জমির উদ্দিন, চট্টগ্রাম

সরকারি নথিতে জায়গাটি উপকূলীয় বন বিভাগের। প্রায় ছয় দশক আগে নারকেলবাগান করার শর্তে জায়গাটি ২৫ বছরের জন্য ইজারা দিয়েছিল জেলা প্রশাসন। কিন্তু ইজারার শর্ত ভেঙে সেখানে শুরু হয় চিংড়ি ও লবণ চাষ। একপর্যায়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করে স্থায়ী বন্দোবস্তের চেষ্টাও করা হয়। এ নিয়ে দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে ২০১৭ সালে সর্বোচ্চ আদালত ইজারা বাতিলের রায় দেন।
কিন্তু বেদখল হওয়া সেই জমি রায়ের আট বছর আগেই ফের বেদখল হয়। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের এক বছর আগেই জাল দলিলে তা বিক্রি হয় সালমান এফ রহমানের ছেলের কাছে।
অভিযোগ উঠেছে, চট্টগ্রামের বাঁশখালীর ছনুয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদ প্রভাব খাটিয়ে উপকূলীয় বন বিভাগের ২০০ একর জমি ২০০৯ সালের ১ নভেম্বর দখল করেন। প্রায় ২ কোটি টাকার বাইন ও কেওড়াগাছ কেটে ফের শুরু হয় চিংড়িঘের ও লবণ চাষ। এর আগে জমিটি ছিল ফ্রেন্ডস ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন নামের একটি প্রতিষ্ঠানের দখলে। মাঝে অবশ্য উপকূলীয় বন বিভাগ কিছুদিনের জন্য জায়গার নিয়ন্ত্রণ পেয়েছিল। সে সময় ছনুয়া রেঞ্জের খুদুকখালী মৌজায় সাগরতীরের ওই জমিতে ২০০৭, ২০০৮ ও ২০০৯ সালে বিভিন্ন ধাপে ম্যানগ্রোভ বাগান তৈরি করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, হারুনুর রশীদ জমিটি দখল করার পর ২০০৯ সালেই বাঁশখালী থানায় মামলা হয়। এ নিয়ে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই চিংড়ি ও লবণ চাষ চলতে থাকে। এর জেরে ২০১১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি বন বিভাগ বাঁশখালী থানায় আবার মামলা করে।
২০১৬ সালের ১১ নভেম্বরে জাল বিএস খতিয়ান তৈরি করে ৯৯ একর জমি বিক্রি করে দেন ছনুয়া ইউপি চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদ ও সাবেক চেয়ারম্যান বশির আহমদের ছেলেরা। ওই দলিলে ৯ জনের স্বাক্ষর রয়েছে। ক্রেতার নাম রয়েছে এস্কর্প হোল্ডিংস লিমিটেডের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ সায়ান ফজলুর রহমান, বাবার নাম সালমান এফ রহমান। বিক্রেতা হিসেবে নাম রয়েছে ফ্রেন্ডস ইন্ডাস্ট্রিয়াল করপোরেশনের হাফেজা বেগমের। এ-সংক্রান্ত জমির দলির আজকের পত্রিকার হাতে রয়েছে।
এভাবে জাল দলিলে উপকূলীয় বন বিভাগের জমি বিক্রি করে দেওয়ার বিষয়টি পরে আদালতে ধরা পড়ে। আইনি লড়াইয়ে উপকূলীয় বন বিভাগ ও জেলা প্রশাসন ওই জমি ফিরে পেলেও এখনো দখলমুক্ত করতে পারেনি।
এ ব্যাপারে উপকূলীয় বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. বেলায়েত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বন বিভাগের ওই জায়গায় আমাদের পক্ষে হাইকোর্টের রায় আছে। লোক নিয়ে মারামারি করা আমাদের পক্ষে সম্ভব না। উচ্ছেদ অভিযান আমাদের কাজ নয়। উচ্ছেদ অভিযানের জন্য আমরা জেলা প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছি। চিঠির জবাব আমরা এখনো পাইনি।’
মামলার নথি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, উপকূলীয় বন বিভাগের ছনুয়া রেঞ্জের খুদুকখালী মৌজার খাস খতিয়ানভুক্ত ৯০ একর জমি নারকেলবাগান করার শর্তে ১৯৬৬ সালে জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে ২৫ বছরের জন্য ইজারা নেয় ফ্রেন্ডস ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন।
শীষ মোহাম্মদ ও বশির আহমদকে এই ইজারা দেওয়া হয়। কিন্তু নারকেলবাগান না করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ওই জমি লবণ চাষ, চিংড়িঘের এবং অন্যান্য কাজে ব্যবহার করেন। ইজারার শর্ত ভঙ্গ করায় জেলা প্রশাসন ১৯৬৭ সালে ইজারা বাতিল করে। এর বিরুদ্ধে ইজারাগ্রহীতারা ভূমি আপিল বোর্ডে যান। বোর্ড নারকেলবাগান করার নির্দেশ দিয়ে ইজারা বহাল রাখেন। এরপর ইজারা দেওয়া ও বাতিল নিয়ে বিভিন্ন সময় আইনি লড়াই চলতে থাকে। এর মধ্যেই ফ্রেন্ডস ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করে জমির স্থায়ী বন্দোবস্তের খতিয়ান তৈরি করে। এ নিয়ে জেলা প্রশাসন তদন্ত করে ১৯৮৭ সালে ভূমি মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠায়।
ভূমি মন্ত্রণালয় পরের বছর বিভাগীয় কমিশনারকে এক চিঠিতে জমির ইজারা বাতিল এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন বিভাগে অভিযোগ করার নির্দেশনা দেয়। আইনি লড়াইয়ের নানা ধাপ পেরিয়ে ২০১৭ সালের ২২ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ইজারা চুক্তি বাতিল করে রায় ঘোষণা করেন।
উপকূলীয় বন বিভাগ সূত্র বলেছে, আপিল বিভাগের আদেশ কার্যকর করার জন্য ২০১৮ সালের ১১ মার্চ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বরাবর চট্টগ্রাম উপকূলীয় বন বিভাগের পক্ষ থেকে চিঠি পাঠানো হয়। চিঠিতে ৯৯ একর জমি পুনরুদ্ধারের অনুরোধ জানানো হয়। ২৬ মার্চ জেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে জমির বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জানানোর জন্য একটি চিঠি বাঁশখালীর সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) পাঠানো হয়। তবে আজ পর্যন্ত সেই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
এদিকে গত ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর জমি দখলমুক্ত করতে উদ্যোগী হয় উপকূলীয় বন বিভাগ। ২৬ আগস্ট ওই জমি দখলমুক্ত ঘোষণা করে লাল পতাকা ওড়ায় বন বিভাগ। কিন্তু সেখানে বন বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকা অবস্থায়ই পতাকা ছিঁড়ে ফেলেন ছনুয়া ইউপির চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদের অনুগত হেফাজুল করিম, মফিজুল করিম ও শাহাদাত করিম নামের তিন ব্যক্তি।অভিযোগ প্রসঙ্গে জানার জন্য ছনুয়া ইউপি চেয়ারম্যান এম হারুনুর রশীদকে কল করা হলে তাঁর মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে আত্মগোপনে আছেন তিনি।
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেসমিন আক্তার বলেন, বেদখল থাকা বনভূমি উদ্ধারে জেলা প্রশাসন থেকে নির্দেশনা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. সাদি উর রহিম জাদিদ বলেন, ‘জেলা প্রশাসনে নতুন যোগ দিয়েছি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেব।’ তিনি বলেন, ‘আগের প্রশাসন কেন উচ্ছেদ করেনি, তা বলতে পারব না। যত বড় প্রভাবশালী হোক, আমরা সালমান এফ রহমানের দখলে থাকা অবৈধ জমিগুলো উদ্ধার করব।’

সরকারি নথিতে জায়গাটি উপকূলীয় বন বিভাগের। প্রায় ছয় দশক আগে নারকেলবাগান করার শর্তে জায়গাটি ২৫ বছরের জন্য ইজারা দিয়েছিল জেলা প্রশাসন। কিন্তু ইজারার শর্ত ভেঙে সেখানে শুরু হয় চিংড়ি ও লবণ চাষ। একপর্যায়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করে স্থায়ী বন্দোবস্তের চেষ্টাও করা হয়। এ নিয়ে দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে ২০১৭ সালে সর্বোচ্চ আদালত ইজারা বাতিলের রায় দেন।
কিন্তু বেদখল হওয়া সেই জমি রায়ের আট বছর আগেই ফের বেদখল হয়। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের এক বছর আগেই জাল দলিলে তা বিক্রি হয় সালমান এফ রহমানের ছেলের কাছে।
অভিযোগ উঠেছে, চট্টগ্রামের বাঁশখালীর ছনুয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদ প্রভাব খাটিয়ে উপকূলীয় বন বিভাগের ২০০ একর জমি ২০০৯ সালের ১ নভেম্বর দখল করেন। প্রায় ২ কোটি টাকার বাইন ও কেওড়াগাছ কেটে ফের শুরু হয় চিংড়িঘের ও লবণ চাষ। এর আগে জমিটি ছিল ফ্রেন্ডস ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন নামের একটি প্রতিষ্ঠানের দখলে। মাঝে অবশ্য উপকূলীয় বন বিভাগ কিছুদিনের জন্য জায়গার নিয়ন্ত্রণ পেয়েছিল। সে সময় ছনুয়া রেঞ্জের খুদুকখালী মৌজায় সাগরতীরের ওই জমিতে ২০০৭, ২০০৮ ও ২০০৯ সালে বিভিন্ন ধাপে ম্যানগ্রোভ বাগান তৈরি করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, হারুনুর রশীদ জমিটি দখল করার পর ২০০৯ সালেই বাঁশখালী থানায় মামলা হয়। এ নিয়ে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই চিংড়ি ও লবণ চাষ চলতে থাকে। এর জেরে ২০১১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি বন বিভাগ বাঁশখালী থানায় আবার মামলা করে।
২০১৬ সালের ১১ নভেম্বরে জাল বিএস খতিয়ান তৈরি করে ৯৯ একর জমি বিক্রি করে দেন ছনুয়া ইউপি চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদ ও সাবেক চেয়ারম্যান বশির আহমদের ছেলেরা। ওই দলিলে ৯ জনের স্বাক্ষর রয়েছে। ক্রেতার নাম রয়েছে এস্কর্প হোল্ডিংস লিমিটেডের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ সায়ান ফজলুর রহমান, বাবার নাম সালমান এফ রহমান। বিক্রেতা হিসেবে নাম রয়েছে ফ্রেন্ডস ইন্ডাস্ট্রিয়াল করপোরেশনের হাফেজা বেগমের। এ-সংক্রান্ত জমির দলির আজকের পত্রিকার হাতে রয়েছে।
এভাবে জাল দলিলে উপকূলীয় বন বিভাগের জমি বিক্রি করে দেওয়ার বিষয়টি পরে আদালতে ধরা পড়ে। আইনি লড়াইয়ে উপকূলীয় বন বিভাগ ও জেলা প্রশাসন ওই জমি ফিরে পেলেও এখনো দখলমুক্ত করতে পারেনি।
এ ব্যাপারে উপকূলীয় বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. বেলায়েত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বন বিভাগের ওই জায়গায় আমাদের পক্ষে হাইকোর্টের রায় আছে। লোক নিয়ে মারামারি করা আমাদের পক্ষে সম্ভব না। উচ্ছেদ অভিযান আমাদের কাজ নয়। উচ্ছেদ অভিযানের জন্য আমরা জেলা প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছি। চিঠির জবাব আমরা এখনো পাইনি।’
মামলার নথি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, উপকূলীয় বন বিভাগের ছনুয়া রেঞ্জের খুদুকখালী মৌজার খাস খতিয়ানভুক্ত ৯০ একর জমি নারকেলবাগান করার শর্তে ১৯৬৬ সালে জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে ২৫ বছরের জন্য ইজারা নেয় ফ্রেন্ডস ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন।
শীষ মোহাম্মদ ও বশির আহমদকে এই ইজারা দেওয়া হয়। কিন্তু নারকেলবাগান না করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ওই জমি লবণ চাষ, চিংড়িঘের এবং অন্যান্য কাজে ব্যবহার করেন। ইজারার শর্ত ভঙ্গ করায় জেলা প্রশাসন ১৯৬৭ সালে ইজারা বাতিল করে। এর বিরুদ্ধে ইজারাগ্রহীতারা ভূমি আপিল বোর্ডে যান। বোর্ড নারকেলবাগান করার নির্দেশ দিয়ে ইজারা বহাল রাখেন। এরপর ইজারা দেওয়া ও বাতিল নিয়ে বিভিন্ন সময় আইনি লড়াই চলতে থাকে। এর মধ্যেই ফ্রেন্ডস ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করে জমির স্থায়ী বন্দোবস্তের খতিয়ান তৈরি করে। এ নিয়ে জেলা প্রশাসন তদন্ত করে ১৯৮৭ সালে ভূমি মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠায়।
ভূমি মন্ত্রণালয় পরের বছর বিভাগীয় কমিশনারকে এক চিঠিতে জমির ইজারা বাতিল এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন বিভাগে অভিযোগ করার নির্দেশনা দেয়। আইনি লড়াইয়ের নানা ধাপ পেরিয়ে ২০১৭ সালের ২২ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ইজারা চুক্তি বাতিল করে রায় ঘোষণা করেন।
উপকূলীয় বন বিভাগ সূত্র বলেছে, আপিল বিভাগের আদেশ কার্যকর করার জন্য ২০১৮ সালের ১১ মার্চ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বরাবর চট্টগ্রাম উপকূলীয় বন বিভাগের পক্ষ থেকে চিঠি পাঠানো হয়। চিঠিতে ৯৯ একর জমি পুনরুদ্ধারের অনুরোধ জানানো হয়। ২৬ মার্চ জেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে জমির বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জানানোর জন্য একটি চিঠি বাঁশখালীর সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) পাঠানো হয়। তবে আজ পর্যন্ত সেই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
এদিকে গত ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর জমি দখলমুক্ত করতে উদ্যোগী হয় উপকূলীয় বন বিভাগ। ২৬ আগস্ট ওই জমি দখলমুক্ত ঘোষণা করে লাল পতাকা ওড়ায় বন বিভাগ। কিন্তু সেখানে বন বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকা অবস্থায়ই পতাকা ছিঁড়ে ফেলেন ছনুয়া ইউপির চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদের অনুগত হেফাজুল করিম, মফিজুল করিম ও শাহাদাত করিম নামের তিন ব্যক্তি।অভিযোগ প্রসঙ্গে জানার জন্য ছনুয়া ইউপি চেয়ারম্যান এম হারুনুর রশীদকে কল করা হলে তাঁর মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে আত্মগোপনে আছেন তিনি।
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেসমিন আক্তার বলেন, বেদখল থাকা বনভূমি উদ্ধারে জেলা প্রশাসন থেকে নির্দেশনা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. সাদি উর রহিম জাদিদ বলেন, ‘জেলা প্রশাসনে নতুন যোগ দিয়েছি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেব।’ তিনি বলেন, ‘আগের প্রশাসন কেন উচ্ছেদ করেনি, তা বলতে পারব না। যত বড় প্রভাবশালী হোক, আমরা সালমান এফ রহমানের দখলে থাকা অবৈধ জমিগুলো উদ্ধার করব।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেঘমল্লার বসু বলেছেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছি রাজাকারের আস্ফালন দেখার জন্য নয়। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে যশোর শহরের টাউন হল ময়দানের রওশন আলী মঞ্চে ছাত্র ইউনিয়ন যশোরের ১৩তম সম্মেলনে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
১০ মিনিট আগে
ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবকের লাশ আট দিন পর দেশে এসেছে। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কুষ্টিয়া বিজিবির ৪৭ ব্যাটালিয়ন এবং ভারতের বিএসএফের ১৪৬ ব্যাটালিয়নের মধ্যে এক পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে লাশটি হস্তান্তর করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া বিজিবি-৪৭ ব্যাটালিয়ন।
১৮ মিনিট আগে
জাতীয় নাগরিক কমিটির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ বলেছেন, হাসিনার গুলিকে যারা ভয় পায়নি, তারা আর কাউকে বা কোনো শক্তিকেই ভয় পাবে না। ভয় পাবে তারা, যারা চাঁদাবাজি ও ধান্দাবাজিতে লিপ্ত।
২৫ মিনিট আগে
ঘটনার পর রক্তাক্ত ছেলের প্রাণ বাঁচাতে রিকশায় তুলে হাসপাতালে আনেন বৃদ্ধ বাবা বশির। কিন্তু তাঁর প্রাণপণ চেষ্টা বৃথা যায়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, শহিদ বেঁচে নেই। পরে ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর লাশ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
৩০ মিনিট আগেযশোর প্রতিনিধি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেঘমল্লার বসু বলেছেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছি রাজাকারের আস্ফালন দেখার জন্য নয়। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে যশোর শহরের টাউন হল ময়দানের রওশন আলী মঞ্চে ছাত্র ইউনিয়ন যশোরের ১৩তম সম্মেলনে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
মেঘমল্লার বসু বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে মুক্তিযুদ্ধের অপূর্ণ যে লড়াই, সেই লড়াইকে পূর্ণতা দেওয়ার কথা বলেই জুলাই আন্দোলনে নেমেছিল জনগণ। কিন্তু একদল বিপথগামী বাংলাদেশবিরোধী শক্তি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর এই চব্বিশকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে দাঁড় করার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। জেলায় জেলায় মহল্লায় তাদের যে অপতৎপরতা, সেটা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা সব জায়গায় বোঝানোর চেষ্টা করছে, জুলাই একাত্তরের লড়াইয়ের উল্টো। ৩০ লাখ মানুষের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে যে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, কেউ যদি ফ্রান্স-আমেরিকায় বসে বলে, বাংলাদেশের শহীদ সংখ্যা দুই হাজার, তাহলে তার মোকাবিলা হবে রাজপথে। তার মোকাবিলা হবে বুদ্ধিবৃত্তিক, সামাজিকভাবে।’
মানুষের নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করার জন্য জনগণ জুলাইয়ে রক্ত দিয়েছিল বলে মন্তব্য করেন মেঘমল্লার বসু। তিনি বলেন, ‘আমরা যখন মহান মুক্তিযুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলাম তখন একাত্তরে যুদ্ধের প্রশ্নে যারা বলেছিল, যারা একাত্তরে যুদ্ধে যাচ্ছে, তারা ভারতের দালাল, হিন্দুদের দালাল, সেই একই গোষ্ঠী ২০২৫ দাঁড়িয়ে এই ধর্ম বিক্রির রাজনীতি করছে। আমরা স্পষ্ট বলতে চাই, বাংলাদেশ বহু ধর্মের, মতের দেশ। সেখানে যে যার মতো ধর্ম পালন করবে। তাই কেউ নির্ধারণ করে দিতে পারবে না কে কিসের ধর্ম পালন করবে। ধর্ম চর্চার অধিকার মানুষের নাগরিক অধিকার, মানুষের নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করার জন্য জুলাইয়ে রক্ত দিয়েছিলাম।’
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে সমালোচনা করে ঢাবি ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর যে সরকার এল, সেই সরকার প্রথমে অনেক বড় বড় কথা বলেছিল। আওয়ামী লীগের বৈদেশিক নীতি আর এই দেশে চলবে না। আমরা এমন নীতি চাই, যেখানে অন্য রাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক হবে সমমর্যাদাপূর্ণ। বাস্তবে আমরা দেখছি, ভারতের সঙ্গে যেসব অসমচুক্তি হয়েছে, সেই অসমচুক্তি একটিও দূর হয়নি। আদানির কাছ থেকে বেশি বেশি বিদ্যুৎ নেওয়া হচ্ছে। রামপাল চুক্তি এখনো রয়েছে, ভারতের কাছে আম-ইলিশ পাঠিয়ে কূটনীতিক রাজনীতিক এখনো জারি রাখা হয়েছে। সাথে সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাম্রাজ্যবাদী শক্তিদের কাছে দেশ বিক্রির যে পাঁয়তারা, সেটা অব্যাহত রয়েছে। দেশবিরোধী সকল শক্তিকে রুখে দিতে ছাত্র ইউনিয়ন সব সময় রাজপথে থাকবে।’
যশোর জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি আকরাম হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সহসভাপতি নাজিফা জান্নাত, সাধারণ সম্পাদক শিমুল কুম্ভকার, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গাজী গোলাম মোস্তফা, সিপিবি যশোর জেলা সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবু হাসান, উদীচী যশোর সংসদের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান খান বিপ্লব, জেলা বাসদ নেতা ইমরান খান, যশোরের ১৩তম সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহ্বায়ক রাশেদ খান প্রমুখ। এর আগে বিকেলে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গাজী গোলাম মোস্তফা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেঘমল্লার বসু বলেছেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছি রাজাকারের আস্ফালন দেখার জন্য নয়। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে যশোর শহরের টাউন হল ময়দানের রওশন আলী মঞ্চে ছাত্র ইউনিয়ন যশোরের ১৩তম সম্মেলনে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
মেঘমল্লার বসু বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে মুক্তিযুদ্ধের অপূর্ণ যে লড়াই, সেই লড়াইকে পূর্ণতা দেওয়ার কথা বলেই জুলাই আন্দোলনে নেমেছিল জনগণ। কিন্তু একদল বিপথগামী বাংলাদেশবিরোধী শক্তি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর এই চব্বিশকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে দাঁড় করার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। জেলায় জেলায় মহল্লায় তাদের যে অপতৎপরতা, সেটা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা সব জায়গায় বোঝানোর চেষ্টা করছে, জুলাই একাত্তরের লড়াইয়ের উল্টো। ৩০ লাখ মানুষের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে যে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, কেউ যদি ফ্রান্স-আমেরিকায় বসে বলে, বাংলাদেশের শহীদ সংখ্যা দুই হাজার, তাহলে তার মোকাবিলা হবে রাজপথে। তার মোকাবিলা হবে বুদ্ধিবৃত্তিক, সামাজিকভাবে।’
মানুষের নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করার জন্য জনগণ জুলাইয়ে রক্ত দিয়েছিল বলে মন্তব্য করেন মেঘমল্লার বসু। তিনি বলেন, ‘আমরা যখন মহান মুক্তিযুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলাম তখন একাত্তরে যুদ্ধের প্রশ্নে যারা বলেছিল, যারা একাত্তরে যুদ্ধে যাচ্ছে, তারা ভারতের দালাল, হিন্দুদের দালাল, সেই একই গোষ্ঠী ২০২৫ দাঁড়িয়ে এই ধর্ম বিক্রির রাজনীতি করছে। আমরা স্পষ্ট বলতে চাই, বাংলাদেশ বহু ধর্মের, মতের দেশ। সেখানে যে যার মতো ধর্ম পালন করবে। তাই কেউ নির্ধারণ করে দিতে পারবে না কে কিসের ধর্ম পালন করবে। ধর্ম চর্চার অধিকার মানুষের নাগরিক অধিকার, মানুষের নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করার জন্য জুলাইয়ে রক্ত দিয়েছিলাম।’
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে সমালোচনা করে ঢাবি ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর যে সরকার এল, সেই সরকার প্রথমে অনেক বড় বড় কথা বলেছিল। আওয়ামী লীগের বৈদেশিক নীতি আর এই দেশে চলবে না। আমরা এমন নীতি চাই, যেখানে অন্য রাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক হবে সমমর্যাদাপূর্ণ। বাস্তবে আমরা দেখছি, ভারতের সঙ্গে যেসব অসমচুক্তি হয়েছে, সেই অসমচুক্তি একটিও দূর হয়নি। আদানির কাছ থেকে বেশি বেশি বিদ্যুৎ নেওয়া হচ্ছে। রামপাল চুক্তি এখনো রয়েছে, ভারতের কাছে আম-ইলিশ পাঠিয়ে কূটনীতিক রাজনীতিক এখনো জারি রাখা হয়েছে। সাথে সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাম্রাজ্যবাদী শক্তিদের কাছে দেশ বিক্রির যে পাঁয়তারা, সেটা অব্যাহত রয়েছে। দেশবিরোধী সকল শক্তিকে রুখে দিতে ছাত্র ইউনিয়ন সব সময় রাজপথে থাকবে।’
যশোর জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি আকরাম হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সহসভাপতি নাজিফা জান্নাত, সাধারণ সম্পাদক শিমুল কুম্ভকার, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গাজী গোলাম মোস্তফা, সিপিবি যশোর জেলা সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবু হাসান, উদীচী যশোর সংসদের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান খান বিপ্লব, জেলা বাসদ নেতা ইমরান খান, যশোরের ১৩তম সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহ্বায়ক রাশেদ খান প্রমুখ। এর আগে বিকেলে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গাজী গোলাম মোস্তফা।

সরকারি নথিতে জায়গাটি উপকূলীয় বন বিভাগের। প্রায় ছয় দশক আগে নারকেলবাগান করার শর্তে জায়গাটি ২৫ বছরের জন্য ইজারা দিয়েছিল জেলা প্রশাসন। কিন্তু ইজারার শর্ত ভেঙে সেখানে শুরু হয় চিংড়ি ও লবণ চাষ।
২০ অক্টোবর ২০২৪
ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবকের লাশ আট দিন পর দেশে এসেছে। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কুষ্টিয়া বিজিবির ৪৭ ব্যাটালিয়ন এবং ভারতের বিএসএফের ১৪৬ ব্যাটালিয়নের মধ্যে এক পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে লাশটি হস্তান্তর করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া বিজিবি-৪৭ ব্যাটালিয়ন।
১৮ মিনিট আগে
জাতীয় নাগরিক কমিটির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ বলেছেন, হাসিনার গুলিকে যারা ভয় পায়নি, তারা আর কাউকে বা কোনো শক্তিকেই ভয় পাবে না। ভয় পাবে তারা, যারা চাঁদাবাজি ও ধান্দাবাজিতে লিপ্ত।
২৫ মিনিট আগে
ঘটনার পর রক্তাক্ত ছেলের প্রাণ বাঁচাতে রিকশায় তুলে হাসপাতালে আনেন বৃদ্ধ বাবা বশির। কিন্তু তাঁর প্রাণপণ চেষ্টা বৃথা যায়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, শহিদ বেঁচে নেই। পরে ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর লাশ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
৩০ মিনিট আগেদৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবকের লাশ আট দিন পর দেশে এসেছে। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কুষ্টিয়া বিজিবির ৪৭ ব্যাটালিয়ন এবং ভারতের বিএসএফের ১৪৬ ব্যাটালিয়নের মধ্যে এক পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে লাশটি হস্তান্তর করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া বিজিবি-৪৭ ব্যাটালিয়ন।
নিহত যুবক হলেন শান্ত ইসলাম (২৫)। তিনি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর গ্রামের শিপন ইসলামের ছেলে।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, ৫ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়নের অধীন আশ্রয়ণ বিওপি এলাকার সীমান্ত দিয়ে একদল চোরাকারবারি ১৪৬ ব্যাটালিয়ন বিএসএফের নিউ উদয়া ক্যাম্পের দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সীমান্ত পিলার ১৫৪/৩-এস থেকে আনুমানিক ৫০০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে অবৈধভাবে প্রবেশ করে। এ সময় নিউ উদয়া ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাদের বাধা দিলে চোরাকারবারিরা বিএসএফ সদস্যদের ওপর হামলা চালায়।
বিএসএফ সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছুড়লে শান্ত ইসলাম গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাঁকে আহত অবস্থায় আটক করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় শান্তকে ভারতের করিমপুর রুরাল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
শান্ত ইসলামের মৃত্যুর পর বিষয়টি নিয়ে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে একাধিক আলোচনা ও পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ৮ ডিসেম্বর সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠকের পর আজ শনিবার সন্ধ্যায় জামালপুর বিওপি-সংলগ্ন সীমান্ত পিলার ১৫২/৭-এস এলাকায় কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ের সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন শেষে ভারতীয় পুলিশ দৌলতপুর থানা-পুলিশের কাছে শান্ত ইসলামের লাশ হস্তান্তর করে।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান বলেন, ভারতের অভ্যন্তরে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবকের লাশ আজ সন্ধ্যা ৭টার দিকে ভারতের পুলিশ আমাদের কাছে হস্তান্তর করে। পরে আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন শেষে লাশটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবকের লাশ আট দিন পর দেশে এসেছে। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কুষ্টিয়া বিজিবির ৪৭ ব্যাটালিয়ন এবং ভারতের বিএসএফের ১৪৬ ব্যাটালিয়নের মধ্যে এক পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে লাশটি হস্তান্তর করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া বিজিবি-৪৭ ব্যাটালিয়ন।
নিহত যুবক হলেন শান্ত ইসলাম (২৫)। তিনি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর গ্রামের শিপন ইসলামের ছেলে।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, ৫ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়নের অধীন আশ্রয়ণ বিওপি এলাকার সীমান্ত দিয়ে একদল চোরাকারবারি ১৪৬ ব্যাটালিয়ন বিএসএফের নিউ উদয়া ক্যাম্পের দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সীমান্ত পিলার ১৫৪/৩-এস থেকে আনুমানিক ৫০০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে অবৈধভাবে প্রবেশ করে। এ সময় নিউ উদয়া ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাদের বাধা দিলে চোরাকারবারিরা বিএসএফ সদস্যদের ওপর হামলা চালায়।
বিএসএফ সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছুড়লে শান্ত ইসলাম গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাঁকে আহত অবস্থায় আটক করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় শান্তকে ভারতের করিমপুর রুরাল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
শান্ত ইসলামের মৃত্যুর পর বিষয়টি নিয়ে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে একাধিক আলোচনা ও পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ৮ ডিসেম্বর সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠকের পর আজ শনিবার সন্ধ্যায় জামালপুর বিওপি-সংলগ্ন সীমান্ত পিলার ১৫২/৭-এস এলাকায় কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ের সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন শেষে ভারতীয় পুলিশ দৌলতপুর থানা-পুলিশের কাছে শান্ত ইসলামের লাশ হস্তান্তর করে।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান বলেন, ভারতের অভ্যন্তরে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবকের লাশ আজ সন্ধ্যা ৭টার দিকে ভারতের পুলিশ আমাদের কাছে হস্তান্তর করে। পরে আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন শেষে লাশটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

সরকারি নথিতে জায়গাটি উপকূলীয় বন বিভাগের। প্রায় ছয় দশক আগে নারকেলবাগান করার শর্তে জায়গাটি ২৫ বছরের জন্য ইজারা দিয়েছিল জেলা প্রশাসন। কিন্তু ইজারার শর্ত ভেঙে সেখানে শুরু হয় চিংড়ি ও লবণ চাষ।
২০ অক্টোবর ২০২৪
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেঘমল্লার বসু বলেছেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছি রাজাকারের আস্ফালন দেখার জন্য নয়। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে যশোর শহরের টাউন হল ময়দানের রওশন আলী মঞ্চে ছাত্র ইউনিয়ন যশোরের ১৩তম সম্মেলনে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
১০ মিনিট আগে
জাতীয় নাগরিক কমিটির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ বলেছেন, হাসিনার গুলিকে যারা ভয় পায়নি, তারা আর কাউকে বা কোনো শক্তিকেই ভয় পাবে না। ভয় পাবে তারা, যারা চাঁদাবাজি ও ধান্দাবাজিতে লিপ্ত।
২৫ মিনিট আগে
ঘটনার পর রক্তাক্ত ছেলের প্রাণ বাঁচাতে রিকশায় তুলে হাসপাতালে আনেন বৃদ্ধ বাবা বশির। কিন্তু তাঁর প্রাণপণ চেষ্টা বৃথা যায়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, শহিদ বেঁচে নেই। পরে ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর লাশ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
৩০ মিনিট আগেহাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি

জাতীয় নাগরিক কমিটির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ বলেছেন, ‘হাসিনার গুলিকে যারা ভয় পায়নি, তারা আর কাউকে বা কোনো শক্তিকেই ভয় পাবে না। ভয় পাবে তারা, যারা চাঁদাবাজি ও ধান্দাবাজিতে লিপ্ত। আর আমরা আছি সেই সকল চাঁদাবাজ ও ধান্দাবাজদের প্রতিরোধ করার জন্য।’
আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় হাতিয়ায় একটি কমিউনিটি সেন্টারে উপজেলার জাতীয় যুবশক্তির নতুন আহ্বায়ক কমিটির পরিচিতি সভা হয়। সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এনসিপি নেতা এসব কথা বলেন।
নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনে এনসিপির মনোনীত প্রার্থী হান্নান মাসউদ বলেন, যুবকদের ঐক্যের মাধ্যমেই নতুন বাংলাদেশ নির্মাণ করা সম্ভব। আগামী নির্বাচনে যে ভোটের বিপ্লব হবে, তা রক্ষার দায়িত্ব যুবকদের। মানুষের ভোটের আমানত রক্ষার দায়িত্ব যুবকদেরই নিতে হবে।
এনসিপি নেতা আরও বলেন, ‘যারা যুবশক্তির রাজনীতি করতে এসেছে, তারা সবাই নিজের পকেটের খরচে রাজনীতি করছে। নিজেদের মধ্যে পদের জন্য রাজনীতি করা যাবে না। যুবশক্তির পদ নিয়ে কোনো ধরনের ভুল-বোঝাবুঝি যেন না হয়। যুবলীগ-ছাত্রলীগের মতো রাজনীতি করলে চলবে না। সবাইকে মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করতে হবে।’
এনসিপির হাতিয়া উপজেলার প্রধান সমন্বয়ক শামছুল তিব্রিজের সভাপতিত্বে পরিচিতি সভায় আরও বক্তব্য দেন জাতীয় যুবশক্তির নোয়াখালী জেলা আহ্বায়ক নুরে আলম রিপন, হাতিয়া উপজেলা আহ্বায়ক মোহাম্মদ ইউসুফ, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সৈকত হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক সম্রাট আকবর, সদস্যসচিব সাইফুল ইসলাম রাকিব, সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব নুরুল আফছার নিরব ও সিনিয়র সংগঠক ফারদিন নিলয় প্রমুখ।

জাতীয় নাগরিক কমিটির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ বলেছেন, ‘হাসিনার গুলিকে যারা ভয় পায়নি, তারা আর কাউকে বা কোনো শক্তিকেই ভয় পাবে না। ভয় পাবে তারা, যারা চাঁদাবাজি ও ধান্দাবাজিতে লিপ্ত। আর আমরা আছি সেই সকল চাঁদাবাজ ও ধান্দাবাজদের প্রতিরোধ করার জন্য।’
আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় হাতিয়ায় একটি কমিউনিটি সেন্টারে উপজেলার জাতীয় যুবশক্তির নতুন আহ্বায়ক কমিটির পরিচিতি সভা হয়। সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এনসিপি নেতা এসব কথা বলেন।
নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনে এনসিপির মনোনীত প্রার্থী হান্নান মাসউদ বলেন, যুবকদের ঐক্যের মাধ্যমেই নতুন বাংলাদেশ নির্মাণ করা সম্ভব। আগামী নির্বাচনে যে ভোটের বিপ্লব হবে, তা রক্ষার দায়িত্ব যুবকদের। মানুষের ভোটের আমানত রক্ষার দায়িত্ব যুবকদেরই নিতে হবে।
এনসিপি নেতা আরও বলেন, ‘যারা যুবশক্তির রাজনীতি করতে এসেছে, তারা সবাই নিজের পকেটের খরচে রাজনীতি করছে। নিজেদের মধ্যে পদের জন্য রাজনীতি করা যাবে না। যুবশক্তির পদ নিয়ে কোনো ধরনের ভুল-বোঝাবুঝি যেন না হয়। যুবলীগ-ছাত্রলীগের মতো রাজনীতি করলে চলবে না। সবাইকে মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করতে হবে।’
এনসিপির হাতিয়া উপজেলার প্রধান সমন্বয়ক শামছুল তিব্রিজের সভাপতিত্বে পরিচিতি সভায় আরও বক্তব্য দেন জাতীয় যুবশক্তির নোয়াখালী জেলা আহ্বায়ক নুরে আলম রিপন, হাতিয়া উপজেলা আহ্বায়ক মোহাম্মদ ইউসুফ, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সৈকত হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক সম্রাট আকবর, সদস্যসচিব সাইফুল ইসলাম রাকিব, সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব নুরুল আফছার নিরব ও সিনিয়র সংগঠক ফারদিন নিলয় প্রমুখ।

সরকারি নথিতে জায়গাটি উপকূলীয় বন বিভাগের। প্রায় ছয় দশক আগে নারকেলবাগান করার শর্তে জায়গাটি ২৫ বছরের জন্য ইজারা দিয়েছিল জেলা প্রশাসন। কিন্তু ইজারার শর্ত ভেঙে সেখানে শুরু হয় চিংড়ি ও লবণ চাষ।
২০ অক্টোবর ২০২৪
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেঘমল্লার বসু বলেছেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছি রাজাকারের আস্ফালন দেখার জন্য নয়। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে যশোর শহরের টাউন হল ময়দানের রওশন আলী মঞ্চে ছাত্র ইউনিয়ন যশোরের ১৩তম সম্মেলনে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
১০ মিনিট আগে
ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবকের লাশ আট দিন পর দেশে এসেছে। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কুষ্টিয়া বিজিবির ৪৭ ব্যাটালিয়ন এবং ভারতের বিএসএফের ১৪৬ ব্যাটালিয়নের মধ্যে এক পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে লাশটি হস্তান্তর করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া বিজিবি-৪৭ ব্যাটালিয়ন।
১৮ মিনিট আগে
ঘটনার পর রক্তাক্ত ছেলের প্রাণ বাঁচাতে রিকশায় তুলে হাসপাতালে আনেন বৃদ্ধ বাবা বশির। কিন্তু তাঁর প্রাণপণ চেষ্টা বৃথা যায়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, শহিদ বেঁচে নেই। পরে ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর লাশ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
৩০ মিনিট আগেযশোর প্রতিনিধি

যশোরে বৃদ্ধ বাবার সামনেই এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। আজ শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার পাগলাদাহ মালোপাড়ায় এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত ব্যক্তির নাম আব্দুস শহিদ (৪৫)। পেশায় রিকশাচালক শহিদ পাগলাদাহ এলাকার বশির আহমেদের ছেলে।
ঘটনার পর রক্তাক্ত ছেলের প্রাণ বাঁচাতে রিকশায় তুলে হাসপাতালে আনেন বশির। কিন্তু তাঁর প্রাণপণ চেষ্টা বৃথা যায়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, শহিদ বেঁচে নেই। পরে ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর লাশ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, শহিদের বিরুদ্ধে মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে। মাদক-সংক্রান্ত পূর্ববিরোধের জের ধরে একই গ্রামের কয়েকজন যুবকের সঙ্গে শহিদের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তারা শহিদকে ছুরিকাঘাত করে ফেলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় জড়িতদের আটকে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেঝেতে শহিদের বাবা বশিরকে ঘিরে স্বজনদের আহাজারি করতে দেখা গেছে। তাঁর সমস্ত শরীর ছেলের রক্তে ভেজা। সবাই তাঁকে জড়িয়ে কান্না করলেও চোখের সামনে সন্তানের মৃত্যু দেখে বাকরুদ্ধ বৃদ্ধ বশির।
কিছুক্ষণ পর বশির আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার তিন ছেলে, তিন মেয়ে। শহিদ সবার বড়। সন্ধ্যার দিকে শহীদ রিকশা চালিয়ে বাসায় ফিরছিলেন। মালোপাড়ার রহমানের দোকানের সামনে একই এলাকার জাহাঙ্গীরের চার ছেলে আসিফ, মিরাজ, আলিফ, রিয়াজ এবং মানিক মিয়ার ছেলে ইরানের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হচ্ছিল। গন্ডগোল শুনে আমি বাড়ি থেকে বের হই। ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই আসিফ চাকু দিয়ে ছেলের বুকে, পিঠে আঘাত শুরু করে। আশপাশে নারী, পুরুষ তাকিয়ে দেখলেও দুর্বৃত্তদের হাতে চাকু থাকায় কেউ এগিয়ে আসেননি।’
কান্নাজড়িত কণ্ঠে বশির বলেন, ‘আমি আপ্রাণ চেষ্টা করেও কাউকে ঠেকাতে পারিনি। চাকু দিয়ে বুকে পিঠে-আঘাত করায় শহিদ মাটিতে পড়ে যায়। পরে হামলাকারীর চলে গেলে স্থানীয় একজন রিকশাচালককে সঙ্গে নিয়ে ছেলেকে হাসপাতালে আনি। কিন্তু বাঁচাতে পারলাম না।’
নিহতের বোন শাহিদা খাতুন জানান, গতকাল শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে কয়েকজনের সঙ্গে তাঁর ভাইয়ের কথা-কাটাকাটি হয়। তাঁরা তাঁর ভাইয়ের রিকশা কেড়ে নিতে চেয়েছিলেন। আজ (শনিবার) বিকেলে ফের তাঁরা তাঁর ভাইয়ের রিকশা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। তখন বাধা দিলে তাঁদের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হয়। তখনই ওই ব্যক্তিরা চাকু দিয়ে শহিদকে আঘাত করে হত্যা করেন।
শাহিদার ধারণা, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে মাঝেমধ্যে ঘোরাফেরা করতেন শহিদ। তাঁদের মধ্যে আসিফ নামের একজন শহিদের কাছে কিছু টাকা পান। ওই টাকা নিয়েই বিরোধের সূত্র ধরে তাঁকে হত্যা করা হতে পারে।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক বিচিত্রা মল্লিক জানান, হাসপাতালে আনার আগেই শহিদ মারা যান। তাঁর বুকের বাঁ পাশে ও ওপরে বড় দুটি জখমের চিহ্ন রয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তাঁর মৃত্যু হয়।
যশোর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক কাজী বাবুল হোসেন আজকের পত্রিকাকে জানান, শহিদের বিরুদ্ধে মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, মাদক-সংক্রান্ত বিরোধ ও টাকার নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। জড়িতদের আটকের জন্য অভিযান শুরু করা হয়েছে। পুলিশসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাও তদন্ত শুরু করেছে।

যশোরে বৃদ্ধ বাবার সামনেই এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। আজ শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার পাগলাদাহ মালোপাড়ায় এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত ব্যক্তির নাম আব্দুস শহিদ (৪৫)। পেশায় রিকশাচালক শহিদ পাগলাদাহ এলাকার বশির আহমেদের ছেলে।
ঘটনার পর রক্তাক্ত ছেলের প্রাণ বাঁচাতে রিকশায় তুলে হাসপাতালে আনেন বশির। কিন্তু তাঁর প্রাণপণ চেষ্টা বৃথা যায়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, শহিদ বেঁচে নেই। পরে ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর লাশ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, শহিদের বিরুদ্ধে মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে। মাদক-সংক্রান্ত পূর্ববিরোধের জের ধরে একই গ্রামের কয়েকজন যুবকের সঙ্গে শহিদের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তারা শহিদকে ছুরিকাঘাত করে ফেলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় জড়িতদের আটকে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেঝেতে শহিদের বাবা বশিরকে ঘিরে স্বজনদের আহাজারি করতে দেখা গেছে। তাঁর সমস্ত শরীর ছেলের রক্তে ভেজা। সবাই তাঁকে জড়িয়ে কান্না করলেও চোখের সামনে সন্তানের মৃত্যু দেখে বাকরুদ্ধ বৃদ্ধ বশির।
কিছুক্ষণ পর বশির আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার তিন ছেলে, তিন মেয়ে। শহিদ সবার বড়। সন্ধ্যার দিকে শহীদ রিকশা চালিয়ে বাসায় ফিরছিলেন। মালোপাড়ার রহমানের দোকানের সামনে একই এলাকার জাহাঙ্গীরের চার ছেলে আসিফ, মিরাজ, আলিফ, রিয়াজ এবং মানিক মিয়ার ছেলে ইরানের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হচ্ছিল। গন্ডগোল শুনে আমি বাড়ি থেকে বের হই। ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই আসিফ চাকু দিয়ে ছেলের বুকে, পিঠে আঘাত শুরু করে। আশপাশে নারী, পুরুষ তাকিয়ে দেখলেও দুর্বৃত্তদের হাতে চাকু থাকায় কেউ এগিয়ে আসেননি।’
কান্নাজড়িত কণ্ঠে বশির বলেন, ‘আমি আপ্রাণ চেষ্টা করেও কাউকে ঠেকাতে পারিনি। চাকু দিয়ে বুকে পিঠে-আঘাত করায় শহিদ মাটিতে পড়ে যায়। পরে হামলাকারীর চলে গেলে স্থানীয় একজন রিকশাচালককে সঙ্গে নিয়ে ছেলেকে হাসপাতালে আনি। কিন্তু বাঁচাতে পারলাম না।’
নিহতের বোন শাহিদা খাতুন জানান, গতকাল শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে কয়েকজনের সঙ্গে তাঁর ভাইয়ের কথা-কাটাকাটি হয়। তাঁরা তাঁর ভাইয়ের রিকশা কেড়ে নিতে চেয়েছিলেন। আজ (শনিবার) বিকেলে ফের তাঁরা তাঁর ভাইয়ের রিকশা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। তখন বাধা দিলে তাঁদের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হয়। তখনই ওই ব্যক্তিরা চাকু দিয়ে শহিদকে আঘাত করে হত্যা করেন।
শাহিদার ধারণা, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে মাঝেমধ্যে ঘোরাফেরা করতেন শহিদ। তাঁদের মধ্যে আসিফ নামের একজন শহিদের কাছে কিছু টাকা পান। ওই টাকা নিয়েই বিরোধের সূত্র ধরে তাঁকে হত্যা করা হতে পারে।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক বিচিত্রা মল্লিক জানান, হাসপাতালে আনার আগেই শহিদ মারা যান। তাঁর বুকের বাঁ পাশে ও ওপরে বড় দুটি জখমের চিহ্ন রয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তাঁর মৃত্যু হয়।
যশোর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক কাজী বাবুল হোসেন আজকের পত্রিকাকে জানান, শহিদের বিরুদ্ধে মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, মাদক-সংক্রান্ত বিরোধ ও টাকার নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। জড়িতদের আটকের জন্য অভিযান শুরু করা হয়েছে। পুলিশসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাও তদন্ত শুরু করেছে।

সরকারি নথিতে জায়গাটি উপকূলীয় বন বিভাগের। প্রায় ছয় দশক আগে নারকেলবাগান করার শর্তে জায়গাটি ২৫ বছরের জন্য ইজারা দিয়েছিল জেলা প্রশাসন। কিন্তু ইজারার শর্ত ভেঙে সেখানে শুরু হয় চিংড়ি ও লবণ চাষ।
২০ অক্টোবর ২০২৪
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেঘমল্লার বসু বলেছেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছি রাজাকারের আস্ফালন দেখার জন্য নয়। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে যশোর শহরের টাউন হল ময়দানের রওশন আলী মঞ্চে ছাত্র ইউনিয়ন যশোরের ১৩তম সম্মেলনে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
১০ মিনিট আগে
ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবকের লাশ আট দিন পর দেশে এসেছে। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কুষ্টিয়া বিজিবির ৪৭ ব্যাটালিয়ন এবং ভারতের বিএসএফের ১৪৬ ব্যাটালিয়নের মধ্যে এক পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে লাশটি হস্তান্তর করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া বিজিবি-৪৭ ব্যাটালিয়ন।
১৮ মিনিট আগে
জাতীয় নাগরিক কমিটির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ বলেছেন, হাসিনার গুলিকে যারা ভয় পায়নি, তারা আর কাউকে বা কোনো শক্তিকেই ভয় পাবে না। ভয় পাবে তারা, যারা চাঁদাবাজি ও ধান্দাবাজিতে লিপ্ত।
২৫ মিনিট আগে