আবদুল মান্নান, মানিকছড়ি (খাগড়াছড়ি)
খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলায় ১০ হাজারের বেশি বিদ্যুৎ-সংযোগ রয়েছে আবাসিক গ্রাহকের বাসাবাড়িতে। কিন্তু অনেকের বাড়ি, এমনকি মূল লাইনেও বিদ্যুতের খুঁটি নেই। স্থায়ী খুঁটিতে সংযোগ টানার কথা বলে খুঁটিপ্রতি ১৭-১৮ হাজার টাকা নেওয়া হলেও সেটি হয়নি। বরং গাছের ডালপালা ও বাঁশের খুঁটিতে বিদ্যুৎ-সংযোগ দেওয়ায় এক দশক ধরে ঝুঁকির মধ্যে আছেন অনেক গ্রাহক।
সরেজমিন দেখা গেছে, বিভিন্ন ইউনিয়ন ও গ্রামপর্যায়ে, এমনকি উপজেলা সদরেরও কোনো কোনো এলাকায় ওই অবস্থা রয়েছে। আর ভুক্তভোগীরা জানান, বিদ্যুৎ লাইন সম্প্রসারণের নামে খুঁটিপ্রতি ১৭-১৮ হাজার টাকা নিয়েছেন বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন।
১ নম্বর মানিকছড়ি ইউনিয়নের ঘনবসতিপূর্ণ জনপদ একসত্যাপাড়া এলাকার লোকজন জানান, ২০০৭-১৩ সময়ে বিদ্যুৎ লাইন সম্প্রসারণের নামে দুই শতাধিক পরিবারকে সংযোগ দেওয়ার শর্তে খুঁটিপ্রতি ১৭-১৮ হাজার টাকা হারে ১৫-১৬ লাখ টাকা আদায় করে বিদ্যুৎ বিভাগ। এরপর গাছের খুঁটিতে বিদ্যুৎ-সংযোগও দেওয়া হয়। কিন্তু দশক পেরিয়ে গেলেও এখনো সরকারি স্থায়ী (স্টিলের) খুঁটি বসানো হয়নি। অথচ গাছের খুঁটি বসানোর ছয়-সাত মাস পর অনেকগুলো ভেঙে গেলে কিছু অংশে সিমেন্টের পিলার পুনঃস্থাপন করা হয়।
তবে বেশির ভাগ অংশে বিদ্যুতের তার উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে রাস্তার পাশের আকাশমণিসহ বিভিন্ন গাছে। এতে নিয়মিত বিদ্যুৎ-বিভ্রাটসহ ঝুঁকিতে আছেন ওই এলাকার গ্রাহকেরা।
গাছে গাছে বিদ্যুতের লাইন এবং ভোগান্তির চিত্র দেখিয়ে আশীষ কুমার নাথ নামের এক গ্রাহক বলেন, ২০১২ সালের শেষ দিকে রহমাননগর কবরস্থান থেকে একসত্যাপাড়ায় বিদ্যুৎ লাইন সম্প্রসারণে বিদ্যুৎ প্রকৌশলী মো. জিয়া উদ্দিন ও লাইনম্যান মো. সুমন সরেজমিন পরিদর্শন করে খুঁটিপ্রতি ১৮ হাজার টাকা দাবি করেন। তাঁরা বলেন, এই পরিমাণ টাকা দিলে প্রথম অবস্থায় গাছের পিলারে বিদ্যুৎ-সংযোগ দেওয়া হবে। এরপর বিদ্যুৎ ব্যবহারের তথ্য উপস্থাপন করলে স্থায়ী পিলার আসবে।
আশীষ কুমার নাথ বলেন, ‘এই কথায় আমি দায়িত্ব নিয়ে ১ লাখ টাকায় সাতটি পিলার নিশ্চিত করি। কিন্তু গাছের পিলার বসিয়ে দশক পার করছে বিদ্যুৎ বিভাগ। ইতিমধ্যে গাছের পিলার নষ্ট হয়ে বিদ্যুতের তার এখন আকাশমণি গাছের ডালে বেঁধে দেওয়া হয়েছে।’
বাহাদুর কর্মকার নামে আরেক গ্রাহক বলেন, ২০০৭-১৩ সময়ে রহমাননগর, উত্তর ও মধ্যম একসত্যাপাড়ার দুই শতাধিক পরিবারে শতাধিক পিলার বসিয়ে বিদ্যুৎ দেওয়ার নামে আরই মো. জিয়া উদ্দিন ১৫-১৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। রহমাননগরে ৮-১০টা স্টিলের পিলার ছাড়া আর সবখানে গাছের পিলারে বিদ্যুৎ লাইন টানা হয়েছে। যার বেশির ভাগ ভেঙে যাওয়ায় এসব লাইন এখন গাছের ডালপালায়, কেউ কেউ নিজ উদ্যোগে গাছের স্থলে সিমেন্টের পিলার বসিয়েছেন। বেশির ভাগ গ্রাহক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় লো-ভোল্টেজে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে বিল পরিশোধ করে এলেও সরকারি খুঁটি জুটছে না।
মানিকছড়ি উপজেলার আবাসিক বিদ্যুৎ প্রকৌশলী মো. জিয়া উদ্দিন বৃহত্তর একসত্যাপাড়ায় ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যুৎ লাইন সম্পর্কে বলেন, ওই এলাকার বিদ্যুৎ লাইনের উন্নয়নে প্রকল্প প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
তবে খুঁটির নামে টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে জিয়া উদ্দিন বলেন, প্রকল্প অনুমোদন হলে ঠিকাদারের মাধ্যমে পিলার, বিদ্যুৎ-সংযোগ এবং ট্রান্সফরমার বসানো হয়। এখানে স্থানীয় বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্টতার সুযোগ নেই।
খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলায় ১০ হাজারের বেশি বিদ্যুৎ-সংযোগ রয়েছে আবাসিক গ্রাহকের বাসাবাড়িতে। কিন্তু অনেকের বাড়ি, এমনকি মূল লাইনেও বিদ্যুতের খুঁটি নেই। স্থায়ী খুঁটিতে সংযোগ টানার কথা বলে খুঁটিপ্রতি ১৭-১৮ হাজার টাকা নেওয়া হলেও সেটি হয়নি। বরং গাছের ডালপালা ও বাঁশের খুঁটিতে বিদ্যুৎ-সংযোগ দেওয়ায় এক দশক ধরে ঝুঁকির মধ্যে আছেন অনেক গ্রাহক।
সরেজমিন দেখা গেছে, বিভিন্ন ইউনিয়ন ও গ্রামপর্যায়ে, এমনকি উপজেলা সদরেরও কোনো কোনো এলাকায় ওই অবস্থা রয়েছে। আর ভুক্তভোগীরা জানান, বিদ্যুৎ লাইন সম্প্রসারণের নামে খুঁটিপ্রতি ১৭-১৮ হাজার টাকা নিয়েছেন বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন।
১ নম্বর মানিকছড়ি ইউনিয়নের ঘনবসতিপূর্ণ জনপদ একসত্যাপাড়া এলাকার লোকজন জানান, ২০০৭-১৩ সময়ে বিদ্যুৎ লাইন সম্প্রসারণের নামে দুই শতাধিক পরিবারকে সংযোগ দেওয়ার শর্তে খুঁটিপ্রতি ১৭-১৮ হাজার টাকা হারে ১৫-১৬ লাখ টাকা আদায় করে বিদ্যুৎ বিভাগ। এরপর গাছের খুঁটিতে বিদ্যুৎ-সংযোগও দেওয়া হয়। কিন্তু দশক পেরিয়ে গেলেও এখনো সরকারি স্থায়ী (স্টিলের) খুঁটি বসানো হয়নি। অথচ গাছের খুঁটি বসানোর ছয়-সাত মাস পর অনেকগুলো ভেঙে গেলে কিছু অংশে সিমেন্টের পিলার পুনঃস্থাপন করা হয়।
তবে বেশির ভাগ অংশে বিদ্যুতের তার উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে রাস্তার পাশের আকাশমণিসহ বিভিন্ন গাছে। এতে নিয়মিত বিদ্যুৎ-বিভ্রাটসহ ঝুঁকিতে আছেন ওই এলাকার গ্রাহকেরা।
গাছে গাছে বিদ্যুতের লাইন এবং ভোগান্তির চিত্র দেখিয়ে আশীষ কুমার নাথ নামের এক গ্রাহক বলেন, ২০১২ সালের শেষ দিকে রহমাননগর কবরস্থান থেকে একসত্যাপাড়ায় বিদ্যুৎ লাইন সম্প্রসারণে বিদ্যুৎ প্রকৌশলী মো. জিয়া উদ্দিন ও লাইনম্যান মো. সুমন সরেজমিন পরিদর্শন করে খুঁটিপ্রতি ১৮ হাজার টাকা দাবি করেন। তাঁরা বলেন, এই পরিমাণ টাকা দিলে প্রথম অবস্থায় গাছের পিলারে বিদ্যুৎ-সংযোগ দেওয়া হবে। এরপর বিদ্যুৎ ব্যবহারের তথ্য উপস্থাপন করলে স্থায়ী পিলার আসবে।
আশীষ কুমার নাথ বলেন, ‘এই কথায় আমি দায়িত্ব নিয়ে ১ লাখ টাকায় সাতটি পিলার নিশ্চিত করি। কিন্তু গাছের পিলার বসিয়ে দশক পার করছে বিদ্যুৎ বিভাগ। ইতিমধ্যে গাছের পিলার নষ্ট হয়ে বিদ্যুতের তার এখন আকাশমণি গাছের ডালে বেঁধে দেওয়া হয়েছে।’
বাহাদুর কর্মকার নামে আরেক গ্রাহক বলেন, ২০০৭-১৩ সময়ে রহমাননগর, উত্তর ও মধ্যম একসত্যাপাড়ার দুই শতাধিক পরিবারে শতাধিক পিলার বসিয়ে বিদ্যুৎ দেওয়ার নামে আরই মো. জিয়া উদ্দিন ১৫-১৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। রহমাননগরে ৮-১০টা স্টিলের পিলার ছাড়া আর সবখানে গাছের পিলারে বিদ্যুৎ লাইন টানা হয়েছে। যার বেশির ভাগ ভেঙে যাওয়ায় এসব লাইন এখন গাছের ডালপালায়, কেউ কেউ নিজ উদ্যোগে গাছের স্থলে সিমেন্টের পিলার বসিয়েছেন। বেশির ভাগ গ্রাহক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় লো-ভোল্টেজে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে বিল পরিশোধ করে এলেও সরকারি খুঁটি জুটছে না।
মানিকছড়ি উপজেলার আবাসিক বিদ্যুৎ প্রকৌশলী মো. জিয়া উদ্দিন বৃহত্তর একসত্যাপাড়ায় ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যুৎ লাইন সম্পর্কে বলেন, ওই এলাকার বিদ্যুৎ লাইনের উন্নয়নে প্রকল্প প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
তবে খুঁটির নামে টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে জিয়া উদ্দিন বলেন, প্রকল্প অনুমোদন হলে ঠিকাদারের মাধ্যমে পিলার, বিদ্যুৎ-সংযোগ এবং ট্রান্সফরমার বসানো হয়। এখানে স্থানীয় বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্টতার সুযোগ নেই।
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে সমন্বিত মৎস্য খামার। মাছ চাষের পাশাপাশি একই স্থানে হাঁস-মুরগি ও গবাদিপশু পালন করে বেশ ভালো লাভ করছেন খামারিরা। তবে অর্থনৈতিক সুবিধার আড়ালে স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য এক অদৃশ্য হুমকি হয়ে উঠেছে সমন্বিত এ খামারপদ্ধতি।
৩ ঘণ্টা আগেবিশাল সেতু। তারই দুই পাশে পাড় দখল করে স্থাপনা নির্মাণের হিড়িক পড়েছে। কেউ নির্মাণ করছে বাড়ি। কেউ কেউ নির্মাণ করছে দোকানপাট। এ ছাড়া মাটি কেটে নিজেদের ইচ্ছামাফিক সীমানা তৈরি করে সেতুর জমি ভোগদখল করছে। স্থাপনা নির্মাণের জন্য কেউ কেউ সেতুর সিসি ব্লকও কেটে ফেলেছে।
৩ ঘণ্টা আগেচাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ছিলেন জান মোহাম্মদ। এই প্রতিষ্ঠানের খাদ্য পরিদর্শক ও সদর খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাকিলা নাসরিন। এই দুজনের নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে দুর্নীতির সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেট ভাঙতে জান মোহাম্মদকে বদলি করা হয়েছে। তবে তিনি নতুন কর্মস্থলে যোগ না দিয়ে...
৩ ঘণ্টা আগেফুটে আছে জারুল, কৃষ্ণচূড়া, হিজল, সোনালু, বন বেলি। দিনে ক্যাম্পাসজুড়ে এমন ফুল চোখে পড়ছে। আর রাতে আলোর রোশনাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক হয়ে ভেতরে ঢুকলেই চোখে পড়বে আলোর ঝলকানি। প্রতিটি ভবনে করা হয়েছে লাল-নীল রঙের আলোকসজ্জা। এই চিত্র চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি)।
৩ ঘণ্টা আগে