দেবিদ্বার (কুমিল্লা) সংবাদদাতা

হঠাৎ বাড়িতে স্ত্রী-সন্তানের খরচের টাকা ও যোগাযোগ বন্ধ করে দেন আলমগীর হোসেন। নিরুপায় হয়ে তাঁকে খুঁজতে বেরিয়ে অপহরণকারীদের কবলে পড়ে কোলের সন্তান হোসাইনকে হারিয়ে ফেলেন জরিনা বেগম। আট মাস ধরে সন্তানকে খোঁজাখুঁজি করে পাগলপ্রায় দশা তাঁর। এদিকে স্বামীরও সন্ধান নেই। হঠাৎ শিশুটির সন্ধান পেয়ে আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েন জরিনা। মা ও এক মামাকে সঙ্গে নিয়ে সন্তানকে ফিরিয়ে আনতে রওনা দেন কুমিল্লার উদ্দেশে। পথে সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে আহত হন তিনজন। এর মধ্যে নিজে সুস্থ হয়ে উঠলেও জরিনার মাকে নিতে হয়েছে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ)। বুকের ধন কোলে ফিরে পেলেও একের পর এক ঝড়ে তাঁর সেই আনন্দ বিষাদে রূপ নিয়েছে।
আট মাস পর গতকাল বুধবার মায়ের কোলে ফেরে চার বছরের শিশু হোসাইন। তবে তার নানি মনোয়ারা বেগম সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালের আইসিইউতে মৃত্যুশয্যায় লড়ছেন। স্বামী-সন্তানকে ফিরে পেতে একের পর ঝড় পারি দেওয়া জরিনার বাড়ি নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে।
জানা গেছে, হোসাইনের মা জরিনা বেগম মামার বাড়ি নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার উড়িরচর গ্রামে বসবাস করেন। তাঁর স্বামী আলমীর হোসেন থাকেন চট্টগ্রাম শহরে। কাজ করেন একটি দোকানে। কিন্তু হঠাৎ করেই মা ও ছেলের খোঁজখবর নেওয়া বন্ধ করে দেন আলমগীর। পরিবার জানতে পারে, তিনি আরও একটি বিয়ে করে সংসার পেতেছেন।
নিরুপায় হয়ে আট মাস আগে কোলের সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে খুঁজতে চট্টগ্রামে যান জরিনা। সেখানে তাঁকে খুঁজে না পেয়ে ট্রেনে চড়ে বাড়িতে রওনা হন। সেদিন ভুল করে ঢাকার ট্রেনে উঠে পড়েন তিনি।
কুমিল্লার লাকসামে এসে তিন অপহরণকারী হোসাইনকে নিয়ে ট্রেন থেকে নেমে পড়ে। জরিনা ছেলেকে খুঁজতে খুঁজতে চলে যান ঢাকায়। পরে হোসাইনের মা জরিনা বেগম বাড়ি ফিরলেও স্বামী ও একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে তিনি পাগলপ্রায়। পরিবারের আত্মীয়স্বজনেরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও হোসাইনের কোনো সন্ধান পাননি।
এদিকে কুমিল্লার লাকসাম স্টেশনে হোসাইন কান্নাকাটি শুরু করলে অপহরণকারীরা তাকে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর দেবিদ্বার সরকারি শিশু পরিবারের আশ্রয়ে দিয়ে আসে। সেখানে ছোট সোনামণিদের সঙ্গে কাটে হোসাইনের আট মাস।
১ আগস্ট স্থানীয় সাংবাদিকদের সহযোগিতায় হোসাইনের সন্ধান পান তার মা। ২ আগস্ট হোসাইনের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা হয় মায়ের। পরদিন ৩ আগস্ট জরিনা, নানি মনোয়ারা ও অলিউল্লাহ নামের সম্পর্কে এক মামা মিলে হোসাইনকে নিতে দেবিদ্বারের উদ্দেশে নোয়াখালী থেকে রওনা হন। কিন্তু ভাগ্যের নির্মমতা তাঁদের পিছু ছাড়েনি। পথে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের পারোয়ারা এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন তিনজন। তাঁদের সঙ্গে একই সিএনজিচালিত অটোরিকশায় থাকা এক যাত্রী ঘটনাস্থলেই মারা যান।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দেবিদ্বার থেকে স্থানীয় সাংবাদিকেরা গিয়ে জরিনাদের উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে ভর্তি করান। ওই রাতে মনোয়ারার অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু পথে তাঁর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হলে মাতুয়াইলের একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিন দিন অচেতন থাকার পর গতকাল বুধবার সকালে তাঁর জ্ঞান ফেরে।
এদিকে কুমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জরিনা সুস্থ হয়ে গতকাল ছাড়া পান। সেখান থেকে তিনি দেবিদ্বার শিশু পরিবারে এসে হোসাইনকে নিতে আবেদন করেন। দুপুরে স্থানীয় সাংবাদিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আবুল হাসনাত খান শিশু হোসাইনকে তার মায়ের হাতে তুলে দেন। এর আগে সকালে দেবিদ্বার শিশু পরিবারে সন্তানের সঙ্গে প্রথম দেখার সময় আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন এই নারী।
হোসাইনের মা জরিনা বেগম সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘সাংবাদিকদের সহযোগিতায় আজ আমার বুকের ধন খুঁজে পেয়েছি। তাঁদের সহযোগিতায় আমরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে দ্রুত সুস্থ হতে পেরেছি এবং আমার মায়ের চিকিৎসার খরচ তাঁরা চালিয়ে যাচ্ছেন।’
দেবিদ্বার সরকারি শিশু পরিবারের তত্ত্বাবধায়ক বরুণ চন্দ্র দে বলেন, ‘হোসাইন খুবই শান্ত প্রকৃতির একটি ছেলে। সে আমাদের শিশু পরিবারে প্রায় আট মাস ছিল। গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর হোসাইনকে লাকসাম পুলিশ এখানে দিয়ে যায়। সাংবাদিক আক্তার ভাইসহ স্থানীয় সাংবাদিকদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে সন্ধান মেলে হোসাইনের পরিবারের। শিশু হোসাইনের পরিবারের পরিচয় নিশ্চিত হয়ে তাকে তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
এ বিষয়ে দেবিদ্বারের ইউএনও মোহাম্মদ আবুল হাসনাত খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেবিদ্বার সরকারি শিশু পরিবারে আশ্রয়ে থাকা শিশু হোসাইনের মা ও তার নানা এসে আবেদন করলে আমরা তাঁদের কাছে ফিরিয়ে দিই।’
আবুল হাসনাত খান আরও বলেন, ‘এর আগে গত রোববার (৩ আগস্ট) হোসাইনের মা, নানিসহ তিনজন দেবিদ্বারে আসার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হন। স্থানীয় সাংবাদিকেরা তাঁদের উদ্ধার করে যেভাবে পাশে থেকে চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন, এটি আমাদের সমাজে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। আমরা হোসাইনের ব্যাপারে তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখব। তারা যদি দেবিদ্বার বা নিকটস্থ শিশু পরিবারে বাচ্চাটিকে রাখতে চান, আমরা সহযোগিতা করব।’

হঠাৎ বাড়িতে স্ত্রী-সন্তানের খরচের টাকা ও যোগাযোগ বন্ধ করে দেন আলমগীর হোসেন। নিরুপায় হয়ে তাঁকে খুঁজতে বেরিয়ে অপহরণকারীদের কবলে পড়ে কোলের সন্তান হোসাইনকে হারিয়ে ফেলেন জরিনা বেগম। আট মাস ধরে সন্তানকে খোঁজাখুঁজি করে পাগলপ্রায় দশা তাঁর। এদিকে স্বামীরও সন্ধান নেই। হঠাৎ শিশুটির সন্ধান পেয়ে আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েন জরিনা। মা ও এক মামাকে সঙ্গে নিয়ে সন্তানকে ফিরিয়ে আনতে রওনা দেন কুমিল্লার উদ্দেশে। পথে সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে আহত হন তিনজন। এর মধ্যে নিজে সুস্থ হয়ে উঠলেও জরিনার মাকে নিতে হয়েছে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ)। বুকের ধন কোলে ফিরে পেলেও একের পর এক ঝড়ে তাঁর সেই আনন্দ বিষাদে রূপ নিয়েছে।
আট মাস পর গতকাল বুধবার মায়ের কোলে ফেরে চার বছরের শিশু হোসাইন। তবে তার নানি মনোয়ারা বেগম সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালের আইসিইউতে মৃত্যুশয্যায় লড়ছেন। স্বামী-সন্তানকে ফিরে পেতে একের পর ঝড় পারি দেওয়া জরিনার বাড়ি নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে।
জানা গেছে, হোসাইনের মা জরিনা বেগম মামার বাড়ি নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার উড়িরচর গ্রামে বসবাস করেন। তাঁর স্বামী আলমীর হোসেন থাকেন চট্টগ্রাম শহরে। কাজ করেন একটি দোকানে। কিন্তু হঠাৎ করেই মা ও ছেলের খোঁজখবর নেওয়া বন্ধ করে দেন আলমগীর। পরিবার জানতে পারে, তিনি আরও একটি বিয়ে করে সংসার পেতেছেন।
নিরুপায় হয়ে আট মাস আগে কোলের সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে খুঁজতে চট্টগ্রামে যান জরিনা। সেখানে তাঁকে খুঁজে না পেয়ে ট্রেনে চড়ে বাড়িতে রওনা হন। সেদিন ভুল করে ঢাকার ট্রেনে উঠে পড়েন তিনি।
কুমিল্লার লাকসামে এসে তিন অপহরণকারী হোসাইনকে নিয়ে ট্রেন থেকে নেমে পড়ে। জরিনা ছেলেকে খুঁজতে খুঁজতে চলে যান ঢাকায়। পরে হোসাইনের মা জরিনা বেগম বাড়ি ফিরলেও স্বামী ও একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে তিনি পাগলপ্রায়। পরিবারের আত্মীয়স্বজনেরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও হোসাইনের কোনো সন্ধান পাননি।
এদিকে কুমিল্লার লাকসাম স্টেশনে হোসাইন কান্নাকাটি শুরু করলে অপহরণকারীরা তাকে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর দেবিদ্বার সরকারি শিশু পরিবারের আশ্রয়ে দিয়ে আসে। সেখানে ছোট সোনামণিদের সঙ্গে কাটে হোসাইনের আট মাস।
১ আগস্ট স্থানীয় সাংবাদিকদের সহযোগিতায় হোসাইনের সন্ধান পান তার মা। ২ আগস্ট হোসাইনের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা হয় মায়ের। পরদিন ৩ আগস্ট জরিনা, নানি মনোয়ারা ও অলিউল্লাহ নামের সম্পর্কে এক মামা মিলে হোসাইনকে নিতে দেবিদ্বারের উদ্দেশে নোয়াখালী থেকে রওনা হন। কিন্তু ভাগ্যের নির্মমতা তাঁদের পিছু ছাড়েনি। পথে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের পারোয়ারা এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন তিনজন। তাঁদের সঙ্গে একই সিএনজিচালিত অটোরিকশায় থাকা এক যাত্রী ঘটনাস্থলেই মারা যান।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দেবিদ্বার থেকে স্থানীয় সাংবাদিকেরা গিয়ে জরিনাদের উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে ভর্তি করান। ওই রাতে মনোয়ারার অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু পথে তাঁর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হলে মাতুয়াইলের একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিন দিন অচেতন থাকার পর গতকাল বুধবার সকালে তাঁর জ্ঞান ফেরে।
এদিকে কুমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জরিনা সুস্থ হয়ে গতকাল ছাড়া পান। সেখান থেকে তিনি দেবিদ্বার শিশু পরিবারে এসে হোসাইনকে নিতে আবেদন করেন। দুপুরে স্থানীয় সাংবাদিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আবুল হাসনাত খান শিশু হোসাইনকে তার মায়ের হাতে তুলে দেন। এর আগে সকালে দেবিদ্বার শিশু পরিবারে সন্তানের সঙ্গে প্রথম দেখার সময় আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন এই নারী।
হোসাইনের মা জরিনা বেগম সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘সাংবাদিকদের সহযোগিতায় আজ আমার বুকের ধন খুঁজে পেয়েছি। তাঁদের সহযোগিতায় আমরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে দ্রুত সুস্থ হতে পেরেছি এবং আমার মায়ের চিকিৎসার খরচ তাঁরা চালিয়ে যাচ্ছেন।’
দেবিদ্বার সরকারি শিশু পরিবারের তত্ত্বাবধায়ক বরুণ চন্দ্র দে বলেন, ‘হোসাইন খুবই শান্ত প্রকৃতির একটি ছেলে। সে আমাদের শিশু পরিবারে প্রায় আট মাস ছিল। গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর হোসাইনকে লাকসাম পুলিশ এখানে দিয়ে যায়। সাংবাদিক আক্তার ভাইসহ স্থানীয় সাংবাদিকদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে সন্ধান মেলে হোসাইনের পরিবারের। শিশু হোসাইনের পরিবারের পরিচয় নিশ্চিত হয়ে তাকে তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
এ বিষয়ে দেবিদ্বারের ইউএনও মোহাম্মদ আবুল হাসনাত খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেবিদ্বার সরকারি শিশু পরিবারে আশ্রয়ে থাকা শিশু হোসাইনের মা ও তার নানা এসে আবেদন করলে আমরা তাঁদের কাছে ফিরিয়ে দিই।’
আবুল হাসনাত খান আরও বলেন, ‘এর আগে গত রোববার (৩ আগস্ট) হোসাইনের মা, নানিসহ তিনজন দেবিদ্বারে আসার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হন। স্থানীয় সাংবাদিকেরা তাঁদের উদ্ধার করে যেভাবে পাশে থেকে চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন, এটি আমাদের সমাজে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। আমরা হোসাইনের ব্যাপারে তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখব। তারা যদি দেবিদ্বার বা নিকটস্থ শিশু পরিবারে বাচ্চাটিকে রাখতে চান, আমরা সহযোগিতা করব।’
দেবিদ্বার (কুমিল্লা) সংবাদদাতা

হঠাৎ বাড়িতে স্ত্রী-সন্তানের খরচের টাকা ও যোগাযোগ বন্ধ করে দেন আলমগীর হোসেন। নিরুপায় হয়ে তাঁকে খুঁজতে বেরিয়ে অপহরণকারীদের কবলে পড়ে কোলের সন্তান হোসাইনকে হারিয়ে ফেলেন জরিনা বেগম। আট মাস ধরে সন্তানকে খোঁজাখুঁজি করে পাগলপ্রায় দশা তাঁর। এদিকে স্বামীরও সন্ধান নেই। হঠাৎ শিশুটির সন্ধান পেয়ে আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েন জরিনা। মা ও এক মামাকে সঙ্গে নিয়ে সন্তানকে ফিরিয়ে আনতে রওনা দেন কুমিল্লার উদ্দেশে। পথে সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে আহত হন তিনজন। এর মধ্যে নিজে সুস্থ হয়ে উঠলেও জরিনার মাকে নিতে হয়েছে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ)। বুকের ধন কোলে ফিরে পেলেও একের পর এক ঝড়ে তাঁর সেই আনন্দ বিষাদে রূপ নিয়েছে।
আট মাস পর গতকাল বুধবার মায়ের কোলে ফেরে চার বছরের শিশু হোসাইন। তবে তার নানি মনোয়ারা বেগম সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালের আইসিইউতে মৃত্যুশয্যায় লড়ছেন। স্বামী-সন্তানকে ফিরে পেতে একের পর ঝড় পারি দেওয়া জরিনার বাড়ি নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে।
জানা গেছে, হোসাইনের মা জরিনা বেগম মামার বাড়ি নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার উড়িরচর গ্রামে বসবাস করেন। তাঁর স্বামী আলমীর হোসেন থাকেন চট্টগ্রাম শহরে। কাজ করেন একটি দোকানে। কিন্তু হঠাৎ করেই মা ও ছেলের খোঁজখবর নেওয়া বন্ধ করে দেন আলমগীর। পরিবার জানতে পারে, তিনি আরও একটি বিয়ে করে সংসার পেতেছেন।
নিরুপায় হয়ে আট মাস আগে কোলের সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে খুঁজতে চট্টগ্রামে যান জরিনা। সেখানে তাঁকে খুঁজে না পেয়ে ট্রেনে চড়ে বাড়িতে রওনা হন। সেদিন ভুল করে ঢাকার ট্রেনে উঠে পড়েন তিনি।
কুমিল্লার লাকসামে এসে তিন অপহরণকারী হোসাইনকে নিয়ে ট্রেন থেকে নেমে পড়ে। জরিনা ছেলেকে খুঁজতে খুঁজতে চলে যান ঢাকায়। পরে হোসাইনের মা জরিনা বেগম বাড়ি ফিরলেও স্বামী ও একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে তিনি পাগলপ্রায়। পরিবারের আত্মীয়স্বজনেরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও হোসাইনের কোনো সন্ধান পাননি।
এদিকে কুমিল্লার লাকসাম স্টেশনে হোসাইন কান্নাকাটি শুরু করলে অপহরণকারীরা তাকে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর দেবিদ্বার সরকারি শিশু পরিবারের আশ্রয়ে দিয়ে আসে। সেখানে ছোট সোনামণিদের সঙ্গে কাটে হোসাইনের আট মাস।
১ আগস্ট স্থানীয় সাংবাদিকদের সহযোগিতায় হোসাইনের সন্ধান পান তার মা। ২ আগস্ট হোসাইনের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা হয় মায়ের। পরদিন ৩ আগস্ট জরিনা, নানি মনোয়ারা ও অলিউল্লাহ নামের সম্পর্কে এক মামা মিলে হোসাইনকে নিতে দেবিদ্বারের উদ্দেশে নোয়াখালী থেকে রওনা হন। কিন্তু ভাগ্যের নির্মমতা তাঁদের পিছু ছাড়েনি। পথে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের পারোয়ারা এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন তিনজন। তাঁদের সঙ্গে একই সিএনজিচালিত অটোরিকশায় থাকা এক যাত্রী ঘটনাস্থলেই মারা যান।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দেবিদ্বার থেকে স্থানীয় সাংবাদিকেরা গিয়ে জরিনাদের উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে ভর্তি করান। ওই রাতে মনোয়ারার অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু পথে তাঁর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হলে মাতুয়াইলের একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিন দিন অচেতন থাকার পর গতকাল বুধবার সকালে তাঁর জ্ঞান ফেরে।
এদিকে কুমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জরিনা সুস্থ হয়ে গতকাল ছাড়া পান। সেখান থেকে তিনি দেবিদ্বার শিশু পরিবারে এসে হোসাইনকে নিতে আবেদন করেন। দুপুরে স্থানীয় সাংবাদিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আবুল হাসনাত খান শিশু হোসাইনকে তার মায়ের হাতে তুলে দেন। এর আগে সকালে দেবিদ্বার শিশু পরিবারে সন্তানের সঙ্গে প্রথম দেখার সময় আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন এই নারী।
হোসাইনের মা জরিনা বেগম সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘সাংবাদিকদের সহযোগিতায় আজ আমার বুকের ধন খুঁজে পেয়েছি। তাঁদের সহযোগিতায় আমরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে দ্রুত সুস্থ হতে পেরেছি এবং আমার মায়ের চিকিৎসার খরচ তাঁরা চালিয়ে যাচ্ছেন।’
দেবিদ্বার সরকারি শিশু পরিবারের তত্ত্বাবধায়ক বরুণ চন্দ্র দে বলেন, ‘হোসাইন খুবই শান্ত প্রকৃতির একটি ছেলে। সে আমাদের শিশু পরিবারে প্রায় আট মাস ছিল। গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর হোসাইনকে লাকসাম পুলিশ এখানে দিয়ে যায়। সাংবাদিক আক্তার ভাইসহ স্থানীয় সাংবাদিকদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে সন্ধান মেলে হোসাইনের পরিবারের। শিশু হোসাইনের পরিবারের পরিচয় নিশ্চিত হয়ে তাকে তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
এ বিষয়ে দেবিদ্বারের ইউএনও মোহাম্মদ আবুল হাসনাত খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেবিদ্বার সরকারি শিশু পরিবারে আশ্রয়ে থাকা শিশু হোসাইনের মা ও তার নানা এসে আবেদন করলে আমরা তাঁদের কাছে ফিরিয়ে দিই।’
আবুল হাসনাত খান আরও বলেন, ‘এর আগে গত রোববার (৩ আগস্ট) হোসাইনের মা, নানিসহ তিনজন দেবিদ্বারে আসার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হন। স্থানীয় সাংবাদিকেরা তাঁদের উদ্ধার করে যেভাবে পাশে থেকে চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন, এটি আমাদের সমাজে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। আমরা হোসাইনের ব্যাপারে তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখব। তারা যদি দেবিদ্বার বা নিকটস্থ শিশু পরিবারে বাচ্চাটিকে রাখতে চান, আমরা সহযোগিতা করব।’

হঠাৎ বাড়িতে স্ত্রী-সন্তানের খরচের টাকা ও যোগাযোগ বন্ধ করে দেন আলমগীর হোসেন। নিরুপায় হয়ে তাঁকে খুঁজতে বেরিয়ে অপহরণকারীদের কবলে পড়ে কোলের সন্তান হোসাইনকে হারিয়ে ফেলেন জরিনা বেগম। আট মাস ধরে সন্তানকে খোঁজাখুঁজি করে পাগলপ্রায় দশা তাঁর। এদিকে স্বামীরও সন্ধান নেই। হঠাৎ শিশুটির সন্ধান পেয়ে আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েন জরিনা। মা ও এক মামাকে সঙ্গে নিয়ে সন্তানকে ফিরিয়ে আনতে রওনা দেন কুমিল্লার উদ্দেশে। পথে সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে আহত হন তিনজন। এর মধ্যে নিজে সুস্থ হয়ে উঠলেও জরিনার মাকে নিতে হয়েছে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ)। বুকের ধন কোলে ফিরে পেলেও একের পর এক ঝড়ে তাঁর সেই আনন্দ বিষাদে রূপ নিয়েছে।
আট মাস পর গতকাল বুধবার মায়ের কোলে ফেরে চার বছরের শিশু হোসাইন। তবে তার নানি মনোয়ারা বেগম সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালের আইসিইউতে মৃত্যুশয্যায় লড়ছেন। স্বামী-সন্তানকে ফিরে পেতে একের পর ঝড় পারি দেওয়া জরিনার বাড়ি নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে।
জানা গেছে, হোসাইনের মা জরিনা বেগম মামার বাড়ি নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার উড়িরচর গ্রামে বসবাস করেন। তাঁর স্বামী আলমীর হোসেন থাকেন চট্টগ্রাম শহরে। কাজ করেন একটি দোকানে। কিন্তু হঠাৎ করেই মা ও ছেলের খোঁজখবর নেওয়া বন্ধ করে দেন আলমগীর। পরিবার জানতে পারে, তিনি আরও একটি বিয়ে করে সংসার পেতেছেন।
নিরুপায় হয়ে আট মাস আগে কোলের সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে খুঁজতে চট্টগ্রামে যান জরিনা। সেখানে তাঁকে খুঁজে না পেয়ে ট্রেনে চড়ে বাড়িতে রওনা হন। সেদিন ভুল করে ঢাকার ট্রেনে উঠে পড়েন তিনি।
কুমিল্লার লাকসামে এসে তিন অপহরণকারী হোসাইনকে নিয়ে ট্রেন থেকে নেমে পড়ে। জরিনা ছেলেকে খুঁজতে খুঁজতে চলে যান ঢাকায়। পরে হোসাইনের মা জরিনা বেগম বাড়ি ফিরলেও স্বামী ও একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে তিনি পাগলপ্রায়। পরিবারের আত্মীয়স্বজনেরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও হোসাইনের কোনো সন্ধান পাননি।
এদিকে কুমিল্লার লাকসাম স্টেশনে হোসাইন কান্নাকাটি শুরু করলে অপহরণকারীরা তাকে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর দেবিদ্বার সরকারি শিশু পরিবারের আশ্রয়ে দিয়ে আসে। সেখানে ছোট সোনামণিদের সঙ্গে কাটে হোসাইনের আট মাস।
১ আগস্ট স্থানীয় সাংবাদিকদের সহযোগিতায় হোসাইনের সন্ধান পান তার মা। ২ আগস্ট হোসাইনের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা হয় মায়ের। পরদিন ৩ আগস্ট জরিনা, নানি মনোয়ারা ও অলিউল্লাহ নামের সম্পর্কে এক মামা মিলে হোসাইনকে নিতে দেবিদ্বারের উদ্দেশে নোয়াখালী থেকে রওনা হন। কিন্তু ভাগ্যের নির্মমতা তাঁদের পিছু ছাড়েনি। পথে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের পারোয়ারা এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন তিনজন। তাঁদের সঙ্গে একই সিএনজিচালিত অটোরিকশায় থাকা এক যাত্রী ঘটনাস্থলেই মারা যান।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দেবিদ্বার থেকে স্থানীয় সাংবাদিকেরা গিয়ে জরিনাদের উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে ভর্তি করান। ওই রাতে মনোয়ারার অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু পথে তাঁর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হলে মাতুয়াইলের একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিন দিন অচেতন থাকার পর গতকাল বুধবার সকালে তাঁর জ্ঞান ফেরে।
এদিকে কুমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জরিনা সুস্থ হয়ে গতকাল ছাড়া পান। সেখান থেকে তিনি দেবিদ্বার শিশু পরিবারে এসে হোসাইনকে নিতে আবেদন করেন। দুপুরে স্থানীয় সাংবাদিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আবুল হাসনাত খান শিশু হোসাইনকে তার মায়ের হাতে তুলে দেন। এর আগে সকালে দেবিদ্বার শিশু পরিবারে সন্তানের সঙ্গে প্রথম দেখার সময় আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন এই নারী।
হোসাইনের মা জরিনা বেগম সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘সাংবাদিকদের সহযোগিতায় আজ আমার বুকের ধন খুঁজে পেয়েছি। তাঁদের সহযোগিতায় আমরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে দ্রুত সুস্থ হতে পেরেছি এবং আমার মায়ের চিকিৎসার খরচ তাঁরা চালিয়ে যাচ্ছেন।’
দেবিদ্বার সরকারি শিশু পরিবারের তত্ত্বাবধায়ক বরুণ চন্দ্র দে বলেন, ‘হোসাইন খুবই শান্ত প্রকৃতির একটি ছেলে। সে আমাদের শিশু পরিবারে প্রায় আট মাস ছিল। গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর হোসাইনকে লাকসাম পুলিশ এখানে দিয়ে যায়। সাংবাদিক আক্তার ভাইসহ স্থানীয় সাংবাদিকদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে সন্ধান মেলে হোসাইনের পরিবারের। শিশু হোসাইনের পরিবারের পরিচয় নিশ্চিত হয়ে তাকে তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
এ বিষয়ে দেবিদ্বারের ইউএনও মোহাম্মদ আবুল হাসনাত খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেবিদ্বার সরকারি শিশু পরিবারে আশ্রয়ে থাকা শিশু হোসাইনের মা ও তার নানা এসে আবেদন করলে আমরা তাঁদের কাছে ফিরিয়ে দিই।’
আবুল হাসনাত খান আরও বলেন, ‘এর আগে গত রোববার (৩ আগস্ট) হোসাইনের মা, নানিসহ তিনজন দেবিদ্বারে আসার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হন। স্থানীয় সাংবাদিকেরা তাঁদের উদ্ধার করে যেভাবে পাশে থেকে চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন, এটি আমাদের সমাজে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। আমরা হোসাইনের ব্যাপারে তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখব। তারা যদি দেবিদ্বার বা নিকটস্থ শিশু পরিবারে বাচ্চাটিকে রাখতে চান, আমরা সহযোগিতা করব।’

বরিশাল বিএম কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের এক ছাত্রীর মৃত্যু নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। রুমানা আক্তার সুমি নামের ওই ছাত্রী মাস্টার্স শেষ বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।
২ ঘণ্টা আগে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের অনার্স প্রথম বর্ষের ভর্তির আবেদন আগামী ২০ নভেম্বর থেকে শুরু হবে। আবেদন চলবে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) জনসংযোগ দপ্তর প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২ ঘণ্টা আগে
জয়পুরহাটের কালাই পৌরসভার পাঁচশিরা এলাকায় ‘মেসার্স ভাই ভাই চাউল কল’-এর ধান ভেজানো ও সেদ্ধ করার হাউসের পানিতে পড়ে আবু বক্কর সিদ্দিক (৩) নামে এক শিশু মারা গেছে। রোববার (২৬ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শিশু আবু বক্কর সিদ্দিক গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার হাপানিয়া গ্রামের অহিদুল ইসল
২ ঘণ্টা আগে
বাগেরহাটের মোল্লাহাটে কীটনাশক পান করে পিয়াসী (২২) নামের এক নারী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আজ রোববার গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

বরিশাল বিএম কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের এক ছাত্রীর মৃত্যু নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। রুমানা আক্তার সুমি নামের ওই ছাত্রী মাস্টার্স শেষ বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।
গত বৃহস্পতিবার কলেজে এসে অসুস্থ হয়ে পড়ার প্রায় ২ ঘণ্টা পর রুমানা আক্তার সুমিকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে পরদিন শুক্রবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। এদিকে সহপাঠীর মৃত্যুতে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন শিক্ষার্থীরা।
আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) এ ঘটনায় দফায় দফায় সভা শেষে ইসলামের ইতিহাস বিভাগের গাফিলতি আছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অপর দিকে কলেজে চিকিৎসক না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ছাত্ররা।
আজ ইসলামের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থীরা সহপাঠী সুমির মৃত্যুতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় তোলেন। এ ঘটনায় তাঁরা ওই বিভাগের শিক্ষকদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁরা বিভাগের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ১৪টি অভিযোগ তুলেছেন। এ ঘটনায় সঠিক তদন্তে অধ্যক্ষ ও বিভাগীয় প্রধানের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন।
জানতে চাইলে কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমরা এ ঘটনায় রোববারও অর্ধশত শিক্ষার্থীর সঙ্গে বসেছি। মেয়েটি আগে থেকেই অসুস্থ ছিল। সে নলছিটির নাচমহল এলাকার কৃষিজীবী আ. রাজ্জাকের কন্যা।’
মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, গত বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টায় বিভাগে অসুস্থ হয়ে পড়েন সুমি। পরে বেলা ৩টার দিকে এক চাচি এসে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করান। রাত ১০টায় হাসপাতালে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন সুমি। পরদিন শুক্রবার সোয়া ৯টায় মারা যান তিনি।
আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমরা তার গ্রামের বাড়িতে গিয়ে মেয়ের বাবার সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি জানিয়েছেন যে, সুমি রক্তক্ষরণে ভুগছিল। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ তোলা হয়নি। তারপরও যেহেতু একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে, সেহেতু কারও অবহেলা ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হোক।’
আবুল কালাম আজাদ আরও বলেন, কলেজে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসক নেই। ছাত্ররা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে অধ্যক্ষকে বলেছেন।
বিএম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. শেখ মো. তাজুল ইসলামকে ফোন করা হলেও পাওয়া যায়নি। তবে উপাধ্যক্ষ প্রফেসর এ টি এম রাশেদুল ইসলাম বলেন, মেয়েটি অসুস্থ ছিলেন। আগেই মেয়েলি রোগে রক্তপাত হয়েছিল তাঁর। বিভাগের কাজে এসে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁর সেবা করা হয়। কিন্তু হয়তো একটু দেরি করে ফেলেন ওই বিভাগের শিক্ষকেরা। পরে তাঁর চাচা এসে নিয়ে যান। এখানে শিক্ষকদের বিচক্ষণতার ঘাটতি থাকতে পারে। যে কারণে আজ তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমানকে। তিনি আরও বলেন, কলেজের নিজস্ব চিকিৎসক দীর্ঘদিন ধরে নেই। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আজই বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দ্রুত একজন চিকিৎসক চাওয়া হয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন বিএম কলেজ শাখা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, ছাত্র ইউনিয়ন মনে করে, প্রশাসনের চরম অবহেলা ও উদাসীনতাই এই মৃত্যুর জন্য দায়ী।

বরিশাল বিএম কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের এক ছাত্রীর মৃত্যু নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। রুমানা আক্তার সুমি নামের ওই ছাত্রী মাস্টার্স শেষ বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।
গত বৃহস্পতিবার কলেজে এসে অসুস্থ হয়ে পড়ার প্রায় ২ ঘণ্টা পর রুমানা আক্তার সুমিকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে পরদিন শুক্রবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। এদিকে সহপাঠীর মৃত্যুতে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন শিক্ষার্থীরা।
আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) এ ঘটনায় দফায় দফায় সভা শেষে ইসলামের ইতিহাস বিভাগের গাফিলতি আছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অপর দিকে কলেজে চিকিৎসক না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ছাত্ররা।
আজ ইসলামের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থীরা সহপাঠী সুমির মৃত্যুতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় তোলেন। এ ঘটনায় তাঁরা ওই বিভাগের শিক্ষকদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁরা বিভাগের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ১৪টি অভিযোগ তুলেছেন। এ ঘটনায় সঠিক তদন্তে অধ্যক্ষ ও বিভাগীয় প্রধানের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন।
জানতে চাইলে কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমরা এ ঘটনায় রোববারও অর্ধশত শিক্ষার্থীর সঙ্গে বসেছি। মেয়েটি আগে থেকেই অসুস্থ ছিল। সে নলছিটির নাচমহল এলাকার কৃষিজীবী আ. রাজ্জাকের কন্যা।’
মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, গত বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টায় বিভাগে অসুস্থ হয়ে পড়েন সুমি। পরে বেলা ৩টার দিকে এক চাচি এসে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করান। রাত ১০টায় হাসপাতালে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন সুমি। পরদিন শুক্রবার সোয়া ৯টায় মারা যান তিনি।
আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমরা তার গ্রামের বাড়িতে গিয়ে মেয়ের বাবার সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি জানিয়েছেন যে, সুমি রক্তক্ষরণে ভুগছিল। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ তোলা হয়নি। তারপরও যেহেতু একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে, সেহেতু কারও অবহেলা ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হোক।’
আবুল কালাম আজাদ আরও বলেন, কলেজে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসক নেই। ছাত্ররা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে অধ্যক্ষকে বলেছেন।
বিএম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. শেখ মো. তাজুল ইসলামকে ফোন করা হলেও পাওয়া যায়নি। তবে উপাধ্যক্ষ প্রফেসর এ টি এম রাশেদুল ইসলাম বলেন, মেয়েটি অসুস্থ ছিলেন। আগেই মেয়েলি রোগে রক্তপাত হয়েছিল তাঁর। বিভাগের কাজে এসে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁর সেবা করা হয়। কিন্তু হয়তো একটু দেরি করে ফেলেন ওই বিভাগের শিক্ষকেরা। পরে তাঁর চাচা এসে নিয়ে যান। এখানে শিক্ষকদের বিচক্ষণতার ঘাটতি থাকতে পারে। যে কারণে আজ তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমানকে। তিনি আরও বলেন, কলেজের নিজস্ব চিকিৎসক দীর্ঘদিন ধরে নেই। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আজই বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দ্রুত একজন চিকিৎসক চাওয়া হয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন বিএম কলেজ শাখা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, ছাত্র ইউনিয়ন মনে করে, প্রশাসনের চরম অবহেলা ও উদাসীনতাই এই মৃত্যুর জন্য দায়ী।

হঠাৎ বাড়িতে স্ত্রী-সন্তানের খরচের টাকা ও যোগাযোগ বন্ধ করে দেন আলমগীর হোসেন। নিরুপায় হয়ে তাঁকে খুঁজতে বেরিয়ে অপহরণকারীদের কবলে পড়ে কোলের সন্তান হোসাইনকে হারিয়ে ফেলেন জরিনা বেগম। আট মাস ধরে সন্তানকে খোঁজাখুঁজি করে পাগলপ্রায় দশা তাঁর। এদিকে স্বামীরও সন্ধান নেই। হঠাৎ শিশুটির সন্ধান পেয়ে আনন্দে আত্মহারা
০৭ আগস্ট ২০২৫
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের অনার্স প্রথম বর্ষের ভর্তির আবেদন আগামী ২০ নভেম্বর থেকে শুরু হবে। আবেদন চলবে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) জনসংযোগ দপ্তর প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২ ঘণ্টা আগে
জয়পুরহাটের কালাই পৌরসভার পাঁচশিরা এলাকায় ‘মেসার্স ভাই ভাই চাউল কল’-এর ধান ভেজানো ও সেদ্ধ করার হাউসের পানিতে পড়ে আবু বক্কর সিদ্দিক (৩) নামে এক শিশু মারা গেছে। রোববার (২৬ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শিশু আবু বক্কর সিদ্দিক গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার হাপানিয়া গ্রামের অহিদুল ইসল
২ ঘণ্টা আগে
বাগেরহাটের মোল্লাহাটে কীটনাশক পান করে পিয়াসী (২২) নামের এক নারী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আজ রোববার গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।
২ ঘণ্টা আগেরাবি প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের অনার্স প্রথম বর্ষের ভর্তির আবেদন আগামী ২০ নভেম্বর থেকে শুরু হবে। আবেদন চলবে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) জনসংযোগ দপ্তর প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১৬, ১৭ ও ২৪ জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে। রাজশাহী, ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রংপুর ও বরিশাল অঞ্চলে পরীক্ষা নেওয়া হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে ‘সি’ (বিজ্ঞান) ইউনিটের, ১৭ জানুয়ারি ‘এ’ (মানবিক) ইউনিটের আর ২৪ জানুয়ারি ‘বি’ (বাণিজ্য) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা হবে। প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা ও বেলা ৩টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দুই শিফটে পরীক্ষা হবে।
মানবিক শাখার আবেদন ফি ১ হাজার ৩২০ টাকা, বাণিজ্য ইউনিটে ১ হাজার ১০০ টাকা এবং বিজ্ঞান ইউনিটে ১ হাজার ৩২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পরীক্ষায় থাকবে ১০০ নম্বরের এমসিকিউ প্রশ্ন, ৮০টি প্রশ্নের মধ্যে প্রতি চারটি ভুলের জন্য এক নম্বর কাটা যাবে। পাস নম্বর ৪০।
আবেদনের যোগ্যতার বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৪ ও ২০২৫ সালের এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা যোগ্যতা অনুযায়ী আবেদন করতে পারবে। বিজ্ঞান শাখায় ন্যূনতম জিপিএ ৮.০০, মানবিক ও বাণিজ্য শাখায় জিপিএ ৭.০০ থাকতে হবে। ভর্তিসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের অনার্স প্রথম বর্ষের ভর্তির আবেদন আগামী ২০ নভেম্বর থেকে শুরু হবে। আবেদন চলবে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) জনসংযোগ দপ্তর প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১৬, ১৭ ও ২৪ জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে। রাজশাহী, ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রংপুর ও বরিশাল অঞ্চলে পরীক্ষা নেওয়া হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে ‘সি’ (বিজ্ঞান) ইউনিটের, ১৭ জানুয়ারি ‘এ’ (মানবিক) ইউনিটের আর ২৪ জানুয়ারি ‘বি’ (বাণিজ্য) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা হবে। প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা ও বেলা ৩টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দুই শিফটে পরীক্ষা হবে।
মানবিক শাখার আবেদন ফি ১ হাজার ৩২০ টাকা, বাণিজ্য ইউনিটে ১ হাজার ১০০ টাকা এবং বিজ্ঞান ইউনিটে ১ হাজার ৩২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পরীক্ষায় থাকবে ১০০ নম্বরের এমসিকিউ প্রশ্ন, ৮০টি প্রশ্নের মধ্যে প্রতি চারটি ভুলের জন্য এক নম্বর কাটা যাবে। পাস নম্বর ৪০।
আবেদনের যোগ্যতার বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৪ ও ২০২৫ সালের এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা যোগ্যতা অনুযায়ী আবেদন করতে পারবে। বিজ্ঞান শাখায় ন্যূনতম জিপিএ ৮.০০, মানবিক ও বাণিজ্য শাখায় জিপিএ ৭.০০ থাকতে হবে। ভর্তিসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে।

হঠাৎ বাড়িতে স্ত্রী-সন্তানের খরচের টাকা ও যোগাযোগ বন্ধ করে দেন আলমগীর হোসেন। নিরুপায় হয়ে তাঁকে খুঁজতে বেরিয়ে অপহরণকারীদের কবলে পড়ে কোলের সন্তান হোসাইনকে হারিয়ে ফেলেন জরিনা বেগম। আট মাস ধরে সন্তানকে খোঁজাখুঁজি করে পাগলপ্রায় দশা তাঁর। এদিকে স্বামীরও সন্ধান নেই। হঠাৎ শিশুটির সন্ধান পেয়ে আনন্দে আত্মহারা
০৭ আগস্ট ২০২৫
বরিশাল বিএম কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের এক ছাত্রীর মৃত্যু নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। রুমানা আক্তার সুমি নামের ওই ছাত্রী মাস্টার্স শেষ বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।
২ ঘণ্টা আগে
জয়পুরহাটের কালাই পৌরসভার পাঁচশিরা এলাকায় ‘মেসার্স ভাই ভাই চাউল কল’-এর ধান ভেজানো ও সেদ্ধ করার হাউসের পানিতে পড়ে আবু বক্কর সিদ্দিক (৩) নামে এক শিশু মারা গেছে। রোববার (২৬ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শিশু আবু বক্কর সিদ্দিক গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার হাপানিয়া গ্রামের অহিদুল ইসল
২ ঘণ্টা আগে
বাগেরহাটের মোল্লাহাটে কীটনাশক পান করে পিয়াসী (২২) নামের এক নারী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আজ রোববার গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।
২ ঘণ্টা আগেজয়পুরহাট প্রতিনিধি

জয়পুরহাটের কালাই পৌরসভার পাঁচশিরা এলাকায় ‘মেসার্স ভাই ভাই চাউল কল’-এর ধান ভেজানো ও সেদ্ধ করার হাউসের পানিতে পড়ে আবু বক্কর সিদ্দিক (৩) নামে এক শিশু মারা গেছে। রোববার (২৬ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশু আবু বক্কর সিদ্দিক গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার হাপানিয়া গ্রামের অহিদুল ইসলামের ছেলে।
কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানা গেছে, নিহত শিশুর মা-বাবা ওই চাতালে শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। প্রতিদিনের মতো তাঁরা বিকেলে কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এ সময় সবার অজান্তে শিশুটি ধান সেদ্ধ করার হাউসের পাশে খেলতে গিয়ে পানিতে পড়ে যায়।
পরে তাকে না পেয়ে স্বজনেরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে হাউসের পানিতে শিশুটিকে ভাসতে দেখে দ্রুত উদ্ধার করে কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।

জয়পুরহাটের কালাই পৌরসভার পাঁচশিরা এলাকায় ‘মেসার্স ভাই ভাই চাউল কল’-এর ধান ভেজানো ও সেদ্ধ করার হাউসের পানিতে পড়ে আবু বক্কর সিদ্দিক (৩) নামে এক শিশু মারা গেছে। রোববার (২৬ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশু আবু বক্কর সিদ্দিক গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার হাপানিয়া গ্রামের অহিদুল ইসলামের ছেলে।
কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানা গেছে, নিহত শিশুর মা-বাবা ওই চাতালে শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। প্রতিদিনের মতো তাঁরা বিকেলে কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এ সময় সবার অজান্তে শিশুটি ধান সেদ্ধ করার হাউসের পাশে খেলতে গিয়ে পানিতে পড়ে যায়।
পরে তাকে না পেয়ে স্বজনেরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে হাউসের পানিতে শিশুটিকে ভাসতে দেখে দ্রুত উদ্ধার করে কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।

হঠাৎ বাড়িতে স্ত্রী-সন্তানের খরচের টাকা ও যোগাযোগ বন্ধ করে দেন আলমগীর হোসেন। নিরুপায় হয়ে তাঁকে খুঁজতে বেরিয়ে অপহরণকারীদের কবলে পড়ে কোলের সন্তান হোসাইনকে হারিয়ে ফেলেন জরিনা বেগম। আট মাস ধরে সন্তানকে খোঁজাখুঁজি করে পাগলপ্রায় দশা তাঁর। এদিকে স্বামীরও সন্ধান নেই। হঠাৎ শিশুটির সন্ধান পেয়ে আনন্দে আত্মহারা
০৭ আগস্ট ২০২৫
বরিশাল বিএম কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের এক ছাত্রীর মৃত্যু নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। রুমানা আক্তার সুমি নামের ওই ছাত্রী মাস্টার্স শেষ বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।
২ ঘণ্টা আগে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের অনার্স প্রথম বর্ষের ভর্তির আবেদন আগামী ২০ নভেম্বর থেকে শুরু হবে। আবেদন চলবে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) জনসংযোগ দপ্তর প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২ ঘণ্টা আগে
বাগেরহাটের মোল্লাহাটে কীটনাশক পান করে পিয়াসী (২২) নামের এক নারী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আজ রোববার গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।
২ ঘণ্টা আগেবাগেরহাট প্রতিনিধি

বাগেরহাটের মোল্লাহাটে কীটনাশক পান করে পিয়াসী (২২) নামের এক নারী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আজ রোববার গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।
এর আগে গত শুক্রবার নিজ ঘরের দরজা বন্ধ করে স্বামীকে ভিডিও কলে রেখে কীটনাশক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ওই নারী। পরে স্বজনেরা তাঁকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করান।
মৃত পিয়াসী উপজেলার কামারগ্রামের সজীব শেখের স্ত্রী।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সজীব শেখ ঢাকায় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। এর আগেও পিয়াসী বিষ পান করে সে যাত্রায় বেঁচে যান।
এ বিষয়ে মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফজলুল হক বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি, এখন পর্যন্ত ওই পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

বাগেরহাটের মোল্লাহাটে কীটনাশক পান করে পিয়াসী (২২) নামের এক নারী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আজ রোববার গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।
এর আগে গত শুক্রবার নিজ ঘরের দরজা বন্ধ করে স্বামীকে ভিডিও কলে রেখে কীটনাশক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ওই নারী। পরে স্বজনেরা তাঁকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করান।
মৃত পিয়াসী উপজেলার কামারগ্রামের সজীব শেখের স্ত্রী।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সজীব শেখ ঢাকায় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। এর আগেও পিয়াসী বিষ পান করে সে যাত্রায় বেঁচে যান।
এ বিষয়ে মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফজলুল হক বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি, এখন পর্যন্ত ওই পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

হঠাৎ বাড়িতে স্ত্রী-সন্তানের খরচের টাকা ও যোগাযোগ বন্ধ করে দেন আলমগীর হোসেন। নিরুপায় হয়ে তাঁকে খুঁজতে বেরিয়ে অপহরণকারীদের কবলে পড়ে কোলের সন্তান হোসাইনকে হারিয়ে ফেলেন জরিনা বেগম। আট মাস ধরে সন্তানকে খোঁজাখুঁজি করে পাগলপ্রায় দশা তাঁর। এদিকে স্বামীরও সন্ধান নেই। হঠাৎ শিশুটির সন্ধান পেয়ে আনন্দে আত্মহারা
০৭ আগস্ট ২০২৫
বরিশাল বিএম কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের এক ছাত্রীর মৃত্যু নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। রুমানা আক্তার সুমি নামের ওই ছাত্রী মাস্টার্স শেষ বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।
২ ঘণ্টা আগে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের অনার্স প্রথম বর্ষের ভর্তির আবেদন আগামী ২০ নভেম্বর থেকে শুরু হবে। আবেদন চলবে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) জনসংযোগ দপ্তর প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২ ঘণ্টা আগে
জয়পুরহাটের কালাই পৌরসভার পাঁচশিরা এলাকায় ‘মেসার্স ভাই ভাই চাউল কল’-এর ধান ভেজানো ও সেদ্ধ করার হাউসের পানিতে পড়ে আবু বক্কর সিদ্দিক (৩) নামে এক শিশু মারা গেছে। রোববার (২৬ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শিশু আবু বক্কর সিদ্দিক গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার হাপানিয়া গ্রামের অহিদুল ইসল
২ ঘণ্টা আগে