মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার মিঠানালা ইউনিয়নে ছাত্রলীগ কর্মী জুয়েল রানাকে (২২) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার জুয়েল রানার বাবা মো. আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় মিঠানালা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের যুবলীগের সহ সভাপতি মো. ইউনুছকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
এর আগে, গতকাল বুধবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার মিঠানালা ইউনিয়ন গুরুতর আহত অবস্থায় জুয়েল রানাকে উদ্ধার করা হয়। পরে মিঠাছড়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি ৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মাদক ব্যবসাকে কেন্দ্র করে ২ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সহ সভাপতি ইউনুছ ও সাধারণ সম্পাদক রিয়াদের সঙ্গে জুয়েল রানার দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। একপর্যায়ে তারা জুয়েলকে পা কেটে ফেলার হুমকি দেয়। গতকাল বুধবার এ দ্বন্দ্ব মীমাংসার জন্য স্থানীয় বড় ভাইয়েরা বৈঠকে বসে। বৈঠকের মধ্যে জুয়েলর বুকে ছুরিকাঘাত করেন রিয়াদ এবং ইউনুছসহ ১০–১২ জন ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়ে ফেলে পালিয়ে যায়।
গুরুতর অবস্থায় জুয়েলের বাবা মো. আলমগীর এবং স্থানীয়রা প্রথমে তাঁকে মিঠাছড়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে মস্তান নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
জেনারেল হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক মাসুদ করিম বলেন, ‘রোগীর পায়ে–বুকে আঘাতের অবস্থা খুব খারাপ দেখে সঙ্গে সঙ্গে আমি রেফার করে দিয়েছি। আমাদের হাসপাতালে কোনো ট্রিটমেন্ট হয়নি।’
মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডিউটিরত চিকিৎসক ফাহিম জালাল বলেন, ‘রাত ১০টা ৫৫ মিনিটের দিকে যখন জুয়েল নামের যুবককে হাসপাতালে নিয়ে আসে তখন সে মৃত অবস্থায় ছিল। আমরা ডেথ সার্টিফিকেট দিয়েছি। পরে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে যায়।’
মিঠানালা ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি ফরিদ আহমেদ শিপন বলেন, ‘আমি নৌকার মনোনীত প্রার্থী মাহবুবুর রহমান রুহেলের বাড়িতে দেখা করতে যাই। সেখান জুয়েলসহ অন্যদের দেখেছি। বাড়ি যাওয়ার সময় দেখি ২ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সহ সভাপতি ইউনুস, সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ, বাবু মেম্বার, ফারুক এবং ছালা উদ্দিন মজনু দুটি মোটরসাইকেলে করে পাঁচজন রাজাপুর নতুন রাস্তার দিকে যাচ্ছে। কিছুক্ষণ পর শুনতে পেলাম তারা সেখানে অবস্থান নিয়ে জুয়েলের ওপর দা–ছুরি, লোহার রড দিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ফেলে পালিয়ে গেছে।’
নিহত জুয়েল রানার ছোট ভাই তাজমীর হাসান শুভ বলেন, ‘কিছুদিন আগে মাদক বিক্রিতে নিষেধ করায় রিয়াদ আমার ভাইয়ের পা কেটে ফেলার হুমকি দিয়েছিল। বুধবার রাতে বাড়ি ফেরার সময় আমার বড় ভাই জুয়েলের ওপর হামলা করে। এ সময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তাঁর বাম পা হাঁটুর নিচে বিচ্ছিন্ন করার পর বুকে ছুরিকাঘাত করে খুন করে। আমরা খুনিদের উপযুক্ত বিচার চাই।’
মিরসরাই উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মাসদু করিম রানা বলেন, ‘জুয়েল ছাত্রলীগের কোনো পদে না থাকলেও ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিল। কী কারণে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসবে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দাবি করছি।’
নিহত জুয়েল রানার চাচাতো ভাই রাহাত রাজা জানান, আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে জুয়েলকে দাফন করা হয়েছে। তিনি তাঁর ভাইয়ের খুনীদের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেন।
এ বিষয়ে জানতে ওয়ার্ড যুবলীগের সহ সভাপতি ইউনুসকে একাধিকবার কল দেওয়া হলে মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কবির হোসেন বলেন, ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত হওয়ার ঘটনায় তাঁর বাবা আলমগীর বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেছেন। মামলায় ইউনুসকে প্রধান আসামি করে চারজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে তাঁদের নাম বলা হচ্ছে না। মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে লাশ বাড়িতে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার মিঠানালা ইউনিয়নে ছাত্রলীগ কর্মী জুয়েল রানাকে (২২) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার জুয়েল রানার বাবা মো. আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় মিঠানালা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের যুবলীগের সহ সভাপতি মো. ইউনুছকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
এর আগে, গতকাল বুধবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার মিঠানালা ইউনিয়ন গুরুতর আহত অবস্থায় জুয়েল রানাকে উদ্ধার করা হয়। পরে মিঠাছড়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি ৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মাদক ব্যবসাকে কেন্দ্র করে ২ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সহ সভাপতি ইউনুছ ও সাধারণ সম্পাদক রিয়াদের সঙ্গে জুয়েল রানার দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। একপর্যায়ে তারা জুয়েলকে পা কেটে ফেলার হুমকি দেয়। গতকাল বুধবার এ দ্বন্দ্ব মীমাংসার জন্য স্থানীয় বড় ভাইয়েরা বৈঠকে বসে। বৈঠকের মধ্যে জুয়েলর বুকে ছুরিকাঘাত করেন রিয়াদ এবং ইউনুছসহ ১০–১২ জন ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়ে ফেলে পালিয়ে যায়।
গুরুতর অবস্থায় জুয়েলের বাবা মো. আলমগীর এবং স্থানীয়রা প্রথমে তাঁকে মিঠাছড়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে মস্তান নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
জেনারেল হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক মাসুদ করিম বলেন, ‘রোগীর পায়ে–বুকে আঘাতের অবস্থা খুব খারাপ দেখে সঙ্গে সঙ্গে আমি রেফার করে দিয়েছি। আমাদের হাসপাতালে কোনো ট্রিটমেন্ট হয়নি।’
মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডিউটিরত চিকিৎসক ফাহিম জালাল বলেন, ‘রাত ১০টা ৫৫ মিনিটের দিকে যখন জুয়েল নামের যুবককে হাসপাতালে নিয়ে আসে তখন সে মৃত অবস্থায় ছিল। আমরা ডেথ সার্টিফিকেট দিয়েছি। পরে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে যায়।’
মিঠানালা ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি ফরিদ আহমেদ শিপন বলেন, ‘আমি নৌকার মনোনীত প্রার্থী মাহবুবুর রহমান রুহেলের বাড়িতে দেখা করতে যাই। সেখান জুয়েলসহ অন্যদের দেখেছি। বাড়ি যাওয়ার সময় দেখি ২ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সহ সভাপতি ইউনুস, সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ, বাবু মেম্বার, ফারুক এবং ছালা উদ্দিন মজনু দুটি মোটরসাইকেলে করে পাঁচজন রাজাপুর নতুন রাস্তার দিকে যাচ্ছে। কিছুক্ষণ পর শুনতে পেলাম তারা সেখানে অবস্থান নিয়ে জুয়েলের ওপর দা–ছুরি, লোহার রড দিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ফেলে পালিয়ে গেছে।’
নিহত জুয়েল রানার ছোট ভাই তাজমীর হাসান শুভ বলেন, ‘কিছুদিন আগে মাদক বিক্রিতে নিষেধ করায় রিয়াদ আমার ভাইয়ের পা কেটে ফেলার হুমকি দিয়েছিল। বুধবার রাতে বাড়ি ফেরার সময় আমার বড় ভাই জুয়েলের ওপর হামলা করে। এ সময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তাঁর বাম পা হাঁটুর নিচে বিচ্ছিন্ন করার পর বুকে ছুরিকাঘাত করে খুন করে। আমরা খুনিদের উপযুক্ত বিচার চাই।’
মিরসরাই উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মাসদু করিম রানা বলেন, ‘জুয়েল ছাত্রলীগের কোনো পদে না থাকলেও ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিল। কী কারণে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসবে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দাবি করছি।’
নিহত জুয়েল রানার চাচাতো ভাই রাহাত রাজা জানান, আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে জুয়েলকে দাফন করা হয়েছে। তিনি তাঁর ভাইয়ের খুনীদের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেন।
এ বিষয়ে জানতে ওয়ার্ড যুবলীগের সহ সভাপতি ইউনুসকে একাধিকবার কল দেওয়া হলে মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কবির হোসেন বলেন, ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত হওয়ার ঘটনায় তাঁর বাবা আলমগীর বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেছেন। মামলায় ইউনুসকে প্রধান আসামি করে চারজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে তাঁদের নাম বলা হচ্ছে না। মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে লাশ বাড়িতে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মা নদীতে টর্নেডো সৃষ্টি হয়ে পানি আকাশে উঠে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলের দিকে উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের কোলদিয়াড় এলাকায় পদ্মা নদীতে এ ঘটনা ঘটে। ইতিমধ্যে এ দৃশ্যের বেশ কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া...
৩৩ মিনিট আগে২০০৭ সালে আমান দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। ওই বছরের ২১ জুন রায় দেন বিচারিক আদালত। রায়ে আমানকে ১৩ বছরের ও তাঁর স্ত্রীকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে রায়ের বিরুদ্ধে তাঁরা হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১০ সালে হাইকোর্ট তাঁদের খালাস দেন। পরবর্তীতে দুদক আপিল করলে ২০১৪ সালে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল কর
৩৭ মিনিট আগেগাজীপুর মহানগরীর পূবাইলে ধর্ষণের অভিযোগে মসজিদের এক ইমামকে গত ২০ এপ্রিল সকালে গণপিটুনি দেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশ ইমামকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। ধর্ষণের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা হলে পুলিশ তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। কারাগারে অসুস্থ হয়ে ওই ইমামের মৃত্যু হয়। ইমামের এই মৃত্যুকে পরিকল্পিত...
৪১ মিনিট আগেসহপাঠীদের থেকে জানা যায়, বিকেলে এক যুবক ওই শিক্ষার্থীকে মেস থেকে উদ্ধার করে প্রথমে ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট এবং পরে মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে যান। সন্দেহজনক হওয়ায় তাঁকে সূত্রাপুর থানায় পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাঁর নাম ইয়াসিন মজুমদার।
১ ঘণ্টা আগে