Ajker Patrika

তেল পরিবহনে নিরাপত্তা ঝুঁকি

  • দেশীয় জাহাজে তেল পরিবহনে জড়িত আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীরা।
  • জাপানের তৈরি জাহাজগুলো বাদ দিয়ে ঢোকানো হয়েছে এসব জাহাজ।
  • ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর দফায় দফায় ভাড়া বাড়ানো হয়েছে।
আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম 
আপডেট : ২৭ মার্চ ২০২৫, ১০: ১৩
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

নৌপথে জ্বালানি তেল পরিবহনে শ্যালো ড্রাফট, বে-ক্রসিং ও মিনি ট্যাংকার জাহাজ ব্যবহার করা যাবে সাড়ে তিন মাস। সাগর উত্তাল থাকার কারণে এ সাড়ে তিন মাসের বেশি উল্লিখিত নৌযান চলাচল করতে নিষেধ আছে। তবে এই নিষেধের কোনো তোয়াক্কা করছে না সরকারি তিনটি তেল কোম্পানি।

এদিকে গত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এই পরিবহন বাণিজ্যে ঢুকে পড়েছেন এমপি-মন্ত্রীরা। তাঁদের সুবিধা দিতে দফায় দফায় বাড়ানো হয়েছে পরিবহন ভাড়া। এতে বেড়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের খরচ। অন্য দিকে এসব আওয়ামীপন্থীদের জাহাজগুলো অধিকাংশই দেশে তৈরি। এগুলোর মান নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। সব মিলিয়ে দুর্ঘটনাপ্রবণ হয়ে উঠছে জ্বালানি তেল পরিবহন।

২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বিপিসির বহরে থাকা অয়েল ট্যাংকার ১৭৭টি। এর মধ্যে ৮৭টি কোস্টাল ট্যাংকার এবং শ্যালো ড্রাফট, বে-ক্রসিং ও মিনি ট্যাংকার মিলে রয়েছে ৯০টি। এই ৯০টি শ্যালো ড্রাফট, বে-ক্রসিং ও মিনি ট্যাংকার পরিচালিত হয় ইনল্যান্ড শিপিং অর্ডিন্যান্স ১৯৭৬ অনুসারে। এই আইন অনুযায়ী অভ্যন্তরীণ নৌযানের এসব জাহাজ সাড়ে তিন মাস (১৫ নভেম্বর থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত) সাগর ক্রস করে তেল পরিবহন করতে পারবে। তবে সরকারি তিনটি তেল কোম্পানি সারা বছরই তেল পরিবহন করছে।

বিপিসি সূত্র জানায়, সারা দেশে ৭০ লাখ টন জ্বালানি তেলের চাহিদার বিপরীতে তেল আমদানি করা হয়। এর ৫০ লাখ টন নদীপথে পরিবহন করা হয়। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের নেতা-মন্ত্রী-আমলাদের জাহাজে পরিবহন করা হয় প্রায় ৭০ শতাংশ জ্বালানি তেল।

বিপিসির তরফ থেকে ২০২৩ সালে ৮ আগস্ট জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিবকে দেওয়া এক পত্র সূত্রে জানা যায়, বিপিসির বহরে মোট ১৬২টি অয়েল ট্যাংকার আছে। এর মধ্যে ১৪৩টি অয়েল ট্যাংকার দেশে তৈরি। দেশে তৈরি এসব জাহাজের অধিকাংশই বিগত সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী-এমপির মালিকানাধীন। এসব দেশীয় জাহাজ যত্রতত্র দুর্ঘটনায় পড়ছে। জাপানি জাহাজগুলোর এ ধরনের কোনো নজির নেই বলেও ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এমন একটি ট্যাংকার (সাগর নন্দিনী-২) ২০২৩ সালের ১ জুলাই ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে বিস্ফোরিত হয়। এতে সুপারভাইজার বিল্লালসহ ৪ জন মারা যান এবং এ সময় বিপুল পরিমাণ তেল নদীতে পড়ে যায়।

যেভাবে রাজনৈতিক প্রভাবশালীরা ঢুকলেন

বিপিসি সূত্র জানায়, ২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ৪০ বছরের বয়সের জাহাজগুলো বিপিসির বহরে আর না রাখার সিদ্ধান্ত হয় এবং আর তিন জ্বালানি তেল কোম্পানিতে (পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা) নবায়ন না করার জন্য বলা হয়। এতে জ্বালানি তেল পরিবহনে ত্রুটিহীন জাপানি জাহাজগুলো বিপিসির বহর থেকে বের করে দেওয়া হয়। মূলত রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের জাহাজ এই বহরে ঢোকানোর জন্য এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে সূত্র।

বিপিসির মহাব্যবস্থাপক (অর্থ) মুহাম্মদ মোরশেদ হোসাইন আজাদ বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ আমলে কিছু রাজনৈতিক প্রভাবশালী নৌপথে তেল পরিবহনের ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। জ্বালানি পরিবহনের বহর থেকে বাদ দেওয়া জাহাজের অধিকাংশ জাপানের তৈরি। আন্তর্জাতিক কোম্পানি কর্তৃক মানসম্মত। জাপানি জাহাজগুলো বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত মন্ত্রণালয়ের।

আর সারা বছর জ্বালানি তেল পরিবহনে এসব জাহাজ ব্যবহারের অনুমোদন নেই স্বীকার করে এই কর্মকর্তা বলেন, বাঘাবাড়ী নৌবন্দরে জ্বালানি তেল পৌঁছাতে আমাদের এসব জাহাজ সারা বছর ব্যবহার করতে হয়।

এদিকে অর্ডিনেন্স অনুযায়ী জ্বালানি তেলের জাহাজ চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে না কেন—এই বিষয়ে জানতে চাইলে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম বলেন, ‘আমাদের বিভাগের লোকবল বা পরিদর্শক কম, তাই এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া বা অভিযান পরিচালনা সম্ভব হয় না।’

বাড়ানো হয়েছে পরিবহন খরচ

সাগরে জাহাজ নামিয়েই দফায় দফায় জ্বালানি তেল পরিবহনের ভাড়া বাড়িয়ে নেন আওয়ামী লীগের প্রভাবশালীরা। বিপিসি কর্তৃপক্ষ জানায়, এক পয়সা জ্বালানির পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধি পেলে বিপিসির ১ কোটি খরচ বেড়ে যায়। ২০১০ সালে কোস্টাল ট্যাংকারে ২.৯৭ টাকা ও শ্যালো ড্রাফটে ৪.০২ টাকা ভাড়া ছিল। সর্বশেষ গত বছরের ডিসেম্বর মাসে জ্বালানি তেল পরিবহন ভাড়া ছিল কোস্টার ট্যাংকারের জন্য ৬.৪৬ এবং শ্যালো ড্রাপটের ভাড়া ৭.৯৩ টাকা। এ ক্ষেত্রে হাজার হাজার কোটি টাকা নিজেদের পকেটে নেয় এ প্রভাবশালী মহল। বিপিসির নথি পর্যলোচনায় দেখা যায়, এক সপ্তাহের ব্যবধানে দুইবার ভাড়া বাড়ানোর ঘটনা ঘটেছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ অয়েল ট্যাংকার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি আবুল বশর আবু জানান, বিগত সরকারের ঘনিষ্ঠরা দলীয় বিবেচনায় বিনা টেন্ডারে অবৈধভাবে অসংখ্য জাহাজকে বিপিসির বহরে যুক্ত করেন। এতে তারা ফায়দা লুটে নিলেও ক্ষতি হয় আসল ব্যবসায়ীদের। যার প্রভাব পড়ে পুরো জ্বালানি তেল খাতের ওপর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হবিগঞ্জে বাস উল্টে খাদে পড়ে ১ জন নিহত, আহত ২০

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি   
মাধবপুর উপজেলার বেজুড়া এলাকায় ট্রাকের ধাক্কায় গভীর খাদে পড়ে যায় বাস। ছবি: আজকের পত্রিকা
মাধবপুর উপজেলার বেজুড়া এলাকায় ট্রাকের ধাক্কায় গভীর খাদে পড়ে যায় বাস। ছবি: আজকের পত্রিকা

হবিগঞ্জের মাধবপুরে মাজার জিয়ারত শেষে বাড়ি ফেরার পথে বাস উল্টে খাদে পড়ে বাদল মিয়া (৪০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন যাত্রী। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বেজুড়া নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত বাদল মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার বীরপাশা গ্রামের পল্টু মিয়ার ছেলে। আহতদের সবাই একই এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

পুলিশ জানায়, রোববার হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার এক মাজারে জিয়ারত শেষে ভোরে দিগন্ত পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে করে বাড়ি ফিরছিলেন বাদল। বাসটি মাধবপুর উপজেলার বেজুড়া এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক বাসটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এর ফলে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের পাশের গভীর খাদে পড়ে যায়। এতে বাসের নিচে অনেক যাত্রী আটকা পড়েন এবং বাদল মিয়া ঘটনাস্থলেই মারা যান।

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে মাধবপুর ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে। আহতদের উদ্ধার করে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়।

শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু তাহের দেওয়ান দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে শিশুকে গলা কেটে হত্যা, সহপাঠী আটক

নোয়াখালী প্রতিনিধি
বাটরা আল মাদ্রাসাতুল ইসলামিয়া মখযানুল উলুম মাদ্রাসা। ছবি: সংগৃহীত
বাটরা আল মাদ্রাসাতুল ইসলামিয়া মখযানুল উলুম মাদ্রাসা। ছবি: সংগৃহীত

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার চাষিরহাট ইউনিয়নে মাথায় টুপি পরাকে কেন্দ্র করে নাজিম উদ্দিন (১৩) নামের এক মাদ্রাসা ছাত্রকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তারই সহপাঠীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আবু সায়েদকে (১৫) আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। রোববার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার বাটরা আল মাদ্রাসাতুল ইসলামিয়া মখযানুল উলুম মাদ্রাসায় ঘুমের মধ্যে ছুরি দিয়ে গলা কেটে নাজিমকে হত্যা করা হয়।

নিহত নাজিম উদ্দিন ওই উপজেলার চাষিরহাট ইউনিয়নের জাহানাবাদ গ্রামের ওবায়দুল্যার ছেলে।

পুলিশ জানায়, নাজিম ও সায়েদ ওই মাদ্রাসার হিফজ বিভাগের ছাত্র। এর মধ্যে নাজিম ২২ পারা কোরআন মুখস্থ শেষ করে এবং সায়েদ ২৩ পারা শেষ করে। গত ১০-১৫ দিন আগে টুপি পরাকে কেন্দ্র করে নাজিম ও সায়েদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে হুজুর দুজনের মধ্যে বিবাদ মীমাংসা করে দেন। কিন্তু সায়েদের মধ্যে রাগ থেকে যায়। তাই সে বাজার থেকে কিছুদিন আগে ৩০০ টাকা দিয়ে একটি নতুন ছুরি কিনে নিয়ে আসে এবং নাজিমকে হত্যার জন্য সুযোগ খুঁজতে থাকে। রোববার রাতে নাজিম ঘুমিয়ে পড়লে ঘুমের মধ্যে তার গলা কেটে তাকে হত্যা করে সায়েদ। গোঙানি শুনতে পেয়ে হুজুর ও অন্য ছাত্ররা জেগে যায়। পরে ছুরিসহ সায়েদকে আটক করা হয়।

সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আবু সায়েদকে আটক করে। সোমবার ক্রাইমসিনের প্রতিনিধিদল ঘটনাস্থলে গিয়েছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মেট্রোরেল বন্ধের প্রভাব, সকাল থেকেই রাজধানীতে তীব্র যানজট

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
সকালে যানজটে অফিসগামী মানুষ বিপাকে পড়েন। ছবি: ফেসবুক
সকালে যানজটে অফিসগামী মানুষ বিপাকে পড়েন। ছবি: ফেসবুক

রাজধানী ঢাকার ফার্মগেট এলাকায় মেট্রো লাইনের একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে দুর্ঘটনায় এক পথচারী নিহত ঘটনায় আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন অসংখ্য মানুষ। এর মধ্যে আজ সোমবার সকাল থেকে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) লাইন মেরামত শুরু করে। এর ফলে খেজুরবাগান থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত সড়ক আংশিকভাবে বন্ধ হওয়ায় ওই এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

গতকাল রোববার পথচারী নিহতের ঘটনার পর মেরামতের কাজ শুরু হলে সকাল থেকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ, ফার্মগেট, সোনারগাঁও, রেইনবো, বিজয় সরণি, উড়োজাহাজ মোড় এবং আগারগাঁও এলাকায় গাড়ির দীর্ঘ সারি দেখা যায়। অফিস সময়ে এসব রাস্তায় যানজটের কারণে সাধারণ যাত্রী ও অফিসগামী মানুষ ভোগান্তিতে পড়েন।

তেজগাঁও ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তারা জানান, মেট্রোরেলের আংশিক বন্ধ থাকার কারণে সাধারণ যাত্রী বিভিন্ন ধরনের বিকল্প যানবাহনে রওনা হচ্ছেন। ফলে রাস্তায় গাড়ির চাপ বেড়ে যানজটের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে।

এ ছাড়া রেইনবো ক্রসিং এলাকায় একটি বড় লরি নষ্ট হয়ে পড়ায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে থেকে নামা যান চলাচল ব্যাহত হয়।

অন্যদিকে, যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে লেক রোড এলাকায় হেঁটে, পিকআপ ও ট্রাকযোগে বিপুলসংখ্যক লোক সমাগম হওয়ায় ওই সড়কেও যানজটের সৃষ্টি হয়।

জনগণের ভোগান্তি কমাতে ট্রাফিক তেজগাঁও বিভাগ মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পশ্চিম পাশে বিকল্প ডাইভারশন চালু করে। ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা যানজট নিরসনে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে বলে জানিয়েছে বিভাগটি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল স্বাভাবিক

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

রাজধানী ফার্মগেটে বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে এক পথচারী নিহতের পর বন্ধ থাকা মেট্রোরেল সেবা আজ সোমবার সকাল ১১টা থেকে পুনরায় চালু হয়েছে। উত্তরা উত্তর থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল এখন নিরবচ্ছিন্নভাবে চলাচল করছে।

আজ ঢাকা ম্যাস টারজেট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

ডিএমটিসিএল এক বিবৃতিতে জানায়, ‘মেট্রোরেলের সম্মানিত যাত্রী সাধারণের জ্ঞাতার্থে জানানো যাচ্ছে যে, সকাল ১১টা থেকে উত্তরা উত্তর থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল সেবা নিরবচ্ছিন্নভাবে পুনরায় চালু করা হয়েছে। সাময়িক অসুবিধার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’

এর আগে রোববার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেলের ৪৩৩ নম্বর পিয়ার থেকে একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে আবুল কালাম (৩৫) নামের এক পথচারীর মৃত্যু হয় এবং দু’জন আহত হন। এ ঘটনার পর নিরাপত্তার স্বার্থে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।

দীর্ঘ প্রায় তিন ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর বিকেল ৩টার দিকে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত সীমিত পরিসরে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। পরে সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে মতিঝিল থেকে শাহবাগ পর্যন্ত মেট্রোরেল চালু করা হয়।

তবে বিজয় সরণি থেকে কারওয়ান বাজার পর্যন্ত অংশে মেরামত কাজ চলমান থাকায় গতকাল দুপুর থেকে ওই অংশে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। আজ সকালেই মেরামত কাজ শেষ হওয়ার পর পুরো রুটে সেবা স্বাভাবিক করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত