Ajker Patrika

প্রস্রাবে বাধা দেওয়ার জেরে নৈশ প্রহরীকে খুন, গ্রেপ্তার ৪ 

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
প্রস্রাবে বাধা দেওয়ার জেরে নৈশ প্রহরীকে খুন, গ্রেপ্তার ৪ 

চট্টগ্রামের হালিশহরে প্রস্রাবে বাধা দেওয়ার জেরে ছুরিকাঘাতে নৈশ প্রহরী আজাদুর রহমান আজাদকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার এজাহারনামীয় এক আসামিসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। আজ সোমবার তাঁদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‍্যাব-৭ মুখপাত্র সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নুরুল আবছার। 

গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা হলেন আবু তাহের রাজীব (২৩), দেলোয়ার হোসেন জয় (২৭), মো. রায়হান সজীব (২২) ও আবুল হাসনাত রানা (৩০)। এদের মধ্যে আবু তাহের রাজীব এজাহারনামীয় আসামি। 

জানা গেছে, অভিযুক্তরা সবাই এলাকায় আওয়ামী লীগের সমর্থক হিসেবে পরিচিত। গতকাল রোববার ভোরে নগরীর পাহাড়তলী থানার হালিশহর নয়াবাজার বিশ্বরোড এলাকায় আজাদকে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে তাঁকে গুরুতর অবস্থায় চমেক হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এ ঘটনায় গতকাল রোববার রাতে নিহতের স্ত্রী নাজমা আক্তার বাদী হয়ে চারজনের নামে ও অজ্ঞাতনামা ৩-৪ জনকে আসামি করে মামলা করেন। 

র‍্যাব কর্মকর্তা নুরুল আবছার বলেন, নিহত আজাদের ভাই নগরীর বৌবাজার (নয়াবাজারের পার্শ্ববর্তী) এলাকার একটি খালি জায়গার (বাউন্ডারি দেয়া) কেয়ারটেকার। গত শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে কারখানার গেইটের সামনে কয়েকজন দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে নিহত নৈশ প্রহরীর বড় ভাই মফিজুর রহমান মফিজ তাঁদের বাধা দেন। 

এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উক্ত ব্যক্তিরা মফিজকে বলে-এটা সরকারি জায়গা তুই বাধা দেওয়ার কে? একপর্যায়ে আসামি আবু তাহের রাজীব, ওসমান, আবুল হাসানসহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের সঙ্গে মফিজের বাকবিতন্ডা হয়। পরে ঘটনাস্থলে যায় আজাদুর রহমান আজাদ। একপর্যায়ে উভয়ের মধ্যে কথা-কাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কি হয়। পরবর্তীতে আসামিরা তাঁদের দেখে নিবে বলে হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। 

পরদিন গতকাল রোববার ভোরে আজাদ নাশতা আনতে বাসা থেকে বের হন। নয়াবাজার বিশ্বরোডের মুখে তাঁকে একা পেয়ে কয়েকজন ছুরিকাঘাত করে চলে যায়। পরে আজাদ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। 

নুরুল আবছার আরও বলেন, ওই ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় আসামিরা গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে থাকে। র‍্যাব পলাতক আসামিদের ধরতে ছায়া তদন্ত শুরু করে। 

রাঙ্গামাটি জেলা সদরে একটি আবাসিক হোটেলে এই মামলার কয়েকজন আসামি আত্মগোপনে থাকার তথ্য পাওয়া যায়। পরে র‍্যাব তাৎক্ষণিক সেখানে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। তাঁদের দেওয়া তথ্যমতে নগরীর কদমতলী বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

গ্রেপ্তার আসামিরা সবাই ওই হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত ছিল বলে র‍্যাবের কাছে স্বীকার করেছেন। আসামিদের পাহাড়তলী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুস্তাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত