Ajker Patrika

রাঙ্গুনিয়ায় সুপেয় পানির তীব্র সংকট

রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৫ এপ্রিল ২০২২, ১০: ৫৯
রাঙ্গুনিয়ায় সুপেয় পানির তীব্র সংকট

ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ৬ নম্বর পোমরা, ৭ নম্বর বেতাগী, ৮ নম্বর সফরভাটা ইউনিয়নসহ পৌর সদরের বেশ কয়েকটি টিউবওয়েলে সুপেয় পানি উঠছে না। এর মধ্যে শুধু পোমরা ইউনিয়নেরই ১০৯টি টিউবওয়েলে পানি ওঠা বন্ধ হয়ে গেছে। এতে এসব এলাকায় সুপেয় পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। 
 
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে প্রচণ্ড খরার কারণে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় এসব এলাকার টিউবওয়েলে পানি ওঠা বন্ধ হয়ে গেছে। 

এ বিষয়ে পোমরা ইউনিয়নের সাপলেজাপাড়া এলাকার আবু জাফর বলেন, ‘গত মাসের (মার্চ) শুরু থেকে আমাদের ব্যক্তিগত উদ্যোগে বসানো নলকূপ থেকে পানি উঠছে না। এতে পানির তীব্র সংকটে পড়েছি। পানির সংকট নিরসন ও খাবারের পানির চাহিদা মেটাতে উচ্চ ভোল্টেজের মোটর বসিয়েছি, কিন্তু তাতেও খুব বেশি লাভ হচ্ছে না। দুই মাস আগেও পাঁচ মিনিট মোটর চালালে ৫০ লিটার পানি উঠত, এখন ৩০ মিনিটেও ৫০ লিটার ওঠে না। রমজান মাসের শুরু থেকে সুপেয় পানির তীব্র সংকটে শোচনীয় অবস্থা আমাদের’। 

একই ইউনিয়নের খতিবপাড়া এলাকার গৃহিণী আয়শা আক্তার বলেন, ‘গত মার্চের শুরু থেকেই আমরা পানির সংকটে আছি। পার্শ্ববর্তী এলাকার একটি অগভীর নলকূপ থেকে অনেক কষ্ট করে পানি এনে গৃহস্থালির কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। তবে গোসল ও অন্যান্য কাজে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।’ 

বেতাগী ইউনিয়নের তিনচৌদিয়া গ্রামের কৃষক আবদুল কাদের বলেন, ‘পানির সংকটের কারণে কৃষিজমিতে পর্যাপ্ত পানি দিতে পারছি না। খাল, বিল, নদী, নর্দমা পর্যন্ত শুকিয়ে গেছে। ফলে ব্যাহত হচ্ছে সেচ কার্যক্রম। এতে ভালো ফসল পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগছি। মোটরচালিত নলকূপ বসিয়েও পানির সংকট নিরসন করা যাচ্ছে না।’

এ বিষয়ে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা জনস্বাস্থ্য উপসহকারী প্রকৌশলী মো. ইয়াকুব ফারহান বলেন, ‘ফাল্গুন ও চৈত্র মাসে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অস্বাভাবিকভাবে নিচে নেমে গেছে। ফলে এ সময় গভীর ও অগভীর নলকূপে পানি ওঠে না। তবে এর মধ্যে ভারী বৃষ্টি হলে বন্ধ হয়ে যাওয়া সব টিউবওয়েল আবারও সচল হয়ে যাবে। যেসব টিউবওয়েল ৩০ থেকে ৪০ বছর আগের, সেগুলোতে এই সময়ে পানির সংকট দেখা যাওয়াটা স্বাভাবিক। যেসব টিউবওয়েল জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে বসানো হয়েছে, সেগুলোতে পানি না ওঠার কোনো অভিযোগ আমাদের কাছে আসেনি। এর পরও কোনো ভুক্তভোগী যদি অভিযোগ করেন, তাহলে আমরা সরেজমিনে পরিদর্শন করে আসব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত