Ajker Patrika

চট্টগ্রামে বিএনপির দুপক্ষে সংঘর্ষ: বিএনপি ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা বহিষ্কার

 নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ২৩: ৪৯
চট্টগ্রামে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষে প্রতিপক্ষকে লক্ষ্য করে কাপড় মোড়ানো অস্ত্র দিয়ে গুলি করে এক যুবক। ছবি: সংগৃহীত
চট্টগ্রামে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষে প্রতিপক্ষকে লক্ষ্য করে কাপড় মোড়ানো অস্ত্র দিয়ে গুলি করে এক যুবক। ছবি: সংগৃহীত

আধিপত্য বিস্তার নিয়ে চট্টগ্রামে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে ছুরিকাঘাতে দুজন আহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার নগরীর খুলশী সেগুনবাগান এলাকায় এই সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষে এক যুবককে প্রতিপক্ষকে লক্ষ্য করে কাপড় মোড়ানো একটি রাইফেল দিয়ে গুলি করতে দেখা যায়। গুলিবর্ষণের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়দের ধারণা, ওই যুবকের ব্যবহৃত অস্ত্রটি গত ৫ আগস্ট অভ্যুত্থানে থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র হতে পারে।

অভিযোগ রয়েছে, এলাকায় একটি জুয়ার বোর্ড বসানো নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। জুয়ার বোর্ডের পাশাপাশি রেলের জায়গা দখল, চাঁদাবাজিসহ এলাকার আধিপত্য নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে দুটি পক্ষ।

জানতে চাইলে খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুজিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে দুজন আহত হয়েছেন। ঘটনার পর সেখানে সেনাবাহিনী ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনার সময় অস্ত্র হাতে সেই যুবককে আমরা শনাক্ত করার চেষ্টা করছি।’

এদিকে ঘটনার পর রাতেই খুলশী থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ আলমকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সংগঠনের চট্টগ্রাম মহানগরের দপ্তরের দায়িত্বে থাকা এম আবু বকর রাজু স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এই কথা জানানো হয়।

চট্টগ্রামে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষের পর পুলিশের গ্রেপ্তার অভিযান। ছবি: সংগৃহীত
চট্টগ্রামে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষের পর পুলিশের গ্রেপ্তার অভিযান। ছবি: সংগৃহীত

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগে শাহ আলমকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ দলীয় সকল পদ থেকে বহিষ্কার করা হলো। স্বেচ্ছাসেবক দলের মহানগরের সভাপতি এইচ এম রাশেদ ও সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন।

অপরদিকে আজ রোববার বহিষ্কার হয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এস কে খোদা তোতন। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বহিষ্কারাদেশে বলা হয়েছে, এস খোদা তোতনের বিরুদ্ধে দখল, সন্ত্রাস, ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং দলের নীতি ও আদর্শের পরপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগ রয়েছে। এতে তাঁকে দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কারের কথা বলা হয়েছে।

চট্টগ্রামে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষের পর পুলিশের গ্রেপ্তার অভিযান। ছবি: সংগৃহীত
চট্টগ্রামে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষের পর পুলিশের গ্রেপ্তার অভিযান। ছবি: সংগৃহীত

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে এস কে খোদা তোতন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শনিবার সারা দিন আমি রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ছিলাম। রাতে ফ্রি হাওয়ার পর জানতে পারি এলাকায় ঝামেলা হয়েছিল। ওই ঘটনার সঙ্গে আমি কোনোভাবে সম্পৃক্ত ছিলাম না। আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে সে ক্ষেত্রে আত্মপক্ষের সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়নি। আমার বিরুদ্ধে কেউ কোনো চাঁদাবাজি–দখলবাজির অভিযোগ দিতে পারবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘অভিযোগের বিষয়ে যদি আমাকে বলা হতো, তাহলে আমি এর জবাব দিতে পারতাম। এরপরও কেন্দ্র যেহেতু সিদ্ধান্ত নিয়েছে এটা মাথা পেতে নিতে হবে। তবে আমি বলবে, আমি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রশিক্ষণ ছাড়াই মাঠে ৪২৬ সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা

গ্রাহকের ২,৬৩৫ কোটি টাকা দিচ্ছে না ৪৬ বিমা কোম্পানি

১০০ বছর পর জানা গেল ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত