Ajker Patrika

চট্টগ্রামে নৈশপ্রহরী খুন, ভারতে পালানোর সময় ২ জন গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে নৈশপ্রহরী খুন, ভারতে পালানোর সময় ২ জন গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামে নৈশপ্রহরী খুনের মামলার এজাহারনামীয় দুই আসামি পালিয়ে খুলনার পাইকগাছা দিয়ে ভারতে পালানোর সময় গ্রেপ্তার করেছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি। আজ সোমবার নগরীর মনসুরাবাদে ডিবি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে উপকমিশনার (বন্দর ও পশ্চিম) মো. আলী হোসেন এ তথ্য জানান।

গ্রেপ্তার দুই আসামি হলেন-আবুল হাসনাত রাজু (৩৪) ও মো. ওসমান (৩৫)।

পুলিশের উপকমিশনার মো. আলী হোসেন বলেন, ‘নৈশ প্রহরী আজাদুর রহমান আজাদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাতনামা আসামিরা নগরী থেকে পালিয়ে বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপনে চলে যায়। মামলার তদন্তভার ডিবি পুলিশ পাওয়ার পর ওসব আসামিদের ওপর নজরদারি শুরু করে।’

তিনি বলেন, ‘পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যাকাণ্ডের দুই মূল হোতা রাজু ও ওসমানের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে অভিযান পরিচালনা করে তাঁদের গ্রেপ্তার করি। আসামিরা তখন ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। পরে তাঁদের দেখানো মতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দুইটি ছুরি নগরীর একটি বাসা থেকে জব্দ করা হয়।’

সংবাদ সম্মেলনে আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে ডিবি পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘নিহত আজাদের সঙ্গে নয়াবাজার বিশ্বরোড এলাকায় চাঁদা আদায়ের বিষয়ে রাজু ও ওসমানের দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল। পরে আসামিরা সুযোগ বুঝে অন্য সহযোগীদের নিয়ে আজাদকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে।’

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক রমিজ আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আসামিদের ভারত সীমান্তবর্তী এলাকা পাইকগাছা উপজেলার সোলাদানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা অবৈধ উপায়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টার শেষ মুহূর্তে গিয়ে গ্রেপ্তার করি।’ আসামিদের আদালতে মাধ্যমে রিমান্ড চাওয়া হবে বলে জানান তিনি।

এর আগে ২৮ মে ভোরে নগরীর পাহাড়তলী থানার হালিশহর নয়াবাজার বিশ্বরোড এলাকায় আসামিরা কয়েকজন মিলে নৈশপ্রহরী আজাদুর রহমান আজাদকে ছুরিকাঘাত করেন। পরে তাঁকে আহতাবস্থায় চমেক হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ওই দিন রাতেই নিহতের স্ত্রী নাজমা আক্তার বাদী হয়ে চারজনের নামে ও অজ্ঞাতনামা ৩ / ৪ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

হাসপাতালে মৃত্যুর আগে আজাদ ডিবির হাতে গ্রেপ্তার রাজু ও ওসমানের নাম বলে গিয়েছিল। এর একটা ভিডিও পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

এ ঘটনার পরদিন র‍্যাব-৭ রাঙামাটিতে একটি আবাসিক হোটেল থেকে আবু তাহের রাজীব (২৩), দেলোয়ার হোসেন জয় (২৭), মো. রায়হান সজীব (২২) ও আবুল হাসনাত রানা (৩০) নামে চারজনকে গ্রেপ্তার করে। এদের মধ্যে আবু তাহের রাজীব এজাহারনামীয় আসামি।

পুলিশ জানায়, পূর্ব বিরোধের পাশাপাশি হত্যাকাণ্ডের আগের দিন একটি কারখানার গেটের সামনে খোলা জায়গায় প্রস্রাবে বাধা দেওয়ার ঘটনায় আসামিদের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডা হয় নিহত আজাদ ও তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে। এ সময় আসামিরা রাতে হুমকি দিয়ে চলে যাওয়ার পর পরদিন ভোরে খুনের ঘটনা ঘটে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত