Ajker Patrika

মিতু হত্যা মামলা, বাদী বাবুল আক্তারের মামলায় নারাজি নামঞ্জুর, পুনঃতদন্তের নির্দেশ

আদালত প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
মিতু হত্যা মামলা, বাদী বাবুল আক্তারের মামলায় নারাজি নামঞ্জুর, পুনঃতদন্তের নির্দেশ

স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের করা মামলায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) চূড়ান্ত প্রতিবেদনের (ফাইনাল রিপোর্ট) বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। একই আদেশে পিবিআইয়ের চূড়ান্ত প্রতিবেদনও আদালত গ্রহণ না করে মামলাটি আবারও তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আজ বুধবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহনাজ রহমান এ আদেশ দেন।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) কামরুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, পিবিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদন আদালত প্রত্যাখ্যান করে আদালত মামলাটি আবারও তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। 

বাবুল আক্তারের আইনজীবী শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, পিবিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে দেওয়া নারাজি আদালত নামঞ্জুর করেছেন। মামলাটি আবার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তবে আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত লিখিত আদেশ সম্পন্ন না হওয়ায় মামলাটি কোন সংস্থাকে তদন্ত করতে বলেছে, সেব্যাপারে কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারেননি। 

বাবুল আক্তারের করা মামলায় পিবিআইয়ের দেওয়া প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে ১৪ অক্টোবর আদালতে নারাজি দরখাস্ত দিয়েছিলেন বাবুল আক্তারের আইনিজীবী। ২৭ অক্টোবর এ বিষয়ে শুনানির পর গতকাল ৩ নভেম্বর আদেশের দিন ধার্য করেছিলেন। 

নারাজিতে বলা হয়, বাবুল আক্তারের মামলায় পুলিশ ১৬১ ধারায় ৫১ জনের বেশি সাক্ষীর সাক্ষ্য নিয়েছেন। তারা কেউ মিতু হত্যায় বাবুলের জড়িত থাকার কথা বলেননি। । সেখানে একজনও বাবুলের সম্পৃক্ততার কথা বলেননি। তিনি স্বর্ণের চোরাকারবারি, চোরাচালানের হোতা ও জঙ্গিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়েছিলেন। তাদের সম্মিলিত ষড়যন্ত্রের শিকার বাবুল। 

প্রসঙ্গত ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে মিতুকে নগরীর জিইসির তিন দুর্বৃত্ত গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে। ওই সময় বাবুল আক্তার পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি পেয়ে পুলিশ সদর দপ্তরে ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। তার আগে তিনি চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনারের দায়িত্বে ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের পর নগরীর পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন বাবুল আক্তার। 

এ ঘটনায় বাবুল আক্তারের করা মামলায় পিবিআই এ বছর ১২ মে আদালতে ফাইনাল রিপোর্ট দেন। একইদিন বাবুল আক্তারের শ্বশুর মোশারফ হোসেন বাদী হয়ে বাবুল আক্তারসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মিতু হত্যার অভিযোগে মামলা করেন। মামলাটি পিবি আই তদন্ত করেছে। শ্বশুরের করা মামলায় বাবুল আক্তার ১৭ মে থেকে কারাগারে রয়েছেন। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত