ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুরের সালথা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষের অনিয়ম নিয়ে ফেসবুকে শেয়ার করা একটি প্রতিবেদনে কমেন্ট করায়, এক শিক্ষার্থীকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। হুসাইন মাতুব্বর নামে ওই পরীক্ষার্থী মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী ও উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের বাতাগ্রামের মৃত জাফর মাতুব্বরের ছেলে।
ওই শিক্ষার্থীর অভিযোগ, গত বছর অধ্যক্ষ কৃষ্ণ চন্দ্র বর্মণের অনিয়ম নিয়ে স্থানীয় সাংবাদিকেরা সংবাদ প্রকাশ করে। ২০২৩ সালের ৪ অক্টোবর ‘ব্যবহারিক পরীক্ষার নামে অর্থ আদায় ও খাতা বাণিজ্যের অভিযোগ’ শিরোনামে দুটি জাতীয় সংবাদপত্রে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে অধ্যক্ষ কৃষ্ণ চন্দ্র বর্মণের বিরুদ্ধেও অভিযোগ আনা হয়।
সংবাদটি স্থানীয় সাংবাদিক নুরুল ইসলাম নাহিদ ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শেয়ার করেন। এতে কমেন্ট করে অনিয়মের বিষয়ে আরও কিছু তথ্য তুলে ধরেন শিক্ষার্থী হুসাইন। সেই কমেন্টের স্ক্রিনশট রেখে দেন অধ্যক্ষ। পরদিন ওই শিক্ষার্থী কলেজে গেলে তাঁর মোবাইল ফোন জব্দ করেন অধ্যক্ষ এবং তাঁকে শাসাতে থাকেন। খবর পেয়ে স্থানীয় সাংবাদিকেরা কলেজে গেলে তাঁদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন অধ্যক্ষ। কয়েক দিন পর ফোনটি ফেরত দেন।
এর জেরেই আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষার মূল্যায়ন পরীক্ষায় ফেল করানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থী হুসাইন মাতুব্বর। তিনি বলেন, ‘অধ্যক্ষ স্যারের অনিয়মের সংবাদে আমি না বুঝেই কমেন্ট করেছিলাম। সেই কমেন্টই আমার গলার কাঁটা হয়ে গেল! আমাকে এইচএসসি পরীক্ষা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। বারবার স্যারের কাছে আকুতি-মিনতি করলেও কোনো কথাই শুনতেছেন না।’
ওই শিক্ষার্থীর দাবি, টেস্ট (মূল্যায়ন) পরীক্ষায় ভালো লিখেছেন। কিন্তু একাধিক বিষয়ে ফেল দেখানো হয়েছে। পরে অধ্যক্ষের কাছে গেলে আবেদন করে আবার পরীক্ষা দিতে বলেন। কথামতো আবেদন নিয়ে গেলে তিনি গ্রহণ করেননি। পরে আবার গেলে অধ্যক্ষ বলেন, আবেদনে মারজিন (দাগ) টানা হয়নি। এরপর আর কাছেই ভিড়তে দেননি। অথচ ফেল করা অনেকের আবেদনই অধ্যক্ষ নিয়েছেন।
ওই শিক্ষার্থীর বড় ভাই শ্রাবণ হাসান বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে প্রথম দিকে আমি অধ্যক্ষের কাছে জানতে চাইলে তিনি আমাকে বলেন, আমরা সার্বিক দিক বিবেচনা করে বাদ দিয়েছি। এরপর কয়েক দিন আগে অধ্যক্ষ জানান, ও একাধিক বিষয়ে ফেল করেছে, নেওয়া যাবে না। কিন্তু এইচএসসি পরীক্ষার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া কয়েকজন শিক্ষার্থীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাদের কোন বিবেচনায় নিয়েছেন?’
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে অধ্যক্ষ কৃষ্ণ চন্দ্র বর্মণ বলেন, ‘হুসাইন মাতুব্বরের সঙ্গে অতীতে কী হয়েছিল তা আমার মনে নেই। এমন কোনো ঘটনার কারণে তাকে পরীক্ষার ফরম পূরণ করতে না দেওয়ার অভিযোগ সঠিক নয়।’
অধ্যক্ষ বলেন, ‘ওই ছাত্রের বিগত রেজাল্ট ভালো না। সে ১ম বর্ষে, প্রাক নির্বাচনী পরীক্ষায় এবং নির্বাচনী পরীক্ষায় খারাপ করেছে। এ ছাড়া আমরা অভিভাবকদের নিয়ে বসেছিলাম। সেখানে ইউএনও মহোদয়ও ছিলেন। সকলেই একমত হন যে, যারা রেজাল্ট খারাপ করেছে তাদের বিরুদ্ধে কলেজ যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটিই সঠিক।’
তিনি জানান, এবার এই কলেজ থেকে ২৪৩ জন নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে ১২২ জনের মতো পাস করেছে।
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আনিচুর রহমান বালী বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমি অধ্যক্ষকে ফোন দিয়েছিলাম। অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, ওই ছেলে ৫ /৬টি বিষয়ে ফেল করেছে। এখন ওই ছেলে যদি মনে করে, তার প্রতি অবিচার করা হয়েছে, তাহলে সে কলেজে পুনর্মূল্যায়নের জন্য আবেদন করতে পারে। আর যদি সে বিষয়ে অধ্যক্ষ ব্যবস্থা না নিয়ে থাকেন, ওই ছাত্র উপজেলা প্রশাসন বা জেলা প্রশাসন বরাবর লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ফরিদপুরের সালথা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষের অনিয়ম নিয়ে ফেসবুকে শেয়ার করা একটি প্রতিবেদনে কমেন্ট করায়, এক শিক্ষার্থীকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। হুসাইন মাতুব্বর নামে ওই পরীক্ষার্থী মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী ও উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের বাতাগ্রামের মৃত জাফর মাতুব্বরের ছেলে।
ওই শিক্ষার্থীর অভিযোগ, গত বছর অধ্যক্ষ কৃষ্ণ চন্দ্র বর্মণের অনিয়ম নিয়ে স্থানীয় সাংবাদিকেরা সংবাদ প্রকাশ করে। ২০২৩ সালের ৪ অক্টোবর ‘ব্যবহারিক পরীক্ষার নামে অর্থ আদায় ও খাতা বাণিজ্যের অভিযোগ’ শিরোনামে দুটি জাতীয় সংবাদপত্রে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে অধ্যক্ষ কৃষ্ণ চন্দ্র বর্মণের বিরুদ্ধেও অভিযোগ আনা হয়।
সংবাদটি স্থানীয় সাংবাদিক নুরুল ইসলাম নাহিদ ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শেয়ার করেন। এতে কমেন্ট করে অনিয়মের বিষয়ে আরও কিছু তথ্য তুলে ধরেন শিক্ষার্থী হুসাইন। সেই কমেন্টের স্ক্রিনশট রেখে দেন অধ্যক্ষ। পরদিন ওই শিক্ষার্থী কলেজে গেলে তাঁর মোবাইল ফোন জব্দ করেন অধ্যক্ষ এবং তাঁকে শাসাতে থাকেন। খবর পেয়ে স্থানীয় সাংবাদিকেরা কলেজে গেলে তাঁদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন অধ্যক্ষ। কয়েক দিন পর ফোনটি ফেরত দেন।
এর জেরেই আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষার মূল্যায়ন পরীক্ষায় ফেল করানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থী হুসাইন মাতুব্বর। তিনি বলেন, ‘অধ্যক্ষ স্যারের অনিয়মের সংবাদে আমি না বুঝেই কমেন্ট করেছিলাম। সেই কমেন্টই আমার গলার কাঁটা হয়ে গেল! আমাকে এইচএসসি পরীক্ষা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। বারবার স্যারের কাছে আকুতি-মিনতি করলেও কোনো কথাই শুনতেছেন না।’
ওই শিক্ষার্থীর দাবি, টেস্ট (মূল্যায়ন) পরীক্ষায় ভালো লিখেছেন। কিন্তু একাধিক বিষয়ে ফেল দেখানো হয়েছে। পরে অধ্যক্ষের কাছে গেলে আবেদন করে আবার পরীক্ষা দিতে বলেন। কথামতো আবেদন নিয়ে গেলে তিনি গ্রহণ করেননি। পরে আবার গেলে অধ্যক্ষ বলেন, আবেদনে মারজিন (দাগ) টানা হয়নি। এরপর আর কাছেই ভিড়তে দেননি। অথচ ফেল করা অনেকের আবেদনই অধ্যক্ষ নিয়েছেন।
ওই শিক্ষার্থীর বড় ভাই শ্রাবণ হাসান বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে প্রথম দিকে আমি অধ্যক্ষের কাছে জানতে চাইলে তিনি আমাকে বলেন, আমরা সার্বিক দিক বিবেচনা করে বাদ দিয়েছি। এরপর কয়েক দিন আগে অধ্যক্ষ জানান, ও একাধিক বিষয়ে ফেল করেছে, নেওয়া যাবে না। কিন্তু এইচএসসি পরীক্ষার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া কয়েকজন শিক্ষার্থীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাদের কোন বিবেচনায় নিয়েছেন?’
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে অধ্যক্ষ কৃষ্ণ চন্দ্র বর্মণ বলেন, ‘হুসাইন মাতুব্বরের সঙ্গে অতীতে কী হয়েছিল তা আমার মনে নেই। এমন কোনো ঘটনার কারণে তাকে পরীক্ষার ফরম পূরণ করতে না দেওয়ার অভিযোগ সঠিক নয়।’
অধ্যক্ষ বলেন, ‘ওই ছাত্রের বিগত রেজাল্ট ভালো না। সে ১ম বর্ষে, প্রাক নির্বাচনী পরীক্ষায় এবং নির্বাচনী পরীক্ষায় খারাপ করেছে। এ ছাড়া আমরা অভিভাবকদের নিয়ে বসেছিলাম। সেখানে ইউএনও মহোদয়ও ছিলেন। সকলেই একমত হন যে, যারা রেজাল্ট খারাপ করেছে তাদের বিরুদ্ধে কলেজ যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটিই সঠিক।’
তিনি জানান, এবার এই কলেজ থেকে ২৪৩ জন নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে ১২২ জনের মতো পাস করেছে।
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আনিচুর রহমান বালী বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমি অধ্যক্ষকে ফোন দিয়েছিলাম। অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, ওই ছেলে ৫ /৬টি বিষয়ে ফেল করেছে। এখন ওই ছেলে যদি মনে করে, তার প্রতি অবিচার করা হয়েছে, তাহলে সে কলেজে পুনর্মূল্যায়নের জন্য আবেদন করতে পারে। আর যদি সে বিষয়ে অধ্যক্ষ ব্যবস্থা না নিয়ে থাকেন, ওই ছাত্র উপজেলা প্রশাসন বা জেলা প্রশাসন বরাবর লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বাবুরহাট বাজারে নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার এক মাস যেতে না যেতেই উঠে যাচ্ছে সড়কের আরসিসি ঢালাই। এ ছাড়া সড়কটির সম্প্রসারণ জয়েন্টগুলোতে আঁকাবাঁকা ফাটল দেখা দিয়েছে। বিষয়টি বুঝতে পেরে সংশ্লিষ্টরা তাড়াহুড়া করে বিটুমিন দিয়ে ফাটল বন্ধের চেষ্টা চালিয়েছেন বলে জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগেতিন পার্বত্য জেলার মধ্যে আগে থেকেই চিকিৎসাসেবায় পিছিয়ে খাগড়াছড়ি। তার ওপর বছরের পর বছর চিকিৎসক, নার্স, কর্মচারী ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির সংকট থাকায় খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালে কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না রোগীরা।
৩ ঘণ্টা আগেনেত্রকোনার দুর্গাপুরে এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ফয়সাল আহমেদ ওরফে দুর্জয় (২৪) নামে এক ছাত্রদল নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। আটক ফয়সাল আহমেদ ওরফে দুর্জয় দুর্গাপুর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাতে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান...
৩ ঘণ্টা আগেরাজধানীর খিলগাঁওয়ে একটি নির্মাণাধীন ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। তবে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই আগুন নিভে গেছে। এতে কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
৫ ঘণ্টা আগে