Ajker Patrika

কাপ্তাই হ্রদে বাড়ছে পানি, ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দী

রাঙামাটি প্রতিনিধি
আপডেট : ২৬ আগস্ট ২০২৪, ২৩: ০৮
Thumbnail image

ভারতের মিজোরাম ও খাগড়াছড়ির বন্যার পানি নেমে আসায় রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়েছে। পানিতে হ্রদের তীরবর্তী ১০ হাজারের অধিক বাড়িঘর প্লাবিত হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে লাখো মানুষ।

এর আগে কাপ্তাই বাঁধে পানির চাপ কমাতে কর্ণফুলী পানিবিদ্যুৎকেন্দ্র কর্তৃপক্ষ স্পিলওয়ের ১৬টি গেট দিয়ে ৬ ইঞ্চি করে পানি ছেড়ে দিলেও তা কমছে না। বর্তমানে ১০৮.৮৭ ফুট এমএসএল পানি রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এ টি এম আবদুজ্জাহের।

প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, জেলার লংগদু, জুরাছড়ি উপজেলাসহ কয়েকটি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে ১২টি ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।

আজ সোমবার পৌর এলাকার শান্তিনগর, আসামবস্তি, রাঙ্গাপানির লুম্বিনী, হাসপাতাল এলাকা, হ্যাচারি, কৃষি অফিস-সংলগ্ন ট্রাইবেল আদাম, গর্জনতলী, কাঁঠালতলী, কল্যাণপুর, রাজদ্বীপ, ট্রাক টার্মিনালসহ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, হ্রদে পানি বাড়ায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে ঘরবাড়ি ডুবে গেছে। জলাবদ্ধতার কারণে লুম্বিনী সড়ক ডুবে গেছে ও আসামবস্তি-ভেভেদী সড়কের আংশিক পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।

লুম্বিনী এলাকার বাসিন্দা শ্যামল চাকমা, রিপন চাকমাসহ অনেকে জানান, হ্রদের পানি বেড়ে যাওয়ায় এই এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে কয়েকটি বাড়ি ডুবে গেছে। লুম্বিনী সড়কটি পানিতে ডুবে যাওয়ায় লোকজন নৌকা নিয়ে পারাপার হচ্ছে। এতে দুর্ভোগ বেড়ে গেছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো সংস্থা থেকে তারা ত্রাণ পায়নি।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সহকারী শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ ইকরাম উল্লাহ চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বন্যায় জেলার ১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি উঠে গেছে। এসব স্কুলে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। এ ছাড়া ভারী বৃষ্টির কারণে পুরো জেলায় ১০টির অধিক বিদ্যালয়ে পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছে।’

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বলেন, ‘হ্রদের পানির উচ্চতা কমানোর লক্ষ্যে বাঁধ থেকে পানি ছাড়া হচ্ছে। তবে পানি বৃদ্ধিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে কিছু ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট ডুবেছে। এ পর্যন্ত জেলায় ত্রাণ হিসেবে ১৫ টন খাদ্যশস্য বিতরণ করা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত