Ajker Patrika

ইউজিসির এপিএ মূল্যায়নে ২৫ ধাপ পেছাল চবি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
আপডেট : ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৭: ৫৯
ইউজিসির এপিএ মূল্যায়নে ২৫ ধাপ পেছাল চবি

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) মূল্যায়নে এবার ২৫ ধাপ পিছিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)। দেশের ৪৮টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৬০ দশমিক ৮১ পেয়ে চবি ৩২তম হয়েছে। গত বছর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ছিল সপ্তম।

গতকাল বৃহস্পতিবার ইউজিসির সচিব ড. ফেরদৌস জামান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই তথ্য জানানো হয়।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন নির্ধারিত বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির আওতায় কৌশলগত উদ্দেশ্যগুলো, জাতীয় শুদ্ধাচার কর্মপরিকল্পনা, ই-গভর্ন্যান্স উদ্ভাবন, অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা, সেবা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ও তথ্য অধিকার কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কিত বিষয়ে স্কোর এক শর মধ্যে ৬০ দশমিক ৮১ পেয়ে এ বিশ্ববিদ্যালয় সামগ্রিকভাবে ৩২তম স্থান অর্জন করে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মোট ছয়টি বিষয়ে ১০০ নম্বরের ভিত্তিতে এ তালিকা প্রস্তুত করা হয়। এর মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কৌশলগত উদ্দেশ্যগুলোর ক্ষেত্রে ৭০ নম্বরের মধ্যে ৩৭ দশমিক শূন্য ৮, জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনার ক্ষেত্রে ১০ নম্বরের মধ্যে ৯ দশমিক ৫৫, ই-গভর্ন্যান্স/উদ্ভাবন পরিকল্পনায় ১০ নম্বরের মধ্যে ৫, অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনায় ৪ নম্বরের মধ্যে ৩ দশমিক ৬৮, সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি কর্মপরিকল্পনায় ৩ নম্বরের মধ্যে ২ দশমিক ৫ এবং তথ্য অধিকার কর্মপরিকল্পনায় ৩ নম্বরের মধ্যে ৩ পেয়ে মোট ৬০ দশমিক ৮১ পেয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক আবুল মনসুর ও বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. নাসিম হাসান।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি এস্যুরেন্স সেলের (আইকিউএসি) পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুল্লাহ মামুন বলেছেন, এ বিষয়ে কথা বলতে হলে এ-সংক্রান্ত বিভিন্ন পরিসংখ্যান দেখে কথা বলতে হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, একটা বিশ্ববিদ্যালয়কে শিক্ষা, গবেষণাসহ সব দিক থেকে এগিয়ে নিতে উপাচার্য ও তাঁর প্রশাসনকে কিছু মিশন-ভিশন নিয়ে কাজ করতে হয়। কিন্তু বর্তমান প্রশাসনের অগ্রাধিকারে নিশ্চয়ই এসব নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোযোগ হয়ে গেছে নিয়োগের দিকে। বিভাগের পরিকল্পনা কমিটি বলছে শিক্ষক লাগবে না। তবু অতিরিক্ত শিক্ষক নেওয়া হচ্ছে। এটা রুটিন ওয়ার্কে পরিণত হয়েছে। কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ নিয়ে প্রতিনিয়ত পত্রপত্রিকায় খবর হচ্ছে। এসব নিয়োগের স্বচ্ছতা নিয়ে ব্যাপক প্রশ্ন আছে। একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন যদি অন্যদিকে মনোযোগী হয়, তাহলে ফলাফল তো এ রকমই হবে।

ইউজিসির সচিব ড. ফেরদৌস জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, এপিএতে ভালো করতে হলে কাজ করতে হয়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ভালোভাবে কাজ করেনি, তাই পিছিয়ে গেছে।

এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শিরীণ আখতার ও রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কে এম নুর আহমদকে একাধিকবার ফোন করা হলেও রিসিভ করেননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বঙ্গবন্ধু ও মুজিবনগর সরকারের সদস্যদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি বহাল থাকছে

‘তুমি ঘুমাও কীভাবে’, সৌদি যুবরাজকে নিয়ে ট্রাম্পের বিস্ময়

বিদায় বিশ্বের দরিদ্রতম প্রেসিডেন্ট

বিদ্যালয়ে সময় দেন না শিক্ষক, ইউএনওর কাছে অভিযোগ করায় সহকর্মীকে মারধর

কুয়েটে ক্লাস বর্জন নিয়ে শিক্ষক সমিতিতে মতবিরোধ, এক শিক্ষকের পদত্যাগ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত