও ঢাকা বিভাগের কয়েকটি জেলার যাত্রীরা বিপাকে পড়েন। মহাখালী উড়ালসড়ক এবং নিচের সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ থাকলেও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে সচল ছিল।

ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির নেতা কাজী মাসুদ আজ সন্ধ্যায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘যেকোনো ইস্যুতে যেকোনো অছিলা তুলে বাসের রুট বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে যাত্রীরা যে কী অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়েন—সেটি অবরোধকারীরা বুঝতে চান না। এমন ঘটনায় বাস চালাতে না পেরে বাসমালিক ও শ্রমিকদের আর্থিক ক্ষতি হয়। এসব ঘটনায় শ্রমিকেরা ক্রমেই অসন্তুষ্ট হয়ে উঠছেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত