সমির মল্লিক
খাগড়াছড়ি: পাহাড়ে এখন জুম চাষের প্রস্ততি চলছে। সবুজ পাহাড় আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। পাহাড়কে চাষ উপযোগী করতে যুগ যুগ ধরে এমন পদ্ধতি ব্যবহার করে আসছে জুমিয়ারা। খাগড়াছড়ির ৯ উপজেলাও এর ব্যতিক্রম নয়। পাহাড়ে দেওয়া এ আগুনে পুড়ে মরছে বন্যপ্রাণী, ধ্বংস হচ্ছে তাঁদের আবাসস্থল। তবে সনাতন পদ্ধতিতে পাহাড়ি চাষাবাদে উৎপাদন কমছে। পাহাড়ি ভূমিও উর্বরতা হারাচ্ছে।
পার্বত্য চট্টগ্রামে জুম একটি সনাতন চাষ পদ্ধতি। একে স্থানান্তর কৃষিও বলা হয়। প্রতিবছর খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবানের ১২ হাজার হেক্টর জমিতে জুমচাষ হয়। জুমে ধানসহ অন্তত ৪০ প্রজাতির ফসলের আবাদ হয়। জুম চাষিদের মতে, ‘একই পাহাড়ে বারবার জুম চাষের ফলে ভূমির উর্বরতা কমছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের আয়তন প্রায় ১৩ হাজার ১শ ৮৪ বর্গকিলোমিটার। যা দেশের মোট আয়তনে ১০ শতাংশ। এখানকার ৬০ শতাংশ ভূমির গঠন পাহাড় ও উপত্যকা কেন্দ্রিক। ক্রমাগত জনসংখ্যার বৃদ্ধির ফলে অতিরিক্ত খাদ্যের যোগান দিতে পাহাড়ে জুম চাষে ব্যবহৃত ভূমির পরিমাণ বাড়ছে।
খাগড়াছড়ির বেশীরভাগ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষ জুম চাষের উপর নির্ভরশীল। অতীতে এক পাহাড়ে জুম চাষের ১০-১৫ বছর পর আবার জুম চাষ করা হত। তবে এখন মাত্র ২-৩ বছর পর একই পাহাড়ে জুমের আবাদ করা হচ্ছেতবে উপর্যুপরি ও বিরতিহীন জুম চাষে কমছে জুম ভূমির উর্বরতা। জুমের ফলন বাড়াতে আধুনিক পদ্ধতি জুম চাষ করার পরার্মশ দিয়েছেন কৃষি গবেষকরা।
সর্বশেষ আদমশুমারী অনুযায়ী, খাগড়াছড়িতে চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরাসহ প্রায় ৩ লাখ ২০ হাজার পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর বসবাস। এদের বেশীর ভাগই পাহাড়ের সনাতনী জুম চাষের উপর নির্ভরশীল। অন্তত ২শ বছরের বেশী সময় ধরে এ লোকগুলো এই পেশায় জড়িত। জুমে ধান, হলুদ, মারফা, মিষ্টি কুমড়া, তিল, ভুট্টা, বরবটিসহ প্রায় ৪০ ধরনের সবজি উৎপাদিত হয়।
খাগড়াছড়ি পাহাড়ি কৃষি গবেষণার মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুন্সী রাশীদ আহমেদ বলেন, ‘মাটির ক্ষয়, নিম্ন উর্বরতা, ফসলের অনুন্নত জাত ব্যবহার ও আধুনিক চাষ পদ্ধতি ব্যবহার না করার কারণে জুমে উৎপাদন কমে যাচ্ছে। আগে এক স্থানে জুম চাষ করার পর সেই স্থানে ফিরে আসতে ১২ থেকে ১৫ বছর সময় পার হয়ে যেত। এখন ৩ থেকে ৪ বছর একই পাহাড়ে জুম চাষ হয়, কোথাও প্রতি বছর চাষ হচ্ছে। এই সময়কাল মাটির পুষ্টি উদ্ধারের জন্য যথেষ্ট নয়। অতি ঘন কর্ষণের কারণে পাহাড়ি ভূমি ক্ষয়ের পরিমানও বেড়ে গেছে।’ তিনি আরও বলেন, জুম চাষের কারণে পাহাড়ের মাটির উপরের স্তরে কার্বন বায়োমাস কমতে থাকে।’
এক জরিপে দেখা যায়, ‘১৯৫০ সালে পাহাড়ি জুমের জমির উপরের স্তরে কার্বন বায়োমাসের পরিমাণ ছিল ৮৫ শতাংশ। ১৯৯০ সালে তা হয় ৭৪ শতাংশ। ২০৫০ সালে এ পরিমাণ ৪০ শতাংশে এসে দাঁড়াবে। প্রতি বছর প্রতি হেক্টর পাহাড় থেকে ৮০ থেকে ৯০ টন মাটির ক্ষয় হচ্ছে। এর প্রভাব পড়ছে উৎপাদনে। সনাতনী জুম চাষের কারণে প্রাকৃতিক বন ধ্বংস, মাটির ক্ষয় বৃদ্ধি ও মাটির পুষ্টি উৎপাদনকে ত্বরান্বিত করছে।
ড. মুন্সী রাশীদ আহমেদ বলেন, ‘জুমে উৎপাদন বাড়াতে হলে উন্নত জাত ও প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। জুমের ধারাবাহিকতা ঠিক রেখে ও মাটির ক্ষয় সর্বনিম্ন পর্যায়ে রেখে জুমের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ঘটাতে হবে। পার্বত্য আঞ্চলে মাটি অম্লভাবান্ন হওয়ায় জমিতে চুন ও সার প্রয়োগ করলে জুমের উৎপাদনশীলতা বাড়বে। এছাড়া জুমের ফলন শেষে জুমের মাটিক্ষয় রোধে ডাল জাতীয় সবুজ ফসল চাষ করতে হবে। এতে মাটির উর্বরতার সঙ্গে জুমের ফলনও বাড়বে।’
এক জুমিয়া বলেন, ‘পরিবারের সদস্য সংখ্যা বেশি। সবার খাবার, ভরণপোষনের খরচ আসে জুমে উৎপাদিত ফসল থেকে। অনেকে এখন বাগান গড়ে তোলায় জুমের জমির পরিমাণ কমে গেছে। উৎপাদনও কমে গেছে। এতে আমরা জুম করে আগের মতো টিকতে পারি না। খুব কষ্টে আছি।’
খাগড়াছড়ির সীমানাপাড়া এলাকায় নিজের ৫ একর পাহাড়ি ভূমিতে টানা চাষাবাদ করছে ৪০ বছর বয়সী নবীন ত্রিপুরা। তিনি জানান, ‘গত মৌসুমে জুমে ভুট্টা, ধান, মারফা ও পানের চাষ করেছি। যা উৎপাদন হয়েছে তা দিয়ে সংসার চলে না। এবছর একই জমিতে জুমের আবাদ করার প্রস্তুতি নিয়েছি। আবাদের পর ফলন আসতে সময় লাগবে আরও ৬ মাস। এখনই ধার করে চলতে হচ্ছে। জুমে চাষ করে যা আয় করেছি তা শেষ হয়ে গেছে। নতুন ফসল না আসা পর্যন্ত দিনযাপন কঠিন। আমরা বাধ্য হয়ে একই পাহাড়ে ফি বছর চাষাবাদ করছি।
একই এলাকার কৃষক হতেন ত্রিপুরা বলেন, ‘ এখানে কেউ সরকারিভাবে সার বীজ কীটনাশকসহ কোন সুবিধা পায়না। ফলে সনাতনীভাবে জুম চাষ করার কারণে উৎপাদনও বাড়ছে না। সরকার জুমচাষীদের কৃষি ঋণসহ অন্যান্য সুবিধা দিলে জুমচাষীরা টিকে থাকতে পারবে। সরকার সমতল অঞ্চলে অনেক ধরণের প্রণোদনা দেয় কিন্তু জুমিয়ারা এই সুবিধার বাইরে থেকে যাচ্ছে। অনেক দুর্গম অঞ্চলে মানুষ কেবল জুমের উপর নির্ভরশীল। জুম না করলে বেঁচে থাকব কীভাবে?
এ বিষয়ে খাগড়াছড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মত্তুর্জ আলী বলেন, ‘পার্বত্য এলাকায় অধিকাংশ কৃষক জুম চাষের উপর নির্ভরশীল। কিন্ত সনাতনী পদ্ধতিতে জুম চাষের কারণে উৎপাদন কমে যাচ্ছে। সনাতন পদ্ধতির পরিবর্তে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করলে জুমের উৎপাদন বাড়বে। আধুনিক পদ্ধতি পরিবেশবান্ধবও হবে। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ জুমচাষীদের আধুনিক উৎপাদন ও পদ্ধতি কলাকৌশল সর্ম্পকে ধারণা দিচ্ছে।
খাগড়াছড়ি: পাহাড়ে এখন জুম চাষের প্রস্ততি চলছে। সবুজ পাহাড় আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। পাহাড়কে চাষ উপযোগী করতে যুগ যুগ ধরে এমন পদ্ধতি ব্যবহার করে আসছে জুমিয়ারা। খাগড়াছড়ির ৯ উপজেলাও এর ব্যতিক্রম নয়। পাহাড়ে দেওয়া এ আগুনে পুড়ে মরছে বন্যপ্রাণী, ধ্বংস হচ্ছে তাঁদের আবাসস্থল। তবে সনাতন পদ্ধতিতে পাহাড়ি চাষাবাদে উৎপাদন কমছে। পাহাড়ি ভূমিও উর্বরতা হারাচ্ছে।
পার্বত্য চট্টগ্রামে জুম একটি সনাতন চাষ পদ্ধতি। একে স্থানান্তর কৃষিও বলা হয়। প্রতিবছর খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবানের ১২ হাজার হেক্টর জমিতে জুমচাষ হয়। জুমে ধানসহ অন্তত ৪০ প্রজাতির ফসলের আবাদ হয়। জুম চাষিদের মতে, ‘একই পাহাড়ে বারবার জুম চাষের ফলে ভূমির উর্বরতা কমছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের আয়তন প্রায় ১৩ হাজার ১শ ৮৪ বর্গকিলোমিটার। যা দেশের মোট আয়তনে ১০ শতাংশ। এখানকার ৬০ শতাংশ ভূমির গঠন পাহাড় ও উপত্যকা কেন্দ্রিক। ক্রমাগত জনসংখ্যার বৃদ্ধির ফলে অতিরিক্ত খাদ্যের যোগান দিতে পাহাড়ে জুম চাষে ব্যবহৃত ভূমির পরিমাণ বাড়ছে।
খাগড়াছড়ির বেশীরভাগ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষ জুম চাষের উপর নির্ভরশীল। অতীতে এক পাহাড়ে জুম চাষের ১০-১৫ বছর পর আবার জুম চাষ করা হত। তবে এখন মাত্র ২-৩ বছর পর একই পাহাড়ে জুমের আবাদ করা হচ্ছেতবে উপর্যুপরি ও বিরতিহীন জুম চাষে কমছে জুম ভূমির উর্বরতা। জুমের ফলন বাড়াতে আধুনিক পদ্ধতি জুম চাষ করার পরার্মশ দিয়েছেন কৃষি গবেষকরা।
সর্বশেষ আদমশুমারী অনুযায়ী, খাগড়াছড়িতে চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরাসহ প্রায় ৩ লাখ ২০ হাজার পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর বসবাস। এদের বেশীর ভাগই পাহাড়ের সনাতনী জুম চাষের উপর নির্ভরশীল। অন্তত ২শ বছরের বেশী সময় ধরে এ লোকগুলো এই পেশায় জড়িত। জুমে ধান, হলুদ, মারফা, মিষ্টি কুমড়া, তিল, ভুট্টা, বরবটিসহ প্রায় ৪০ ধরনের সবজি উৎপাদিত হয়।
খাগড়াছড়ি পাহাড়ি কৃষি গবেষণার মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুন্সী রাশীদ আহমেদ বলেন, ‘মাটির ক্ষয়, নিম্ন উর্বরতা, ফসলের অনুন্নত জাত ব্যবহার ও আধুনিক চাষ পদ্ধতি ব্যবহার না করার কারণে জুমে উৎপাদন কমে যাচ্ছে। আগে এক স্থানে জুম চাষ করার পর সেই স্থানে ফিরে আসতে ১২ থেকে ১৫ বছর সময় পার হয়ে যেত। এখন ৩ থেকে ৪ বছর একই পাহাড়ে জুম চাষ হয়, কোথাও প্রতি বছর চাষ হচ্ছে। এই সময়কাল মাটির পুষ্টি উদ্ধারের জন্য যথেষ্ট নয়। অতি ঘন কর্ষণের কারণে পাহাড়ি ভূমি ক্ষয়ের পরিমানও বেড়ে গেছে।’ তিনি আরও বলেন, জুম চাষের কারণে পাহাড়ের মাটির উপরের স্তরে কার্বন বায়োমাস কমতে থাকে।’
এক জরিপে দেখা যায়, ‘১৯৫০ সালে পাহাড়ি জুমের জমির উপরের স্তরে কার্বন বায়োমাসের পরিমাণ ছিল ৮৫ শতাংশ। ১৯৯০ সালে তা হয় ৭৪ শতাংশ। ২০৫০ সালে এ পরিমাণ ৪০ শতাংশে এসে দাঁড়াবে। প্রতি বছর প্রতি হেক্টর পাহাড় থেকে ৮০ থেকে ৯০ টন মাটির ক্ষয় হচ্ছে। এর প্রভাব পড়ছে উৎপাদনে। সনাতনী জুম চাষের কারণে প্রাকৃতিক বন ধ্বংস, মাটির ক্ষয় বৃদ্ধি ও মাটির পুষ্টি উৎপাদনকে ত্বরান্বিত করছে।
ড. মুন্সী রাশীদ আহমেদ বলেন, ‘জুমে উৎপাদন বাড়াতে হলে উন্নত জাত ও প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। জুমের ধারাবাহিকতা ঠিক রেখে ও মাটির ক্ষয় সর্বনিম্ন পর্যায়ে রেখে জুমের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ঘটাতে হবে। পার্বত্য আঞ্চলে মাটি অম্লভাবান্ন হওয়ায় জমিতে চুন ও সার প্রয়োগ করলে জুমের উৎপাদনশীলতা বাড়বে। এছাড়া জুমের ফলন শেষে জুমের মাটিক্ষয় রোধে ডাল জাতীয় সবুজ ফসল চাষ করতে হবে। এতে মাটির উর্বরতার সঙ্গে জুমের ফলনও বাড়বে।’
এক জুমিয়া বলেন, ‘পরিবারের সদস্য সংখ্যা বেশি। সবার খাবার, ভরণপোষনের খরচ আসে জুমে উৎপাদিত ফসল থেকে। অনেকে এখন বাগান গড়ে তোলায় জুমের জমির পরিমাণ কমে গেছে। উৎপাদনও কমে গেছে। এতে আমরা জুম করে আগের মতো টিকতে পারি না। খুব কষ্টে আছি।’
খাগড়াছড়ির সীমানাপাড়া এলাকায় নিজের ৫ একর পাহাড়ি ভূমিতে টানা চাষাবাদ করছে ৪০ বছর বয়সী নবীন ত্রিপুরা। তিনি জানান, ‘গত মৌসুমে জুমে ভুট্টা, ধান, মারফা ও পানের চাষ করেছি। যা উৎপাদন হয়েছে তা দিয়ে সংসার চলে না। এবছর একই জমিতে জুমের আবাদ করার প্রস্তুতি নিয়েছি। আবাদের পর ফলন আসতে সময় লাগবে আরও ৬ মাস। এখনই ধার করে চলতে হচ্ছে। জুমে চাষ করে যা আয় করেছি তা শেষ হয়ে গেছে। নতুন ফসল না আসা পর্যন্ত দিনযাপন কঠিন। আমরা বাধ্য হয়ে একই পাহাড়ে ফি বছর চাষাবাদ করছি।
একই এলাকার কৃষক হতেন ত্রিপুরা বলেন, ‘ এখানে কেউ সরকারিভাবে সার বীজ কীটনাশকসহ কোন সুবিধা পায়না। ফলে সনাতনীভাবে জুম চাষ করার কারণে উৎপাদনও বাড়ছে না। সরকার জুমচাষীদের কৃষি ঋণসহ অন্যান্য সুবিধা দিলে জুমচাষীরা টিকে থাকতে পারবে। সরকার সমতল অঞ্চলে অনেক ধরণের প্রণোদনা দেয় কিন্তু জুমিয়ারা এই সুবিধার বাইরে থেকে যাচ্ছে। অনেক দুর্গম অঞ্চলে মানুষ কেবল জুমের উপর নির্ভরশীল। জুম না করলে বেঁচে থাকব কীভাবে?
এ বিষয়ে খাগড়াছড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মত্তুর্জ আলী বলেন, ‘পার্বত্য এলাকায় অধিকাংশ কৃষক জুম চাষের উপর নির্ভরশীল। কিন্ত সনাতনী পদ্ধতিতে জুম চাষের কারণে উৎপাদন কমে যাচ্ছে। সনাতন পদ্ধতির পরিবর্তে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করলে জুমের উৎপাদন বাড়বে। আধুনিক পদ্ধতি পরিবেশবান্ধবও হবে। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ জুমচাষীদের আধুনিক উৎপাদন ও পদ্ধতি কলাকৌশল সর্ম্পকে ধারণা দিচ্ছে।
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার নবীপুর ইউনিয়ন থেকে জাহিদ হোসেন (১৮) নামের এক তরুণের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে নবীপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর পূর্বপাড়া এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
৫ মিনিট আগেজুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সাহসী সম্মাননা পেয়েছেন ফরিদপুরের জুলাই আন্দোলনে হামলার ঘটনায় হওয়া মামলার এজাহারভুক্ত আসামি শেখ ফয়েজ আহমেদ। এ খবর জানাজানি হওয়ার পরে তাঁর সম্মাননা প্রত্যাহার চেয়ে তথ্য উপদেষ্টার কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।
২৩ মিনিট আগেব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে মাদকের টাকার জন্য মা-বাবাকে মারধরের দায়ে মো. রিপন মিয়া (২৮) নামের এক যুবককে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। পাশাপাশি তাঁকে ১০০ টাকা জরিমানা করা হয়। আজ বুধবার দুপুরে উপজেলার সোনামুড়া গ্রামে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাধনা
২৫ মিনিট আগেকুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় বিষাক্ত মদপানে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার (১৩ আগস্ট) সকালে উপজেলার রামচন্দ্রপুর উত্তর ইউনিয়নের বাখরাবাদ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বিকেলে পুলিশ একজনের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
৩৫ মিনিট আগে