হিমেল চাকমা, রাঙামাটি
'চাক' শব্দটি ভুল মনে করে অনেকে 'চাক'-এর সঙ্গে 'মা' যুক্ত করে দিয়ে চাকমা লিখে দেন। কিন্তু চাক পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী। এরা চাকমা নয়। এরা চাক জনগোষ্ঠী।
চাকদের নিয়ে সরকারি কোনো জরিপ নেই। তবে ধারণা করা হয়, পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসকারী জনসংখ্যার দিক দিয়ে চতুর্থ জনগোষ্ঠী হলো চাক। সর্বশেষ চাকদের দেওয়া তথ্যমতে, এদের জনসংখ্যা আড়াই হাজার। এই জনগোষ্ঠীর নিজস্ব ভাষা রয়েছে, আছে নিজস্ব বর্ণমালা। চাক ভাষাকে তু বলা হয়। এরা মূলত বুদ্ধ ধর্ম অনুসারী।
বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে ১৪টি পাড়ায় চাকদের বাস। রাঙামাটি বা খাগড়াছড়ি জেলায় চাকদের কোনো একক পাড়া নেই। কয়েকটি পরিবার বিক্ষিপ্তভাবে শহরের অন্যান্য ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের সঙ্গে বসবাস করে।
২০১১ সালের জরিপমতে, চাকদের জনগোষ্ঠীর সংখ্যা প্রায় আড়াই হাজার। এদের সংখ্যা বর্তমানে বেড়েছে বলে মনে করেন চাকরা। তাঁদের ধারণা, এদের সংখ্যা এখন ৪ থেকে ৫ হাজার।
শত প্রতিকূলতা জয় করে এগিয়ে যাচ্ছে চাক জনগোষ্ঠী। এই জনগোষ্ঠী থেকে ১০ জনের বেশি স্নাতকোত্তর পাস, ৫০ জনের অধিক স্নাতক পাস করেছেন। এ ছাড়া ৬ জন এমবিবিএস ডাক্তার আছেন। এদের মধ্যে একজন বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডার। বাকিরা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যুক্ত আছেন।
স্নাতক পাসের পর সরকারি বিভিন্ন বিভাগে চাকরি করছেন অনেকে। বাকিরা এনজিওতে কর্মরত আছেন। সরকারি চাকরিজীবী সব মিলে ১০০ জনের বেশি হতে পারে বলে দাবি চাকদের। অনেকে বেসরকারি সংস্থায় বা শহর ও দেশের বিভিন্ন জেলায় কলকারখানা বা ফার্মে চাকরি করেন। চাকমাদের মতে, তাদের শিক্ষার হার ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ বা তারও বেশি হতে পারে।
তাদের নেই কোনো চেয়ারম্যান। ইউনিয়ন পরিষদের ওয়ার্ড সদস্য আছেন চারজন। চাকদের সর্বোচ্চ প্রতিনিধি বান্দরবান জেলা পরিষদের সদস্য ক্যনে ওয়ান চাক।
এ বিষয়ে বান্দরবান জেলা পরিষদের সদস্য ক্যনে ওয়ান চাক বলেন, বিভিন্ন প্রতিকূলতায় চাকরা তাদের অস্তিত্ব ধরে রেখেছে। চাকরিতে বিশেষ কোটা না থাকায় লেখাপড়া শেষ করে বেকার থাকছে আমাদের ছেলেরা। অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হওয়ার কারণে ব্যবসাও করতে পারছে না। সরকারের সহযোগিতা পেলে আমরা আরও এগিয়ে যেতে পারব। সে জন্য আমাদের বিশেষ কোটা দরকার।
চাক সম্প্রদায়ের নেতা চিংহ্লা মং চাক বলেন, চাকরা যুগ যুগ ধরে সরকারি সুযোগ-সুবিধায় বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে। পাকিস্তান আমলে দুটি এবং পার্বত্য চুক্তির পর তিনটি চাক গ্রাম উচ্ছেদের শিকার হয়েছে। আরও িতন-চারটি চাক গ্রাম উচ্ছেদের আশঙ্কা রয়েছে। প্রভাবশালী ভূমিদস্যু কর্তৃক রাবারবাগান কোম্পানি এ উচ্ছেদের নেতৃত্ব দিচ্ছে। এগুলো বন্ধ করা দরকার। রাষ্ট্র যদি নৃগোষ্ঠীদের পাশে থাকে, তাহলে তাদের অস্তিত্ব নিয়ে সংগ্রাম করতে হবে না।
'চাক' শব্দটি ভুল মনে করে অনেকে 'চাক'-এর সঙ্গে 'মা' যুক্ত করে দিয়ে চাকমা লিখে দেন। কিন্তু চাক পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী। এরা চাকমা নয়। এরা চাক জনগোষ্ঠী।
চাকদের নিয়ে সরকারি কোনো জরিপ নেই। তবে ধারণা করা হয়, পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসকারী জনসংখ্যার দিক দিয়ে চতুর্থ জনগোষ্ঠী হলো চাক। সর্বশেষ চাকদের দেওয়া তথ্যমতে, এদের জনসংখ্যা আড়াই হাজার। এই জনগোষ্ঠীর নিজস্ব ভাষা রয়েছে, আছে নিজস্ব বর্ণমালা। চাক ভাষাকে তু বলা হয়। এরা মূলত বুদ্ধ ধর্ম অনুসারী।
বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে ১৪টি পাড়ায় চাকদের বাস। রাঙামাটি বা খাগড়াছড়ি জেলায় চাকদের কোনো একক পাড়া নেই। কয়েকটি পরিবার বিক্ষিপ্তভাবে শহরের অন্যান্য ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের সঙ্গে বসবাস করে।
২০১১ সালের জরিপমতে, চাকদের জনগোষ্ঠীর সংখ্যা প্রায় আড়াই হাজার। এদের সংখ্যা বর্তমানে বেড়েছে বলে মনে করেন চাকরা। তাঁদের ধারণা, এদের সংখ্যা এখন ৪ থেকে ৫ হাজার।
শত প্রতিকূলতা জয় করে এগিয়ে যাচ্ছে চাক জনগোষ্ঠী। এই জনগোষ্ঠী থেকে ১০ জনের বেশি স্নাতকোত্তর পাস, ৫০ জনের অধিক স্নাতক পাস করেছেন। এ ছাড়া ৬ জন এমবিবিএস ডাক্তার আছেন। এদের মধ্যে একজন বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডার। বাকিরা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যুক্ত আছেন।
স্নাতক পাসের পর সরকারি বিভিন্ন বিভাগে চাকরি করছেন অনেকে। বাকিরা এনজিওতে কর্মরত আছেন। সরকারি চাকরিজীবী সব মিলে ১০০ জনের বেশি হতে পারে বলে দাবি চাকদের। অনেকে বেসরকারি সংস্থায় বা শহর ও দেশের বিভিন্ন জেলায় কলকারখানা বা ফার্মে চাকরি করেন। চাকমাদের মতে, তাদের শিক্ষার হার ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ বা তারও বেশি হতে পারে।
তাদের নেই কোনো চেয়ারম্যান। ইউনিয়ন পরিষদের ওয়ার্ড সদস্য আছেন চারজন। চাকদের সর্বোচ্চ প্রতিনিধি বান্দরবান জেলা পরিষদের সদস্য ক্যনে ওয়ান চাক।
এ বিষয়ে বান্দরবান জেলা পরিষদের সদস্য ক্যনে ওয়ান চাক বলেন, বিভিন্ন প্রতিকূলতায় চাকরা তাদের অস্তিত্ব ধরে রেখেছে। চাকরিতে বিশেষ কোটা না থাকায় লেখাপড়া শেষ করে বেকার থাকছে আমাদের ছেলেরা। অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হওয়ার কারণে ব্যবসাও করতে পারছে না। সরকারের সহযোগিতা পেলে আমরা আরও এগিয়ে যেতে পারব। সে জন্য আমাদের বিশেষ কোটা দরকার।
চাক সম্প্রদায়ের নেতা চিংহ্লা মং চাক বলেন, চাকরা যুগ যুগ ধরে সরকারি সুযোগ-সুবিধায় বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে। পাকিস্তান আমলে দুটি এবং পার্বত্য চুক্তির পর তিনটি চাক গ্রাম উচ্ছেদের শিকার হয়েছে। আরও িতন-চারটি চাক গ্রাম উচ্ছেদের আশঙ্কা রয়েছে। প্রভাবশালী ভূমিদস্যু কর্তৃক রাবারবাগান কোম্পানি এ উচ্ছেদের নেতৃত্ব দিচ্ছে। এগুলো বন্ধ করা দরকার। রাষ্ট্র যদি নৃগোষ্ঠীদের পাশে থাকে, তাহলে তাদের অস্তিত্ব নিয়ে সংগ্রাম করতে হবে না।
যশোর শহরের প্রাণকেন্দ্র দড়াটানা। এই মোড় থেকে শহরের চারদিকে চারটি সড়ক বিভিন্ন দিকে গেছে। এই মোড়েই একটি বৈদ্যুতিক খুঁটিতে বসানো রয়েছে তিনটি সিসি ক্যামেরা। তবে তিনটিই নষ্ট। কোনোটির সংযোগের তারই ছেঁড়া, কোনোটি নিচের দিকে বাঁকানো। অথচ অপরাধপ্রবণতা কমাতে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারি বাড়াতে...
২ ঘণ্টা আগেচার মাস ধরে ওষুধ সরবরাহ নেই ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোয়। চলছে শুধু রক্তচাপ পরিমাপ আর পরামর্শ দেওয়ার কার্যক্রম। এতে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসা উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। তারা এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ চায়। সিভিল সার্জন অবশ্য আশার বাণী শুনিয়েছেন।
৬ ঘণ্টা আগেতিস্তা নদীর পানি কমতে শুরু করলেও নতুন করে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। ঢেউয়ের আঘাতে নদীতীর, ফসলি জমি ও বসতভিটা ভাঙতে শুরু করেছে। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তিস্তাপারের বাসিন্দারা।
৬ ঘণ্টা আগেসংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাসের অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জের তিনটি আসনের সীমানা পরিবর্তনের প্রস্তাব এনেছে নির্বাচন কমিশন। এর মাধ্যমে বন্দর থানা এলাকা ভাগাভাগি হয়ে নারায়ণগঞ্জ-৩ এবং নারায়ণগঞ্জ-৫ সংসদীয় এলাকায় পড়তে যাচ্ছে। এ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হতে আগ্রহী নেতারা। তাঁরা বলছেন, একই এলাকায়
৭ ঘণ্টা আগে