টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গোলাম কিবরিয়া বড় মনিকে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। আজ সোমবার তিনি টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারিক হাকিম মো. মাহমুদুল মহসীন তার জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গোলাম কিবরিয়া বড় মনি টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনিরের বড় ভাই। তিনি টাঙ্গাইল জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির মহাসচিব।
এর আগে এই মামলায় গত ১৮ এপ্রিল বিচারপতি মো. ইকবাল কবির ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ গোলাম কিবরিয়া বড় মনিকে আগাম জামিন দেন। এরপর ৩০ এপ্রিল (রোববার) আপিল বিভাগের চেম্বার জজ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ওই জামিন স্থগিত করে দুই সপ্তাহের মধ্যে টাঙ্গাইলের আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। সেই আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি আজ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন।
টাঙ্গাইলের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) এস আকবর খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কিশোরীর ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি আওয়ামী লীগ নেতা বড় মনি নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। পরে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহমুদুল মহসীন জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে ওই আওয়ামী লীগ নেতা ও তার স্ত্রী উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেলেও পরবর্তীতে চেম্বার আদালত বড় মনির জামিন স্থগিত করে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেন’
আদালতে আসামি পক্ষের জামিন শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী এ কে এম শামীমুল আক্তার, বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাইদুল ইসলাম শিশির, এ কে এম মনসুর আলী খান বিপনসহ প্রায় ২৫ জন আইনজীবী।
রাষ্ট্রপক্ষে জামিনের বিরোধিতা করেন কোর্ট পরিদর্শক তানভীর আহমেদ, বারের সাবেক সভাপতি ফায়কুজ্জামান নাজিবসহ ১০ থেকে ১২ জন আইনজীবী।
গত ৫ এপ্রিল টাঙ্গাইল শহরের এক কিশোরী বাদী হয়ে গোলাম কিবরিয়া বড় মনির নামে ধর্ষণের অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়, ভুক্তভোগী কিশোরীর ভাইয়ের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়। এই সমস্যা সমাধানের জন্য বড় মনির শরণাপন্ন হন ওই কিশোরী। বড় মনি সমস্যা সমাধান করে দেওয়ার আশ্বাস দেন। গত ১৭ ডিসেম্বর ওই কিশোরীকে শহরের আদালত পাড়ায় বড় মনির বাড়ির পাশে একটি ভবনের চতুর্থ তলার ফ্ল্যাটে যেতে বলেন। সেখানে গেলে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে কিশোরীকে একটি কক্ষে আটকে রাখা হয়। প্রায় তিন ঘণ্টা পর বড় মনি কক্ষে ঢুকে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন এবং ছবি তুলে রাখেন। ধর্ষণ শেষে কাউকে এ কথা জানাতে নিষেধ করেন এবং কাউকে জানালে মেরে ফেলার হুমকি দেন। তারপর ছবি প্রকাশের ভয় দেখিয়ে প্রায়ই মেয়েটিকে বড় মনি ধর্ষণ করতেন বলেও উল্লেখ করা হয়।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, এ ধর্ষণের কারণে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। এ কথা জানালে বড় মনি তাকে গর্ভপাত করার জন্য চাপ দিতে থাকেন। কিন্তু সন্তান নষ্ট করতে রাজি না হওয়ায় গত ২৯ মার্চ রাত ৮টার দিকে বড় মনি মেয়েটিকে আদালত পাড়ায় তার শ্বশুর বাড়িতে তুলে নিয়ে যান। সেখানে গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। তাতে রাজি না হওয়ায় ওই বাসার একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখা হয় মেয়েটিকে। পরে তাকে সেখানে আবার ধর্ষণ করেন বড় মনি। ধর্ষণের পর বড় মনির স্ত্রী তাকে মারপিট করলে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে রাত ৩টার দিকে বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয় তাকে। তারপর থেকে মেয়েটিকে নানা হুমকি দেওয়া হতো। শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ থাকায় মামলা করতে দেরি হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করেন বাদী।
ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গোলাম কিবরিয়া বড় মনিকে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। আজ সোমবার তিনি টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারিক হাকিম মো. মাহমুদুল মহসীন তার জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গোলাম কিবরিয়া বড় মনি টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনিরের বড় ভাই। তিনি টাঙ্গাইল জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির মহাসচিব।
এর আগে এই মামলায় গত ১৮ এপ্রিল বিচারপতি মো. ইকবাল কবির ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ গোলাম কিবরিয়া বড় মনিকে আগাম জামিন দেন। এরপর ৩০ এপ্রিল (রোববার) আপিল বিভাগের চেম্বার জজ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ওই জামিন স্থগিত করে দুই সপ্তাহের মধ্যে টাঙ্গাইলের আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। সেই আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি আজ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন।
টাঙ্গাইলের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) এস আকবর খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কিশোরীর ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি আওয়ামী লীগ নেতা বড় মনি নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। পরে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহমুদুল মহসীন জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে ওই আওয়ামী লীগ নেতা ও তার স্ত্রী উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেলেও পরবর্তীতে চেম্বার আদালত বড় মনির জামিন স্থগিত করে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেন’
আদালতে আসামি পক্ষের জামিন শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী এ কে এম শামীমুল আক্তার, বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাইদুল ইসলাম শিশির, এ কে এম মনসুর আলী খান বিপনসহ প্রায় ২৫ জন আইনজীবী।
রাষ্ট্রপক্ষে জামিনের বিরোধিতা করেন কোর্ট পরিদর্শক তানভীর আহমেদ, বারের সাবেক সভাপতি ফায়কুজ্জামান নাজিবসহ ১০ থেকে ১২ জন আইনজীবী।
গত ৫ এপ্রিল টাঙ্গাইল শহরের এক কিশোরী বাদী হয়ে গোলাম কিবরিয়া বড় মনির নামে ধর্ষণের অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়, ভুক্তভোগী কিশোরীর ভাইয়ের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়। এই সমস্যা সমাধানের জন্য বড় মনির শরণাপন্ন হন ওই কিশোরী। বড় মনি সমস্যা সমাধান করে দেওয়ার আশ্বাস দেন। গত ১৭ ডিসেম্বর ওই কিশোরীকে শহরের আদালত পাড়ায় বড় মনির বাড়ির পাশে একটি ভবনের চতুর্থ তলার ফ্ল্যাটে যেতে বলেন। সেখানে গেলে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে কিশোরীকে একটি কক্ষে আটকে রাখা হয়। প্রায় তিন ঘণ্টা পর বড় মনি কক্ষে ঢুকে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন এবং ছবি তুলে রাখেন। ধর্ষণ শেষে কাউকে এ কথা জানাতে নিষেধ করেন এবং কাউকে জানালে মেরে ফেলার হুমকি দেন। তারপর ছবি প্রকাশের ভয় দেখিয়ে প্রায়ই মেয়েটিকে বড় মনি ধর্ষণ করতেন বলেও উল্লেখ করা হয়।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, এ ধর্ষণের কারণে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। এ কথা জানালে বড় মনি তাকে গর্ভপাত করার জন্য চাপ দিতে থাকেন। কিন্তু সন্তান নষ্ট করতে রাজি না হওয়ায় গত ২৯ মার্চ রাত ৮টার দিকে বড় মনি মেয়েটিকে আদালত পাড়ায় তার শ্বশুর বাড়িতে তুলে নিয়ে যান। সেখানে গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। তাতে রাজি না হওয়ায় ওই বাসার একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখা হয় মেয়েটিকে। পরে তাকে সেখানে আবার ধর্ষণ করেন বড় মনি। ধর্ষণের পর বড় মনির স্ত্রী তাকে মারপিট করলে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে রাত ৩টার দিকে বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয় তাকে। তারপর থেকে মেয়েটিকে নানা হুমকি দেওয়া হতো। শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ থাকায় মামলা করতে দেরি হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করেন বাদী।
শিশুদের কলকাকলিতে মুখর আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকার লা গ্যালারি। গ্যালারির দেয়ালজুড়ে সাজানো তাদেরই পছন্দের অনেক ছবি। বইয়ে যে ছবি দেখে পড়া শিখেছে, সেগুলোই ঝুলছিল দেয়ালে। কী নেই সেখানে! নানা নকশায় লেখা বাংলা বর্ণমালা। গাছের ছবি, প্রাণীর ছবি, ফুলের ছবি, পাখির ছবি। বাচ্চারা সেগুলো দেখছে, পরস্পর আলাপ করছে।
৮ ঘণ্টা আগেসংস্কার শুরু হয়েছে রাজশাহী মহানগরীর জামালপুর-চকপাড়া ও হড়গ্রাম এলাকায় সাবেক সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশার বাড়ির সামনের সড়ক। পুরোনো ইট-খোয়া সরিয়ে নতুন উপকরণ দিয়ে করার কথা কাজ। কিন্তু ঠিকাদার সড়ক দুটি খুঁড়ে পাওয়া পুরোনো ইট-খোয়া দিয়েই কাজ করছেন। এ নিয়ে এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করলেও পরিদর্শনেই যাননি
৮ ঘণ্টা আগেবান্দরবানের আলীকদম উপজেলা সদর ইউনিয়নে ভুয়া কাগজপত্রে ভোটার হচ্ছেন রোহিঙ্গারা। রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে জনপ্রতি ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে জনপ্রতিনিধিরা ভুয়া নাগরিক সনদ ও ‘রোহিঙ্গা নয়’ মর্মে প্রত্যয়নপত্র দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
৮ ঘণ্টা আগেইতিহাস, ঐতিহ্য আর মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত বাংলাদেশ বেতারের পুরোনো সদর দপ্তর ভবন। রাজধানীর শাহবাগে অবস্থিত এই ভবনের অবস্থা এখন করুণ। বেতারের স্মৃতি-ঐতিহ্যের কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। প্রায় পরিত্যক্ত এই ভবন এখন বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (সাবেক বিএসএমএমইউ/পিজি) জন্য কাজ করা আনসার সদস্যদের
৮ ঘণ্টা আগে