Ajker Patrika

হাজার কোটি টাকায় কেনা ইঞ্জিন পুরোনো লাইনে চালানো যাবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২১, ২৩: ০৬
হাজার কোটি টাকায় কেনা ইঞ্জিন পুরোনো লাইনে চালানো যাবে না

দক্ষিণ কোরিয়ান প্রতিষ্ঠান হুন্দায় রোটেম থেকে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকায় কেনা ৩০টি নতুন ইঞ্জিন (লোকোমোটিভ) পুরোনো রেললাইনে চালানো যাবে না। কারণ ইঞ্জিনগুলো অনেক বড় তাই ওজন বেশি এবং হর্স পাওয়ার দুই হাজারের বেশি হওয়ায় চালানো অসম্ভব বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রকৌশল ও যান্ত্রিক বিভাগের দুই কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে জানান, ঢাকা-জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ-জামালপুর, ঢাকা-আখাউড়া-সিলেট রুটসহ সংস্কার না হওয়া প্রায় ১ হাজার কিলোমিটার রেললাইনে নতুন ইঞ্জিনগুলো চালানো সম্ভব নয়। কারণ এসব রুটের এক্সেল লোড তুলনামূলক কম। এসব ইঞ্জিন শুধু ঢাকা-চট্টগ্রাম ও উত্তরবঙ্গ রুটে চালানো সম্ভব। কারণ এই সব রুটে ভারবাহন ক্ষমতা আছে। 

চলতি বছরের জুনে দেশে আসা ১০টি মিটারগেজ ইঞ্জিন তাই সংস্কার হওয়া ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে চলাচল করছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ হাসান মনসুর। তিনি জানান, ওজন বেশি হওয়ার কারণে পুরোনো লাইনে চালানো যাবে না। শুধুমাত্র যেসব লাইন নতুন করে সংস্কার হয়েছে ওই সব লাইনে চালানো সম্ভব। 

রেলওয়ের প্রকৌশল দপ্তর জানায়, দেশে প্রায় ৩ হাজার ১৮ কিলোমিটার রেললাইন আছে। পূর্বাঞ্চলে ১৩৩৩ এবং পশ্চিমাঞ্চলে ১৬৮৪ কিলোমিটার। এর মধ্যে দুই অঞ্চল মিলে ১ হাজার কিলোমিটার রেললাইন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। কিছু কিছু রেললাইন আছে ৩০ বছরেও সংস্কার হয়নি। বিশেষ করে ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-আখাউড়া-সিলেট রুট অনেক পুরোনো। এসব লাইন সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত রেলে যুক্ত হওয়া ৩০ ইঞ্জিন চালানো যাবে না। 

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদার কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। 

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ৩০ ইঞ্জিন রেলবহরে যুক্ত হওয়ার আগে পুরোনো সব রেললাইন সংস্কার ও ভারবাহন ক্ষমতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে আখাউড়া-সিলেট রুটটি ডুয়েরগেজে রূপান্তর করতে ২০১৯ সালে প্রকল্প হাতে নেওয়া হলেও এখনো প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ দিতে পারেনি রেলওয়ে। 

জানতে চাইলে রেলওয়ের প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা এসএম সল্লিমুল্লাহ বাহার আজকের পত্রিকাকে বলেন, নানা কারণে আখাউড়া-সিলেট রুটের এখনো প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ হয়নি। নিয়োগ হলে কাজের মেয়াদের বিষয়ে জানা যাবে। 

দক্ষিণ কোরিয়ান প্রতিষ্ঠান হুন্দায় রোটেম’র কাছ থেকে প্রায় ৭০০ কোটি টাকায় কেনায় ২০টি মিটার গেজ লোকোমোটিভের মধ্যে ১০টি গত জুনে দেশে এসে পৌঁছে। ট্রায়াল রান শেষে জুলাইয়ে রেলবহরে যুক্ত হয়েছে। করোনার কারণে জাহাজ না পাওয়ায় বাকি ১০ লোকোমোটিভ আনা যাচ্ছে না বলে জানান প্রকল্প পরিচালক হাসান মনসুর। 

এর আগে ২০১৮ সালে একই প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ৩০০ কোটি টাকায় ১০টি লোকোমোটিভ কেনা হয়। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে এসব লোকোমোটিভ দেশে এসে পৌঁছায়। তবে কেনায় দুর্নীতি ও বিভিন্ন সমস্যার কারণে গত এক বছরও রেলবহরে যুক্ত হয়নি এসব ইঞ্জিন। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মেঘালয়ে হানিমুনে গিয়ে বর খুন, নিখোঁজ নববধূকে উদ্ধারে নেমেছে ড্রোন

ঈদের নামাজ পড়তে যাওয়ার পথে বাসচাপায় বাবা-ছেলে নিহত

গ্রামীণ ব্যাংক ঘিরে ‘নাশকতার পরিকল্পনা’ রাতভর পুলিশি পাহারা

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান বিচার ও কিছু প্রশ্ন

‘তাণ্ডব’ সিনেমার শো চলার সময় ছায়াবাণী হলে দর্শকদের ভাঙচুর, টাকা লুট

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত