নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতুতে ট্রেন দুর্ঘটনায় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার রেলওয়ের চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্যবস্থাপক এ বি এম কামরুজ্জামানের কাছে প্রতিবেদন জমা দেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা। এতে ট্রেনের সাময়িক বরখাস্ত চালক (লোকোমাস্টার) ও সহকারী চালকের অবহেলার প্রমাণ মিলেছে। তবে তদন্তে গার্ডের অবহেলার প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে জানা গেছে।
৫ জুন রাত সোয়া ১০টার দিকে চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতুর পূর্ব প্রান্তে কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা পর্যটক এক্সপ্রেসের ধাক্কায় কয়েকটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল দুমড়েমুচড়ে যায়। এ ঘটনায় দুই বছরের শিশুসহ দুজন নিহত হয়। দুর্ঘটনার পরদিন ৬ জুন চট্টগ্রাম রেলওয়ের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনিসুর রহমানকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
কমিটির অন্য তিন সদস্য হলেন বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী (লোকো) সাজিদ হাসান, বিভাগীয় প্রকৌশলী-১ আবু রাফি মোহাম্মদ ইমতিয়াজ হোসেন ও বিভাগীয় চিকিৎসা কর্মকর্তা। কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছিল। তবে ঈদের ছুটিসহ নানা কারণে বিলম্বে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
তদন্ত কমিটি সূত্রে জানা গেছে, দুর্ঘটনার পরপরই প্রাথমিকভাবে পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেনের চালক (লোকোমাস্টার) গোলাম রসুল, সহকারী চালক আমিন উল্লাহ, গার্ড সোহেল রানা ও অস্থায়ী গেটকিপার (টিএলআর) মাহবুবকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তদন্ত কার্যক্রমে তাঁদেরসহ সংশ্লিষ্ট আরও কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
১৬ জুন ট্রেনচালক গোলাম রসুল ও সহকারী চালক আমিন উল্লাহ তাঁদের বক্তব্যে জানান, ওই দিন ট্রেনের গতি বেশি ছিল এবং সেতুতে ওঠার সময় তাঁরা সংকেত (সিগন্যাল) দেখতে পাননি। তবে তদন্ত কমিটির সদস্যরা তাঁদের কাছে জানতে চান, কেন রেলের নিয়ম অনুযায়ী সেতুতে ওঠার আগে ট্রেন থামানো হয়নি। এ সময় তাঁরা সন্তোষজনক উত্তর দিতে ব্যর্থ হন।
তদন্ত কমিটি আরও জানিয়েছে, সংকেত অমান্য করার অভিযোগ বিশেষভাবে তদন্ত করা হয়েছে। বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনিসুর রহমান কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামগামী পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেন গোমদন্ডী স্টেশন আসার সময় সংকেত পরীক্ষা করেন। কিন্তু চালকদের অভিযোগের কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।
কমিটির সদস্যরা বলেছেন, কালুরঘাট রেলসেতু একটি ঝুঁকিপূর্ণ স্থান। নিয়মানুযায়ী সেতুতে ওঠার আগে ট্রেন থামাতে হয়। চৌকিদার থেকে স্লিপ নিয়ে ১০ কিলোমিটার গতিতে পুনরায় ট্রেন চালাতে হয়। কিন্তু চালক ঘটনার দিন এই নিয়ম মানেননি।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক এ বি এম কামরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কালুরঘাট সেতুতে ট্রেন দুর্ঘটনার বিষয়ে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পেয়েছি। এটি আমরা পর্যালোচনা করে দেখব। এরপর দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি দেওয়া হবে।’
চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতুতে ট্রেন দুর্ঘটনায় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার রেলওয়ের চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্যবস্থাপক এ বি এম কামরুজ্জামানের কাছে প্রতিবেদন জমা দেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা। এতে ট্রেনের সাময়িক বরখাস্ত চালক (লোকোমাস্টার) ও সহকারী চালকের অবহেলার প্রমাণ মিলেছে। তবে তদন্তে গার্ডের অবহেলার প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে জানা গেছে।
৫ জুন রাত সোয়া ১০টার দিকে চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতুর পূর্ব প্রান্তে কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা পর্যটক এক্সপ্রেসের ধাক্কায় কয়েকটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল দুমড়েমুচড়ে যায়। এ ঘটনায় দুই বছরের শিশুসহ দুজন নিহত হয়। দুর্ঘটনার পরদিন ৬ জুন চট্টগ্রাম রেলওয়ের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনিসুর রহমানকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
কমিটির অন্য তিন সদস্য হলেন বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী (লোকো) সাজিদ হাসান, বিভাগীয় প্রকৌশলী-১ আবু রাফি মোহাম্মদ ইমতিয়াজ হোসেন ও বিভাগীয় চিকিৎসা কর্মকর্তা। কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছিল। তবে ঈদের ছুটিসহ নানা কারণে বিলম্বে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
তদন্ত কমিটি সূত্রে জানা গেছে, দুর্ঘটনার পরপরই প্রাথমিকভাবে পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেনের চালক (লোকোমাস্টার) গোলাম রসুল, সহকারী চালক আমিন উল্লাহ, গার্ড সোহেল রানা ও অস্থায়ী গেটকিপার (টিএলআর) মাহবুবকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তদন্ত কার্যক্রমে তাঁদেরসহ সংশ্লিষ্ট আরও কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
১৬ জুন ট্রেনচালক গোলাম রসুল ও সহকারী চালক আমিন উল্লাহ তাঁদের বক্তব্যে জানান, ওই দিন ট্রেনের গতি বেশি ছিল এবং সেতুতে ওঠার সময় তাঁরা সংকেত (সিগন্যাল) দেখতে পাননি। তবে তদন্ত কমিটির সদস্যরা তাঁদের কাছে জানতে চান, কেন রেলের নিয়ম অনুযায়ী সেতুতে ওঠার আগে ট্রেন থামানো হয়নি। এ সময় তাঁরা সন্তোষজনক উত্তর দিতে ব্যর্থ হন।
তদন্ত কমিটি আরও জানিয়েছে, সংকেত অমান্য করার অভিযোগ বিশেষভাবে তদন্ত করা হয়েছে। বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনিসুর রহমান কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামগামী পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেন গোমদন্ডী স্টেশন আসার সময় সংকেত পরীক্ষা করেন। কিন্তু চালকদের অভিযোগের কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।
কমিটির সদস্যরা বলেছেন, কালুরঘাট রেলসেতু একটি ঝুঁকিপূর্ণ স্থান। নিয়মানুযায়ী সেতুতে ওঠার আগে ট্রেন থামাতে হয়। চৌকিদার থেকে স্লিপ নিয়ে ১০ কিলোমিটার গতিতে পুনরায় ট্রেন চালাতে হয়। কিন্তু চালক ঘটনার দিন এই নিয়ম মানেননি।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক এ বি এম কামরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কালুরঘাট সেতুতে ট্রেন দুর্ঘটনার বিষয়ে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পেয়েছি। এটি আমরা পর্যালোচনা করে দেখব। এরপর দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি দেওয়া হবে।’
করোনার সংক্রমণ রোধে সরকার দেশের সব স্থল, নৌ ও বিমানবন্দরে সতর্কতা ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিলেও এখন পর্যন্ত বেনাপোল বন্দরে কোনো ধরনের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে অবাধে ভারতীয় ট্রাকচালকেরা প্রবেশ করছে বন্দরে। এ ছাড়া পাসপোর্টধারীরা...
১২ মিনিট আগেদিনাজপুরের খানসামা উপজেলার বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ওষুধ ও জনবলসংকট দেখা দিয়েছে। এতে স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোর সেবা ব্যাহত হচ্ছে। ফলে পরিবার পরিকল্পনা-সংশ্লিষ্ট সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে উপজেলার সাধারণ মানুষ; বিশেষ করে নারী ও কিশোরীরা।
১৯ মিনিট আগেনীলফামারীর সৈয়দপুর থেকে বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী ট্রেনে টিকিট ছাড়া যাত্রীদের ভ্রমণের সুযোগ করে দিয়ে অবৈধভাবে অর্থ আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। আর এ কাজে জড়িত ট্রাভেলিং টিকিট পরীক্ষক (টিটিই), অ্যাটেন্ডেন্ট, রেলওয়ে পুলিশ (জিআরপি) সদস্য ও ক্যাটারিংয়ে যুক্ত অসাধু কিছু লোক। ট্রেনের ওই রানিং স্টাফদের কারণে...
৩১ মিনিট আগে২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বলিবাজার থেকে পরিবারের ছয় সদস্য নিয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন রোহিঙ্গা আজিম উল্লাহ (৪৮)। প্রায় পৌনে আট বছর কক্সবাজারের উখিয়ার হাকিমপাড়া আশ্রয়শিবিরে পাহাড়ের ঢালুতে ত্রিপলের ছাউনি ও বাঁশের বেড়া দিয়ে তৈরি ঘরে পরিবার নিয়ে থাকছেন তিনি...
৩৫ মিনিট আগে