Ajker Patrika

আগামীতে পুরো বছর সি-প্লেনে সেন্টমার্টিন ভ্রমণ করতে পারবেন: কউক চেয়ারম্যান

কক্সবাজার প্রতিনিধি
আপডেট : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৬: ২৬
Thumbnail image

কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কউক) চেয়ারম্যান কমোডর (অবসরপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ নুরুল আবছার বলেছেন, ‘বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে বেড়াতে আসা পর্যটকদের বেশির ভাগই ভ্রমণে আগ্রহ প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন। কিন্তু এ দ্বীপে ভ্রমণের সুযোগ বছরে ছয় মাস, বাকি সময় সাগর পাড়ি দিয়ে তারা সেন্টমার্টিন যেতে পারেন না। আগামীতে পুরো বছর সি-প্লেনে করে সেন্টমার্টিন ভ্রমণ করতে পারবেন।’

আজ বৃহস্পতিবার ইন্টারনাল স্টাডি ট্যুর অব ক্যাপস্টোন কোর্সের ফেলোদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা জানান। 

অনুষ্ঠানে কউক চেয়ারম্যান কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ভিশন উপস্থাপন করেন। এতে প্রমোশন টুরিজম, ব্লু ইকোনমির সম্পদ ব্যবহার, জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা, বঙ্গোপসাগরে ভূ-রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে কাজে লাগানো ও রোহিঙ্গা সংকট এবং এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবের বিষয় তুলে ধরা হয়। 
 
কমোডর (অবসরপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ নুরুল আবছার বলেন, ‘প্রতিবছর পর্যটন মৌসুমে সেন্টমার্টিন ভ্রমণে যেতে ভিড় করে পর্যটকেরা। এতে একসঙ্গে বিপুলসংখ্যক পর্যটক সমাগমে সেন্টমার্টিনের পরিবেশ ও প্রতিবেশের ওপর প্রভাব পড়ে। বিকল্প হিসেবে পুরো বছর অল্পসংখ্যক করে পর্যটক যাতে সেন্টমার্টিনে যেতে পারে সে জন্য সি-প্লেনের পরিকল্পনা করছে সরকার। এ জন্য পর্যটকদের অবশ্যই রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।’ 

কউক চেয়ারম্যান বলেন, ‘কক্সবাজারের উন্নয়নে ব্যাপক পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে বড় বড় প্রকল্প দৃশ্যমান। এসব বড় উন্নয়নের পাশাপাশি বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কক্সবাজারকে সর্বোচ্চ সুন্দর ও টুরিজম জোন হিসেবে গড়ে তুলতে মাস্টারপ্ল্যান (মহাপরিকল্পনা) তৈরি করা হয়েছে।’ 

তিনি বলেন, ‘পরিকল্পনা অনুযায়ী কক্সবাজার টু মহেশখালী এবং কক্সবাজার টু টেকনাফ ক্যাবল কার স্থাপন, সাবরাং টুরিজম পার্কে বিশাল আন্ডার সি অ্যাকোরিয়াম, সার্কুলার বাস টার্মিনাল, মেরিনা বে রিসোর্ট, খুরুশকুল স্মার্ট সিটি, থিম পার্ক, ইকো রিসোর্ট ও চৌফলদণ্ডীতে রিভাররেইন টুরিজম। যত দ্রুত সম্ভব এগুলো বাস্তবায়নের কাজ করছে কউক।’ 

কমোডর নুরুল আবছার বলেন, ‘কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক) দেশের সবচেয়ে বড় মহাপরিকল্পনা প্রকল্প গ্রহণ করেছে। কয়েক বছরের মধ্যে হাতে নেওয়া প্রকল্পগুলো শেষ করে একটি উন্নত মডেল কক্সবাজার উপহার দেওয়া হবে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘কক্সবাজারে পয়োনিষ্কাশন ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, বাঁকখালী নদীকে ১৫০ ফিট প্রশস্তকরণ এবং ইন্টারন্যাশনাল কনফিডেন্স সেন্টার স্থাপনের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে কউক।’ বিদেশি পর্যটকেরা যেন এখানে এসে মুদ্রা বিনিময় করতে পারে সেই ব্যবস্থাও করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। 

এ সময় সংসদ সদস্য মো. আয়েন উদ্দিন, মোহাম্মদ শিবলী সাদিক, মোহাম্মদ আসলাম হোসাইন, এমএ মতিন, আমিরুল আলম মিলন, আনজুম সুলতানা সীমা, উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া আরও ছিলেন অতিরিক্ত সচিব তারেকুল ইসলাম, ফেরদৌসী শাহরিয়ার, ডক্টর সালমা মমতাজ, পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক বেলালুর রহমান, অ্যাসিস্ট্যান্ট চিপ অব নেভাল স্টাফ রিয়াল অ্যাডমিরাল মো. জহির উদ্দিন, ভাইস-চ্যান্সেলর ফখরুল ইসলাম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম ফজলুর রহমান প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নারীদের খেলায় আর নাক গলাবে না, দেশ ও বিশ্ববাসীর কাছে ক্ষমা চাইল ভাঙচুরকারীরা

বিয়ে করলেন সারজিস আলম

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লড়ছে শ্রীলঙ্কা, ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচ কোথায় দেখবেন

ইতালি নেওয়ার কথা বলে লিবিয়ায় ফরিদপুরের ২ জনকে গুলি করে হত্যা

সাবেক শিক্ষার্থীর প্রাইভেট কারে ধাক্কা, জাবিতে ১২ বাস আটকে ক্ষতিপূরণ আদায় ছাত্রদলের

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত