Ajker Patrika

আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে পরীক্ষার আগের রাতে প্রবেশপত্র পেল শিক্ষার্থী

রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ২২: ৫১
Thumbnail image

শেষ পর্যন্ত এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পেরেছে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. রায়হান হোসেন। গতকাল শনিবার রাতে তিনি প্রবেশপত্র হাতে পেয়ে আজ রামগঞ্জ এম ইউ সরকারি উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর আগে সে পরীক্ষার প্রবেশপত্র না পেয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষকে দোষারোপ করে নিজের ফেসবুকে আইডিতে ‘আত্মহত্যার হুমকি’ দিয়ে একটি স্ট্যাটাস দেয়। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে হাবীবা মীরা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওই ছাত্রের বিষয়টি শোনার পরে আমি বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা আমাদের বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দেয়। পরে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বোর্ডে গিয়ে প্রবেশপত্র নিয়ে আসে। এমন ভুল যেন না হয়, তাদের সতর্ক করা হয়েছে।’

জানা যায়, তিন মাস আগে ফরম পূরণের নির্ধারিত টাকা পরিশোধ করেন লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উচ্চবিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থী মো. রায়হান। গত বৃহস্পতিবার প্রবেশপত্র আনতে গিয়ে জানতে পারে তার নামে কোনো প্রবেশপত্র বোর্ড থেকে আসেনি। মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে সে। 

পরে জানাতে পারে, তার ফরমটি কোনো কারণে সঠিকভাবে পূরণ করা হয়নি। বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরাও তাকে পরের বছর পরীক্ষা দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে সান্ত্বনা দেন। কিন্তু বিষয়টি মানতে না পেরে ওই দিন (বৃহস্পতিবার) রাতে স্কুল কর্তৃপক্ষকে দোষারোপ করে সে ফেসবুকে ‘আত্মহত্যার হুমকি’ দিয়ে একটি স্ট্যাটাস দেয়। 

বিষয়টি (শুক্রবার) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ হলে উপজেলা প্রশাসনের দৃষ্টিগোচর হয়। নড়েচড়ে বসে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ইউএনওর সঙ্গে যোগাযোগ করে গতকাল সকালে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ অন্য শিক্ষকেরা ছুটে যান কুমিল্লা বোর্ডে। পরে বিকেল সাড়ে চারটায় রায়হান তার প্রবেশপত্র প্রাপ্তির বিষয়ে নিশ্চিত হয়। 

মো. রায়হান হোসেন বলে, ‘অজ্ঞাত কারণে আমার ফরম পূরণ হয়নি এবং প্রবেশপত্র আসেনি শুনে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ি। প্রবেশপত্র না পাওয়ায় আমার পরীক্ষা দেওয়াটা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। আমি বাধ্য হয়ে ফেসবুকে “আত্মহত্যা”র সিদ্ধান্ত নিয়ে স্ট্যাটাস দিলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাড়া পড়ে। ঘটনাটি জানতে পেরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমাকে আশ্বস্ত করেন।’ 

রায়হান আরও বলে, ‘এরপর উপজেলা প্রশাসন এবং বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় পরীক্ষার আগের দিন রাতে আমার প্রবেশপত্র পেয়েছি। আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আজকে আমি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছি। পরীক্ষা ভালো হয়েছে।’ 

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শোহরাব হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কী কারণে ছেলেটির ফরম পূরণ হয়নি, তা আমাদের বোধগম্য নয়। যা-ই হোক শেষ পর্যন্ত পরীক্ষার আগের দিন প্রবেশপত্র হাতে পেয়েছি। শুকরিয়া।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত