Ajker Patrika

চকরিয়ায় ছিনতাইকারী চক্রের মূলহোতাসহ আটক ৫ 

চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
চকরিয়ায় ছিনতাইকারী চক্রের মূলহোতাসহ আটক ৫ 

কক্সবাজারের চকরিয়ায় মোটরসাইকেল চোরাই চক্রের মূল হোতাসহ পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। আজ বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে পৌর শহরের নিউ মার্কেটের একটি আবাসিক হোটেল থেকে তাঁদের আটক করা হয়। এ সময় একটি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। 

আজ রাত ৯টার দিকে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 

আটক ব্যক্তিরা হলেন—চকরিয়া পৌরসভার মগবাজার বিনামারা এলাকার জসিম উদ্দিনের ছেলে কামরুল ইসলাম ছোটন (১৯), উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের মালুমঘাট রিংভং গ্রামের নুরুল কবিরের ছেলে মাহমুদুল করিম (২৮), পৌরসভার বিনামারা হাশরম মাস্টারপাড়ার এলাকার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে তায়েবুল ইসলাম (২২), পৌরসভার পালাকাটা গকাশেম মাস্টারপাড়া গ্রামের আবুল কালামের ছেলে আরফাতুল ইসলাম (২২) ও পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের চেয়ারম্যানপাড়ার মুজিবুল হকের ছেলে মিনহাজুর রহমান নয়ন (২৯)। 

চকরিয়া থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চকরিয়া পৌরশহরের নিউ মার্কেট এলাকার একটি আবাসিক হোটেলে একদল সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী অবস্থান করার খবর পেয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলীর নেতৃত্বে অভিযানে মোটরসাইকেল চোরাই চক্রের মূল হোতাসহ পাঁচ সদস্যকে আটক করা হয়। এ সময় একটি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। 

আটক ছিনতাইকারীরা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ও চকরিয়া পৌরশহরে ছিনতাই ও মোটরসাইকেল চুরিসহ নানা অপরাধ সংগঠিত করে আসছিলেন। 

এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চকরিয়ার বিভিন্ন এলাকায় আটককৃতদের নেতৃত্বে একটি ছিনতাইকারী চক্র নানা অপরাধে জড়িত। পুলিশ দীর্ঘদিন ধরে তাঁদের খুঁজছিল। গোপন সংবাদের খবর পেয়ে একটি আবাসিক হোটেল থেকে অস্ত্রসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাল্যবিবাহের অতিথি ইউএনও, জানতে পেরে খাবার না খেয়ে চলে গেলেন

নেছারাবাদ (পিরোজপুর) প্রতিনিধি 
মো. জাহিদুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
মো. জাহিদুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

পিরোজপুরের নেছারাবাদে সপরিবারে বিয়ের দাওয়াতে গিয়ে জানতে পারেন কনের বয়স ১৮ বছরের নিচে; এরপর খাবার না খেয়ে ফিরে গেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহিদুল ইসলাম। পরে কাজিও বিয়ে না পড়িয়ে চলে যান।

ঘটনাটি ঘটে আজ শুক্রবার দুপুরে উপজেলার দৈহারী গ্রামে।

জানা যায়, বর শেখ মো. অনিক (২৩) জগন্নাথকাঠি গ্রামের মো. জাকির হোসেনের ছেলে এবং কনে মোসাম্মৎ মুন্নি আখতার (১৬) দৈহারী গ্রামের বাবুল হাওলাদারের মেয়ে। শুক্রবার তাদের বিয়ের আয়োজন করে উভয় পরিবার। বিয়ে অনুষ্ঠানে পরিবারসহ ইউএনও অতিথি হিসেবে যোগ দেন।

জানতে চাইলে বিয়ে পড়াতে আসা কাজি মো. ইসহাক আলী বলেন, ‘প্রথমে আমাকে জানানো হয় মেয়ের বয়স ১৮ বছর। পরে কনের প্রকৃত বয়স ১৬ জেনে আমি বিয়ে পড়াইনি। ইউএনও সাহেবও বিষয়টি জানার পর সপরিবারে না খেয়েই চলে যান।’

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আল আমীন জানান, ‘বিয়েবাড়িতে উৎসবমুখর পরিবেশ ছিল। ইউএনও সাহেব সপরিবারে এসেছিলেন। কনের বয়স কম শুনেই তিনি এবং কাজি চলে গেলে আমি নিজেও ফিরে এসেছি। আমরা কোনো খাওয়াদাওয়া করিনি।’

এ বিষয়ে ইউএনও মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগত অনুরোধে দাওয়াতে গিয়েছিলাম। কনের বয়স কম জেনে আইনগত ও নৈতিক দিক বিবেচনায় দাওয়াত না খেয়েই ফিরে এসেছি। পরে জানতে পেরেছি বিয়েটি আর হয়নি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কমলাপুর রেলস্টেশনে চাপাতি দেখিয়ে ভাইরাল যুবক গ্রেপ্তার

উত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা) প্রতিনিধি 
আপডেট : ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ২২: ৩৬
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

কমলাপুর রেলস্টেশনে প্রকাশ্যে চাপাতি বের করে ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া যুবক শাহ আলী শিকদারকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর পুলিশ তাঁর দেখানো স্থান থেকে ধারালো চাপাতিটি উদ্ধার করেছে।

ঢাকা জেলা রেলওয়ে পুলিশের পুলিশ সুপার (এসপি) আনোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেন, আজ শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে বিমানবন্দরের কাওলা রেলগেট এলাকা থেকে ধারালো চাপাতিটি উদ্ধার করা হয়।

এসপি জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গাজীপুরের শ্রীপুর থেকে ১৯ অক্টোবর রাতে শাহ আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারের পর পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে শাহ আলী জানিয়েছেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত। বিভিন্ন সময় তিনি জনমনে ভয়ভীতি ও ত্রাস সৃষ্টি করে আসছিলেন, যার কারণে জেলও খেটেছেন।

এসপি জানান, গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে এসে শাহ আলী যে তথ্য দেন, তার ভিত্তিতেই কাওলা রেলগেট এলাকা থেকে চাপাতিটি উদ্ধার করা হয়।

উল্লেখ্য, ১৫ অক্টোবর রাতে শাহ আলী শিকদার কমলাপুর রেলস্টেশনের ৭ নম্বর প্ল্যাটফর্মে চাপাতি বের করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। সে ঘটনার ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং ভাইরাল হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

২২ বস্তা সরকারি চাল জব্দ, আসামি হলেন অটোরিকশাচালক

নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি 
চালসহ জব্দ অটোরিকশা।
চালসহ জব্দ অটোরিকশা।

শেরপুরের নকলায় খাদ্য অধিদপ্তরের ২২ বস্তা সরকারি চাল জব্দের ঘটনায় অটোরিকশাচালক রানা মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। স্থানীয় খাদ্য বিভাগের খাদ্য পরিদর্শক মো. আফতাব উদ্দিন বাদী হয়ে আজ শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সকালে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেন।

গ্রেপ্তার অটোরিকশাচালক রানার বাড়ি নকলা পৌর শহরের জালালপুর মহল্লায়।

গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদিয়া আফরিন এ্যানির নেতৃত্বে স্থানীয় খাদ্য বিভাগ ও থানা-পুলিশ অভিযান চালিয়ে নকলা পৌর শহর থেকে চালসহ রানার অটোরিকশাটি জব্দ করে।

পুলিশ, মামলার আসামি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পাঠাকাটা ইউনিয়নের পাঁচকাহনীয়া গাদুর মোড় এলাকা থেকে খাদ্য অধিদপ্তরের ২২ বস্তা সরকারি চাল কেনেন জালালপুর মহল্লার মিলমালিক আশরাফ মিয়া ওরফে বুড়া আশরাফ। বিকেলে তিনি ওই চাল তাঁর মিলে নেওয়ার জন্য অটোরিকশাচালক রানাকে ভাড়া করেন। চাল স্থানান্তরের খবর পেয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাদিয়া আফরিন এ্যানির নেতৃত্বে স্থানীয় খাদ্য বিভাগ ও থানা-পুলিশ অভিযানে নামেন। পরে সন্ধ্যার দিকে নকলা পৌর শহর থেকে অটোরিকশাসহ ওই ২২ বস্তা চাল জব্দ করে পুলিশ। আটক করা হয় অটোচালক রানা মিয়াকে। এ ব্যাপারে মিলমালিক আশরাফের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।

নকলা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কাশেম বলেন, খাদ্য অধিদপ্তরের সরকারি চাল উদ্ধারের ঘটনায় নকলা থানায় মামলা হয়েছে। একজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৯ ভারতীয় জেলে জেলহাজতে

 মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
জব্দ ট্রলার। ছবি: আজকের পত্রিকা
জব্দ ট্রলার। ছবি: আজকের পত্রিকা

সমুদ্রসীমা লঙ্ঘনের মামলায় ৯ ভারতীয় জেলেকে বাগেরহাটের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে বাগেরহাট আদালতের মাধ্যমে তাঁদের জেলহাজতে পাঠানো হয়। মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনিসুর রহমান এসব কথা নিশ্চিত করেন।

ওসি মো. আনিসুর রহমান জানান, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১০০ নটিক্যাল মাইল দূরে ফেয়ারওয়ে বয়াসংলগ্ন গভীর সাগর থেকে গত বুধবার বিকেলে এফবি এনি নামে একটি ভারতীয় ফিশিং ট্রলার আটক করে টহলরত নৌবাহিনী। ট্রলারটি সমুদ্রসীমা লঙ্ঘন করে বেআইনিভাবে এ দেশীয় জলসীমায় ঢুকে মাছ শিকার করছিল। ট্রলারটিতে থাকা ৯ জেলের বাড়ি ভারতের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার কাকদ্বীপ এলাকায়।

ওসি আরও জানান, ট্রলারটিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মোংলার ফেরিঘাটে নিয়ে আসে নৌবাহিনী। এরপর জেলেদের থানায় হস্তান্তর করা হয়। জেলেদের বিরুদ্ধে সমুদ্রসীমা লঙ্ঘন আইনে মামলার পর আজ দুপুরে বাগেরহাট আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

উপজেলা জৈষ্ঠ্য মৎস্য কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, আটক ট্রলারটিতে প্রায় দেড় টন (১৫০০ কেজি) টুনা ফিস রয়েছে। আদালতের নির্দেশেনা অনুযায়ী, এ মাছ নিলামে বিক্রি কিংবা অন্য যেকোনো প্রক্রিয়া সম্পন্নের জন্য পরবর্তী সময়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত