Ajker Patrika

পর্যটনমুখী কক্সবাজার এক্সপ্রেসে মানসম্মত খাবার থাকবে তো?

জমির উদ্দিন, চট্টগ্রাম
আপডেট : ২৫ নভেম্বর ২০২৩, ২১: ১২
পর্যটনমুখী কক্সবাজার এক্সপ্রেসে মানসম্মত খাবার থাকবে তো?

কিছুদিন পরেই চালু হচ্ছে পর্যটনমুখী ট্রেন কক্সবাজার এক্সপ্রেস। শুধু পর্যটকদের জন্য বরাদ্দ রেখে মাত্র একটি স্টপেজ রাখা হয়েছে। এটিতে রয়েছে উন্নতমানের বগি। থাকছে অটোমেটিক ক্লোজ ডোর সিস্টেম ও বায়ো টয়লেট। এমন ট্রেনে পর্যটকদের কারা সেবা দেবেন, উন্নতমানের খাবার পরিবেশনের দায়িত্ব কারা পাবেন—সেটি বড় এখন বড় আলোচনার বিষয়।

কারণ, এখন চলাচল করা সব কটি আন্তনগর ট্রেন নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। এমন অবস্থায় ট্রেনটিতে ভালো সেবা দেওয়া না হলে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। রেলে বেশ কয়েক বছর কাজ করেছেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর মিলন। রেলওয়ের অনিয়ম-দুর্নীতি ঠেকাতে তিনি নানা উদ্যোগ নিয়েছিলেন। ট্রেনে যাঁরা খাবার সরবরাহ দিতেন, এঁদের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযানও পরিচালনা করেন। জরিমানাও করেছেন বেশ কয়েকবার। 

আলোচিত এই কর্মকর্তা মনে করেন, বর্তমানে ট্রেনে সেবার দায়িত্ব পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো কোনোভাবেই ভালো সেবা দিতে পারবে না। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘এখন ট্রেনে যাঁরা সেবা দিচ্ছেন, তাঁদের মান নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন আছে। আমি যত দিন কাজ করেছি, এঁদের বিরুদ্ধে শুধু অভিযোগ পেয়েছি। কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনটি হবে শুধু পর্যটকদের জন্য। তাই এখানে উন্নতমানের সেবা দেওয়া দরকার। বিশেষ করে, খাবার পরিবেশনটা যাতে উন্নতমানের হয়। কম দামে ফ্রেশ ও ভেজালমুক্ত খাবার পরিবেশন করতে না পারলে, দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে।’

বেসরকারিভাবে রেলে যাঁরা সেবা দেন বা দায়িত্ব পান, তাঁদের অনবোর্ড বা ক্যাটারিং সার্ভিস বলা হয়। এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দেশের সব কটি আন্তনগর ট্রেনে যাত্রীদের সেবা দেওয়া হয়। তাঁদের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী, ট্রেনে যাত্রীদের বসার আসন, টেবিল ও জানালার আশপাশ ডাস্টার দিয়ে পরিষ্কার করবেন স্টুয়ার্ডরা (ট্রেনের বগিতে দায়িত্বরত কর্মচারী)। ট্রেন ছাড়ার ঠিক আগে অ্যারোসল ও এয়ার ফ্রেশনার ব্যবহার করে মশা ও পোকামাকড় মারা এবং দুর্গন্ধ দূর করার দায়িত্ব তাঁদের। কিছুক্ষণ পরপর টয়লেট পরিষ্কার করা ও যাত্রীদের নামাজ আদায়ের ব্যবস্থাসহ পত্রিকা সরবরাহ করার শর্তও আছে। 

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বাণিজ্যিক বিভাগ থেকে পাওয়া তথ্য ঘেঁটে দেখা গেছে, বর্তমানে সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেন পরিচালনা করছে মো. শাহ আলমের মেসার্স এস এ করপোরেশন। তাঁর স্ত্রীও দুটি ট্রেন পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছেন। স্ত্রী ইয়াসমিন আলমের সপ্নীল অ্যাসোসিয়েশন পরিচালনা করছে মহানগর গোধূলী ও তূর্ণা এক্সপ্রেস ট্রেন। তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেন পরিচালনার দায়িত্বে জান্নাতুল নাঈমের জান্নাত ট্রেডিং, মো. তোফ্ফাজল হোসেনের মেসার্স প্রগতি রেলওয়ে ক্যাটারস পরিচালনা করছে পারাবত এক্সপ্রেস, মো. শহিদুল ইসলামের শাহ আমানত এক্সপ্রেস পরিচালনা করছে মহানগর ও বিজয় এক্সপ্রেস, মো. ওবায়দুল হকের মেসার্স ওবায়দুল হক অ্যান্ড সন্স পরিচালনা করছে কালনী এক্সপ্রেস, মো. আলমগীরের মাহী কনসোর্টিয়াম পরিচালনা করছে হাওর এক্সপ্রেস, মো. মামুন হোসেনের মেসার্স হাবিব বাণিজ্য বিতান পরিচালনা করছে সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেন ও মো. শহিদুল ইসলামের সামির এন্টারপ্রাইজ পরিচালনা করছে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস। 

চার বছরের জন্য রেলওয়ে এই ৯টি প্রতিষ্ঠানকে ট্রেন পরিচালনার দায়িত্ব দেয়। যাত্রীদের ১৫টি সেবাসহ ৪২টি শর্তে (উপশর্তসহ) এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করে রেলওয়ে। বিনিময়ে রেলওয়ে প্রতি মাসে কোনোটিতে ৫ লাখ আর কোনোটিতে ৬ লাখ টাকাসহ ৯টি প্রতিষ্ঠানকে প্রায় ৫০ লাখ টাকা দিচ্ছে। সে হিসাবে বছরে ৬ কোটি ও ৪ বছরে ২৪ কোটি টাকা নিয়ে নিচ্ছে এই ৯ প্রতিষ্ঠান। 

অভিযোগ আছে, কোনো প্রতিষ্ঠানই শর্তপূরণ করছে না। এদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় নিম্নমানের খাবার পরিবেশনের প্রমাণও পাওয়া গেছে। ১ ডিসেম্বর থেকে চালু হচ্ছে কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেন। তবে, এই ট্রেনে এখনো কাউকে অনবোর্ড বা ক্যাটারিং সার্ভিসের দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। সামনে দরপত্র আহ্বান করে সেবার দায়িত্ব দেবে রেলওয়ে। এমন অবস্থায় ভালো কোনো প্রতিষ্ঠানকে ট্রেনের দায়িত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর মিলন। 

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (সিসিএম) নাজমুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যেহেতু এই ট্রেনটি স্পেশাল, সে জন্য ভালো প্রতিষ্ঠানকেই দায়িত্ব দেওয়া হবে। পর্যটক বা যাত্রীদের কোনো অভিযোগ যাতে না আসে, সেদিকে বিশেষ নজর দেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

ভারতের ইন্দোরে শ্লীলতাহানির শিকার অস্ট্রেলিয়ার দুই নারী ক্রিকেটার

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি: আখতার

আফগান সিরিজ দিয়ে সাত বছর পর ফিরেছেন জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটার

গ্রেপ্তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকা শিশুকে পুলিশের সামনেই চড়, সমালোচনার ঝড়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভোলায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে হামলা-সংঘর্ষ, পৌরসভার ৩ গাড়িতে অগ্নিসংযোগ

ভোলা প্রতিনিধি
পৌরসভার তিনটি পিকআপ ভ্যান জ্বলছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
পৌরসভার তিনটি পিকআপ ভ্যান জ্বলছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

ভোলা শহরের নতুনবাজারে পৌরসভা কর্তৃপক্ষের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে হামলা-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পৌরসভার অন্তত ২০ কর্মচারী আহত হন। পৌরসভা কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, আজ শনিবার বিকেলে নতুনবাজার এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট ও তার আশপাশে অভিযান চালানোর সময় হকার ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের লোকজন তাদের ওপর হামলা করে। এ সময় পৌরসভার তিনটি পিকআপ ভ্যানে অগ্নিসংযোগ করেছে হামলাকারীরা।

পৌরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মো. ওমর ফারুক বলেন, নতুনবাজার এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও হকাররা পৌরসভার জায়গা দখল করে অবৈধ স্থাপনা বসিয়ে ব্যবসা করে আসছিলেন। বহুবার নোটিশ দেওয়ার পরেও তাঁরা তাঁদের স্থাপনা সরিয়ে নেননি। নোটিশের সর্বশেষ তারিখ পেরিয়ে যাওয়ার বেশ কয়েক দিন পর আজ বেলা ৩টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ওই সব অবৈধ স্থাপনা ভেঙে দেওয়া হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের লোকজন ও হকাররা বিকেলে পৌরসভার কর্মীদের ওপর হামলা চালান। তাঁরা পৌরসভার তিনটি ময়লা বহনকারী পিকআপ ভ্যানে আগুন ধরিয়ে দেন।

পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মী মো. শরিফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উচ্ছেদ অভিযান চালানোর প্রায় শেষ মুহূর্তে বিকেলে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের লোকজন ও হকাররা লাঠিসোঁটা নিয়ে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। তারা আমাদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে আমিসহ অন্তত ২০ জন আহত হই। হামলাকারীরা পৌরসভার তিনটি ময়লা বহনকারী পিকআপ ভ্যানে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় প্রায় ঘণ্টাব্যাপী পৌরসভার পিকআপ ভ্যানে আগুন জ্বলছিল। পরে স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।’ ভোলা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমানের নেতৃত্বে এ হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন পরিচ্ছন্নতাকর্মী শরিফ। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। বরং আমাদের মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের ব্যবসায়ীদের দোকান ভেঙে ফেলেছে পৌরসভার লোকজন।’

এ বিষয়ে পৌর প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা গত ৮-১০ দিন ধরে পৌর এলাকায় বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করছিলাম। আজ শনিবার ছিল এ অভিযানের শেষ দিন। যারা অবৈধভাবে পৌরসভার স্থাপনা দখল করেছিল, তারাই শেষ মুহূর্তে ময়লা গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে।’ এতে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে—তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, পৌরসভার ইঞ্জিনিয়াররা ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কাজ করছে। এ বিষয়ে মামলা দায়ের করা হবে বলেও জানান তিনি।

ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাহাদাৎ মো. হাচনাইন পারভেজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

ভারতের ইন্দোরে শ্লীলতাহানির শিকার অস্ট্রেলিয়ার দুই নারী ক্রিকেটার

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি: আখতার

আফগান সিরিজ দিয়ে সাত বছর পর ফিরেছেন জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটার

গ্রেপ্তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকা শিশুকে পুলিশের সামনেই চড়, সমালোচনার ঝড়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গ্রেপ্তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকা শিশুকে চড়, তদন্ত করছে পুলিশ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে রুস্তম নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের সময় তাঁর সাত-আট বছর বয়সী মেয়ে বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছিল। তখন ভিড়ের মধ্যে কেউ একজন শিশুটিকে চড় মারে। এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

পুলিশ দাবি করেছে, এতে তাদের কোনো সদস্য জড়িত নয়। কে শিশুটিকে চড় মেরেছে, তা গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে গত বৃহস্পতিবার ভোরে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত দুই পক্ষের মারামারির সময় ‘ককটেল’ বিস্ফোরণে মো. জাহিদ (২০) নামের এক তরুণ নিহত হন। সেদিন সন্ধ্যায় সেখানে পুলিশ অভিযান চালিয়ে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে। তখন রুস্তমকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ভিডিওতে দেখা যায়, রুস্তমকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়ার সময় তাঁর মেয়ে তাঁকে জড়িয়ে ধরে কান্না শুরু করে। এ সময় ভিড়ের মধ্যে থাকা কেউ একজন শিশুটিকে চড় মারে। পরে শিশুটিকে তার বাবার কাছ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।

ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে অনেকে পুলিশের ভূমিকার সমালোচনা করেন।

অভিযানের সময় সেখানে ছিলেন মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (অপারেশনস) মফিজ উদ্দিন। ঘটনার বিষয়ে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আসামি রুস্তমকে গ্রেপ্তারের পর সেখান থেকে নিয়ে আসছিলাম আমরা। ওখানে পুলিশের পাশাপাশি গণমাধ্যমকর্মীসহ অনেকে ছিলেন। টানাহেঁচড়ার মধ্যে কে চড় মেরেছে, সেটি দেখিনি। আমরা তদন্ত করে সেটা বের করার চেষ্টা করছি।’

পুলিশ জানিয়েছে, মো. জাহিদ হত্যার ঘটনায় করা একটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি রুস্তম। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় তাঁকে ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করা হয়। জেনেভা ক্যাম্প এলাকায় বিভিন্ন মামলার আসামিরা পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে নানা কৌশল নেয়। এ ক্ষেত্রে স্ত্রী ও বাচ্চাদের দিয়ে নানা পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করা হয়।

ওই ঘটনার বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার জুয়েল রানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভিডিওটি আমাদের নজরে এসেছে। পুলিশ চড় মারেনি। রুস্তমকে গ্রেপ্তার করার পর মেয়েটি ওর বাবার কাছে এসে কান্না করতে থাকে। তখন ভিড়ের মধ্যে কেউ একজন শিশুটিকে চড় মারে। কাজটি ঠিক হয়নি। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

ভারতের ইন্দোরে শ্লীলতাহানির শিকার অস্ট্রেলিয়ার দুই নারী ক্রিকেটার

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি: আখতার

আফগান সিরিজ দিয়ে সাত বছর পর ফিরেছেন জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটার

গ্রেপ্তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকা শিশুকে পুলিশের সামনেই চড়, সমালোচনার ঝড়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভ্যানগাড়িতে ট্রাকের ধাক্কায় নারী নিহত

ফকিরহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধি  
ট্রাকের ধাক্কায় আহতদের হাসপাতালে নেন স্থানীয়রা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ট্রাকের ধাক্কায় আহতদের হাসপাতালে নেন স্থানীয়রা। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাগেরহাটের ফকিরহাটে ভ্যানগাড়িতে ট্রাকের ধাক্কায় সিক্ত খাতুন (২৬) নামের এক নারী নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার বাহিরদিয়া জামরুলতলা এলাকায় বাগেরহাট-রূপসা আঞ্চলিক সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ফকিরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রাজ্জাক মীর এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

নিহত সিক্ত খাতুন উপজেলার আট্টাকা গ্রামের মৃত কালাম শেখের মেয়ে। এ ঘটনায় ভ্যানচালক শাহাদাৎ হোসেন (৫৫) এবং আরেক ভ্যানযাত্রী শাহেব আলী (৬৫) আহত হয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে যাত্রীবাহী ভ্যানটি ছোটবাহিরদিয়া জোড়াকবর এলাকা থেকে ফকিরহাট বাজারের দিকে যাচ্ছিল। ভ্যানটি জামরুলতলা এসে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা রূপসাগামী একটি ট্রাক এটিকে ধাক্কা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। এতে সিক্ত খাতুন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আহত দুজনকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ফকিরহাট মডেল থানার ওসি বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ট্রাকটি পালিয়ে যাওয়ার সময় বাহিরদিয়া ক্যাম্প পুলিশ জব্দ করেছে। ট্রাকচালক ও সহযোগীকে আটক করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

ভারতের ইন্দোরে শ্লীলতাহানির শিকার অস্ট্রেলিয়ার দুই নারী ক্রিকেটার

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি: আখতার

আফগান সিরিজ দিয়ে সাত বছর পর ফিরেছেন জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটার

গ্রেপ্তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকা শিশুকে পুলিশের সামনেই চড়, সমালোচনার ঝড়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে গুরুত্ব পাবে শিক্ষা খাত: তারেক রহমান

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় এক অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: আজকের পত্রিকা
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় এক অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিএনপি ক্ষমতায় এলে শিক্ষা খাতকে সবচেয়ে গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদানের সুব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। শিক্ষকদের পেশার মর্যাদা বৃদ্ধি করা হবে। সব স্কুলে বাংলা-ইংরেজির পাশাপাশি অন্যান্য ভাষা শিক্ষাব্যবস্থা চালু করা হবে।

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে শনিবার ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা ৩১ দফা’ বিষয়ে খন্দকার শামসুল আলম ফাউন্ডেশন আয়োজিত মেধাবৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তারেক রহমান।

অনুষ্ঠানে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরীফুল আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশুদের বনিয়াদটাকে শক্তিশালী করতে পারলে তাদের ভবিষ্যতটা শক্ত, সুন্দর হবে বলে জানান বিএনপির নেতা। তিনি বলেন, দেশকে এগিয়ে নিতে হলে প্রাথমিক শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। বিএনপি আগামীতে ক্ষমতায় এলে শিক্ষা খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেওয়া হবে। শিক্ষকদের এমন সাপোর্ট দেওয়া হবে, যাতে তাঁরা পাঠদানে পুরো মনোযোগ দিতে পারেন।

তারেক রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষায় আরও বেশি করে গুরুত্ব দিতে হবে। এ জন্য সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অষ্টম শ্রেণি থেকে কারিগরি শিক্ষা, বাংলা-ইংরেজির পাশাপাশি বিদেশি বিভিন্ন ভাষা, খেলাধুলা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে—যাতে ছেলেমেয়েরা দক্ষতা অর্জন করে বিদেশে গিয়েও যেকোনো পেশার সঙ্গে যুক্ত হতে পারে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিক্ষার্থীসহ অন্যরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিক্ষার্থীসহ অন্যরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

গত ১৫-১৬ বছর দেশ থেকে বহু অর্থ-সম্পদ পাচার হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘ফলে সার্বিকভাবে দেশ অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় রয়েছে। যেহেতু আমরা অর্থনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যে আছি, আমাদেরকে চেষ্টা করতে হবে অল্প অর্থটাকে সঠিকভাবে ব্যবহার করার।’

অনুষ্ঠানস্থল থেকে ছাত্রছাত্রীরা সরাসরি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বিভিন্ন প্রশ্ন করে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানও ছাত্রছাত্রীদের প্রশ্নের উত্তর দেন।

তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফার ওপর গত ১৬ আগস্ট উপজেলার ৮৪টি বিদ্যালয়ের ১০ হাজারের

বেশি শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়া হয়। পুরস্কার দেওয়া হয় ৬০ জনকে। এর মধ্যে প্রথম পুরস্কার ২৫ হাজার, দ্বিতীয় পুরস্কার ১৫ হাজার, তৃতীয় পুরস্কার ১০ হাজার এবং চতুর্থ পুরস্কার ৫ হাজার টাকা। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত তিনটি স্কুলকে ১ লাখ করে ৩ লাখ টাকা দেওয়া হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

ভারতের ইন্দোরে শ্লীলতাহানির শিকার অস্ট্রেলিয়ার দুই নারী ক্রিকেটার

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি: আখতার

আফগান সিরিজ দিয়ে সাত বছর পর ফিরেছেন জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটার

গ্রেপ্তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকা শিশুকে পুলিশের সামনেই চড়, সমালোচনার ঝড়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত