চাঁদপুর প্রতিনিধি
চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলায় ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন মানুষ। অধিকাংশ বাড়িঘর পানির নিচে। তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট। উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে প্রায় পাঁচ শতাধিক পরিবার।
আজ সোমবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত উপজেলার সূচিপাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ বাড়িঘর ও রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। একই সঙ্গে তলিয়ে গেছে মাছের ঘের, গবাদিপশুর ঘর।
সূচিপারা ডিগ্রি কলেজে আশ্রয় নিয়েছেন আড়াই শতাধিক মানুষ। তারা গত তিন দিন এই আশ্রয়কেন্দ্রে পরিবার-পরিজন নিয়ে আছে। সঙ্গে নিয়ে এসেছে গবাদিপশুসহ হাঁস–মুরগি।
আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা জাকির হোসেন ব্যাপারী বলেন, ‘বাড়ি-ঘরে পানি উঠে যাওয়ার কারণে বৃদ্ধা মাসহ পরিবার-পরিজন নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে এসেছি। কবে পানি কমবে সেই চিন্তায় আছি।’
তানিয়া আক্তার নামের এক গৃহবধূ বলেন, ‘আমরাও শিশুদের নিয়ে গত দুই দিন এই আশ্রয়কেন্দ্রে আছি। আমাদের বাড়ি-ঘর সব পানিতে তলিয়ে গেছে, এখন কী অবস্থায় আছে তা–ও জানি না।’
পার্শ্ববর্তী পাথৈর গ্রামের মাহিন হোসেন বলেন, ‘আমাদের গ্রামের উত্তর ও দক্ষিণপাড়া সব বাড়ি–ঘর পানিতে তলিয়ে গেছে। আমাদের দেখার জন্য এখন পর্যন্ত কেউ আসেনি। আমরা সরকারের সহযোগিতা কামনা করি।’
একই গ্রামের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আজকে চার দিন আমাদের এলাকায় পানি। কুমিল্লা ও ফেনীর পানি আমাদের এলাকায় চাপ দেওয়ায় ঘর–বাড়ি তলিয়ে গেছে। ডাকাতিয়া নদী দিয়ে বানের পানি প্রবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত কমছে না।’
স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সজাগ ফাউন্ডেশনের সদস্য ফয়েজ আহমেদ বলেন, ‘গত কয়েক দিন যারা পানিবন্দী হয়ে পড়েছে, তাদের খুঁজে খাবার সামগ্রী দেওয়ার চেষ্টা করছি। এই মুহূর্তে দুর্গত মানুষের পাশে সকলেই এগিয়ে আসা প্রয়োজন।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইয়াসির আরাফাত বলেন, ‘উপজেলার দক্ষিণে ছয়টি ইউনিয়নে ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এই পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক পরিবার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আশ্রয়কেন্দ্রে আরও পরিবারের সংখ্যা বাড়ছে। আমরা এসব লোকের সহযোগিতায় কাজ করছি। অন্যদেরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।’
এদিকে দুপুরে উপজেলার সূচিপাড়ার ডিগ্রি কলেজ আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন করেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসানসহ প্রশাসনের অন্য কর্মকর্তারা।
চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলায় ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন মানুষ। অধিকাংশ বাড়িঘর পানির নিচে। তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট। উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে প্রায় পাঁচ শতাধিক পরিবার।
আজ সোমবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত উপজেলার সূচিপাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ বাড়িঘর ও রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। একই সঙ্গে তলিয়ে গেছে মাছের ঘের, গবাদিপশুর ঘর।
সূচিপারা ডিগ্রি কলেজে আশ্রয় নিয়েছেন আড়াই শতাধিক মানুষ। তারা গত তিন দিন এই আশ্রয়কেন্দ্রে পরিবার-পরিজন নিয়ে আছে। সঙ্গে নিয়ে এসেছে গবাদিপশুসহ হাঁস–মুরগি।
আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা জাকির হোসেন ব্যাপারী বলেন, ‘বাড়ি-ঘরে পানি উঠে যাওয়ার কারণে বৃদ্ধা মাসহ পরিবার-পরিজন নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে এসেছি। কবে পানি কমবে সেই চিন্তায় আছি।’
তানিয়া আক্তার নামের এক গৃহবধূ বলেন, ‘আমরাও শিশুদের নিয়ে গত দুই দিন এই আশ্রয়কেন্দ্রে আছি। আমাদের বাড়ি-ঘর সব পানিতে তলিয়ে গেছে, এখন কী অবস্থায় আছে তা–ও জানি না।’
পার্শ্ববর্তী পাথৈর গ্রামের মাহিন হোসেন বলেন, ‘আমাদের গ্রামের উত্তর ও দক্ষিণপাড়া সব বাড়ি–ঘর পানিতে তলিয়ে গেছে। আমাদের দেখার জন্য এখন পর্যন্ত কেউ আসেনি। আমরা সরকারের সহযোগিতা কামনা করি।’
একই গ্রামের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আজকে চার দিন আমাদের এলাকায় পানি। কুমিল্লা ও ফেনীর পানি আমাদের এলাকায় চাপ দেওয়ায় ঘর–বাড়ি তলিয়ে গেছে। ডাকাতিয়া নদী দিয়ে বানের পানি প্রবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত কমছে না।’
স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সজাগ ফাউন্ডেশনের সদস্য ফয়েজ আহমেদ বলেন, ‘গত কয়েক দিন যারা পানিবন্দী হয়ে পড়েছে, তাদের খুঁজে খাবার সামগ্রী দেওয়ার চেষ্টা করছি। এই মুহূর্তে দুর্গত মানুষের পাশে সকলেই এগিয়ে আসা প্রয়োজন।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইয়াসির আরাফাত বলেন, ‘উপজেলার দক্ষিণে ছয়টি ইউনিয়নে ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এই পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক পরিবার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আশ্রয়কেন্দ্রে আরও পরিবারের সংখ্যা বাড়ছে। আমরা এসব লোকের সহযোগিতায় কাজ করছি। অন্যদেরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।’
এদিকে দুপুরে উপজেলার সূচিপাড়ার ডিগ্রি কলেজ আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন করেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসানসহ প্রশাসনের অন্য কর্মকর্তারা।
ঘন কুয়াশার কারণে প্রায় ১১ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া এবং আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। দীর্ঘ সময় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় দুই পথের উভয় প্রান্তে আটকা পড়ে অ্যাম্বুলেন্স, ব্যক্তিগত গাড়ি, যাত্রীবাহী বাসসহ দুই শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক।
২২ মিনিট আগেরংপুরে ঘন কুয়াশার কারণে সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একই স্থানে একে একে ছয়টি পরিবহন দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। এতে প্রাণহানির কোনো ঘটনা না ঘটলেও অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনাকবলিত পরিবহনগুলোর মধ্যে তিনটি যাত্রীবাহী বাসসহ ট্রাক, পিকআপ ও কাভার্ডভ্যান রয়েছে। গাড়িগুলো ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে...
২৩ মিনিট আগেচট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থান থেকে বাসে-ট্রাকে করে মানুষ মাহফিলে আসতে থাকে। বিকেল ৪টা নাগাদ প্যারেড ময়দানের আশপাশের রাস্তাঘাট লোকারণ্য হয়ে যায়, বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। প্যারেড ময়দানসংলগ্ন চকবাজার তেলিপট্টি মোড় থেকে এক্সেস রোড, অলিখাঁ মোড় থেকে গণি বেকারির মোড় পর্যন্ত যানচলাচল সীমিত হয়ে পড়ে।
৩৯ মিনিট আগেমাঝনদীতে আটকা পড়া এসব ফেরিতে ১৫টির মতো যাত্রীবাহী বাস আছে। এসব বাসের যাত্রীরা কনকনে শীতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। এদিকে পাটুরিয়া ঘাটে ৩০টির মতো যাত্রীবাহী বাস এবং শতাধিক পণ্যবাহী যানবাহন আটকা পড়েছে।
১ ঘণ্টা আগে