Ajker Patrika

গ্যাস সংকটে উৎপাদন বন্ধ ৩ কারখানার, দুই বছরে গায়েব আমদানির লাখ টন সার

আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২২: ১০
গ্যাস সংকটে উৎপাদন বন্ধ ৩ কারখানার, দুই বছরে গায়েব আমদানির লাখ টন সার

গ্যাস সংকটে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) অধীনে থাকা তিনটি ইউরিয়া সার কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। সবশেষ এ তালিকায় যোগ হয়েছে যমুনা ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (জেএফসিএল)। ইউরিয়া সার উৎপাদনে এখন শুধু শাহজালাল কোম্পানি লিমিটেড কারখানা (এসএফসিএল) চালু রয়েছে। কবে নাগাদ বন্ধ কারখানাগুলো চালু হবে তা বলতে পারছেন না সংশ্লিষ্টরা। 

এর মধ্যে পরিবহনের পথেই গায়েব হয়ে যাচ্ছে আমদানি করা সার। দুই বছরের লাখ টনের বেশি সার খোয়া গেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। এসব ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্ত করছে। 

গত বছরের নভেম্বরে চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড (সিইউএফএল) এবং চলতি বছরের মার্চে আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজার অ্যান্ড কেমিক্যাল কোম্পানি লিমিটেড (এএফসিসিএল) বন্ধ হয়। সর্বশেষ গত সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) যমুনা সার কারখানায় ইউরিয়া এবং মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) থেকে অ্যামোনিয়া উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। 

যমুনা সার কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহীদুল্লাহ খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, গ্যাস সংকটের কারণেই কারখানা বন্ধ হয়েছে। তবে কখন চালু হবে স্পষ্ট করে বলতে পারেননি। নভেম্বর-ডিসেম্বরের দিকে কারখানা চালুর বিষয়ে চেষ্টা করার কথা জানান এই কর্মকর্তা। 

আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজার অ্যান্ড কেমিক্যাল কোম্পানি লিমিটেড (এএফসিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুনীল চন্দ্র দাশ বলেন, ‘মার্চ মাস থেকে গ্যাস সংকটের কারণে সার উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। কখন আবার চালু হবে ঠিক বলা যাচ্ছে না।’ 

এদিকে বহুজাতিক কারখানায় নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করতে কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো) থেকে ডলারে কেনা হয় সার। আবার ডলার সংকটের সময়েও বিদেশ থেকে আমদানি করা হচ্ছে সার। সেই সার পথেই গায়েব করে ফেলছে অসাধু চক্র। 

গত দুই বছরে প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকার ১ লাখ ৩৮ হাজার ৬৭৫ টন আমদানি করা সরকারি সার পরিবহনকালে গায়েবের অভিযোগ রয়েছে দুটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। 

সরকারি সংস্থা বিসিআইসি সূত্র জানায়, ২০২১-২২ অর্থবছরে সরকারিভাবে আমদানি করা ৭১ হাজার ৮০১ টন রাসায়নিক সার বন্দর থেকে খালাসের পর গুদামে নেওয়া হয়নি। সার আত্মসাতের এই অভিযোগ রয়েছে সাবেক সংসদ সদস্য কামরুল আশরাফ খানের (পোটন) ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স পোটন ট্রেডার্সের বিরুদ্ধে। এতে সরকারের ক্ষতি হয়েছে ৫৮১ কোটি ৫৮ লাখ ৯ হাজার ৬৪ টাকা। 

এ ঘটনায় দুদকের অনুসন্ধান চলছে। এ জন্য বিসিআইসির ক্রয় বিভাগ ও বিপণন বিভাগ থেকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স পোটন ট্রেডার্সকে ৪৩ বার পত্র দিয়ে উপযুক্ত সাড়া পায়নি। 

এ বিষয়ে পোটন ট্রেডার্সের ম্যানেজার মেহেদী হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ বিষয়ে হাইকোর্টে রিট রয়েছে। আমরা কোনো কথা বলতে পারব না।’ এ ছাড়া এ বিষয়ে কেউ লিখতেও পারবে না বলে জানান এই কর্মকর্তা। 

দুদক অনুসন্ধান দলের প্রধান উপপরিচালক মো. রফিকুজ্জামান জানান, মেসার্স পোটন ট্রেডার্স সার আত্মসাতের অনুসন্ধান শেষ পর্যায়ে। আগামী সপ্তাহে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। 

অন্য প্রতিষ্ঠান মেসার্স নবাব অ্যান্ড কোম্পানি সরকারি আমদানি করা ৬৬ হাজার ৮৭৪ টন ইউরিয়া সার বুঝিয়ে দিচ্ছে না। ৬১৯ কোটি টাকার সার আত্মসাতের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির মালিক নবাব খানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে সার উৎপাদন ও আমদানিকারক সরকারি প্রতিষ্ঠান বিসিআইসি। গত বছর ২৩ ডিসেম্বর রাজধানীর মতিঝিল থানায় এ মামলা করেন বিসিআইসির উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম বাণিজ্যিক) মো. সাইফুল আলম। 

এ বিষয়ে মেসার্স নবাব অ্যান্ড কোম্পানির মালিক মো. নবাব খান বলেন, ‘বিসিআইসি আমার কাছ থেকে সারগুলো গ্রহণ না করে মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। আমি সার আত্মসাৎ করিনি।’ 

দুটি প্রতিষ্ঠান সার আত্মসাতের ব্যাপারে বিসিআইসির চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মেসার্স পোটন ট্রেডার্সের বিরুদ্ধে আমরা তদন্ত করে দুদকে প্রতিবেদন জমা দিয়েছি এবং পাওনা আদায়ে একটি মানি স্যুট মামলা করা হয়েছে। মেসার্স নবাব অ্যান্ড কোম্পানির মামলাটি কোনো পর্যায়ে আছে আমার জানা নাই।’ 
 
এদিকে সার সংকটে চাহিদা পূরণে অতিরিক্ত সার আমদানি করতে হবে বলেন জানান বিসিআইসির চেয়ারম্যান। 

সার কারখানায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ প্রসঙ্গে জানতে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকারকে একাধিকবার ফোন কল করা হলেও তিনি জবাব দেননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঘুষ হিসেবে পাকা কলা নেওয়ার কথা স্বীকার, দুদকের গণশুনানিতে তাৎক্ষণিক বদলির আদেশ

­যশোর প্রতিনিধি
ঘুষ হিসেবে পাকা কলা নেওয়ার কথা স্বীকার, দুদকের গণশুনানিতে তাৎক্ষণিক বদলির আদেশ

কাজ করে দিতে পাকা কলা ঘুষ নেওয়ার কথা স্বীকার করায় যশোর জেলা পরিষদের উচ্চমান সহকারী আলমগীর হোসেনকে বদলির আদেশ দিয়েছে দুদক।

আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) যশোরে গণশুনানি চলাকালে দুদক কমিশনার মিঞা মুহাম্মদ আলী আকবার আজিজী এই আদেশ দেন। অবশ্য অভিযোগকারী রুস্তম আলীর দাবি, তাঁর কাছ থেকে পাকা কলা ছাড়াও ১০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছেন আলমগীর হোসেন। এরপর আরও ৬ লাখ টাকা দাবি করেছিলেন, যা না দেওয়ায় জেলা পরিষদের জমির ডিসিআর অন্যকে দিয়ে দেন ওই কর্মকর্তা।

‘রুখব দুর্নীতি, গড়ব দেশ; হবে সোনার বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ গণশুনানি আজ যশোর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুনানিতে প্রধান অতিথি দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ড. আবদুল মোমেন বলেন, ‘যতই দিন যাচ্ছে, ততই দুর্নীতি বাড়ছে। দুর্নীতির ধরন চেঞ্জ হচ্ছে। মানুষ পারাপার করেও টাকা আদায় করা যায়, দুর্নীতি করা যায়—এই যশোরে এসে নতুন দুর্নীতির ধরন শুনলাম। স্বৈরাচারের দোসর হোক, মামলার আসামি হোক—তারা যশোরের রাজনীতির এলিটদের মাধ্যমে ভারতে পার হচ্ছে। এটা যদি হয়, তাহলে রাষ্ট্রের প্রত্যাশা বিঘ্নিত হবে।’

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে, সেটা খেয়াল রাখতে হবে। দুদক দুর্নীতি একেবারে নির্মূল করতে পারবে—এটা প্রত্যাশিত নয়, তবে কমানো যাবে। আমরা শুনানির মাধ্যমে জনগণকে কর্মকর্তাদের মুখোমুখি করে দিচ্ছি না। আমি দুই পক্ষের মধ্যে সম্পৃক্ততা তৈরি করছি। এতে দুর্নীতি কমানো সম্ভব হবে।’

দুর্নীতির কারণেই বিগত সরকারের পতন হয়েছে মন্তব্য করেন দুদক চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘সামনে নির্বাচন, সুষ্ঠু ও আনন্দঘন পরিবেশে নির্বাচন হবে, সেটায় সবার নিজ নিজ জায়গা থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। দেশটাকে ভালো রাখতে সৎ প্রার্থীকে বাছাই করতে হবে। আমরা যদি ১৫ বছরের ইতিহাস দেখি, সরকারের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছিল দুর্নীতি। বিগত সরকারের এই অবস্থা হওয়ার পেছনে ছিল দুর্নীতি। ফলে দুর্নীতিগ্রস্তকে বেছে নেবেন না। সেটিই হবে রাষ্ট্রের প্রতি সুবিচার। এই যশোর থেকে ন্যায়ের ও দুর্নীতিমুক্ত যাত্রাটা শুরু হবে।’

জেলা প্রশাসন ও জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সহযোগিতায় দুর্নীতি দমন কমিশন যশোরের আয়োজনে এ গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে বিশেষ অতিথি ছিলেন মিঞা মুহাম্মদ আলী আকবার আজিজী। শুনানি মডারেটর করেন জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম। শুনানিতে জেলার সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ৩৭টি দপ্তরের ৭৫টি অভিযোগের ওপর শুনানি গ্রহণ করা হয়। শুনানি শেষে কিছু বিষয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহণ ও কিছু বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন দুদক চেয়ারম্যান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিলেট চেম্বারের নির্বাচন স্থগিত করল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়

সিলেট প্রতিনিধি
আপডেট : ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১৭: ৩৬
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাচন স্থগিত করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। আজ রোববার মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য সংগঠন-১ শাখার উপসচিব চৌধুরী সামিয়া ইয়াসমিন স্বাক্ষরিত চিঠিতে নির্বাচন স্থগিতের বিষয়টি জানানো হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রশাসক সাঈদা পারভীন জানান, কয়েকজনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার জন্য এটি স্থগিত করা হয়।

মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও পুনঃতফসিলের মাধ্যমে দুই বছর মেয়াদি (২০২৫-২৬) পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনের ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

এর আগে আগামী ১ নভেম্বর সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। এর মধ্যে প্রার্থী বাছাইসহ নির্বাচনের সব ধরনের প্রস্তুতি ইতিমধ্যে শেষ হয়েছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বরিশালে গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণের দায়ে ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
আপডেট : ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১৭: ১৩
বরিশাল নগরীতে গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামিকে আদালত থেকে কারাগারে নিয়ে যায় পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
বরিশাল নগরীতে গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামিকে আদালত থেকে কারাগারে নিয়ে যায় পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

বরিশাল নগরীতে এক গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণের দায়ে ৪ জনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. রাকিবুল ইসলাম আজ রোববার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন নগরীর ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের রাসেল গাজী (৪৫), মো. রোকন খান (৩৩), রাজিব জমাদ্দার (৩৫) ও জাহিদ হাওলাদার (৩৬)।

ট্রাইব্যুনালের পেশকার অজিবর রহমান জানান, রায় ঘোষণার সময় রাসেল, রাজিব ও জাহিদ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামি রোকন খান মামলার বিচার চলাকালে জামিনে মুক্তি পেয়ে পলাতক রয়েছেন।

অজিবর রহমান আরও জানান, ধর্ষণের ঘটনার পর গ্রেপ্তার এই চার আসামি অপরাধ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছিলেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৮-১০ জনকে আসামি করা হয়েছিল। তবে পুলিশ তদন্ত শেষে এজাহারভুক্ত ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।

মামলার অভিযোগপত্র সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর সন্ধ্যার দিকে নগরের একটি এলাকায় এই দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। তখন গৃহবধূর বয়স ছিল ১৮ বছর। প্রথমে ৯ নভেম্বর ঘরে ঢুকে রাসেল গাজী তাঁকে ধর্ষণচেষ্টা করেন। এর পরদিন ওই নারী বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়িতে যাওয়ার জন্য অটোরিকশায় ওঠেন। চালক তাঁকে নিয়ে ভুল পথে রওনা দেন। একপর্যায়ে আসামিরা মোটরসাইকেলে তাঁর পিছু নেন এবং নির্জন স্থানে পৌঁছে গৃহবধূকে অটোরিকশা থেকে নামিয়ে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ করে পালিয়ে যান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

টেকনাফের গহিন পাহাড় থেকে উদ্ধার ৫ নারী ও শিশু, মানব পাচারকারী আটক

 টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
অভিযানে আটক ব্যক্তি। ছবি: আজকের পত্রিকা
অভিযানে আটক ব্যক্তি। ছবি: আজকের পত্রিকা

কক্সবাজারের টেকনাফের হাবিরছড়াসংলগ্ন গহিন পাহাড়ি এলাকা থেকে চার নারী ও এক শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনী যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করে। এ সময় মানব পাচারকারী অভিযোগে একজনকে আটক করা হয়েছে। আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে কোস্ট গার্ডের টেকনাফ স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সালাউদ্দিন রশিদ তানভীর এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

আটক পাচারকারী টেকনাফ সদর ইউনিয়নের হাবিবছড়া ১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে মোহাম্মদ হাসান (৫৫)।

কোস্ট গার্ড কর্মকর্তা সালাউদ্দিন রশিদ বলেন, আটক পাচারকারীর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জানা গেছে, সাগরপথে মালয়েশিয়া পাঠানোর উদ্দেশ্যে নারী-শিশুসহ কয়েকজনকে হাবিরছড়ার পাহাড়ি এলাকায় বন্দী করে রাখা হয়েছিল। গতকাল দিবাগত রাত ২টার দিকে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর একটি বিশেষ দল যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে পাচারকারীদের গোপন আস্তানা থেকে চার নারী, এক শিশুসহ পাঁচজন ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার ব্যক্তিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, সংঘবদ্ধ মানব পাচারকারী চক্র উন্নত জীবনের স্বপ্ন, উচ্চ বেতনের চাকরি ও অল্প খরচে বিদেশে পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে টেকনাফসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা নাগরিকদের মালয়েশিয়া পাচারের ফাঁদে ফেলে। পাচারের আগে তাদের পাহাড়ি এলাকায় বন্দী রেখে নির্যাতন ও মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা করা হতো।

উদ্ধার ব্যক্তিদের ও আটক মানব পাচারকারীর বিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে কোস্ট গার্ড।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত