Ajker Patrika

সেন্ট্রাল হাসপাতালে ফের অবহেলায় শিশুমৃত্যুর অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৮ জুলাই ২০২৩, ২১: ৫৭
সেন্ট্রাল হাসপাতালে ফের অবহেলায় শিশুমৃত্যুর অভিযোগ

রাজধানীর গ্রিনরোডে অবস্থিত সেন্ট্রাল হাসপাতালে এবার চিকিৎসকের অবহেলায় এক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। শিশুটির পরিবার বলছে, ডেঙ্গু আক্রান্ত অবস্থায় অতিমাত্রায় অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগের কারণে লিভার নষ্ট হয়ে শিশুটি মারা গেছে।

আজ মঙ্গলবার ঢাকায় সেগুনবাগিচায় ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে (ক্র্যাব) সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন শিশুটির মা আইনজীবী সুফিয়া পারভীন। 

গত মাসেই এই হাসপাতালটির বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছিল। পরে নবজাতকের মায়েরও মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় হাসপাতালটির চিকিৎসা কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাত দফা নির্দেশনা দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর মধ্যে অন্যতম হলো—সব ধরনের অস্ত্রোপচার বন্ধ রাখা ও সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক সংযুক্তা সাহাকে চিকিৎসা কার্যক্রমের বাইরে রাখার নির্দেশনা। এর মধ্যে নতুন করে একই অভিযোগ উঠল হাসপাতালটির বিরুদ্ধে। 

সংবাদ সম্মেলনে আইনজীবী সুফিয়া পারভীন অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার একমাত্র সন্তানের বয়স সাড়ে ৬ বছর। জ্বর হওয়ায় ৭ জুলাই সেন্ট্রাল হাসপাতালে নিয়ে যাই। হাসপাতালের ৪২২ নম্বর কেবিনে অধ্যাপক এএফএম সেলিমের তত্ত্বাবধানে তাকে ভর্তি করি। একই দিন পরীক্ষায় আমার মেয়ের শরীরে ডেঙ্গু ধরা পড়ে। প্রথমে স্যালাইনের সঙ্গে জ্বরের ওষুধ দেন চিকিৎসকেরা। রাতেই তাকে স্যালাইনের মাধ্যমে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়। পরে আবার রোফেসিন নামক উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়। এভাবে কয়েক ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগের পর আমার মেয়ের লিভার ড্যামেজ হতে থাকে। তার পায়খানার সঙ্গে রক্ত আসতে শুরু করে। বিষয়টি জানানোর জন্য হাসপাতালে নার্স ছাড়া কাউকে পাইনি। চারটি ফ্লোরের জন্য একজন ডিউটি ডাক্তার থাকেন। বসেন সপ্তম তলায়। কিন্তু রুমে গেলে বেশির ভাগ সময় দেখা যায় না। প্রফেসর সেলিম ভর্তির পর থেকে মাত্র তিনবার রোগীর কাছে এসেছেন। এখানে চিকিৎসকই খুঁজে পাইনি।’ 

সুফিয়া পারভীন বলেন, ‘গত ১০ জুলাই রাতে ডাক্তার আমার মেয়েকে দেখতে এসে ব্লাড প্রেসার ও পালস পাচ্ছিল না। এরপর আমাদের বলেন, রোগীর অবস্থা ভালো না। তাকে জরুরি ভিত্তিতে পিআইসিইউ সাপোর্ট দিতে হবে। সেই ব্যবস্থা সেন্ট্রাল হাসপাতালে নেই। তাঁদের পরামর্শে রাত ১১টার দিকে তাকে ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে বেশ কিছু পরীক্ষার মধ্যে ফেরিটিন নামক একটি পরীক্ষা দেওয়া হয়। যেখানে একজন শিশুর ফেরিটিনের মাত্রা ৭ থেকে ১৪০ থাকার কথা, সেখানে হাবিবার ফেরিটিন ধরা পড়ে ২১ হাজার ৪৮৩। শ্বাস-প্রশ্বাস, হার্টসহ অন্যান্য সমস্যা দেখা দেয়। এই রিপোর্ট দেখেই সেখানকার চিকিৎসকেরা বিড়বিড় করে বলে বসেন, সব তো শেষ করে নিয়ে আসছেন! রোগীর লিভার ফাংশন পুরো শেষ হয়ে গেছে। এরপর পিআইসিইউয়ে নিয়ে চেষ্টা শুরু করেন তাঁরা। কিন্তু আমার মেয়েকে আর বাঁচাতে পারেনি।’

 এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সেন্ট্রাল হাসপাতালের ব্যবস্থাপক (বিজনেস ডেভেলপমেন্ট) মামুনুর রশিদ বলেন, ‘শিশুটি এখানে ভর্তি থাকলেও পরবর্তীতে তাকে অন্য হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দিই। এরপর তাকে পরিবার নিয়ে যায়। অন্য হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আলাস্কা বৈঠকে পুতিনের দেহরক্ষীর হাতে ‘মলমূত্রবাহী স্যুটকেস’ কেন

সিলেটের ডিসি হলেন ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে শাস্তি পাওয়া সারওয়ার আলম

শেখ মুজিবকে শ্রদ্ধা জানিয়ে ছাত্রদল নেতার পোস্ট, শোকজ পেয়ে নিলেন অব্যাহতি

অপারেশন সিঁদুরে নিহত প্রায় দেড় শ সেনার তালিকা প্রকাশ করে মুছে ফেলল পাকিস্তানি টিভি

আমরা দখল করি লঞ্চঘাট-বাসস্ট্যান্ড, জামায়াত করে বিশ্ববিদ্যালয়: আলতাফ হোসেন চৌধুরী

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত