ফায়সাল করিম, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম নগরের বাতাসের মান বিশ্বের উন্নত শহর মেলবোর্ন বা হেলসিংকির কাছাকাছি। এমন কথায় খটকা লাগতে পারে অনেকের। তবে সত্যি এটিই ঘটেছে। শেষ দুই দফা কঠোর লকডাউনে (১—১৫ জুলাই ও ২৩ জুলাই-১০ আগস্ট) নগরের বাতাসে ধূলিকণার সর্বনিম্ন মাত্রায় মিলেছে নতুন রেকর্ড। পরিবেশবিদদের মতে, তা ছিল অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন বা ফিনল্যান্ডের হেলসিংকির মতোই বিশ্বের অনেক উন্নত শহরের বায়ুমানের কাছাকাছি।
লকডাউনে আগস্টের প্রথম দিন বেলা ১২ টার কথায় ধরা যাক। ওই সময় নগরের বাতাসে অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণা বা পিএম ২.৫ এর সর্বনিম্ন মাত্রা প্রতি ঘনমিটারে পাওয়া গিয়েছিল ৪.০৯ মাইক্রোগ্রাম। যেটি স্বাভাবিক সময়ে যেমন, গত জানুয়ারিতেও সর্বনিম্ন ছিল ৩০.৪৫ মাইক্রোগ্রাম। ফেব্রুয়ারি ও মার্চের হিসেবেও ছিল যথাক্রমে ৫৭.২৫ আর ৩৩.৯৬ মাইক্রোগ্রাম।
কেবল অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণা নয়, বড় ভাসমান ধূলিকণা বা পিএম ১০ও ছিল রেকর্ড পরিমাণ কম। জুলাইয়ের লকডাউনের এর সর্বনিম্ন রেকর্ড ছিল ৮.০২ মাইক্রোগ্রাম। যা জানুয়ারিতে পাওয়া গিয়েছিল ১৪ মাইক্রোগ্রাম এবং ফেব্রুয়ারি ও মার্চে যথাক্রমে ১৬ ও ১২ মাইক্রোগ্রাম।
এ নিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম মহানগরের পরিচালক মো. নুরুল্লাহ নুরী বলেন, ‘আমরা চট্টগ্রামে এ ধরনের মান ও মাত্রা আগে কখনোই পাইনি। এটি একটি রেকর্ড বলা যায়। অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন আর ফিনল্যান্ডের হেলসিংকির দৈনিক রিপোর্ট আমরা যাচাই করেছি। সেখানে গড়ে পিএম ২.৫ এর সর্বনিম্ন মাত্রা থাকে ৪ বা ৫ মাইক্রোগ্রামের ঘরে। আর পিএম ১০ থাকে ৮–৯ এর মতো। আমাদের এখানেও লকডাউনে এমনই মাত্রা ছিল। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, দক্ষিণ কোরিয়ার বেশ কিছু শহরের কথা ধরলেও এমন বায়ুমান পাওয়া যাবে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের সিনিয়র রসায়নবিদ মো. কামরুল হাসান জানান, পিএম ২.৫ মাইক্রোমিটার ব্যাসের ধূলিকণা খুব সহজে মানুষের শরীর প্রবেশ করতে পারে। তাই পিএম ১০ থেকেও একে বায়ু দূষণের অন্যতম উপাদান ধরা হয়। এই বস্তুকণা ১০০ পিপিএম পার হলেই তা মানুষের জন্য বিপজ্জনক। তিনি বলেন, ‘আমাদের আগ্রাবাদ ও টিভি স্টেশনে অধিদপ্তরের দুটি বায়ুমান যন্ত্র আছে। এগুলো থেকে পাওয়া তথ্যে নির্দিষ্ট করে লকডাউনের সময়ে কোনো গড় বের করা হয়নি। তবে দুই স্টেশনে প্রতি ঘণ্টার বায়ুমান যাচাই করে দেখা গেছে, ওই সময় পিএম ২.৫ এর সর্বোচ্চ মাত্রা ছিল ৫৮.৬৪ ও সর্বনিম্ন ৪.০৯ মাইক্রোগ্রাম। এ ক্ষেত্রে এই মানমাত্রা ৫ এর নিচে পাওয়া গেছে ২৩ বার। বেশির ভাগ সময় ছিল ৬,৭,৮, ৯ এর ঘরে। অন্যদিকে বড় ধূলিকণার মাত্রাও ১০ মাইক্রোগ্রামের নিচে মিলেছে ২৫ বারের মতো। যেমনটি আগে কখনো দেখা যায়নি।’
অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম গবেষণাগারের পরিচালক ইশরাত রেজা বলেন, অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণা প্রতি ঘন মিটারে সর্বনিম্ন ৫ মাইক্রোগ্রামের নিচে আর সূক্ষ্ম ধূলিকণা ১০ এর নিচে পাওয়াটা চমকপ্রদ। বিশ্বে বায়ুমানের প্রথম সারিতে থাকা শহরগুলোর সঙ্গে এর তুলনা চলে। তাঁর মতে, আগে কখনো নগরীতে এভাবে যান বাহন চলাচল ও নির্মাণকাজ বন্ধ থাকেনি। এর ওপর এখানে বৃষ্টিও ছিল। বর্ষায় স্বাভাবিক সময়েও পিএম ২.৫ এর মাত্রা কিছুটা কম থাকে।
তবে পরিবেশ অধিদপ্তরের মাসিক বায়ুমান প্রতিবেদনেও আগের কোনো বর্ষাকালে এত কম পিএম ২.৫ বা পিএম ১০ দেখা যায়নি। যেমন, গত ২০১৯ সালের মে মাসে সর্বনিম্ন পিএম ২.৫ ছিল ১৪.৪ মাইক্রোগ্রাম। যা ২০১৮ সালের জুনে ছিল ১০।
লকডাউনে নগরে এমন অবাক করা বায়ুমানে চট্টগ্রামের ভৌগোলিক অবস্থান ও প্রকৃতি বিশেষ ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক অলক পাল। তিনি বলেন, ‘ওই সময় প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে। বন্ধ ছিল উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও যানবাহন। তখন নগরের পাহাড়, সমুদ্র উপকূল ও কর্ণফুলী নদী বাতাসকে এমন বিশুদ্ধ করতে ভূমিকা রাখতে পারে। এটি প্রমাণ করে আমরা যদি অপরিকল্পিত নগরায়ন ঠেকাতে পারি তবে চট্টগ্রামের বাতাস হবে আমাদের ফুসফুসের জন্য অনেক বিশুদ্ধ।’
চট্টগ্রাম নগরের বাতাসের মান বিশ্বের উন্নত শহর মেলবোর্ন বা হেলসিংকির কাছাকাছি। এমন কথায় খটকা লাগতে পারে অনেকের। তবে সত্যি এটিই ঘটেছে। শেষ দুই দফা কঠোর লকডাউনে (১—১৫ জুলাই ও ২৩ জুলাই-১০ আগস্ট) নগরের বাতাসে ধূলিকণার সর্বনিম্ন মাত্রায় মিলেছে নতুন রেকর্ড। পরিবেশবিদদের মতে, তা ছিল অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন বা ফিনল্যান্ডের হেলসিংকির মতোই বিশ্বের অনেক উন্নত শহরের বায়ুমানের কাছাকাছি।
লকডাউনে আগস্টের প্রথম দিন বেলা ১২ টার কথায় ধরা যাক। ওই সময় নগরের বাতাসে অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণা বা পিএম ২.৫ এর সর্বনিম্ন মাত্রা প্রতি ঘনমিটারে পাওয়া গিয়েছিল ৪.০৯ মাইক্রোগ্রাম। যেটি স্বাভাবিক সময়ে যেমন, গত জানুয়ারিতেও সর্বনিম্ন ছিল ৩০.৪৫ মাইক্রোগ্রাম। ফেব্রুয়ারি ও মার্চের হিসেবেও ছিল যথাক্রমে ৫৭.২৫ আর ৩৩.৯৬ মাইক্রোগ্রাম।
কেবল অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণা নয়, বড় ভাসমান ধূলিকণা বা পিএম ১০ও ছিল রেকর্ড পরিমাণ কম। জুলাইয়ের লকডাউনের এর সর্বনিম্ন রেকর্ড ছিল ৮.০২ মাইক্রোগ্রাম। যা জানুয়ারিতে পাওয়া গিয়েছিল ১৪ মাইক্রোগ্রাম এবং ফেব্রুয়ারি ও মার্চে যথাক্রমে ১৬ ও ১২ মাইক্রোগ্রাম।
এ নিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম মহানগরের পরিচালক মো. নুরুল্লাহ নুরী বলেন, ‘আমরা চট্টগ্রামে এ ধরনের মান ও মাত্রা আগে কখনোই পাইনি। এটি একটি রেকর্ড বলা যায়। অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন আর ফিনল্যান্ডের হেলসিংকির দৈনিক রিপোর্ট আমরা যাচাই করেছি। সেখানে গড়ে পিএম ২.৫ এর সর্বনিম্ন মাত্রা থাকে ৪ বা ৫ মাইক্রোগ্রামের ঘরে। আর পিএম ১০ থাকে ৮–৯ এর মতো। আমাদের এখানেও লকডাউনে এমনই মাত্রা ছিল। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, দক্ষিণ কোরিয়ার বেশ কিছু শহরের কথা ধরলেও এমন বায়ুমান পাওয়া যাবে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের সিনিয়র রসায়নবিদ মো. কামরুল হাসান জানান, পিএম ২.৫ মাইক্রোমিটার ব্যাসের ধূলিকণা খুব সহজে মানুষের শরীর প্রবেশ করতে পারে। তাই পিএম ১০ থেকেও একে বায়ু দূষণের অন্যতম উপাদান ধরা হয়। এই বস্তুকণা ১০০ পিপিএম পার হলেই তা মানুষের জন্য বিপজ্জনক। তিনি বলেন, ‘আমাদের আগ্রাবাদ ও টিভি স্টেশনে অধিদপ্তরের দুটি বায়ুমান যন্ত্র আছে। এগুলো থেকে পাওয়া তথ্যে নির্দিষ্ট করে লকডাউনের সময়ে কোনো গড় বের করা হয়নি। তবে দুই স্টেশনে প্রতি ঘণ্টার বায়ুমান যাচাই করে দেখা গেছে, ওই সময় পিএম ২.৫ এর সর্বোচ্চ মাত্রা ছিল ৫৮.৬৪ ও সর্বনিম্ন ৪.০৯ মাইক্রোগ্রাম। এ ক্ষেত্রে এই মানমাত্রা ৫ এর নিচে পাওয়া গেছে ২৩ বার। বেশির ভাগ সময় ছিল ৬,৭,৮, ৯ এর ঘরে। অন্যদিকে বড় ধূলিকণার মাত্রাও ১০ মাইক্রোগ্রামের নিচে মিলেছে ২৫ বারের মতো। যেমনটি আগে কখনো দেখা যায়নি।’
অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম গবেষণাগারের পরিচালক ইশরাত রেজা বলেন, অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণা প্রতি ঘন মিটারে সর্বনিম্ন ৫ মাইক্রোগ্রামের নিচে আর সূক্ষ্ম ধূলিকণা ১০ এর নিচে পাওয়াটা চমকপ্রদ। বিশ্বে বায়ুমানের প্রথম সারিতে থাকা শহরগুলোর সঙ্গে এর তুলনা চলে। তাঁর মতে, আগে কখনো নগরীতে এভাবে যান বাহন চলাচল ও নির্মাণকাজ বন্ধ থাকেনি। এর ওপর এখানে বৃষ্টিও ছিল। বর্ষায় স্বাভাবিক সময়েও পিএম ২.৫ এর মাত্রা কিছুটা কম থাকে।
তবে পরিবেশ অধিদপ্তরের মাসিক বায়ুমান প্রতিবেদনেও আগের কোনো বর্ষাকালে এত কম পিএম ২.৫ বা পিএম ১০ দেখা যায়নি। যেমন, গত ২০১৯ সালের মে মাসে সর্বনিম্ন পিএম ২.৫ ছিল ১৪.৪ মাইক্রোগ্রাম। যা ২০১৮ সালের জুনে ছিল ১০।
লকডাউনে নগরে এমন অবাক করা বায়ুমানে চট্টগ্রামের ভৌগোলিক অবস্থান ও প্রকৃতি বিশেষ ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক অলক পাল। তিনি বলেন, ‘ওই সময় প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে। বন্ধ ছিল উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও যানবাহন। তখন নগরের পাহাড়, সমুদ্র উপকূল ও কর্ণফুলী নদী বাতাসকে এমন বিশুদ্ধ করতে ভূমিকা রাখতে পারে। এটি প্রমাণ করে আমরা যদি অপরিকল্পিত নগরায়ন ঠেকাতে পারি তবে চট্টগ্রামের বাতাস হবে আমাদের ফুসফুসের জন্য অনেক বিশুদ্ধ।’
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে অটোরিকশাচালক শরিফ শেখের (২৮) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শনিবার (২৬ জুলাই) বিকেলে উপজেলার বয়রাগাদি ইউনিয়নের চিকনাসাইর গ্রামের নিজ বসতঘরে লাশটি পাওয়া যায়।
৯ মিনিট আগেসাংগঠনিক নীতিমালা ও শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা মহানগর শাখার তিন নেতা-কর্মীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃতরা হলেন—ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক ইব্রাহিম হোসেন মুন্না, সদস্য মো. সাকাদাউন সিয়াম ও সাদাব।
১১ মিনিট আগেঅভিযোগে বলা হয়, চাকরির টাকা ফেরতের আশ্বাস দিয়ে আহসান হাবিব তাঁর কাছ থেকে ১৫ লাখ ও ৩ লাখ টাকার দুটি চেক নেন। পরে ১৫ লাখ টাকার চেকটি ফেরত দিলেও ৩ লাখ টাকার চেক আর ফেরত দেননি। বরং সময়ক্ষেপণ ও হুমকি দেন বলে অভিযোগ করেছেন সাবিনা।
১৮ মিনিট আগেবিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী দাবি করেছেন, জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের মূল নায়ক ছিলেন তারেক রহমান। আর যাঁর সবচেয়ে বেশি দিন আত্মত্যাগ, তিনি হলের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। শনিবার (২৬ জুলাই) বিকেলে নগরীর জিইসি মোড়ের জিইসি কনভেনশন সেন্টারে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ চট্টগ্রাম শাখার
২৬ মিনিট আগে