মো. আনোয়ারুল ইসলাম, ব্রাহ্মণপাড়া (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
অবৈধ দখলমুক্ত করে খাল খননের উপকার পেতে শুরু করেছেন কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার মাধবপুর ইউনিয়নের চাষিরা। ওই ইউনিয়নের রাণীগাছ ও মাধবপুর গ্রাম হয়ে বয়ে যাওয়া খালটি দখলমুক্ত করে খননের ফলে পানির প্রবাহ থাকায় এ বছর জমে যাওয়া পানিতে জলাশয়ে পরিণত হয়নি কয়েক শ হেক্টরের দুটি ফসলের মাঠে। এতে অন্যান্য বছরের তুলনায় এই জমিগুলোতে ফলন ভালো হবে বলে আশা করছেন কৃষকেরা।
এদিকে শিগগিরই উপজেলার অন্যান্য খাল দখলমুক্ত ও খনন করে পানি প্রবাহের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
সরেজমিনে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাধবপুর ইউনিয়নের রাণীগাছ গ্রামের দুটি ফসলি মাঠ ও মাধবপুর গ্রামের মাঝখান দিয়ে যাওয়া এক কিলোমিটারের একটি খাল পরে অন্য একটি খালে সংযুক্ত হয়েছে। এই খালের প্রায় ৬০ শতকের মতো ভরাট করে স্থানীয় লোকজন ঘর-বাড়ি ও দোকানঘর নির্মাণ করেছিল অবৈধভাবে, যার ফলে রাণীগাছ এলাকার দুটি ফসলের মাঠের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যায়। এতে গত কয়েক বছর ধরে খালটিতে পানির প্রবাহ না থাকায় ফসলি মাঠ দুটি থেকে সময়মতো পানি নামত না। এতে মৌসুমে ফসল আবাদ করতে বিপাকে পড়তে হতো কৃষকদের।
এ অবস্থার প্রতিকার চেয়ে রাণীগাছ ও মাধবপুর এলাকার বেশ কিছু কৃষক কয়েক মাস আগে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ কাউছার হামিদের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। এরপর গত ১৫ দিনো খালটি দখলমুক্ত ও খনন করে এতে পানি নিষ্কাশন ও পানি প্রবাহের ব্যবস্থা করা হয়। ফলে রাণীগাছ ও মাধবপুর এলাকার কৃষকদের মনে স্বস্তি ফিরেছে।
রাণীগাছ এলাকার কৃষক খোকন চৌধুরী বলেন, ‘এ বছর তিন বিঘা জমিতে ইরি ধান চাষ করেছি। আশা করছি ফলন ভালো হবে। বাড়ির পাশের খালটি খনন করায় এ বছর পানির সমস্যা হয়নি। এলাকার সব কৃষক তাঁদের প্রয়োজন মতো পানি খাল থেকে নিতে পারছেন এবং বৃষ্টির পানি এই খাল দিয়ে নেমে যাওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। এতে সবার খেতের ফসল বেশ ভালো হবে।’
একই গ্রামের কৃষক জামসেদ আলম বলেন, এ বছর ছয় বিঘা জমিতে ধানের চাষ করেছি। ফলন খুবই ভালো হবে বলে আশা করছি। খাল খননের ফলে এ বছর আর পানি সমস্যা হয়নি। বড় ধরনের কোনো দুর্যোগ না হলে ভালো লাভ পাব।
মাধবপুর গ্রামের আমেনা বেগম বলেন, ‘খালটি খনন করায় আমাদের বাড়িসহ খালের দুই পাশের বাড়ি-ঘরের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থাসহ অনেক উপকার হয়েছে।’
রাণীগাছ গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা নোয়াব মিয়া বলেন, উপজেলার সব ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার অনেক খাল বেদখল হয়ে ও পলি পড়ে গভীরতা কমে পানি নিষ্কাশন এবং প্রবাহ বন্ধ হয়ে আছে। এতে লোকসানের শঙ্কায় রয়েছেন এলাকার শত শত কৃষক। শিগগিরই ভরাট হয়ে যাওয়া খালগুলো খনন করা উচিত।
ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা কান্তি দেবনাথ বলেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মহোদয়ের নির্দেশে মাধবপুর ও রাণীগাছ গ্রামের এই খালের ৪০ শতকের মতো অবৈধ দখলমুক্ত করে খনন করা হয়েছে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ কাউছার হামিদ বলেন, উপজেলার মাধবপুর ও রাণীগাছ এলাকার একটি খালের মাধবপুর অংশে স্থানীয় কিছু লোক বেদখল ও ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণ করে বসবাস করে আসছিলেন। এতে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে ওই এলাকার দুটি কৃষিজমির ব্যাপক ক্ষতি হয়। কৃষকদের অভিযোগ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মহোদয়ের নির্দেশে ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় ওই খাল অবৈধ দখলমুক্ত করে খনন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এভাবে বেদখল হয়ে থাকা খাল খননের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো রয়েছে। শিগগিরই ভরাট হয়ে যাওয়া খালগুলো দখলমুক্ত ও খনন করা হবে।
অবৈধ দখলমুক্ত করে খাল খননের উপকার পেতে শুরু করেছেন কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার মাধবপুর ইউনিয়নের চাষিরা। ওই ইউনিয়নের রাণীগাছ ও মাধবপুর গ্রাম হয়ে বয়ে যাওয়া খালটি দখলমুক্ত করে খননের ফলে পানির প্রবাহ থাকায় এ বছর জমে যাওয়া পানিতে জলাশয়ে পরিণত হয়নি কয়েক শ হেক্টরের দুটি ফসলের মাঠে। এতে অন্যান্য বছরের তুলনায় এই জমিগুলোতে ফলন ভালো হবে বলে আশা করছেন কৃষকেরা।
এদিকে শিগগিরই উপজেলার অন্যান্য খাল দখলমুক্ত ও খনন করে পানি প্রবাহের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
সরেজমিনে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাধবপুর ইউনিয়নের রাণীগাছ গ্রামের দুটি ফসলি মাঠ ও মাধবপুর গ্রামের মাঝখান দিয়ে যাওয়া এক কিলোমিটারের একটি খাল পরে অন্য একটি খালে সংযুক্ত হয়েছে। এই খালের প্রায় ৬০ শতকের মতো ভরাট করে স্থানীয় লোকজন ঘর-বাড়ি ও দোকানঘর নির্মাণ করেছিল অবৈধভাবে, যার ফলে রাণীগাছ এলাকার দুটি ফসলের মাঠের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যায়। এতে গত কয়েক বছর ধরে খালটিতে পানির প্রবাহ না থাকায় ফসলি মাঠ দুটি থেকে সময়মতো পানি নামত না। এতে মৌসুমে ফসল আবাদ করতে বিপাকে পড়তে হতো কৃষকদের।
এ অবস্থার প্রতিকার চেয়ে রাণীগাছ ও মাধবপুর এলাকার বেশ কিছু কৃষক কয়েক মাস আগে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ কাউছার হামিদের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। এরপর গত ১৫ দিনো খালটি দখলমুক্ত ও খনন করে এতে পানি নিষ্কাশন ও পানি প্রবাহের ব্যবস্থা করা হয়। ফলে রাণীগাছ ও মাধবপুর এলাকার কৃষকদের মনে স্বস্তি ফিরেছে।
রাণীগাছ এলাকার কৃষক খোকন চৌধুরী বলেন, ‘এ বছর তিন বিঘা জমিতে ইরি ধান চাষ করেছি। আশা করছি ফলন ভালো হবে। বাড়ির পাশের খালটি খনন করায় এ বছর পানির সমস্যা হয়নি। এলাকার সব কৃষক তাঁদের প্রয়োজন মতো পানি খাল থেকে নিতে পারছেন এবং বৃষ্টির পানি এই খাল দিয়ে নেমে যাওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। এতে সবার খেতের ফসল বেশ ভালো হবে।’
একই গ্রামের কৃষক জামসেদ আলম বলেন, এ বছর ছয় বিঘা জমিতে ধানের চাষ করেছি। ফলন খুবই ভালো হবে বলে আশা করছি। খাল খননের ফলে এ বছর আর পানি সমস্যা হয়নি। বড় ধরনের কোনো দুর্যোগ না হলে ভালো লাভ পাব।
মাধবপুর গ্রামের আমেনা বেগম বলেন, ‘খালটি খনন করায় আমাদের বাড়িসহ খালের দুই পাশের বাড়ি-ঘরের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থাসহ অনেক উপকার হয়েছে।’
রাণীগাছ গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা নোয়াব মিয়া বলেন, উপজেলার সব ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার অনেক খাল বেদখল হয়ে ও পলি পড়ে গভীরতা কমে পানি নিষ্কাশন এবং প্রবাহ বন্ধ হয়ে আছে। এতে লোকসানের শঙ্কায় রয়েছেন এলাকার শত শত কৃষক। শিগগিরই ভরাট হয়ে যাওয়া খালগুলো খনন করা উচিত।
ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা কান্তি দেবনাথ বলেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মহোদয়ের নির্দেশে মাধবপুর ও রাণীগাছ গ্রামের এই খালের ৪০ শতকের মতো অবৈধ দখলমুক্ত করে খনন করা হয়েছে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ কাউছার হামিদ বলেন, উপজেলার মাধবপুর ও রাণীগাছ এলাকার একটি খালের মাধবপুর অংশে স্থানীয় কিছু লোক বেদখল ও ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণ করে বসবাস করে আসছিলেন। এতে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে ওই এলাকার দুটি কৃষিজমির ব্যাপক ক্ষতি হয়। কৃষকদের অভিযোগ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মহোদয়ের নির্দেশে ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় ওই খাল অবৈধ দখলমুক্ত করে খনন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এভাবে বেদখল হয়ে থাকা খাল খননের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো রয়েছে। শিগগিরই ভরাট হয়ে যাওয়া খালগুলো দখলমুক্ত ও খনন করা হবে।
প্রায় ৪১ কোটি টাকা ব্যয়ে ময়মনসিংহ নগরীর মাসকান্দা এলাকায় ২০২২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ময়মনসিংহ ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি (আইএইচটি)। কিন্তু প্রতিষ্ঠার সময় নিয়োগ দেওয়া হয়নি প্রয়োজনীয় জনবল। বর্তমানে দুজন অতিথি শিক্ষক সপ্তাহে দুই দিন করে ক্লাস নেন। এতে ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।
২ ঘণ্টা আগেকক্সবাজার ও চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতের পর ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছিল পারকি। চট্টগ্রাম শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দক্ষিণে আনোয়ারা উপজেলায় অবস্থিত এই সৈকতের দীর্ঘ ১৩ কিলোমিটার। পাশে বিশাল ঝাউবাগান থাকা সৈকতটি একসময় পর্যটকে মুখর থাকলেও এখন সেই অবস্থা আর নেই। ভাঙনের কারণে বালু সরে গিয়ে বিবর্ণ হয়ে
২ ঘণ্টা আগেরংপুর জেলার প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আওতাধীন ৮টি উপজেলায় জনবলসংকট চরমে। এতে ঠিকমতো গবাদি পশুর চিকিৎসা পাচ্ছে না খামারিরা। নিয়মানুযায়ী প্রতিটি উপজেলায় ১১টি পদের জন্য একজন করে মোট ৮৮ জন জনবল থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে কর্মরত ৫২ জন। তাঁদের মধ্যে আবার বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা প্রেষণে ঢাকায় অবস্থান করছেন।
২ ঘণ্টা আগেকয়েক বছর ধরে ডেঙ্গুর হটস্পট হয়ে ওঠা কক্সবাজারের রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির এবং আশপাশের এলাকায় এ বছর ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। গত এক মাসে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পাঁচ রোহিঙ্গাসহ ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। চলতি মাসের ২৬ জুন পর্যন্ত জেলায় ২১৬ জন ম্যালেরিয়া রোগী শনাক্ত হয়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে ডেঙ্গুর প্রকোপও।
২ ঘণ্টা আগে