Ajker Patrika

শ্রমিকনেতা শহিদুল হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার

কক্সবাজার প্রতিনিধি
আপডেট : ১৪ জুলাই ২০২৩, ১৬: ০৯
শ্রমিকনেতা শহিদুল হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার

গাজীপুরের টঙ্গীতে শ্রমিকনেতা শহিদুল ইসলাম হত্যা মামলার দুই নম্বর আসামি আকাশ আহমেদ বাবুলকে (৪৩) গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। আজ শুক্রবার ভোরে কক্সবাজারের হোটেল-মোটেল জোনের কলাতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুপুর সাড়ে ১২টায় কক্সবাজার র‍্যাব-১৫-এর উপ-অধিনায়ক মেজর সৈয়দ সাদিকুল হক এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 

গ্রেপ্তার বাবুল টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার বটটেকি এলাকার সিদ্দীকুর রহমানের ছেলে। 

মেজর সৈয়দ সাদিকুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল শ্রমিক ফেডারেশনের গাজীপুর জেলা সভাপতি ছিলেন শহিদুল ইসলাম। গত ২৫ জুন গাজীপুরের টঙ্গীর সাতাইশ এলাকায় প্রিন্স জ্যাকার্ড সোয়েটার লিমিটেড নামের একটি কারখানায় যান তিনি। ওই কারখানায় শ্রমিকেরা বকেয়া বেতন-বোনাসের জন্য আন্দোলন করছিলেন। ওই দিন সন্ধ্যায় শ্রমিকদের দাবি নিয়ে গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে কারখানা থেকে বের হয়ে হামলার শিকার হন তিনি। গ্রেপ্তার আকাশসহ সংঘবদ্ধ ১২-১৩ জনের দুর্বৃত্ত তাঁকে উপর্যুপরি আঘাত করে। হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।’

মেজর সৈয়দ সাদিকুল হক জানান, এ ঘটনায় বাবুলসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে টঙ্গী পশ্চিম থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে র‍্যাবের কাছে শহিদ হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন বাবুল। তাঁকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন র‍্যাবের এই কর্মকর্তা।

মামলার বাদী ফেডারেশনের সভাপতি কল্পনা আক্তার বলেন, পরিকল্পনা করেই শহিদুল ইসলামকে হত্যা করা হয়েছে। 

নিহত শহিদুল ইসলাম আফ্রাদ (৪৫) গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার রাজাবাড়ী ইউনিয়নের মিটালু গ্রামের মৃত আজমত আলী আফ্রাদের ছেলে। তিনি বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের গাজীপুর জেলা শাখার সভাপতি। 

নিহত শ্রমিকনেতার স্ত্রী কাজলী আক্তার বলেন, ‘গত ২৬ জুন রাত ৮টার দিকে মোবাইল ফোনে স্বামীর সঙ্গে সবশেষ কথা হয়। ওই সময় আমার স্বামী মোবাইল ফোনে জানান, আমি একটু সমস্যায় রয়েছি। তুমি অপু আর ইব্রাহিমকে নিয়ে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে শুয়ে পড়ো। আমার আসতে একটু দেরি হবে। এর এক ঘণ্টা পরে আমার স্বামী নেই বলে ফোনে জানায়। এই ফোন কলের সঙ্গে সঙ্গে আমার সংসারের আলো নিভে যায়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত