Ajker Patrika

ব্লেড দিয়ে কেটে মরিচের গুঁড়া লাগিয়ে মাদ্রাসাশিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ

কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৯: ৫৭
ব্লেড দিয়ে কেটে মরিচের গুঁড়া লাগিয়ে মাদ্রাসাশিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় এক মাদ্রাসাশিক্ষার্থীর শরীর ব্লেড দিয়ে কেটে মরিচের গুঁড়া লাগিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ শুক্রবার অভিযুক্ত মাদ্রাসাশিক্ষক হাফেজ আবু হানিফকে (৩০) আটক করেছে পুলিশ। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম ইশফাত মামুন রিয়াদ (১২)। সে উপজেলার বরুমচড়া ইউনিয়নের নলদিয়া গ্রামের মোহাম্মদ টুন্টুর ছেলে এবং ওই মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র। 

ঘটনাটি ঘটে ৫ ফেব্রুয়ারি উপজেলার বারশত ইউনিয়নের বাসিন্দা এবং পূর্ব গুয়াপঞ্চ ইমাম আজম রহ. ইন্টারন্যাশনাল হিফজুল কুরআন একাডেমি মাদ্রাসায়। আটক শিক্ষক হাফেজ আবু হানিফ উপজেলার বারশত ইউনিয়নের বাসিন্দা। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর্জা মুহাম্মদ হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, এক শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করে। আটক শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদের পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
 
জানা গেছে, ওই দিন রাতে শিক্ষার্থী ইশফাত মামুন রিয়াদ পড়া মুখস্থ না করায় শিক্ষক হাফেজ আবু হানিফ তাকে মারধরের একপর্যায়ে ব্লেড দিয়ে শরীরে আঘাত করেন। পরে মরিচের গুঁড়া লাগিয়ে দেন এবং কাউকে না বলার জন্যও ভয় দেখান। শিক্ষার্থীকে গত বুধবার পর্যন্ত ১৯ দিন মাদ্রাসায় আটকে রাখেন। আজ থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করে। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। 

ভুক্তভোগী ছাত্রের বড় ভাই আসাদুজ্জামান ছোটন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার সে বাড়িতে গেলে তার পিঠের এমন অবস্থা দেখে জিজ্ঞেস করি। সে জানায়, হুজুর ব্লেড দিয়ে কেটে কাটা স্থানে মরিচের গুঁড়া দিয়েছে। কাউকে না বলার জন্যও ভয় দেখায়। এরপর তাকে নিয়ে আজ দুপুরে মাদ্রাসায় আসি এবং মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষ এটা নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি না করার জন্যও বলেন। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় থানায় আসি। আমরা থানায় অভিযোগ করি।’ 

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ইশফাত মামুন রিয়াদ আজকের পত্রিকাকে বলে, ‘ওই দিন রাতে হুজুর ব্লেড দিয়ে কেটে মরিচের গুঁড়া লাগিয়ে দেন। আমি চিৎকার করলে মুখে কাপড় দিয়ে চেপে ধরেন এবং গত বুধবার পর্যন্ত মাদ্রাসায় আটকে রাখেন।’ 

অভিযোগটি স্বীকার করে অভিযুক্ত হাফেজ আবু হানিফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় পড়া না পারার কারণে মারধর করেছি। এর জন্য আমি ক্ষমা চাইছি। ভবিষ্যতে এমন কাজ আর করব না।’ 

এ বিষয়ে ইমাম আজম রহ. ইন্টারন্যাশনাল হিফজুল কুরআন একাডেমির পরিচালক মাওলানা মুহাম্মদ আজিজুর রহমান আল কাদেরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনাটি সত্যি দুঃখজনক। কোনো প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এমন কাণ্ড কারও কাম্য নয়। শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত