Ajker Patrika

কেঁচো-জৈব সার ব্যবহার বাড়ছে

আবদুল মান্নান, মানিকছড়ি (খাগড়াছড়ি)
কেঁচো-জৈব সার ব্যবহার বাড়ছে

খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে প্রান্তিক কৃষকেরাও জৈব ও কেঁচো (ভার্মি কম্পোস্ট) সার ব্যবহারে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। জমির প্রাকৃতিক উর্বরতা বৃদ্ধির পাশাপাশি উপজেলায় এই সার তৈরির প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। বাজারে এই সার ব্যবহারে উৎপাদিত ফসলের চাহিদাও তৈরি হয়েছে।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, মানিকছড়ির পৌনে ১ লাখ মানুষের আয়ের প্রধান উৎস কৃষি। এসব প্রান্তিক কৃষক সারা বছর টিলা জমিতে মৌসুমি ফসল চাষাবাদে নির্ভরশীল।

কৃষি কর্মকর্তারা জানান, তৃণমূলের কৃষকেরা ঘরে ব্যবহৃত শাক-সবজির অপ্রয়োজনীয় অংশ ফেলে না দিয়ে পরিকল্পিতভাবে সংরক্ষণ করে জৈব সার তৈরি করছেন।

এ ছাড়া গৃহপালিত পশুর মল-গোবরে জীবন্ত কেঁচো দিয়ে ভার্মি কম্পোস্ট সার তৈরি করেছেন। এসব ফসলে অবাধে প্রয়োগ করলে কোনো ক্ষতি নেই। এতে ফসল উৎপাদন বাড়ে। 
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতি কেজি ভার্মি কম্পোস্ট সার পাইকারি ১৫-১৬ টাকা এবং খুচরা ১৮ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ মো. ফরিদ বলেন, `উপজেলার প্রত্যন্ত জনপদে কৃষকেরা একসময় অপরিকল্পিত চাষাবাদ করে লোকসানের বোঝা টানতেন। আমরা এখন রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার কমিয়ে বিকল্প পদ্ধতিতে প্রান্তিক কৃষকদের লাভবানে কাজ করছি। এখন অধিকাংশ কৃষক জৈব সার ও ভার্মি কম্পোস্ট ব্যবহার করছেন। বাজারজাতকরণের ফলে ক্রেতারা এর প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন।’

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা কারিতাসে মাঠ কর্মকর্তা মো. সোলায়মান বলেন, `এই জনপদে ২০১৫ সালে আমরাই প্রথম ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদনের প্রশিক্ষণ দিই। কৃষি অফিসের সহযোগিতায় আমাদের কৃষি প্রকল্পে সংশ্লিষ্টরা এই প্রশিক্ষণ দেন। বর্তমানে কারিতাসের পাঁচ শতাধিক কৃষক ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদন ও বিক্রি করেন।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসিনুর রহমান বলেন, `আগে প্রান্তিক কৃষকেরা ভার্মি কম্পোস্ট সার ব্যবহারে অভাবনীয় উর্বরাশক্তির কথা জানতেন না।

কৃষকদের এই সার তৈরি ও ব্যবহারে প্রশিক্ষিত করেছি। এসব সার ব্যবহারে ফসলের রং, স্বাদ অতুলনীয়। বাজারে এসব ফসল কিনতে ভিড় জমায় ক্রেতারা।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত