Ajker Patrika

স্ত্রী মিতু হত্যা মামলায় সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের বিচার শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ১৩ মার্চ ২০২৩, ১৯: ৫৩
স্ত্রী মিতু হত্যা মামলায় সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের বিচার শুরু

চট্টগ্রামে মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় তাঁর স্বামী সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারসহ সাত আসামির বিরুদ্ধে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছে আদালত। আজ সোমবার চট্টগ্রাম তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালত এই আদেশ দেন। একই সঙ্গে আগামী ৯ এপ্রিল মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য করে আদালত।

আদালত রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের শুনানি গ্রহণ করে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন। এ সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিতিতে ছিলেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত মহানগর পিপি প্রবীর কুমার ভট্টাচার্য্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মামলাটির শুনানির সময় কাঠগড়ায় বাবুল আক্তারসহ (৪৬) পাঁচ আসামি উপস্থিত ছিলেন। অন্যরা আসামিরা হলেন–এহতেশামুল হক ভোলা (৫৪), মোতালেব মিয়া ওয়াসিম (৩৩), আনোয়ার হোসেন (২৮) ও শাহজাহান মিয়া (২৮)। এই মামলায় আরও দুই আসামি পলাতক রয়েছেন। চার্জ গঠনের আগে আদালতে উপস্থিত আসামিদের দোষী নাকি নির্দোষ-তা জানতে চেয়েছিল আদালত।’ এ সময় আসামিরা নিজেদের নির্দোষ বলে দাবি করেন।

প্রবীর কুমার ভট্টাচার্য্য আরও বলেন, ‘একই সময় আদালতে আসামিপক্ষের আইনজীবী বাবুল আক্তারকে চট্টগ্রামে না রেখে অন্যত্র কারাগারে রাখার বিষয়ে একটি আবেদন করেন। এ সময় নারাজি দিয়ে রাষ্ট্রপক্ষ বলেছেন, একাধিক মামলার আসামি ও সাক্ষী বাবুল আক্তার। বিভিন্ন মামলার ধার্য তারিখে তাঁকে অন্য কারাগার থেকে এখানে নিয়ে আসা সময়সাপেক্ষ ও ঝামেলায় পড়তে হয়।

অন্যদিকে আসামিপক্ষ বলেছেন, বাবুল আক্তার চট্টগ্রাম কারাগারে নিরাপদবোধ করছেন না। পুলিশে কর্মরত থাকাবস্থায় তিনি কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠিয়েছেন। তাঁরা বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। পরে আদালত বাবুল আক্তারকে চট্টগ্রাম কারাগারে রাখার আদেশ দেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আসামিপক্ষ বাবুল আক্তারকে চট্টগ্রাম কারাগারে রাখা হলে তাঁকে আলাদা কোনো সেলে বা শ্রেণিতে রাখার বিষয়ে আদালতে আবেদন করেন। এ ছাড়া তার অসুস্থতার কথাও বলা হয়। পরে আদালত বাবুল আক্তারকে জেল কোড অনুযায়ী চিকিৎসাসহ সব সুবিধা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন। কোনো সমস্যা হলে পরে আদালতে একটা পিটিশন দাখিল করতে বলেন আসামিপক্ষকে।’

আসামি বাবুল আক্তারের আইনজীবী শিশির মনির আদালতে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘অভিযোগ গঠন থেকে বাবুল আক্তারকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছিল। আদালত সেটা খারিজ করে দিয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় প্রথম মামলাটির বাদী ছিলেন বাবুল আক্তার নিজে। পরে ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে আরেকটি মামলা করেন। পরে দ্বিতীয় মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়। এরপর প্রথম মামলায় অভিযোগপত্র দিল। এ মামলায় অভিযোগ গঠনের জন্য পর্যাপ্ত তথ্য প্রমাণ নেই।’

আইনজীবী শিশির মনির আরও বলেন, ‘মিতু হত্যার পরে ২৬ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছিল, তা বর্তমানে মামলার নথিতে নেই। কারণ তাঁরা বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে কিছু বলেননি। ঘটনার সময় বাবুল ছিলেন ঢাকায়। মুছাকে দিয়ে হত্যা করানোর অভিযোগ আনা হয়েছে, সেই মুছা কোথায়। গায়ত্রী নামের একজনের সঙ্গে সম্পর্কের কারণে স্ত্রী মিতুকে হত্যা করিয়েছেন বলে অভিযোগ। গায়ত্রী কোথায়। তাহলে কীভাবে বিচার করবেন। 

এর আগে বিকেলে আদালতের অনুমতি নিয়ে আসামি বাবুল আক্তার এডিসি প্রসিকিউশন কার্যালয়ে তাঁর আইনজীবীদের সঙ্গে এক ঘণ্টা কথা বলার সুযোগ পান। এ ছাড়া আজ একই আদালতে আসামির আরও দুটি মামলার ধার্য তারিখ ছিল। ২০০৮ সালে অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে দায়ের হওয়া পৃথক ওই দুটি মামলায় বাবুল আক্তারের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত। 

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৫ জুন ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে নগরীর জিইসি এলাকায় মাহমুদা খানম মিতুকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। পরদিন মাহমুদার স্বামী বাবুল আক্তার বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন। দীর্ঘদিন ডিবি পুলিশ মামলাটির তদন্তের কাজ করেন। 

পরে ডিবির হাত ঘুরে মামলাটি পিবিআই এর হাতে আসে। ২০২১ সালে ১১ মে মামলার বাদী বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে নিজেদের হেফাজতে নেয় পিবিআই চট্টগ্রাম কার্যালয়। পরদিন ১২ মে বুধবার পিবিআই প্রধান সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, বাবুল নিজেই তাঁর স্ত্রী হত্যার সঙ্গে ‘জড়িত’। 

বাবুলের দায়ের করা মামলায় আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন তৎকালীন তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা। একইদিন বাবুলের শ্বশুর মোশাররফ হোসেন পাঁচলাইশ থানায় বাবুলকে প্রধান আসামি করে আটজনের নামে নতুন করে একটি হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর পর বাবুল কারাগারে রয়েছেন। 

 ২০২১ সালে ৩ নভেম্বর বাবুলের করা মামলায় পিবিআইয়ের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালত গ্রহণ না করে মামলাটির অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। ২০২২ সালে ১০ অক্টোবর পিবিআই বাবুলকে প্রধান আসামি করে ৭ জনের বিরুদ্ধে দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন আদালত। 

ওই অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০১৩ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থাকাকালে বাবুলের সঙ্গে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের এক নারী কর্মকর্তার সম্পর্ক হয়। এ সম্পর্কের জেরে বাবুলের পরিকল্পনায় মাহমুদাকে খুন করা হয়। এ জন্য বাবুল তাঁর সোর্স মুসার মাধ্যমে তিন লাখ টাকায় খুনিদের ভাড়া করেন। তবে ঘটনার শুরু থেকে আসামি কামরুল ইসলাম শিকদার প্রকাশ মুসা ও খায়রুল ইসলাম প্রকাশ কালু পলাতক রয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি আমলের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মিলনকে বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দিল ইমিগ্রেশন পুলিশ

মনগড়া সংস্কার প্রস্তাব জাতির জীবনে দীর্ঘ মেয়াদে অকল্যাণ ডেকে নিয়ে আসতে পারে, বিএনপির হুঁশিয়ারি

রাজধানীতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যশোরের বিএনপি নেতা নিহত

‘বিএনপি ক্ষমতায় এলে আ.লীগ কর্মীরা নিরাপদে থাকবে’

সোনার দাম আরও কমে দুই লাখের ঘরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গাংনীতে কাঠমিস্ত্রির মরদেহ উদ্ধার

গাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

মেহেরপুরের গাংনীতে বিপ্লব হোসেন (৫০) নামের এক কাঠমিস্ত্রির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৯টার দিকে গাংনী থানা-পুলিশ পৌর শহরের ফতাইপুর গ্রামের একটি বাড়ি থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে। বিপ্লব হোসেন বগুড়া সদর উপজেলার মো. আনিসুর রহমানের ছেলে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিপ্লব হোসেন তিন মাস ধরে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে আরও দুজন মিস্ত্রিসহ বসবাস করছিলেন। বিপ্লবের পরিবার তাঁর কাছে ফোন দিয়ে সাড়া না পাওয়ায় বাড়ির মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে। বাড়ির মালিক গিয়ে দেখতে পান বিপ্লবের শয়নকক্ষে তালা ঝোলানো এবং আরেকটি দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ এলে তালা ভেঙে দেখতে পায় বিছানায় বিপ্লবের মরদেহ পড়ে রয়েছে। এ সময় তাঁর সঙ্গে থাকা দুজনকে পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় বাসিন্দা জিনারুল ইসলাম বলেন, ‘প্রায় তিন মাস ধরে তারা এখানে রয়েছে। তারা স্থানীয় একটি দোকানে চা খেতে আসত। তাদের সবার বাড়ি বগুড়ায় বলত। বৃহস্পতিবার রাতে শুনতে পাই, বিপ্লব হোসেন নামের একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার সঙ্গে থাকা দুজনের কেউই নেই। এর বেশি কিছু আমরা জানি না।’

গাংনী থানার ওসি (তদন্ত) আল মামুন জানান, খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল সেখানে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় তালা ভেঙে বিপ্লব হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করেছে। এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা, না অন্য কোনো কারণে মৃত্যু হয়েছে, তা তদন্ত করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি আমলের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মিলনকে বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দিল ইমিগ্রেশন পুলিশ

মনগড়া সংস্কার প্রস্তাব জাতির জীবনে দীর্ঘ মেয়াদে অকল্যাণ ডেকে নিয়ে আসতে পারে, বিএনপির হুঁশিয়ারি

রাজধানীতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যশোরের বিএনপি নেতা নিহত

‘বিএনপি ক্ষমতায় এলে আ.লীগ কর্মীরা নিরাপদে থাকবে’

সোনার দাম আরও কমে দুই লাখের ঘরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মনের আশা পূরণে ফাতেমা রা‌নী তীর্থোৎসবে মোমবাতি হাতে হাজারো ভক্ত

নালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি 
প্রায় ৩০ হাজার তীর্থযাত্রী হাতে মোমবাতি জ্বালিয়ে দুই কিলোমিটারের বেশি আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথ পাড়ি দেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
প্রায় ৩০ হাজার তীর্থযাত্রী হাতে মোমবাতি জ্বালিয়ে দুই কিলোমিটারের বেশি আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথ পাড়ি দেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা প্রায় ৩০ হাজার তীর্থযাত্রী হাতে মোমবাতি জ্বালিয়ে দুই কিলোমিটারের বেশি আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথ পাড়ি দিলেন। তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল—‘মা মারিয়া’র প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন এবং তাঁর আশীর্বাদ প্রার্থনা করা।

বৃহস্পতিবার রাতে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার পাহাড়ের ঢালে অবস্থিত সাধু লিওর খ্রিষ্টধর্ম পল্লিতে অনুষ্ঠিত হলো দুই দিনব্যাপী ‘ফাতেমা রানী তীর্থোৎসবের’ বর্ণাঢ্য আলোক শোভাযাত্রা। আজ (শুক্রবার) দুপুরে মহাখ্রিষ্টযোগের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হবে এ বছরের তীর্থোৎসব। এই উৎসবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলসহ বিদেশ থেকেও রোমান ক্যাথলিক তীর্থযাত্রীরা অংশ নেন।

শেরপুর-২
শেরপুর-২

পবিত্র খ্রিস্টযোগের মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় তীর্থোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। পরে রাত ৮টায় আলোক শোভাযাত্রা, ১১টায় মা মারিয়ার মূর্তিকে সামনে রেখে বিশাল প্যান্ডেলে আরাধনা এবং রাত ১২টায় নিরাময় অনুষ্ঠান ও নিশি জাগরণের মধ্য দিয়ে শেষ হয় প্রথম দিনের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান। শুক্রবার সকাল ৮টায় জীবন্ত ক্রুশের পথ ও সকাল ১০টায় মহাখ্রিষ্টযোগের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের তীর্থোৎসব।

প্রধান অতিথি হিসেবে এবারের উৎসব উদ্বোধন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভ্যাটিকান সিটির রাষ্ট্রদূত কেভিন এস র‌্যান্ডেল। এবারের তীর্থের মূল সুর ছিল—‘আশার তীর্থযাত্রী: ফাতেমা রানী মা মারিয়া, বারমারী।’

রাজশাহী থেকে আগত তীর্থযাত্রী রোজিনা চাম্বুগং বলেন, ‘এখানে ভক্তরা মনের আশা পূরণের জন্য এবং অতীতের ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়ে মা মারিয়ার কাছে প্রার্থনা করেন। এতে তাঁদের মনোবাসনা পূরণ হয়।’

খাগড়াছড়ি থেকে আসা জুয়েল ত্রিপুরা বলেন, ‘আমি প্রথমবারের মতো এখানে এসেছি। এসে খুব ভালো লাগছে।’

মুক্তাগাছা থেকে আসা কারিশমা চাম্বুগং বলেন, ‘মারিয়ার কাছে এলে মনে এক ধরনের শান্তি পাই। আমরা এখানে প্রার্থনা করি যেন জীবনের দুঃখ-কষ্ট দূর হয়। প্রতিবছর এই সময়টার অপেক্ষায় থাকি।’

আয়োজক কমিটির সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ এই তীর্থযাত্রা প্রতিবছর অক্টোবর মাসের শেষ বৃহস্পতি ও শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয়।

তীর্থোৎসব সমন্বয়কারী রেভারেন্ট ফাদার তরুণ বনোয়ারি বলেন, ‘সবার সহযোগিতায় সুন্দরভাবে সবকিছু সম্পন্ন হচ্ছে। এ জন্য আমরা খুবই আনন্দিত।’

তীর্থের সার্বিক বিষয়ে জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান বলেন, এই উৎসবে সতর্কতা ও শতভাগ পেশাদারত্ব বজায় রেখে দায়িত্ব পালন করেছেন সকল বাহিনীর সদস্যরা। চার স্তরের নিরাপত্তা বিধানে সাদাপোশাকেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়োজিত আছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি আমলের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মিলনকে বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দিল ইমিগ্রেশন পুলিশ

মনগড়া সংস্কার প্রস্তাব জাতির জীবনে দীর্ঘ মেয়াদে অকল্যাণ ডেকে নিয়ে আসতে পারে, বিএনপির হুঁশিয়ারি

রাজধানীতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যশোরের বিএনপি নেতা নিহত

‘বিএনপি ক্ষমতায় এলে আ.লীগ কর্মীরা নিরাপদে থাকবে’

সোনার দাম আরও কমে দুই লাখের ঘরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বেনাপোল বন্দরে নিরাপত্তা জোরদার, পরিচয়পত্র ছাড়া প্রবেশ নিষিদ্ধ

আজিজুল হক, বেনাপোল (যশোর) 
পণ্য প্রবেশদ্বারে ট্রাকচালকদের আগুন ব্যবহারে সচেতন করা হচ্ছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
পণ্য প্রবেশদ্বারে ট্রাকচালকদের আগুন ব্যবহারে সচেতন করা হচ্ছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে, বিশেষ করে বিমানবন্দরসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বেনাপোল স্থলবন্দরে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) থেকে বন্দরে পরিচয়পত্র ছাড়া প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে এবং প্রবেশদ্বারগুলোতে তল্লাশি বাড়ানো হয়েছে।

বন্দর কর্তৃপক্ষ ধূমপান ও আগুনের ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে এবং ফায়ার সিস্টেমগুলো সচল রাখতে নিয়মিত পরীক্ষা করা হচ্ছে। বন্দর কর্তৃপক্ষের দাবি, যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা বা নাশকতা রোধে পোশাকধারী কর্মীদের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও নজরদারি চলছে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের তথ্যমতে, প্রতিবছর এই বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার আমদানি ও ৮ হাজার কোটি টাকার রপ্তানি বাণিজ্য সম্পন্ন হয়। এই বন্দরে সব সময় প্রায় ২ লাখ টন পণ্য মজুত থাকে।

গত ১৬ বছরে বেনাপোল বন্দরে বড় ধরনের ১২টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, যাতে আমদানি পণ্য পুড়ে ব্যবসায়ীদের প্রায় ১ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। বন্দরের সুরক্ষার ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে বারবার।

বর্তমানে বন্দরের পণ্যাগারে দীর্ঘদিন ধরে প্রায় ১২ হাজার ৬৫৯ টন মেয়াদোত্তীর্ণ ও নিলামযোগ্য পণ্য পড়ে আছে। এর মধ্যে প্রায় ৩ হাজার ২৫০ টন রয়েছে মেয়াদোত্তীর্ণ, ঝুঁকিপূর্ণ ও বিপজ্জনক রাসায়নিক দ্রব্য। এসব কেমিক্যাল ও রাসায়নিক পণ্য অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।

বেনাপোল বন্দরের আমদানিকারক আমিনুল হক বলেন, বন্দরে অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে এই রাসায়নিক দ্রব্যগুলো। এগুলো দ্রুত অপসারণ করা দরকার। এ ছাড়া ফায়ার স্টেশনে জনবল কম থাকায় দুর্ঘটনার সময় দ্রুত আগুন নেভানো যায় না, জনবল বাড়ানো অত্যন্ত জরুরি।

বেনাপোল বন্দর ফায়ার স্টেশনের ইন্সপেক্টর শাহিনুর রহমান জানান, অগ্নিকাণ্ড রোধে বন্দর কর্তৃপক্ষের সব নির্দেশনা তাঁরা পালন করছেন এবং ফায়ার সিস্টেমগুলো নিয়মিত পরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে তিনি বলেন, ৯০ একর জায়গাজুড়ে স্থাপিত বন্দরে অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে দুটি ফায়ার স্টেশনে মাত্র সাতজন জনবল রয়েছে। এই জনবল বাড়ানো হলে আরও বেশি নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব হবে।

বেনাপোল বন্দর পরিচালক (ট্রাফিক) শামিম হোসেন জানান, অগ্নিকাণ্ড রোধে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। তিনি বলেন, বন্দরে পড়ে থাকা নিলাম ও ধ্বংসযোগ্য ঝুঁকিপূর্ণ পণ্য কাস্টমসকে দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরাতে বা ধ্বংস করতে অনুরোধ করা হয়েছে। বন্দরের মধ্যে আগুন ব্যবহার ও কার্ডধারী ছাড়া প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়াও অগ্নিনির্বাপণকর্মীদের সচেতন থাকতে বলা হয়েছে এবং বন্দর ব্যবহারকারী বাণিজ্যিক সংগঠন ও কাস্টমসের সঙ্গে বৈঠক করে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রবেশকারীদের সঙ্গে থাকা ব্যাগ তল্লাশি করে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি আমলের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মিলনকে বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দিল ইমিগ্রেশন পুলিশ

মনগড়া সংস্কার প্রস্তাব জাতির জীবনে দীর্ঘ মেয়াদে অকল্যাণ ডেকে নিয়ে আসতে পারে, বিএনপির হুঁশিয়ারি

রাজধানীতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যশোরের বিএনপি নেতা নিহত

‘বিএনপি ক্ষমতায় এলে আ.লীগ কর্মীরা নিরাপদে থাকবে’

সোনার দাম আরও কমে দুই লাখের ঘরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ২৪ হাজার জাল টাকাসহ যুবক আটক

সুবর্ণচর (নোয়াখালী) প্রতিনিধি: 
জাল টাকাসহ আটক যুবক। ছবি: আজকের পত্রিকা
জাল টাকাসহ আটক যুবক। ছবি: আজকের পত্রিকা

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ২৪ হাজার টাকার জাল নোটসহ নুর আলম (৩৫) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার চরজব্বার ইউনিয়নের আবদুল্লাহ মিয়ার হাট এলাকা থেকে তাঁকে আটক করা হয়। নুর আলম জেলার সদর উপজেলার চরমটুয়া ইউনিয়নের পূর্ব চরমটুয়া গ্রামের ইব্রাহিমের ছেলে। চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন মিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন মিয়া জানান, বৃহস্পতিবার রাতে নুর আলম আবদুল্লাহ মিয়ার হাট বাজারের একটি মুদিদোকানে সুজি কিনতে যান। তিনি দোকানদারকে ১ হাজার টাকার একটি নোট দিয়ে দ্রুত অবশিষ্ট টাকা নিয়ে চলে যাচ্ছিলেন।

নোটটি দেখে দোকানদারের সন্দেহ হলে তিনি পাশের দোকানদারকে বিষয়টি জানান। পরে অন্য দোকানিদের সহযোগিতায় নুর আলমকে রাস্তা থেকে আটক করা হয় এবং চরজব্বার থানা-পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।

পুলিশ এসে নুর আলমকে তল্লাশি করে তাঁর মানিব্যাগ থেকে ২৪ হাজার টাকার জাল নোট উদ্ধার করে।

ওসি শাহীন মিয়া বলেন, আটক যুবকের বিরুদ্ধে চরজব্বার থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হয়েছে। শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) সকালে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি আমলের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মিলনকে বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দিল ইমিগ্রেশন পুলিশ

মনগড়া সংস্কার প্রস্তাব জাতির জীবনে দীর্ঘ মেয়াদে অকল্যাণ ডেকে নিয়ে আসতে পারে, বিএনপির হুঁশিয়ারি

রাজধানীতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যশোরের বিএনপি নেতা নিহত

‘বিএনপি ক্ষমতায় এলে আ.লীগ কর্মীরা নিরাপদে থাকবে’

সোনার দাম আরও কমে দুই লাখের ঘরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত