Ajker Patrika

জীবিকার তাগিদে বেরিয়ে পড়ছে মানুষ, লকডাউন কার্যকরে হিমশিম

প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ এপ্রিল ২০২১, ১১: ২৯
জীবিকার তাগিদে বেরিয়ে পড়ছে মানুষ, লকডাউন কার্যকরে হিমশিম

কক্সবাজার: করোনা সংক্রমণ রোধে সারাদেশে টানা ৩ সপ্তাহ লকডাউনের মাঝেও কক্সবাজার শহরের শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের লোকেরা বাইরে বেরিয়ে পড়ছেন। জীবিকার তাগিদে লকডাউন উপক্ষো করে তাঁরা কাজে যাচ্ছেন।

এ অবস্থায় করোনা মোকাবেলায় সরকার ঘোষিত নির্দেশনা বাস্তবায়নে হিমশিম খাচ্ছেন প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের জরিমানা ও পুলিশের নানা জেরার মুখেও থামছে না কাজের সন্ধানে মানুষের ছুটে চলা।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে গত ২১ এপ্রিল থেকে প্রশাসন ও পুলিশের পাশাপাশি ১২০ জন স্বেচ্ছাসেবক কাজ শুরু করলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয়নি। দিনদিন রাস্তা-ঘাটে যানচলাচল ও মানুষের আনাগোনা বেড়েই চলছে। পুলিশ, স্বেচ্ছাসেবীরা লোকজনের চলাচলের কারণ জানতে চাইলে উত্তেজনাকর পরিস্থিতিও সৃষ্টি হচ্ছে।

গতকাল শুক্রবার সাগরে মাছ ধরতে যেতে না পারা জেলে আবদু সালাম(৫৫) ও নেজাম উদ্দিন(৪৮) যে কোন কাজের সন্ধানে ঘুরে বেড়িয়েছেন শহরে। তাঁদের মতো শহর ও আশপাশের এলাকার শ্রমজীবীও এভাবে কাজের খোঁজ করেন।

শহরের বড় বাজার, হকার্স মার্কেট ও বাজারঘাটা এলাকায় দেখা যায়, ব্যবসায়ীরা দোকানের একটি অংশ খুলে বাইরে বসেন। পুলিশ বা ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ি দেখলেই গ্রীল টেনে দেন। টহল চলে গেলে আবার দোকান খুলে বসেন। এভাবেই চলছে বেশিরভাগ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও হকারদের লকডাউন বিক্রয়।

হকার্স মার্কেটের দোকানী মো. আবদুল্লাহ জানান, কোন কাস্টমার পেলে হাজার খানেক টাকা তো বিক্রি করা যায়। এতে পরিবারের খরচ কোন মতে জোগাড় করা যায়।

এদিকে ১ এপ্রিল থেকে বন্ধ কক্সবাজার সমুদ্র-সৈকত। ৫ এপ্রিল থেকে টানা লকডাউনে বন্ধ রয়েছে প্রায় সাড়ে ৪০০ হাজার হোটেল ও অন্তত দুই হাজার দোকান-পাট ও রেস্তোরাঁ। এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পরিবার পরিজন নিয়ে চরম বেকায়দায় আছেন।

হোটেল কর্মকর্তা অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহ বলেন, বেশিরভাগ কর্মকর্তা-কর্মচারী বেতন না পেয়ে পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। পর্যটন শিল্পকে বাঁচাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে হোটেল-মোটেল খুলে দেওয়ার বিকল্প নেই বলে তিনি মনে করেন।

কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মুনীর উল গীয়াস বলেন, পুলিশের সঙ্গে সেচ্ছাসেবকরা মাঠে কাজ করছেন। তবে কোথাও কোন সমস্যার কথা শোনা যায়নি। সংকট মোকাবেলায় অযথা ঘোরাফেরা না করার জন্য সবাইকে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

সেচ্ছাসেবক কমিটির সমন্বয়ক ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নজিবুল ইসলাম বলেন, করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় নাগরিক দায়িত্ব হিসেবে তাঁরা সংকট মোকাবেলায় কাজ করছেন। স্বেচ্ছাসেবকরা মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে ও মাস্ক পরতে উদ্বুদ্ধ করছেন।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ জানান, করোনা সংক্রমণ রোধে জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলাবাহিনী মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন। করোনা সংকটে ক্ষতিগ্রস্থ ও ঈদকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রীর উপহার বাবদ জেলায় ৯ কোটি ৭২ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যে জেলার ৭১ ইউনিয়ন ও চার পৌরসভায় এ সহায়তা বিতরণ শুরু হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থা থেকেও করোনায় আর্থিক সংকটে পড়া মানুষদের সহায়তা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হোলি আর্টিজানের ঘটনায় ‘জঙ্গি সন্দেহে’ আটক ছিলেন অনিন্দ্য, রাজশাহীর সাবেক মেয়র লিটনের চাচাতো ভাই তিনি

বৈপ্লবিক পরিবর্তন করার সুযোগ হাতছাড়া হয়ে গেছে

রাবির অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ

বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন নিয়ম ভঙ্গের জন্য ট্রান্স নারী শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার, জানতে চান ১৬২ নাগরিক

শাহজালালে তৃতীয় টার্মিনাল চালুতে বাধা রাজস্ব ভাগাভাগি নিয়ে টানাপোড়েন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত