নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রতিনিয়ত বাড়ছে শব্দদূষণ, বাংলাদেশসহ বিশ্বের বহু দেশে দিনে দিনে যা মারাত্মক আকার ধারণ করছে। এই মুহূর্তে বিশ্বের প্রায় ৪৩২ মিলিয়ন বা ৪৩ কোটি ২০ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ পেশাগত কারণে শব্দদূষণের শিকার। আর বাংলাদেশের এই সমস্যায় সবচেয়ে বেশি ভুগছেন রিকশাচালকেরা। ঢাকাসহ সব সিটি করপোরেশনে প্রায় ৪২ ভাগ রিকশাচলকই এই শব্দদূষণের শিকার। এরপরই ট্রাফিক পুলিশ ও লেগুনাচালকেরা।
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্সের ‘বাংলাদেশের রাজপথে শব্দদূষণ এবং শব্দদূষণের কারণে রাজপথে কর্মরত পেশাজীবীদের শ্রবণসমস্যা’ নিয়ে করা এক গবেষণায় এই চিত্র উঠে এসেছে।
গবেষণায় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনসহ (উত্তর ও দক্ষিণ) রাজশাহী, কুমিল্লা ও সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকায় শব্দদূষণের মাত্রা পরিমাপ করা হয়েছে এবং এসব সিটি করপোরেশন রাজপথে কর্মরত ৬৪৭ জন পেশাজীবীর (ট্রাফিক পুলিশ ও সার্জেন্ট, বাসচালক ও হেলপার, পিকআপচালক, সিএনজিচালক, লেগুনাচালক, দোকানদার, মোটরসাইকেল, রিকশাচালক ও প্রাইভেট কার) শ্রবণশক্তি পরিমাপ করেছে।
চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত এই গবেষণা করা হয়। আজ মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্সের ইব্রাহিম অডিটোরিয়ামে গবেষণার ফলাফল তুলে ধরেন প্রধান গবেষক ড. সাইকা নিজাম।
রাজপথে শব্দদূষণের মাত্রা নির্ণয় এবং রাজপথে কর্মরত পেশাজীবীদের শ্রবণশক্তির ওপর সেই শব্দদূষণের প্রভাব নির্ণয় করার উদ্দেশ্যে এই গবেষণা চালানো হয় বলে জানান ড. সাইকা নিজাম।
গবেষণায় বলা হয়, জরিপে অংশ নেওয়া প্রতি চারজনে একজন কানে কম শোনার সমস্যায় ভুগছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৪২ শতাংশই রিকশাচালক। এ ছাড়া প্রায় ৩১ শতাংশ ট্রাফিক পুলিশ, ২৪ শতাংশ সিএনজি অটোচালক, ২৪ শতাংশ দোকানদার, ১৬ শতাংশ বাস, ১৫ শতাংশ প্রাইভেট কার এবং ১৩ শতাংশ মোটরসাইকেলচালক। এসব সমস্যায় ভোগাদের ৭ শতাংশের শ্রবণসহায়ক যন্ত্র (কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট) ব্যবহার জরুরি।
সমস্যায় ভোগা এসব মানুষ সবচেয়ে বেশি কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের। ঢাকার কাছের এই বিভাগের ৫৫ শতাংশ মানুষ শব্দদূষণের শিকার। সিলেটে প্রায় ৩১ শতাংশ, ঢাকায় ২২ দশমিক ৩ শতাংশ, রাজশাহীতে প্রায় ১৪ শতাংশ রাজপথে কর্মরত পেশাজীবী শব্দদূষণে ভুগছেন।
এ সময় প্রতিকারে শব্দদূষণের উৎস ও মাত্রা কমানোর জন্য পদক্ষেপ নেওয়াসহ বেশ কিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়। রাজপথে পেশাজীবীদের কর্মঘণ্টা কমানো, যেখানে প্রয়োজন সেখানে উপযুক্ত ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম নিশ্চিত করা, রিকশাচালক ও ট্রাফিক পুলিশের প্রতি বিশেষ নজর, নিয়মিত শ্রবণ পরীক্ষার তাগিদ দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন বলেন, অসংক্রামক রোগের শব্দদূষণকে আমরা তেমনটা গুরুত্ব দিতাম না। কিন্তু এটাও বিশেষ গুরুত্বের দাবি রাখে। গবেষণায় এমন ভয়াবহ চিত্র উঠে আসবে তা ভাবিনি। বয়স বাড়লেই মানুষ ধীরে ধীরে কানে কম শুনতে শুরু করে। কানে না শোনার নানা কারণও থাকতে পারে। শুধু রাস্তায় নয়, বাসাবাড়ির আশপাশে গড়ে ওঠা ভবনেরও দায় রয়েছে। এর জন্য আমাদের স্বাস্থ্য বিভাগ থেকেও একটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
প্রতিনিয়ত বাড়ছে শব্দদূষণ, বাংলাদেশসহ বিশ্বের বহু দেশে দিনে দিনে যা মারাত্মক আকার ধারণ করছে। এই মুহূর্তে বিশ্বের প্রায় ৪৩২ মিলিয়ন বা ৪৩ কোটি ২০ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ পেশাগত কারণে শব্দদূষণের শিকার। আর বাংলাদেশের এই সমস্যায় সবচেয়ে বেশি ভুগছেন রিকশাচালকেরা। ঢাকাসহ সব সিটি করপোরেশনে প্রায় ৪২ ভাগ রিকশাচলকই এই শব্দদূষণের শিকার। এরপরই ট্রাফিক পুলিশ ও লেগুনাচালকেরা।
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্সের ‘বাংলাদেশের রাজপথে শব্দদূষণ এবং শব্দদূষণের কারণে রাজপথে কর্মরত পেশাজীবীদের শ্রবণসমস্যা’ নিয়ে করা এক গবেষণায় এই চিত্র উঠে এসেছে।
গবেষণায় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনসহ (উত্তর ও দক্ষিণ) রাজশাহী, কুমিল্লা ও সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকায় শব্দদূষণের মাত্রা পরিমাপ করা হয়েছে এবং এসব সিটি করপোরেশন রাজপথে কর্মরত ৬৪৭ জন পেশাজীবীর (ট্রাফিক পুলিশ ও সার্জেন্ট, বাসচালক ও হেলপার, পিকআপচালক, সিএনজিচালক, লেগুনাচালক, দোকানদার, মোটরসাইকেল, রিকশাচালক ও প্রাইভেট কার) শ্রবণশক্তি পরিমাপ করেছে।
চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত এই গবেষণা করা হয়। আজ মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্সের ইব্রাহিম অডিটোরিয়ামে গবেষণার ফলাফল তুলে ধরেন প্রধান গবেষক ড. সাইকা নিজাম।
রাজপথে শব্দদূষণের মাত্রা নির্ণয় এবং রাজপথে কর্মরত পেশাজীবীদের শ্রবণশক্তির ওপর সেই শব্দদূষণের প্রভাব নির্ণয় করার উদ্দেশ্যে এই গবেষণা চালানো হয় বলে জানান ড. সাইকা নিজাম।
গবেষণায় বলা হয়, জরিপে অংশ নেওয়া প্রতি চারজনে একজন কানে কম শোনার সমস্যায় ভুগছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৪২ শতাংশই রিকশাচালক। এ ছাড়া প্রায় ৩১ শতাংশ ট্রাফিক পুলিশ, ২৪ শতাংশ সিএনজি অটোচালক, ২৪ শতাংশ দোকানদার, ১৬ শতাংশ বাস, ১৫ শতাংশ প্রাইভেট কার এবং ১৩ শতাংশ মোটরসাইকেলচালক। এসব সমস্যায় ভোগাদের ৭ শতাংশের শ্রবণসহায়ক যন্ত্র (কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট) ব্যবহার জরুরি।
সমস্যায় ভোগা এসব মানুষ সবচেয়ে বেশি কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের। ঢাকার কাছের এই বিভাগের ৫৫ শতাংশ মানুষ শব্দদূষণের শিকার। সিলেটে প্রায় ৩১ শতাংশ, ঢাকায় ২২ দশমিক ৩ শতাংশ, রাজশাহীতে প্রায় ১৪ শতাংশ রাজপথে কর্মরত পেশাজীবী শব্দদূষণে ভুগছেন।
এ সময় প্রতিকারে শব্দদূষণের উৎস ও মাত্রা কমানোর জন্য পদক্ষেপ নেওয়াসহ বেশ কিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়। রাজপথে পেশাজীবীদের কর্মঘণ্টা কমানো, যেখানে প্রয়োজন সেখানে উপযুক্ত ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম নিশ্চিত করা, রিকশাচালক ও ট্রাফিক পুলিশের প্রতি বিশেষ নজর, নিয়মিত শ্রবণ পরীক্ষার তাগিদ দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন বলেন, অসংক্রামক রোগের শব্দদূষণকে আমরা তেমনটা গুরুত্ব দিতাম না। কিন্তু এটাও বিশেষ গুরুত্বের দাবি রাখে। গবেষণায় এমন ভয়াবহ চিত্র উঠে আসবে তা ভাবিনি। বয়স বাড়লেই মানুষ ধীরে ধীরে কানে কম শুনতে শুরু করে। কানে না শোনার নানা কারণও থাকতে পারে। শুধু রাস্তায় নয়, বাসাবাড়ির আশপাশে গড়ে ওঠা ভবনেরও দায় রয়েছে। এর জন্য আমাদের স্বাস্থ্য বিভাগ থেকেও একটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে চলছে ১১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা। প্রধান শিক্ষকবিহীন এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। অভিযোগ রয়েছে, যেসব ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হচ্ছে, তাঁদের অনেকেরই প্রধান শিক্ষক হওয়ার যোগ
২ ঘণ্টা আগেদুই দশক কিছুটা শান্ত থাকার পর কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথে আবার ডাকাতের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দুবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ দুই ঘটনায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিরোধেও কার্যকর উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। আবার ডাকাতি শুরু হওয়ায় ১৪ কিলোমিটার এই নৌপথের নৌযান, যাত্রী
২ ঘণ্টা আগেরাত ১০টার দিকে ওই দুই যুবক মোটরসাইকেলে করে আড়ংঘাটা থানার লতার বাইপাস মোড় লিংক রোড থেকে বাইপাস মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এ সময়ে আফিলগেট থেকে খুলনাগামী একটি বাস তাঁদের ধাক্কা দেয়।
৩ ঘণ্টা আগেনোয়াখালীর হাতিয়ায় গভীর রাতে বসতঘরে আগুন লেগে নিমাই চন্দ্র মজুমদার ও তাঁর স্ত্রী মিলনবালার মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারী) চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে বিকেল ৫টায় নিমাই চন্দ্রের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে পৌছার পর রাত ৯টার দিকে মিলন বালাও মারা যান।
৩ ঘণ্টা আগে