Ajker Patrika

মাকে বেঁধে মেয়েকে ধর্ষণ, দেড় যুগ পর আসামি গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৮ অক্টোবর ২০২২, ১৫: ২৮
মাকে বেঁধে মেয়েকে ধর্ষণ, দেড় যুগ পর আসামি গ্রেপ্তার

২০০৩ সালে ফেনীর সোনাগাজী উপজেলায় মাকে বেঁধে মেয়েকে গণধর্ষণের ঘটনায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ওলিনবী ওরফে লাতু মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব-৩)। লাতু মিয়া ১৮ বছর ধরে বিভিন্ন পেশার ছদ্মবেশে আত্মগোপনে ছিলেন। গতকাল সোমবার (১৭ অক্টোবর) গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

র‍্যাব জানায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারে নানা অপকর্ম করতেন লাতু ও তাঁর সহযোগীরা। বাবা মারা যাওয়ায় ভুক্তভোগী ও তাঁর মাকে বিভিন্ন সময়ে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন লাতু। কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় লাতু দলবল নিয়ে ২০০৩ সালের ১৩ মে ভিকটিমের বাড়িতে হামলা করেন। ঘরের দরজা ভেঙে মাকে অস্ত্রের মুখে বেঁধে ভিকিটিমকে গণধর্ষণ করেন তাঁরা। 

আজ মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ। 

লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ফেনী জেলার সোনাগাজীতে ২০০৩ সালে মাকে বেঁধে রেখে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ১৩ বছরের মেয়েকে গণধর্ষণের চাঞ্চল্যকর ঘটনায় ১৮ বছর ধরে পলাতক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি লাতু মিয়াকে রাজধানীর বাড্ডা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-৩। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে বিগত ২০০৩ সালের ১৩ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে মামলার বিচারকাজ শেষে ২০২২ সালের ১৪ জুলাই জাহাঙ্গীর আলম, আবুল কাশেম ও মো. লাতু মিয়াসহ অভিযুক্ত তিন আসামির বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় মৃত্যুদণ্ডের আদেশ প্রদান করা হয়। একই সঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে ২ লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং মো. ফারুকের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস প্রদান করেন আদালত। 

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র‍্যাব-৩-এর অধিনায়ক জানান, ঘটনার সময়ে সোনাগাজীতে মো. ফারুকের নেতৃত্বে তিনি এলাকায় আধিপত্য বিস্তারসহ নানা অপকর্ম করতেন। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে নারীদের উত্ত্যক্ত করতেন তাঁরা। কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ২০০৩ সালের ১৩ মে গভীর রাতে চারজন মিলে ভিকটিমকে গণধর্ষণ করে। পরে ঘটনাটি সারা দেশে আলোচিত হলে লাতু আত্মগোপনে চলে যান। 

আরও জানা যায়, ঘটনার পর পর লাতু ও তাঁর সহযোগীরা একাধিকবার গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। পরে জামিনে বের হয়ে আত্মগোপনে চলে যান। জামিনে বের হওয়ার পর মামলা তুলে নেওয়ার জন্য তাঁরা ভিকটিম ও ভিকটিমের মাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মেঘালয়ে হানিমুনে গিয়ে বর খুন, নিখোঁজ নববধূকে উদ্ধারে নেমেছে ড্রোন

‘তাণ্ডব’ সিনেমার শো চলার সময় ছায়াবাণী হলে দর্শকদের ভাঙচুর, টাকা লুট

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান বিচার ও কিছু প্রশ্ন

‘৫ মিনিট রুলস’ যেভাবে ইলন মাস্কের জীবনে সাফল্য আনল

যুক্তরাজ্য-যুক্তরাষ্ট্রে শুল্কমুক্ত সুবিধা নিয়ে বাংলাদেশের গার্মেন্টসের বাজার দখলের চেষ্টা ভারতে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত