বুড়িচং প্রতিনিধি
মো. জালাল (৪০) ও আলমগীর হোসেন (২৭) দুজন চাচাতো ভাই। একই বাড়িতে পাশাপাশি দুই ঘরে বসবাস। দুজনই মৌসুমি ফলের ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। বয়সের ফারাক থাকলেও দুজনের মধ্যে ছিল বন্ধুত্বের সম্পর্ক। এ ছাড়া অনেক কিছুতেই ছিল তাঁদের মিল। কিন্তু মৃত্যুর হিসেব-নিকেশও যে তাঁদের মিলে যাবে তা কে জানত! গতকাল শুক্রবার একই সময়ে পাশাপাশি কবরে তাঁদের শুইয়ে দিলেন স্বজনেরা।
প্রতিদিন ভোরে নিমসার পাইকারি বাজার থেকে মৌসুমি ফল কিনে বাড়ির পাশে কংশনগর বাজারে খুচরায় বিক্রি করতেন দুই ভাই। আর তা দিয়ে চলতো তাঁদের সংসার। সংসারেও ছিল সুখ। ছিল দুই পরিবারের সহমর্মিতা। এই দুই ভাইয়ের বাড়ি বুড়িচং উপজেলার ভারেল্লা উত্তর ইউনিয়নে। কংশনগর পূর্বপাড়া রব্বান ভূঁইয়া বাড়ি নামে গ্রামে পরিচিত।নিহতের অপর চাচাতো ভাই মো. মনির হোসেন আখন্দ জানান, প্রতিদিনের মতো গতকাল ভোরে ফলের জন্য দুই ভাই নিমসার বাজারের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে রওনা হন। কংশনগর বাজার থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে ক্যান্টনমেন্ট যাচ্ছিলেন তাঁরা। পথিমধ্যে ঘটে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। ট্রাকচাপায় সিএনজিচালিত অটোরিকশায় থাকা চালকসহ ছয়জনই নিহত হন। এঁদের মধ্যে দুই ভাই জালাল ও আলমগীরও ছিলেন।
গতকাল ভোর ছয়টায় কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের সিন্ধুরিয়াপাড়া কাটাজাঙ্গাল তুতবাগান এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
এদিকে ময়নাতদন্ত শেষে গতকালই নিহতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বাদ জুমা দুজনের লাশ বাড়িতে এলে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীদের আহাজারিতে এলাকায় হৃদয়বিদারক পরিস্থিতির অবতারণা হয়।
চাচাতো ভাই মো. মনির হোসেন আখন্দ আরও জানান, জালাল স্ত্রী, দুই মেয়ে এবং আলমগীর স্ত্রী ও এক ছেলে রেখে গেছেন। একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়েছে দুটি পরিবার।
এদিকে বাদ আসর কংশনগর বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দুই ভাইয়ের জানাজা হয়। জানাজায় আশপাশের কয়েক গ্রামের শত শত মানুষের ঢল নামে। এতে কংশনগর বাজার কমিটির সদস্য নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান ইস্কান্দর আলী ভূঁইয়া, ব্যবসায়ী নেতা মাসুদুজ্জামন মাসুমসহ উপস্থিত লোকজন দুজনের জন্য শোক প্রকাশ করেন। উপস্থিত লোকজনের আকুতি এমন ছিল, যেন তাঁদের স্বজনই মারা গেছেন।অপর দিকে দুই ভাইয়ের জন্য পারিবারিক কবরস্থানে পাশাপাশি দুটি কবর খোড়া হচ্ছিল। জানাজা শেষে একই মাটিতে শুইয়ে দিয়ে দাফন কাজ শেষ করেন স্বজনেরা।এ সময় স্বজনদের আহাজারির ভাষ্য এমন ছিল যে, দুই ভাই একসঙ্গে শুয়ে থাক। তোদের দুই স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে একই দুঃখের সাগরে ভেসেও বেঁচে থাকুক।
মো. জালাল (৪০) ও আলমগীর হোসেন (২৭) দুজন চাচাতো ভাই। একই বাড়িতে পাশাপাশি দুই ঘরে বসবাস। দুজনই মৌসুমি ফলের ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। বয়সের ফারাক থাকলেও দুজনের মধ্যে ছিল বন্ধুত্বের সম্পর্ক। এ ছাড়া অনেক কিছুতেই ছিল তাঁদের মিল। কিন্তু মৃত্যুর হিসেব-নিকেশও যে তাঁদের মিলে যাবে তা কে জানত! গতকাল শুক্রবার একই সময়ে পাশাপাশি কবরে তাঁদের শুইয়ে দিলেন স্বজনেরা।
প্রতিদিন ভোরে নিমসার পাইকারি বাজার থেকে মৌসুমি ফল কিনে বাড়ির পাশে কংশনগর বাজারে খুচরায় বিক্রি করতেন দুই ভাই। আর তা দিয়ে চলতো তাঁদের সংসার। সংসারেও ছিল সুখ। ছিল দুই পরিবারের সহমর্মিতা। এই দুই ভাইয়ের বাড়ি বুড়িচং উপজেলার ভারেল্লা উত্তর ইউনিয়নে। কংশনগর পূর্বপাড়া রব্বান ভূঁইয়া বাড়ি নামে গ্রামে পরিচিত।নিহতের অপর চাচাতো ভাই মো. মনির হোসেন আখন্দ জানান, প্রতিদিনের মতো গতকাল ভোরে ফলের জন্য দুই ভাই নিমসার বাজারের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে রওনা হন। কংশনগর বাজার থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে ক্যান্টনমেন্ট যাচ্ছিলেন তাঁরা। পথিমধ্যে ঘটে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। ট্রাকচাপায় সিএনজিচালিত অটোরিকশায় থাকা চালকসহ ছয়জনই নিহত হন। এঁদের মধ্যে দুই ভাই জালাল ও আলমগীরও ছিলেন।
গতকাল ভোর ছয়টায় কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের সিন্ধুরিয়াপাড়া কাটাজাঙ্গাল তুতবাগান এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
এদিকে ময়নাতদন্ত শেষে গতকালই নিহতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বাদ জুমা দুজনের লাশ বাড়িতে এলে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীদের আহাজারিতে এলাকায় হৃদয়বিদারক পরিস্থিতির অবতারণা হয়।
চাচাতো ভাই মো. মনির হোসেন আখন্দ আরও জানান, জালাল স্ত্রী, দুই মেয়ে এবং আলমগীর স্ত্রী ও এক ছেলে রেখে গেছেন। একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়েছে দুটি পরিবার।
এদিকে বাদ আসর কংশনগর বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দুই ভাইয়ের জানাজা হয়। জানাজায় আশপাশের কয়েক গ্রামের শত শত মানুষের ঢল নামে। এতে কংশনগর বাজার কমিটির সদস্য নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান ইস্কান্দর আলী ভূঁইয়া, ব্যবসায়ী নেতা মাসুদুজ্জামন মাসুমসহ উপস্থিত লোকজন দুজনের জন্য শোক প্রকাশ করেন। উপস্থিত লোকজনের আকুতি এমন ছিল, যেন তাঁদের স্বজনই মারা গেছেন।অপর দিকে দুই ভাইয়ের জন্য পারিবারিক কবরস্থানে পাশাপাশি দুটি কবর খোড়া হচ্ছিল। জানাজা শেষে একই মাটিতে শুইয়ে দিয়ে দাফন কাজ শেষ করেন স্বজনেরা।এ সময় স্বজনদের আহাজারির ভাষ্য এমন ছিল যে, দুই ভাই একসঙ্গে শুয়ে থাক। তোদের দুই স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে একই দুঃখের সাগরে ভেসেও বেঁচে থাকুক।
ঝিনাইদহের মোবারকগঞ্জ রেলস্টেশনের অদূরে বাবরা রেলগেটে অজ্ঞাতনামা (৬০) এক নারী ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছেন। রোববার সকাল ৮টা ২০ মিনিটের দিকে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা রাজশাহীগামী কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনে তিনি কাটা পড়েন। চলন্ত ট্রেনের নিচে পড়ে তাঁর শরীর দুই খণ্ড হয়ে যায়।
২৬ মিনিট আগেগেটের সামনে ভিড় করছেন কার্গো ভিলেজের কর্মচারীরা। উদ্বেগ প্রকাশ করে তাঁরা বলছেন, এখনো ধোঁয়া বের হচ্ছে। মনে হচ্ছে, আগুন পুরোপুরি নেভেনি। পুরো আমদানি কার্গো ভিলেজ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
১ ঘণ্টা আগেপুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় দুর্বৃত্তরা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। ভোররাতে পরিবারের লোকজন বাইরে বের হয়ে মুসার রক্তাক্ত লাশ দেখতে পায়। নিহত ব্যক্তির বুকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের একাধিক চিহ্ন পাওয়া গেছে।
১ ঘণ্টা আগেফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার কাদিরদি বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (১৮ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১০টার দিকে বাচ্চু মোল্লার মার্কেটে এই আগুন লাগে। এতে মুদি, কাপড়, ওষুধ, জুতা, বীজসহ কমপক্ষে ২০টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
১ ঘণ্টা আগে