Ajker Patrika

সেন্ট মার্টিনে ভ্রমণে বিধিনিষেধ: ৫ ঘণ্টা পর সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার

কক্সবাজার প্রতিনিধি
৫ ঘণ্টা পর সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করেছেন দ্বীপের বাসিন্দা ও পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
৫ ঘণ্টা পর সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করেছেন দ্বীপের বাসিন্দা ও পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

সেন্টমার্টিনে পর্যটক ভ্রমণে বিধিনিষেধ প্রত্যাহার ও রাত্রিযাপনে অনুমতির দাবিতে কক্সবাজার শহরে সড়ক অবরোধ করে ৫ ঘণ্টা বিক্ষোভ করেছেন দ্বীপের বাসিন্দা ও পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত শহরের পর্যটনজোন কলাতলীর ডলফিন মোড়ে হাজারো মানুষ জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করে।

এ সময় বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারী কাফনের কাপড় পরে সড়কে শুয়ে পড়েন। এতে কলাতলীর উভয় পাশের সড়ক ও মেরিনড্রাইভ চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।

বিক্ষোভকারীরা অবিলম্বে সেন্ট মার্টিন ভ্রমণে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের আরোপিত শর্ত তুলে নেওয়ার পাশাপাশি দ্বীপে জাহাজ চলাচলের ব্যবস্থা করার দাবি জানান। এ সময় আন্দোলনকারীরা পরিবেশ উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসানের বিরুদ্ধেও স্লোগান দেন।

পরে ৫ ঘণ্টা পর জেলা প্রশাসকের আশ্বাসে তারা আন্দোলন সাময়িক স্থগিত করেন। এরপর সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ইয়ামিন হোসেন উপস্থিত হয়ে আন্দোলনকারীদের যৌক্তিক দাবির সঙ্গে একমত আছেন বলে জানিয়ে অবরোধ প্রত্যাহার করেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘আপনাদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ডিসি স্যার ও কর্মকর্তাদের কথা হয়েছে। দাবি-দাওয়ার বিষয়টি সরকারকে জানানো হয়েছে। সব দাবি মেনে নেওয়া হবে। আপনারা আপাতত সড়ক থেকে সরে যান। আশা করি দ্রুত সময়ে সমাধান হয়ে যাবে।’

আন্দোলনকারীদের সমন্বয়ক আব্দুল মালেক বলেন, ‘পর্যটকদের ভোগান্তির কথা বিবেচনা করে আমরা আজকের মতো আন্দোলন স্থগিত করেছি। যতক্ষণ পর্যন্ত দাবি মেনে নেওয়া না হবে দ্বীপের বাসিন্দারা আন্দোলনে থাকবে।’

এদিকে ৫ ঘণ্টার বেশি সময় কক্সবাজার অচল হয়ে পড়েছিল। শহরের একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত পর্যটক ও স্থানীয়রা চলাচল করতে না পেরে চরম দুর্ভোগে পড়েন।

এই আন্দোলনকে অযৌক্তিক বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কক্সবাজারের সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহ।

তিনি বলেন, অনিয়ন্ত্রিত পর্যটনের কারণে সেন্টমার্টিনের পরিবেশ-প্রতিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌরুট মিয়ানমারে যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে জাহাজ চলাচলে ঝুঁকি রয়েছে। জাহাজ মালিকরা কক্সবাজার শহর থেকে মানুষ জড়ো করে আন্দোলনের নামে মানুষ জিন্মি করার বিষয়টি দুঃখজনক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দিনাজপুরে হিন্দু নেতাকে অপহরণ করে হত্যা: ভারত সরকার ও বিরোধী দল কংগ্রেসের উদ্বেগ

লুটপাটে শেষ ৫ কোটির প্রকল্প

আজ থেকে ৫০০ টাকায় মিলবে ১০ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট

যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল, বেশির ভাগই ভারতীয়, আছে বাংলাদেশিও

বৃদ্ধের চার বিয়ে, থানায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার জেরার মুখে হাসির রোল

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত