আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
বাগানে গাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে লিচু। রসালো, সুমিষ্ট এ ফলের ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে প্রতিদিনই দূর-দুরান্ত থেকে বাগান দেখতে আসছেন দর্শনার্থীরা। প্রিয়জনদের সঙ্গে নিয়ে তুলছেন ছবি। অনেকে আবার ফেরার সময় কিনে নিয়ে যাচ্ছেন লিচু। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সীমান্তবর্তী উপজেলা আখাউড়ায় লিচু বাগানের চিত্র এটি।
যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাইকার এসে আখাউড়া থেকে লিচু নিয়ে যাচ্ছেন। স্থানীভাবে চাহিদা মিটিয়ে এসব লিচু যাচ্ছে দেশের অন্যান্য জেলায়। এখানকার লিচুর স্বাদের সুনাম ছড়িয়ে পড়ায় জেলা ছাড়াও রাজধানী ঢাকা থেকেও পরিবার পরিজন নিয়ে বাগান ঘুরতে আসছেন দর্শনার্থীরা।
ঢাকা থেকে আসা পর্যটক এইচ এম নাহিয়ান বলেন, ‘গণমাধ্যম ও ফেসবুকে লিচুর ছবি, নিউজ দেখে পরিবার নিয়ে এখানে এসেছি। সরেজমিনে এসে দেখি বাগানগুলোতে থোকায় থোকায় লিচু ঝুলছে। দর্শনার্থীদের ভিড় বাগানগুলোতে, অনেকে আবার ছবিও তুলছেন। এখানের লিচু অনেক স্বাদ ও মিষ্টি।
লিচু বাগানী মো. মনির হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘প্রতিদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও আশপাশের উপজেলা, জেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে থেকে দর্শনার্থীরা আমার বাগানে ঘুরতে আসেন। ঢাকা, হবিগঞ্জ, নরসিংদী, ভৈরব, আশুগঞ্জ, এসব এলাকা থেকেও আমার বাগানে মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকার নিয়ে আসেন দর্শনার্থী। আমি চেষ্টা করি তাঁদের সর্বাত্মক আতিথেয়তা দেওয়ার জন্য।’
মো. মনির হোসেন চৌধুরী আরও বলেন, দর্শনার্থীরা বাগানে এসে ঘুরে দেখেন। অনেকে ছবি তোলেন, আবার ফেরার পথে লিচু কিনে নিয়ে যান।
এদিকে এখন বাজারে পুরোদমে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন জাতের লিচু। দাম হাতের নাগালের মধ্যে থাকায় খুশি বাগান মালিক ও ক্রেতারা। সেই সঙ্গে বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধির পাশাপাশি বেশ চাহিদাও বেড়েছে। বেড়েছে বেচা-কেনাও।
উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের তথ্য মতে, চলতি বছর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার লিচুর বাম্পার ফলন হয়েছ। চলতি মৌসুমে প্রায় ৭৫ হেক্টর জমিতে লিচু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছ। লিচু চাষের জন্য এ অঞ্চলের আবহাওয়া উপযোগী এ কারণে ফলন হয় ভালো।
কৃষি কার্যালয় ও চাষিদের থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, উপজেলায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে লিচুর চাষ শুরু হয় দুই যুগ আগে। উপজেলার সীমান্তঘেঁষা মনিয়ন্দ, আখাউড়া উত্তর ও দক্ষিণ ইউনিয়নের ধর্মনগর, কর্মমঠ, রাজমঙ্গলপুর, নোয়ামুড়া, ঘাগুটিয়া, শিবনগর, খারকোট, মিনারকোটসহ আখাউড়ায় প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রামে লিচুর চাষ হয়ে থাকে।
এ উপজেলায় উৎপাদিত লিচুর মধ্যে পাটনাই, বোম্বাই, এলাচি, চায়না-২, চায়না-৩, বেদানা ও স্থানীয় জাতের লিচু রয়েছে। এখানকার মাটি লিচু চাষের উপযোগী হওয়ায় চলতি মৌসুমে লিচুর ভালো ফলন হয়েছে। লিচু বেশ মাংসল রসালো ও সুমিষ্ট হওয়ায় জেলার বাইরেও বেশ কদর রয়েছে। এ ছাড়াও লিচু বিক্রি করে ন্যায্য মূল্য পেয়ে খুশি চাষিরা। প্রকার ভেদে বাগান থেকে ১০০ লিচু বিক্রি হচ্ছে ২৫০-৩০০ টাকা দরে।
উপজেলা সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, এ বছর তীব্র খরা ও অনাবৃষ্টির কারণে কিছু কিছু বাগানে ফলন কম হলেও উৎকৃষ্ট লিচু উৎপাদনে কৃষি বিভাগ থেকে চাষিদের সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হচ্ছে।
আখাউড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহানা আক্তার জানান, এ বছর উপজেলায় ৭৫ হেক্টর জমিসহ বসতবাড়িতে লিচুগাছ রয়েছে। গত বছর ৩৪০ মেট্রিক টন লিচু উৎপাদন হয়েছিল। কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা না দিলে ভালো লিচু ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।
বাগানে গাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে লিচু। রসালো, সুমিষ্ট এ ফলের ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে প্রতিদিনই দূর-দুরান্ত থেকে বাগান দেখতে আসছেন দর্শনার্থীরা। প্রিয়জনদের সঙ্গে নিয়ে তুলছেন ছবি। অনেকে আবার ফেরার সময় কিনে নিয়ে যাচ্ছেন লিচু। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সীমান্তবর্তী উপজেলা আখাউড়ায় লিচু বাগানের চিত্র এটি।
যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাইকার এসে আখাউড়া থেকে লিচু নিয়ে যাচ্ছেন। স্থানীভাবে চাহিদা মিটিয়ে এসব লিচু যাচ্ছে দেশের অন্যান্য জেলায়। এখানকার লিচুর স্বাদের সুনাম ছড়িয়ে পড়ায় জেলা ছাড়াও রাজধানী ঢাকা থেকেও পরিবার পরিজন নিয়ে বাগান ঘুরতে আসছেন দর্শনার্থীরা।
ঢাকা থেকে আসা পর্যটক এইচ এম নাহিয়ান বলেন, ‘গণমাধ্যম ও ফেসবুকে লিচুর ছবি, নিউজ দেখে পরিবার নিয়ে এখানে এসেছি। সরেজমিনে এসে দেখি বাগানগুলোতে থোকায় থোকায় লিচু ঝুলছে। দর্শনার্থীদের ভিড় বাগানগুলোতে, অনেকে আবার ছবিও তুলছেন। এখানের লিচু অনেক স্বাদ ও মিষ্টি।
লিচু বাগানী মো. মনির হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘প্রতিদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও আশপাশের উপজেলা, জেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে থেকে দর্শনার্থীরা আমার বাগানে ঘুরতে আসেন। ঢাকা, হবিগঞ্জ, নরসিংদী, ভৈরব, আশুগঞ্জ, এসব এলাকা থেকেও আমার বাগানে মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকার নিয়ে আসেন দর্শনার্থী। আমি চেষ্টা করি তাঁদের সর্বাত্মক আতিথেয়তা দেওয়ার জন্য।’
মো. মনির হোসেন চৌধুরী আরও বলেন, দর্শনার্থীরা বাগানে এসে ঘুরে দেখেন। অনেকে ছবি তোলেন, আবার ফেরার পথে লিচু কিনে নিয়ে যান।
এদিকে এখন বাজারে পুরোদমে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন জাতের লিচু। দাম হাতের নাগালের মধ্যে থাকায় খুশি বাগান মালিক ও ক্রেতারা। সেই সঙ্গে বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধির পাশাপাশি বেশ চাহিদাও বেড়েছে। বেড়েছে বেচা-কেনাও।
উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের তথ্য মতে, চলতি বছর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার লিচুর বাম্পার ফলন হয়েছ। চলতি মৌসুমে প্রায় ৭৫ হেক্টর জমিতে লিচু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছ। লিচু চাষের জন্য এ অঞ্চলের আবহাওয়া উপযোগী এ কারণে ফলন হয় ভালো।
কৃষি কার্যালয় ও চাষিদের থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, উপজেলায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে লিচুর চাষ শুরু হয় দুই যুগ আগে। উপজেলার সীমান্তঘেঁষা মনিয়ন্দ, আখাউড়া উত্তর ও দক্ষিণ ইউনিয়নের ধর্মনগর, কর্মমঠ, রাজমঙ্গলপুর, নোয়ামুড়া, ঘাগুটিয়া, শিবনগর, খারকোট, মিনারকোটসহ আখাউড়ায় প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রামে লিচুর চাষ হয়ে থাকে।
এ উপজেলায় উৎপাদিত লিচুর মধ্যে পাটনাই, বোম্বাই, এলাচি, চায়না-২, চায়না-৩, বেদানা ও স্থানীয় জাতের লিচু রয়েছে। এখানকার মাটি লিচু চাষের উপযোগী হওয়ায় চলতি মৌসুমে লিচুর ভালো ফলন হয়েছে। লিচু বেশ মাংসল রসালো ও সুমিষ্ট হওয়ায় জেলার বাইরেও বেশ কদর রয়েছে। এ ছাড়াও লিচু বিক্রি করে ন্যায্য মূল্য পেয়ে খুশি চাষিরা। প্রকার ভেদে বাগান থেকে ১০০ লিচু বিক্রি হচ্ছে ২৫০-৩০০ টাকা দরে।
উপজেলা সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, এ বছর তীব্র খরা ও অনাবৃষ্টির কারণে কিছু কিছু বাগানে ফলন কম হলেও উৎকৃষ্ট লিচু উৎপাদনে কৃষি বিভাগ থেকে চাষিদের সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হচ্ছে।
আখাউড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহানা আক্তার জানান, এ বছর উপজেলায় ৭৫ হেক্টর জমিসহ বসতবাড়িতে লিচুগাছ রয়েছে। গত বছর ৩৪০ মেট্রিক টন লিচু উৎপাদন হয়েছিল। কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা না দিলে ভালো লিচু ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।
চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতুতে ঢাকাগামী একটি ট্রেনের সঙ্গে সিএনজি চালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে অন্তত তিনজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে একজনের পরিচয় জানা গেছে। তাঁর নাম তুষার, তিনি দুর্ঘটনাকবলিত অটোরিকশার চালক।
১ সেকেন্ড আগেসৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আগামীকাল শুক্রবার দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও আশপাশের জেলার শতাধিক গ্রামে ঈদুল আজহা উদ্যাপন করা হবে। জেলার সাতকানিয়া উপজেলার মির্জাখীল দরবার শরিফের অনুসারীরা হানাফি মাজহাবের অনুসরণ করে হজের পরের দিন ঈদুল আজহা পালন করে থাকেন।
৪ ঘণ্টা আগেসভায় যোগ দিতে সরকারি গাড়িতেই রাজশাহী এসেছিলেন নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হা-মীম তাবাসসুম প্রভা। সভা শেষ করে সোজা হাটে গিয়ে তিনি কোরবানির গরু কিনেছেন। তারপর সেই সরকারি গাড়িতেই তুলে নিয়ে গেছেন গরু। আজ বৃহস্পতিবার এই ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা দেখা দিয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেঈদুল আজহাকে সামনে রেখে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পশুর হাট বসেছে। রাজধানীর ২১টি স্থানে ছড়িয়ে থাকা এসব পশুর হাটে আজ ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে জমে উঠেছে বেচাকেনা। আজ বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সকাল থেকে হাটগুলোতে প্রচণ্ড ভিড় লক্ষ করা গেছে। অফিস-আদালতের ছুটি শুরু হওয়ায় রাজধানীর বিভিন্ন স্থানের পশুর
৪ ঘণ্টা আগে