নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
কয়েক দিনের অস্থিরতা শেষে অনেকটা স্বাভাবিক হয়েছে খামারবাড়ির পরিবেশ। যে কর্মকর্তার বদলি ঘিরে এত উত্তেজনা, সেই মুহাম্মদ মাহবুবুর রশীদকে এরই মধ্যে অবমুক্ত করা হয়েছে। ‘অস্থিরতা সৃষ্টি মূল নেতা’ রেজাউল ইসলাম মুকুলকে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত উপপরিচালকের দায়িত্বে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তিনি গত কয়েক মাস সংযুক্তিতে খামারবাড়ির একটি প্রকল্পের ফোকালপারসন ছিলেন।
এদিকে আজ সোমবার নিজ দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) প্রশাসন ও অর্থ উইংয়ের নবনিযুক্ত উপপরিচালক মো. মুরাদুল হাসান। জানতে চাইলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কিছু কর্মকর্তা এত দিন খামারবাড়িতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছিলেন। আমরা সুন্দর কর্মপরিবেশ ফিরিয়ে আনতে কাজ করব।’
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার ডিএইর প্রশাসন ও অর্থ উইংয়ের উপপরিচালক ড. মুহাম্মদ মাহবুবুর রশীদকে মেহেরপুরের বারাদি হর্টিকালচার সেন্টারে উপপরিচালক পদে বদলির প্রজ্ঞাপন জারি করে কৃষি মন্ত্রণালয়। মাহবুবুর রশীদের স্থলাভিষিক্ত করা হয় উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ উইংয়ের উপপরিচালক (আমদানি) মো. মুরাদুল হাসানকে। বদলির প্রজ্ঞাপন জারির পরপরই মাহবুবুর রশীদের অনুসারীরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন। মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বের হতে বাধা দেওয়া হয়।
এ সময় কয়েকজন কর্মকর্তা নতুন পদায়ন পাওয়া উপপরিচালক (প্রশাসন) মুরাদুল হাসানের কক্ষে গিয়ে তাঁকে হুমকি দেন। পরে শনিবার বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (কৃষি) অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‘কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে আওয়ামী দোসর’দের অপসারণের দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
একই ব্যানারে রোববার খামারবাড়িতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন কিছু কৃষি কর্মকর্তা। যদিও সংগঠনটির আহ্বায়ক মো. সাহিনুল ইসলাম রোববার বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, কর্মসূচিগুলো বিসিএস (কৃষি) অ্যাসোসিয়েশনের সম্মিলিত সিদ্ধান্তের আলোকে করা হয়নি। বিসিএস কৃষি অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যসচিব মো. রেজাউল ইসলাম মুকুলের একতরফা সিদ্ধান্তে করা হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ ফোরামে আলোচনা ছাড়া এ ধরনের কর্মকাণ্ড সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য।
রোববার কৃষি কর্মকর্তাদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে কিছু মানুষও খামারবাড়ি মোড়ে অবস্থান নিয়েছিলেন। বিপুলসংখ্যক সেনাসদস্য ও পুলিশের উপস্থিতিতে কর্মসূচিগুলো পণ্ড হয়ে যায়। ওই দিনই এক অফিস আদেশে মুহাম্মদ মাহবুবুর রশীদকে খামারবাড়ি থেকে অবমুক্ত করা হয়। অবিলম্বে তাঁকে বদলি করা কর্মস্থলে যোগদানের নির্দেশ দেওয়া হয়। আরেকটি অফিস আদেশে সংযুক্তি বাতিল করে রেজাউল ইসলামকে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত উপপরিচালকের দায়িত্বে ফেরত পাঠানো হয়।
অভিযোগ রয়েছে, গণ-অভ্যুত্থানের পর খামারবাড়ির বিভিন্ন ঘটনায় নেতৃত্ব দিয়েছেন বিএনপিপন্থী হিসেবে পরিচিত কর্মকর্তা মুহাম্মদ মাহবুবুর রশীদ ও রেজাউল ইসলাম মুকুলের অনুসারীরা।
ডিএইর বিএনপিপন্থী একাধিক কর্মকর্তারা জানান, ‘রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে এই দুই কর্মকর্তা ও তাঁদের অনুসারীরা খামারবাড়িতে অনেক অনিয়ম করেছেন। বদলি-পদায়ন নিয়ে অনেক বাণিজ্য করেছেন। বড় প্রকল্পগুলোর পিডি হতে তাঁরা মরিয়া হয়ে উঠেছেন। তাঁদের মতের বিরুদ্ধে গেলেই স্বৈরাচারের দোসর ট্যাগ দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে। দুর্নীতিবাজ এই কর্মকর্তাদের অপসারণের দাবিতে আমরা আগামীকাল (মঙ্গলবার) খামারবাড়িতে মানববন্ধন করব।’
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে কৃষিসচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তাদের বদলি স্বাভাবিক ঘটনা। এটাকে কেন্দ্র করে অস্থিরতা সৃষ্টি কারও কাম্য নয়। কর্মকর্তাদের অবশ্যই শৃঙ্খলার মধ্যে থাকতে হবে। কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে মন্ত্রণালয় থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কয়েক দিনের অস্থিরতা শেষে অনেকটা স্বাভাবিক হয়েছে খামারবাড়ির পরিবেশ। যে কর্মকর্তার বদলি ঘিরে এত উত্তেজনা, সেই মুহাম্মদ মাহবুবুর রশীদকে এরই মধ্যে অবমুক্ত করা হয়েছে। ‘অস্থিরতা সৃষ্টি মূল নেতা’ রেজাউল ইসলাম মুকুলকে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত উপপরিচালকের দায়িত্বে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তিনি গত কয়েক মাস সংযুক্তিতে খামারবাড়ির একটি প্রকল্পের ফোকালপারসন ছিলেন।
এদিকে আজ সোমবার নিজ দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) প্রশাসন ও অর্থ উইংয়ের নবনিযুক্ত উপপরিচালক মো. মুরাদুল হাসান। জানতে চাইলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কিছু কর্মকর্তা এত দিন খামারবাড়িতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছিলেন। আমরা সুন্দর কর্মপরিবেশ ফিরিয়ে আনতে কাজ করব।’
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার ডিএইর প্রশাসন ও অর্থ উইংয়ের উপপরিচালক ড. মুহাম্মদ মাহবুবুর রশীদকে মেহেরপুরের বারাদি হর্টিকালচার সেন্টারে উপপরিচালক পদে বদলির প্রজ্ঞাপন জারি করে কৃষি মন্ত্রণালয়। মাহবুবুর রশীদের স্থলাভিষিক্ত করা হয় উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ উইংয়ের উপপরিচালক (আমদানি) মো. মুরাদুল হাসানকে। বদলির প্রজ্ঞাপন জারির পরপরই মাহবুবুর রশীদের অনুসারীরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন। মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বের হতে বাধা দেওয়া হয়।
এ সময় কয়েকজন কর্মকর্তা নতুন পদায়ন পাওয়া উপপরিচালক (প্রশাসন) মুরাদুল হাসানের কক্ষে গিয়ে তাঁকে হুমকি দেন। পরে শনিবার বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (কৃষি) অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‘কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে আওয়ামী দোসর’দের অপসারণের দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
একই ব্যানারে রোববার খামারবাড়িতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন কিছু কৃষি কর্মকর্তা। যদিও সংগঠনটির আহ্বায়ক মো. সাহিনুল ইসলাম রোববার বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, কর্মসূচিগুলো বিসিএস (কৃষি) অ্যাসোসিয়েশনের সম্মিলিত সিদ্ধান্তের আলোকে করা হয়নি। বিসিএস কৃষি অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যসচিব মো. রেজাউল ইসলাম মুকুলের একতরফা সিদ্ধান্তে করা হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ ফোরামে আলোচনা ছাড়া এ ধরনের কর্মকাণ্ড সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য।
রোববার কৃষি কর্মকর্তাদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে কিছু মানুষও খামারবাড়ি মোড়ে অবস্থান নিয়েছিলেন। বিপুলসংখ্যক সেনাসদস্য ও পুলিশের উপস্থিতিতে কর্মসূচিগুলো পণ্ড হয়ে যায়। ওই দিনই এক অফিস আদেশে মুহাম্মদ মাহবুবুর রশীদকে খামারবাড়ি থেকে অবমুক্ত করা হয়। অবিলম্বে তাঁকে বদলি করা কর্মস্থলে যোগদানের নির্দেশ দেওয়া হয়। আরেকটি অফিস আদেশে সংযুক্তি বাতিল করে রেজাউল ইসলামকে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত উপপরিচালকের দায়িত্বে ফেরত পাঠানো হয়।
অভিযোগ রয়েছে, গণ-অভ্যুত্থানের পর খামারবাড়ির বিভিন্ন ঘটনায় নেতৃত্ব দিয়েছেন বিএনপিপন্থী হিসেবে পরিচিত কর্মকর্তা মুহাম্মদ মাহবুবুর রশীদ ও রেজাউল ইসলাম মুকুলের অনুসারীরা।
ডিএইর বিএনপিপন্থী একাধিক কর্মকর্তারা জানান, ‘রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে এই দুই কর্মকর্তা ও তাঁদের অনুসারীরা খামারবাড়িতে অনেক অনিয়ম করেছেন। বদলি-পদায়ন নিয়ে অনেক বাণিজ্য করেছেন। বড় প্রকল্পগুলোর পিডি হতে তাঁরা মরিয়া হয়ে উঠেছেন। তাঁদের মতের বিরুদ্ধে গেলেই স্বৈরাচারের দোসর ট্যাগ দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে। দুর্নীতিবাজ এই কর্মকর্তাদের অপসারণের দাবিতে আমরা আগামীকাল (মঙ্গলবার) খামারবাড়িতে মানববন্ধন করব।’
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে কৃষিসচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তাদের বদলি স্বাভাবিক ঘটনা। এটাকে কেন্দ্র করে অস্থিরতা সৃষ্টি কারও কাম্য নয়। কর্মকর্তাদের অবশ্যই শৃঙ্খলার মধ্যে থাকতে হবে। কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে মন্ত্রণালয় থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
রংপুরের বদরগঞ্জ পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্র হক সাহেবের মোড় থেকে স্টেশন সড়ক এবং শহীদ মিনার থেকে থানা সড়কের এক পাশ দিয়ে ড্রেন নির্মাণের কাজ শুরু হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন জনসাধারণ। ঈদ সামনে রেখে কেনাকাটায় বের হওয়া মানুষজন সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
৩ ঘণ্টা আগেঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে একটি মসজিদের নামে তোলা টাকার সিংহভাগই ছয়নয় করার অভিযোগ উঠেছে সাবরেজিস্ট্রি অফিসের বিরুদ্ধে। আগে মসজিদটিতে দলিলপ্রতি মাত্র ২০ টাকা দেওয়া হলেও বর্তমানে তা-ও দেওয়া হয় না। আর এসব বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন মসজিদের সাধারণ সম্পাদক দীন ইসলাম।
৩ ঘণ্টা আগেনিজের সম্বন্ধী আর বন্ধুবান্ধব ছাড়া কাউকেই চিনছেন না রাজশাহী গণপূর্ত বিভাগ-১-এর নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদুল ইসলাম। দরপত্রের প্রক্রিয়ার গোপন দর ফাঁস করে তিনি তাঁদের লাখ লাখ টাকার কাজ পাইয়ে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে অন্য কোনো ঠিকাদার কাজ পাচ্ছেন না। বঞ্চিত ঠিকাদারদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ...
৪ ঘণ্টা আগেআওয়ামী লীগ সরকারের আমলের সাবেক সংসদ সদস্যদের (এমপি) জন্য শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করা বিলাসবহুল ল্যান্ড ক্রুজার খালাস না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত নিলামে তোলে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। গত মাসে অনুষ্ঠিত নিলামে প্রতিটি ৯ কোটি ৬৭ লাখ টাকা দামের ২৪টি গাড়ি বিক্রির জন্য তোলা হয়। সেই নিলামে ১৪ জন অংশগ্রহণ...
৪ ঘণ্টা আগে