সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
আজ ২৬ এপ্রিল। ১৯৮৯ সালের এই দিনে এক ভয়াবহ টর্নেডোর আঘাতে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল। যার আঘাতে বিলীন হয়ে যায় সাটুরিয়ার অধিকাংশ গ্রাম। এতে সহস্রাধিক মানুষ প্রাণ হারান, আহত হন ১২ হাজার। প্রলয়ংকরী এ টর্নেডোয় উপজেলার প্রায় ১ লাখ মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়ে।
৩৩ বছর আগের সেই দিনটি মনে পড়লে আঁতকে ওঠেন অনেকেই। প্রতিবছর ক্যালেন্ডারের পাতায় আজকের এই তারিখ সামনে এলেই ১৯৮৯ সালের ভয়াবহ সেই টর্নেডোর কথা মনে পড়ে যায় স্বজনহারা ও ক্ষতিগ্রস্তদের। ফলে শোকের মধ্য দিয়ে এদিনটি টর্নেডো দিবস হিসেবে পালন করে থাকেন সাটুরিয়াবাসী।
উপজেলার প্রবীণদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঘটনাবহুল সেই ২৬ এপ্রিল ছিল বুধবার। রোজার দিনে ইফতার করতে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন রোজাদারেরা। ইফতারের অল্প কিছুক্ষণ আগে হঠাৎ করেই প্রচণ্ড বেগে সাটুরিয়া উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যায় টর্নেডো। মাত্র ১ মিনিটের কম সময়ে, কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় সাটুরিয়া। ভয়াল এ টর্নেডোর খবর ছড়িয়ে পড়ে দেশ ছাপিয়ে বিশ্বে।
ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র কর্নেল আব্দুল মালেকের প্রচেষ্টায় সেই রাতেই শুরু হয় উদ্ধারকাজ। চারদিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা লাশের সারি দেখে হতবাক হয়ে যান উদ্ধারকারীরা। সাটুরিয়া উপজেলা সদর, হরগজ, তিল্লীসহ বিভিন্ন গ্রামের মানুষ স্বজন হারানোর বেদনায় কাতর হয়ে ওঠেন।
টর্নেডোর স্মৃতিচারণা করে উপজেলার হরগজ বাজারের ব্যবসায়ী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মো. আব্বাস উদ্দীন বলেন, ‘ওই দিন সকাল থেকেই প্রচণ্ড গরম ছিল, বাতাস ছিল না বললেই চলে। বৃষ্টি হচ্ছিল না অনেক দিন। তাই বৃষ্টির জন্য আমরা হরগজ ঈদগাহ মাঠে নামাজ আদায় করি।’
আব্বাস উদ্দীন বলেন, ‘বিকেল ৫টার দিকে হঠাৎ আকাশ কালো মেঘে ঢেকে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই কয়েক সেকেন্ডের এক ভয়াবহ টর্নেডোর আঘাতে আমার দোকানঘরের চালা উড়ে যায়। সবকিছু লন্ডভন্ড হয়ে যায়। এখনো আকাশে কালো মেঘের ছায়া দেখলেই সেদিনের কথা মনে হলে আঁতকে উঠি।’
সাটুরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদ ফটো বলেন, ‘এই টর্নেডোতে আমিও আহত হয়েছিলাম। আল্লাহর রহমতে বেঁচে গেছি। তখন ছিল রমজান মাস। আমি মোটরসাইকেল নিয়ে সাটুরিয়ায় একটি ইফতার মাহফিলে যেতে গিয়ে পথিমধ্যেই এই টর্নেডোর কবলে পড়ি। মোটরসাইকেলসহ আমাকে অনেক দূর উড়িয়ে নিয়ে যায়। প্রতি বছর মিলাদ মাহফিলে ও দোয়ার মাধ্যমে এই দিবসটি পালন করা হয়।’
আজ ২৬ এপ্রিল। ১৯৮৯ সালের এই দিনে এক ভয়াবহ টর্নেডোর আঘাতে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল। যার আঘাতে বিলীন হয়ে যায় সাটুরিয়ার অধিকাংশ গ্রাম। এতে সহস্রাধিক মানুষ প্রাণ হারান, আহত হন ১২ হাজার। প্রলয়ংকরী এ টর্নেডোয় উপজেলার প্রায় ১ লাখ মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়ে।
৩৩ বছর আগের সেই দিনটি মনে পড়লে আঁতকে ওঠেন অনেকেই। প্রতিবছর ক্যালেন্ডারের পাতায় আজকের এই তারিখ সামনে এলেই ১৯৮৯ সালের ভয়াবহ সেই টর্নেডোর কথা মনে পড়ে যায় স্বজনহারা ও ক্ষতিগ্রস্তদের। ফলে শোকের মধ্য দিয়ে এদিনটি টর্নেডো দিবস হিসেবে পালন করে থাকেন সাটুরিয়াবাসী।
উপজেলার প্রবীণদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঘটনাবহুল সেই ২৬ এপ্রিল ছিল বুধবার। রোজার দিনে ইফতার করতে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন রোজাদারেরা। ইফতারের অল্প কিছুক্ষণ আগে হঠাৎ করেই প্রচণ্ড বেগে সাটুরিয়া উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যায় টর্নেডো। মাত্র ১ মিনিটের কম সময়ে, কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় সাটুরিয়া। ভয়াল এ টর্নেডোর খবর ছড়িয়ে পড়ে দেশ ছাপিয়ে বিশ্বে।
ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র কর্নেল আব্দুল মালেকের প্রচেষ্টায় সেই রাতেই শুরু হয় উদ্ধারকাজ। চারদিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা লাশের সারি দেখে হতবাক হয়ে যান উদ্ধারকারীরা। সাটুরিয়া উপজেলা সদর, হরগজ, তিল্লীসহ বিভিন্ন গ্রামের মানুষ স্বজন হারানোর বেদনায় কাতর হয়ে ওঠেন।
টর্নেডোর স্মৃতিচারণা করে উপজেলার হরগজ বাজারের ব্যবসায়ী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মো. আব্বাস উদ্দীন বলেন, ‘ওই দিন সকাল থেকেই প্রচণ্ড গরম ছিল, বাতাস ছিল না বললেই চলে। বৃষ্টি হচ্ছিল না অনেক দিন। তাই বৃষ্টির জন্য আমরা হরগজ ঈদগাহ মাঠে নামাজ আদায় করি।’
আব্বাস উদ্দীন বলেন, ‘বিকেল ৫টার দিকে হঠাৎ আকাশ কালো মেঘে ঢেকে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই কয়েক সেকেন্ডের এক ভয়াবহ টর্নেডোর আঘাতে আমার দোকানঘরের চালা উড়ে যায়। সবকিছু লন্ডভন্ড হয়ে যায়। এখনো আকাশে কালো মেঘের ছায়া দেখলেই সেদিনের কথা মনে হলে আঁতকে উঠি।’
সাটুরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদ ফটো বলেন, ‘এই টর্নেডোতে আমিও আহত হয়েছিলাম। আল্লাহর রহমতে বেঁচে গেছি। তখন ছিল রমজান মাস। আমি মোটরসাইকেল নিয়ে সাটুরিয়ায় একটি ইফতার মাহফিলে যেতে গিয়ে পথিমধ্যেই এই টর্নেডোর কবলে পড়ি। মোটরসাইকেলসহ আমাকে অনেক দূর উড়িয়ে নিয়ে যায়। প্রতি বছর মিলাদ মাহফিলে ও দোয়ার মাধ্যমে এই দিবসটি পালন করা হয়।’
গ্রামীণ ব্যাংক ঘিরে নাশকতার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে, এমন গোয়েন্দা তথ্যে জরুরি সতর্কতা ব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নাশকতাসহ সব ধরনের অপতৎপরতা এড়াতে গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত থেকে কুড়িগ্রাম জেলায় অবস্থিত গ্রামীণ ব্যাংকের ৪৯টি শাখায় পুলিশি পাহারার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
৯ মিনিট আগেবগুড়ায় ঈদের নামাজ পড়তে যাওয়ার পথে বাসচাপায় বাবা ও ছেলে নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার সকাল ৮টার দিকে শাজাহানপুর উপজেলার নয়মাইল এলাকায় ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
২৪ মিনিট আগেপ্রখর রোদে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দেশের ঐতিহ্যবাহী ঈদগাহ কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় ১৯৮তম পবিত্র ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে এবারের ঈদের জামাতে মুসল্লির সংখ্যা তুলনামূলক কম ছিল। আজ শনিবার (৭ জুন) সকাল ৯টায় শুরু হওয়া জামাতে ইমামতি করেন মুফতি আবুল খায়ের মুহাম্মদ ছাইফুল্লাহ।
২৬ মিনিট আগেঈদুল আজহার প্রধান জামাত ঢাকার হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে অবস্থিত জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় এই জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এ জামাতে অংশ নেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা
৪৩ মিনিট আগে