Ajker Patrika

কৃষিতে নারীর অংশগ্রহণ এখন ৭৬ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
কৃষিতে নারীর অংশগ্রহণ এখন ৭৬ শতাংশ

শিক্ষাক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে গেলেও কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ এখনো অনেক কম। ত্রিশোর্ধ্ব শিক্ষিত নারীদের অনেকেই কর্মক্ষেত্রে নেই। বেশিরভাগ অবৈতনিক খাতে কাজ করেন। অপরদিকে শহরের ৫০ শতাংশ পুরুষ মনে করেন, নারীদের নির্যাতন সহ্য করতে হবে। তবে কৃষিতে নারীর অংশগ্রহণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৬ শতাংশে। 

আজ রোববার (১০ মার্চ) বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের উদ্যোগে আনোয়ারা বেগম মুনিরা খান মিলনায়তনে আয়োজিত ‘নারী-পুরুষের সমতা নিশ্চিত করতে নারীর জন্য বিনিয়োগ অপরিহার্য’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। 

বিআইডিএসের গবেষণা পরিচালক ড. মনজুর হোসেন বলেন, ১৫ থেকে ২৯ বছরের নারীর শিক্ষার হার পর্যালোচনায় দেখা যায় শিক্ষায় অনেকটা সাম্য অর্জিত হয়েছে। তবে ৩০ বছরের উর্ধ্বে থাকা নারীরা বেশিরভাগ অবৈতনিক খাতে কাজ করছেন। ত্রিশোর্ধ্ব এ নারীদের জন্য সরকারিভাবে প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। তাদের নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। 

সভায় সভাপতিত্ব করেন মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম। আলোচনায় অংশ নেন সংসদ সদস্য আরমা দত্ত, সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক শরমিন্দ নিলোর্মী, দ্যা বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকার ডেপুটি এডিটর সাজ্জাদুর রহমান এবং বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির বোর্ড অব ডিরেক্টর প্রীতি চক্রবর্তী। 

লিখিত বক্তব্যে শরমিন্দ নিলোর্মী ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের প্রকাশিত তথ্যের আলোকে বলেন, অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হলেই একটি দেশের নারীদের উন্নতি হবে এমনটি ভাবার সুযোগ নেই। আইসিডিডিআরবির গবেষণা বলে, শহরের ৫০ শতাংশ পুরুষ মনে করে নারীদের নির্যাতন সহ্য করতে হবে, শহরে লেবার ফোর্স পার্টিসিপেশনে নারীর অংশগ্রহণ কমছে। এসব পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বাজেট প্রণয়ন করতে হবে। কৃষিতে নারীর অংশগ্রহণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৬ শতাংশে। এখানে নারীর জন্য সেবামূলক কর্মসূচি বৃদ্ধি করতে হবে। জেন্ডার বাজেটের কার্যকর প্রয়োগ ঘটাতে হলে নারীবান্ধব প্রজেক্টের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে; সম্পদ সম্পত্তিতে নারীর উত্তরাধিকার নিশ্চিতের ওপর জোর দিতে হবে। 

সংসদ সদস্য আরমা দত্ত বলেন, ‘বাজেট তৈরি হলেও নারীর জন্য থাকা ক্রিটিক্যাল বিষয়গুলো, ফেমিনিজম অব এগ্রিকালচার, জেন্ডার লেন্সের প্রতিফলন দেখা যায়না। নারীরা সর্বহারা—এমন পরিস্থিতির উত্তরণে নারী উন্নয়ন নীতিমালার বাস্তবায়ন ও সম্পত্তিতে নারীর অধিকার সবার জন্য থাকা আইনে আসতে হবে।’ 

সভাপতির বক্তব্যে ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, ‘বাজেট হচ্ছে সরকারের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের একটি মাধ্যম। নারী আন্দোলনের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে সরকারের ৪৪টি মন্ত্রণালয়ে জেন্ডার বাজেট প্রণীত হলেও তা জেন্ডার বৈষম্য দূর করে জেন্ডার সমতা প্রতিষ্ঠায় কতটা কার্যকর হচ্ছে সেটি এখন মনিটরিং করতে হবে। উন্নয়নকে টেকসই করতে এখন সরকারের বাজেট বিশ্লেষণে করণীয় নির্ধারণ করা জরুরি।’ 
 
বক্তারা নারীর ক্ষমতায়ন, চাইল্ড কেয়ার, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যগত বিষয়ে বিনিয়োগ বৃদ্ধির আহবান জানান। তাঁরা বলেন, মেয়েদের শিক্ষায় অগ্রগতি হলেও উচ্চশিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ সন্তোষজনক নয়, এ বিষয়ে গবেষণা হওয়া দরকার। বাংলাদেশে ছেলেমেয়েদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সুযোগ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বৈষম্য আছে, এক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে একসঙ্গে কাজ করার পরামর্শ দেন তারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নয়াদিল্লিতে নতুন হাইকমিশনার রিয়াজ হামিদুল্লাহ, ৩ মাস সময় নিল ভারত

খেজুরে অতি মুনাফা, হতাশ ক্রেতা

চাপে পড়ে ৫টি বাস রিকুইজিশন দিয়েছেন পিরোজপুরের ডিসি, সরকারের হস্তক্ষেপ নেই: প্রেস সচিব

কলাবাগানে সাবেক সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলের মরদেহ উদ্ধার

রাতে স্বামীর জন্মদিন উদ্‌যাপন, সকালে নদীতে মিলল নববধূর লাশ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত