Ajker Patrika

পিএসসির প্রশ্নপত্র ফাঁস: স্বীকারোক্তি দিতে আবেদসহ ৭ জন আদালতে, কারাগারে ১০

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৯ জুলাই ২০২৪, ১৮: ০৬
পিএসসির প্রশ্নপত্র ফাঁস: স্বীকারোক্তি দিতে আবেদসহ ৭ জন আদালতে, কারাগারে ১০

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে গ্রেপ্তার তিন কর্মকর্তাসহ ১০ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হক তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

তবে পিএসসির চেয়ারম্যানের সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলীসহ সাতজন দায় স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪  ধারায় জবানবন্দি দিতে প্রস্তুত। তাঁরা জবানবন্দি দেওয়ার অপেক্ষায় আছেন।

জবানবন্দি দিতে প্রস্তুত অপর ৬ আসামি হলেন পিএসসির অফিস সহায়ক খলিলুর রহমান, অফিস সহায়ক সাজেদুল ইসলাম, ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থী ও বর্তমানে মিরপুরের ব্যবসায়ী আবু সোলায়মান মো. সোহেল, ব্যবসায়ী সহোদর সাখাওয়াত হোসেন, সাইম হোসেন ও লিটন সরকার। 

বেলা ১টার দিকে ১৭ আসামিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক জুয়েল চাকমা ৭ জনের জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করার জন্য আবেদন করেন। তাঁদের বিভিন্ন বিচারকের খাসকামরায় পাঠানো হয়েছে।

অন্য ১০ জনকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন জানান তদন্ত কর্মকর্তা। ওই ১০ জন হলেন পিএসসির উপপরিচালক মো. আবু জাফর ও মো. জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পরিচালক এস এম আলমগীর কবীর, সাবেক সেনাসদস্য নোমান সিদ্দিকী, অডিটর প্রিয়নাথ রায়, ব্যবসায়ী মো. জাহিদুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসের নিরাপত্তা প্রহরী শাহাদাত হোসেন, ঢাকার ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অফিসে কর্মরত মো. মামুনুর রশীদ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মেডিকেল টেকনিশিয়ান মো. নিয়ামুন হাসান ও আবেদ আলীর ছেলে সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়াম। এই ১০ জনকে শুনানি শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গত রোববার রাতে বিসিএসের প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে পিএসসির বিরুদ্ধে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের পর ফেসবুকে সৈয়দ আবেদ আলীর পোস্টগুলো ভাইরাল হতে থাকে।

পরে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১৭ জনকে আটক করে সিআইডি। আটকের পর পুলিশের কাছে তাঁরা প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন।

এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাত ১২টার পর সিআইডি পুলিশের এসআই  নিপ্পন চন্দ্র চন্দ বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন আইনে মামলা দায়ের করেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে পিএসসি কর্তৃক আয়োজিত বাংলাদেশ রেলওয়ের সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার পদে ৫ জুলাই অনুষ্ঠিত পরীক্ষার আগে প্রশ্নপত্র ফাঁস করে সেটা প্রকাশ এবং বিতরণ করেন। বিপুল অঙ্কের টাকার বিনিময়ে তাঁরা প্রশ্নপত্র ফাঁস করেন।

এজাহারে আরও বলা হয়, পিএসসির বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে এই অসাধু চক্র জড়িত। এজাহারে মোট ৩১ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা ৫০-৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

পলাতক ১৪ জন : পিএসসির সাবেক সহকারী পরিচালক নিখিল চন্দ্র রায়, মো. শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া, দীপক বণিক, খোরশেদ আলম খোকন, কাজী মো. সুমন, এ কে এম গোলাম পারভেজ, মেহেদী হাসান খান, মোহাম্মদ গোলাম হামিদুর রহমান, মো. মিজানুর রহমান, আতিকুল ইসলাম, এ টি এম মোস্তফা, মাহফুজ কালু, আসলাম ও কৌশিক দেবনাথ।

তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল ৪ সেপ্টেম্বর: এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী চার সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে। মামলার এজাহার উপস্থাপন করার পর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী এই তারিখ ধার্য করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারতের বিপক্ষে সেমির আগেই ধাক্কা খেল অস্ট্রেলিয়া

পরমাণু শক্তিধর হতে চেয়েছিল তাইওয়ান, সিআইএ এজেন্টের বিশ্বাসঘাতকতায় স্বপ্নভঙ্গ

এলপি গ্যাস, তেল, আটাসহ বেশ কিছু পণ্যে ভ্যাট তুলে দিল এনবিআর

চ্যাম্পিয়নস ট্রফি: রিজার্ভ-ডেতেও সেমিফাইনাল না হলে হৃদয়বিদারক সমীকরণ

চট্টগ্রামে হামলায় ‘নিরাপত্তাহীন’ পুলিশ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত