নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
‘আমার পৃথিবীটাই নাই, ফলাফল দিয়ে কী হবে।’ ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ ছেলের অনার্সের ফল শুনে তাঁর মা জ্যোৎস্না আক্তার এই প্রতিক্রিয়া জানান। এ সময় তিনি অঝোরে কাঁদতে থাকেন। গত ১৬ জুলাই ছাত্রলীগ ও যুবলীগের হামলায় নিহত হন চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ওয়াসিম আকরাম।
শহীদ ওয়াসিম আকরাম চট্টগ্রাম কলেজের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থী ছিলেন। অনার্স তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা দিয়েছেন ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের আগে। ছাত্র-জনতার আন্দোলন শুরু হলে অন্য সব শিক্ষার্থীর মতো তিনিও তাতে অংশ নেন। গত ১৬ জুলাই ছাত্রলীগ ও যুবলীগের হামলার শিকার হয়ে নিহত হন ওয়াসিম। গতকাল বুধবার তাঁর পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে।
জ্যোৎস্না আক্তার বলেন, ‘কত দিন ছেলেকে দেখি না, কথা হয় না। পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান জিনিসটা হারিয়ে গেছে। কোনো কিছুর বিনিময়েই তাকে আর পাওয়া যাবে না।’
গতকাল শহীদ ওয়াসিম আকরাম দ্বিতীয় শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়েছেন। তাঁর প্রাপ্ত জিপিএ ২.৯৩। অনার্স তৃতীয় বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষায় তিনি এই কৃতিত্ব অর্জন করেন। ওয়াসিমের সেই রেজাল্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করে তাঁকে স্মরণ করছেন সহপাঠী ও বন্ধুরা।
চট্টগ্রাম কলেজের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ মজিবুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অত্যন্ত নম্র-ভদ্র স্বভাবের ছিল ওয়াসিম আকরাম। গতকাল তাদের ফলাফল বের হয়েছে। ভালো রেজাল্ট করেছে সে।’
ওয়াসিম আকরামের ফলাফল ফেসবুকে পোস্ট করেছেন তাঁর বন্ধু জাহেদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘ওয়াসিম অন্যায়ের বিরুদ্ধে সব সময় প্রতিবাদ করত। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ছিল সে। স্বৈরাচারী সরকারের ঘাতকের বুলেট তার জীবন প্রদীপ কেড়ে নিয়েছে।’
গত ১৬ জুলাই বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের ষোলশহর স্টেশনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পূর্বনির্ধারিত বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল। কিন্তু নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনির নেতৃত্বে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ আগেই স্টেশন চত্বর দখলে নেন। সংঘর্ষ এড়াতে শিক্ষার্থীরা এক কিলোমিটার দূরে মুরাদপুরে সমবেত হন।
বেলা পৌনে ৩টার দিকে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতারা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালালে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এ সময় ছাত্রলীগ-যুবলীগের অন্তত আট সদস্যকে প্রকাশ্যে অস্ত্র হাতে গুলি ছুড়তে দেখা যায়। ওই দিন অস্ত্রধারীদের গুলিতে ওয়াসিমসহ তিনজনের মৃত্যু হয়। আহত হয় অন্তত দেড় শ ছাত্র-জনতা।
ওয়াসিম ছাড়া গুলিতে নিহত বাকি দুজন হলেন নগরের ওমর গনি এমইএইচ কলেজের শিক্ষার্থী ফয়সাল হোসেন শান্ত ও ফার্নিচার দোকানের কর্মচারী ফারুক হোসেন।
নিহত ওয়াসিম আকরামের সৌদিপ্রবাসী বাবা শফিউল আলম ও মা জ্যোৎস্না আক্তার। দুই ভাই ও তিন বোনের মধ্যে ওয়াসিম দ্বিতীয়। ২০১৭ সালে কক্সবাজারের পেকুয়ার সদর ইউনিয়নের মেহেরনামা উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ২০১৯ সালে বাকলিয়া সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন তিনি। পরে চট্টগ্রাম কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগে অনার্সে ভর্তি হন।
ওয়াসিম নিহতের ঘটনায় গত ১৮ আগস্ট তাঁর মা জ্যোৎস্না আক্তার নগরের পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান নওফেলসহ ১০৮ জনকে আসামি করা হয়।
‘আমার পৃথিবীটাই নাই, ফলাফল দিয়ে কী হবে।’ ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ ছেলের অনার্সের ফল শুনে তাঁর মা জ্যোৎস্না আক্তার এই প্রতিক্রিয়া জানান। এ সময় তিনি অঝোরে কাঁদতে থাকেন। গত ১৬ জুলাই ছাত্রলীগ ও যুবলীগের হামলায় নিহত হন চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ওয়াসিম আকরাম।
শহীদ ওয়াসিম আকরাম চট্টগ্রাম কলেজের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থী ছিলেন। অনার্স তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা দিয়েছেন ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের আগে। ছাত্র-জনতার আন্দোলন শুরু হলে অন্য সব শিক্ষার্থীর মতো তিনিও তাতে অংশ নেন। গত ১৬ জুলাই ছাত্রলীগ ও যুবলীগের হামলার শিকার হয়ে নিহত হন ওয়াসিম। গতকাল বুধবার তাঁর পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে।
জ্যোৎস্না আক্তার বলেন, ‘কত দিন ছেলেকে দেখি না, কথা হয় না। পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান জিনিসটা হারিয়ে গেছে। কোনো কিছুর বিনিময়েই তাকে আর পাওয়া যাবে না।’
গতকাল শহীদ ওয়াসিম আকরাম দ্বিতীয় শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়েছেন। তাঁর প্রাপ্ত জিপিএ ২.৯৩। অনার্স তৃতীয় বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষায় তিনি এই কৃতিত্ব অর্জন করেন। ওয়াসিমের সেই রেজাল্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করে তাঁকে স্মরণ করছেন সহপাঠী ও বন্ধুরা।
চট্টগ্রাম কলেজের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ মজিবুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অত্যন্ত নম্র-ভদ্র স্বভাবের ছিল ওয়াসিম আকরাম। গতকাল তাদের ফলাফল বের হয়েছে। ভালো রেজাল্ট করেছে সে।’
ওয়াসিম আকরামের ফলাফল ফেসবুকে পোস্ট করেছেন তাঁর বন্ধু জাহেদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘ওয়াসিম অন্যায়ের বিরুদ্ধে সব সময় প্রতিবাদ করত। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ছিল সে। স্বৈরাচারী সরকারের ঘাতকের বুলেট তার জীবন প্রদীপ কেড়ে নিয়েছে।’
গত ১৬ জুলাই বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের ষোলশহর স্টেশনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পূর্বনির্ধারিত বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল। কিন্তু নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনির নেতৃত্বে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ আগেই স্টেশন চত্বর দখলে নেন। সংঘর্ষ এড়াতে শিক্ষার্থীরা এক কিলোমিটার দূরে মুরাদপুরে সমবেত হন।
বেলা পৌনে ৩টার দিকে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতারা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালালে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এ সময় ছাত্রলীগ-যুবলীগের অন্তত আট সদস্যকে প্রকাশ্যে অস্ত্র হাতে গুলি ছুড়তে দেখা যায়। ওই দিন অস্ত্রধারীদের গুলিতে ওয়াসিমসহ তিনজনের মৃত্যু হয়। আহত হয় অন্তত দেড় শ ছাত্র-জনতা।
ওয়াসিম ছাড়া গুলিতে নিহত বাকি দুজন হলেন নগরের ওমর গনি এমইএইচ কলেজের শিক্ষার্থী ফয়সাল হোসেন শান্ত ও ফার্নিচার দোকানের কর্মচারী ফারুক হোসেন।
নিহত ওয়াসিম আকরামের সৌদিপ্রবাসী বাবা শফিউল আলম ও মা জ্যোৎস্না আক্তার। দুই ভাই ও তিন বোনের মধ্যে ওয়াসিম দ্বিতীয়। ২০১৭ সালে কক্সবাজারের পেকুয়ার সদর ইউনিয়নের মেহেরনামা উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ২০১৯ সালে বাকলিয়া সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন তিনি। পরে চট্টগ্রাম কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগে অনার্সে ভর্তি হন।
ওয়াসিম নিহতের ঘটনায় গত ১৮ আগস্ট তাঁর মা জ্যোৎস্না আক্তার নগরের পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান নওফেলসহ ১০৮ জনকে আসামি করা হয়।
মাদারীপুরের ডাসারে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় আজিজুল হাওলাদার (৬০) নামের এক চায়ের দোকানির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার ধামুসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
৮ মিনিট আগেঘন কুয়াশার কারণে প্রায় ১১ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া এবং আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। দীর্ঘ সময় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় দুই পথের উভয় প্রান্তে আটকা পড়ে অ্যাম্বুলেন্স, ব্যক্তিগত গাড়ি, যাত্রীবাহী বাসসহ দুই শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক।
৩৪ মিনিট আগেরংপুরে ঘন কুয়াশার কারণে সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একই স্থানে একে একে ছয়টি পরিবহন দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। এতে প্রাণহানির কোনো ঘটনা না ঘটলেও অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনাকবলিত পরিবহনগুলোর মধ্যে তিনটি যাত্রীবাহী বাসসহ ট্রাক, পিকআপ ও কাভার্ডভ্যান রয়েছে। গাড়িগুলো ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে...
৩৫ মিনিট আগেচট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থান থেকে বাসে-ট্রাকে করে মানুষ মাহফিলে আসতে থাকে। বিকেল ৪টা নাগাদ প্যারেড ময়দানের আশপাশের রাস্তাঘাট লোকারণ্য হয়ে যায়, বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। প্যারেড ময়দানসংলগ্ন চকবাজার তেলিপট্টি মোড় থেকে এক্সেস রোড, অলিখাঁ মোড় থেকে গণি বেকারির মোড় পর্যন্ত যানচলাচল সীমিত হয়ে পড়ে।
১ ঘণ্টা আগে