কুমিল্লা প্রতিনিধি
কুমিল্লার মুরাদনগরে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনা ঘটার পর শুরুতে নীরবতা থাকলেও একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় সমালোচনা, নড়েচড়ে বসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। অবশেষে গ্রেপ্তার হয় মূল অভিযুক্ত ফজর আলীসহ চার সহযোগী।
ভুক্তভোগী নারীর ভাষ্য অনুযায়ী, প্রায় ১৫ দিন আগে তিনি তাঁর স্বামীর বাড়ি থেকে সন্তানদের নিয়ে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে ফজর আলী (৩৮) তাঁর বাবার বাড়িতে এসে দরজায় ডাকেন এবং দরজা খুলতে বলেন। তিনি রাজি না হলে একপর্যায়ে ফজর আলী ঘরের দরজা ভেঙে ঢুকে পড়েন এবং তাঁকে ধর্ষণ করেন।
চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে অনেকেই প্রথমে বুঝে উঠতে পারেননি কী ঘটেছে। কেউ কেউ ওই নারীকে মারধর করেন, ভিডিও করেন। পরে তাঁরা বুঝতে পারেন, তিনি ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এরপর উত্তেজিত লোকজন ফজর আলীকে ধরে মারধর করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে সেখান থেকে কৌশলে পালিয়ে যান তিনি।
এই ঘটনার ভিডিও শুক্রবার রাত থেকে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিও প্রকাশের পর বিষয়টি নজরে আসে পুলিশের। শনিবার রাতে মুরাদনগর থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী। এরপর পুলিশ অভিযানে নামে। ভোর রাতে ঢাকার সায়েদাবাদ এলাকা থেকে ফজর আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধর্ষণের ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় আরও চারজন—মো. সুমন, রমজান আলী, মো. আরিফ ও মো. অনিককে। তাঁদের সবাই মুরাদনগরের বাসিন্দা।
মামলার তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে কেউ কেউ ওই নারীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন এবং ভিডিও করেন। এরপর সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। পুলিশের ধারণা, বিষয়টি লোকচক্ষুর আড়ালেই থেকে যেত, যদি না ভিডিওটি ভাইরাল হতো।
মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান বলেন, “প্রথমে ওই নারী থানায় কোনো অভিযোগ করেননি। ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর আমরা জানতে পারি। এরপর তিনিই থানায় এসে মামলা করেন। তাঁর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।”
পুলিশ বলছে, অভিযুক্তদের সবাইকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। পাশাপাশি ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার পেছনে অন্য কেউ জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কুমিল্লার মুরাদনগরে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনা ঘটার পর শুরুতে নীরবতা থাকলেও একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় সমালোচনা, নড়েচড়ে বসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। অবশেষে গ্রেপ্তার হয় মূল অভিযুক্ত ফজর আলীসহ চার সহযোগী।
ভুক্তভোগী নারীর ভাষ্য অনুযায়ী, প্রায় ১৫ দিন আগে তিনি তাঁর স্বামীর বাড়ি থেকে সন্তানদের নিয়ে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে ফজর আলী (৩৮) তাঁর বাবার বাড়িতে এসে দরজায় ডাকেন এবং দরজা খুলতে বলেন। তিনি রাজি না হলে একপর্যায়ে ফজর আলী ঘরের দরজা ভেঙে ঢুকে পড়েন এবং তাঁকে ধর্ষণ করেন।
চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে অনেকেই প্রথমে বুঝে উঠতে পারেননি কী ঘটেছে। কেউ কেউ ওই নারীকে মারধর করেন, ভিডিও করেন। পরে তাঁরা বুঝতে পারেন, তিনি ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এরপর উত্তেজিত লোকজন ফজর আলীকে ধরে মারধর করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে সেখান থেকে কৌশলে পালিয়ে যান তিনি।
এই ঘটনার ভিডিও শুক্রবার রাত থেকে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিও প্রকাশের পর বিষয়টি নজরে আসে পুলিশের। শনিবার রাতে মুরাদনগর থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী। এরপর পুলিশ অভিযানে নামে। ভোর রাতে ঢাকার সায়েদাবাদ এলাকা থেকে ফজর আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধর্ষণের ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় আরও চারজন—মো. সুমন, রমজান আলী, মো. আরিফ ও মো. অনিককে। তাঁদের সবাই মুরাদনগরের বাসিন্দা।
মামলার তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে কেউ কেউ ওই নারীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন এবং ভিডিও করেন। এরপর সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। পুলিশের ধারণা, বিষয়টি লোকচক্ষুর আড়ালেই থেকে যেত, যদি না ভিডিওটি ভাইরাল হতো।
মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান বলেন, “প্রথমে ওই নারী থানায় কোনো অভিযোগ করেননি। ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর আমরা জানতে পারি। এরপর তিনিই থানায় এসে মামলা করেন। তাঁর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।”
পুলিশ বলছে, অভিযুক্তদের সবাইকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। পাশাপাশি ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার পেছনে অন্য কেউ জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্র ও দলীয় নেতাদের বরাতে জানা গেছে, ফজর আলী দীর্ঘদিন ধরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং বিভিন্ন মিছিল-সমাবেশে সক্রিয় অংশগ্রহণ করতেন। তবে গত ৫ আগস্টের পর তিনি স্থানীয় বিএনপি নেতাদের সঙ্গে চলাফেরা শুরু করেন এবং নিজেকে বিএনপির কর্মী দাবি করতে থাকেন। এ অবস্থায়, ঘটনার পর...
৬ মিনিট আগেরাজধানীর ফকিরাপুলে গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনায় জড়িত মূল শুটারকে অস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ গুলি ও গোলাবারুদসহ গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
২৬ মিনিট আগেআইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে রাতে নিজ ঘরের কক্ষ থেকে ডেকে বের করা হয় আব্দুর রহিমকে। বাড়ির উঠানে ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল উপর্যুপরি ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর সময় নিহতের স্ত্রীসহ স্বজনরা বাঁধা দিতে আসলে তাদেরকেও মারধর করা হয়। পরে ঘটনাস্থলেই মারা যান আব্দুর রহিম। পরে পুলিশকে খবর দিলে সকালে নিহতের মরদেহ...
১ ঘণ্টা আগেসৌমিক বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার বোচারপুকুর গ্রামের তৌফিকুর রহমানের ছেলে। তবে পরিবারটি শহরের জলেশ্বরীতলা এলাকায় বসবাস করছিল। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করে উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
১ ঘণ্টা আগে