Ajker Patrika

রামগঞ্জে আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ: বিএনপির ২ নেতা গ্রেপ্তার

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ০৯ এপ্রিল ২০২৩, ১৫: ২৯
Thumbnail image

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সংর্ঘষের পৌরসভার সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর ও বিএনপির নেত্রী ফারজানা মজুমদার জনি ও বিএনপি নেতা আবদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের দুজনকে আটক করা হয়।

আজ রোববার সকালে উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম লেদু বাদী হয়ে রামগঞ্জ থানায় বিএনপির নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এ ছাড়া মামলায় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলসহ অঙ্গ সংগঠনের ২০ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে মোটা ২২০জনকে আসামি করা হয়েছে। 

এ নিয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী বলেন, ‘বিএনপির শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসুচিতে হামলা চালায় আওয়ামী লীগ। উল্টো বিএনপি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। এ মামলায় জেলা বিএনপির নেত্রী ও মহিলা কাউন্সিলর ফারজানা মজুমদার ও বিএনপি নেতা আবদুর রহমানকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের নিশর্ত মুক্তি দিতে হবে এবং 
এ মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।’ 

এ নিয়ে রামগঞ্জ পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র বেলাল উদ্দিন জানান, কেন্দ্র ঘোষিত যুবলীগের শান্তি সমাবেশে বিএনপির নেতা-কর্মীরা হামলা করে বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর করে। এর সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে হবে। 

রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমদাদুল হক বলেন, ‘সংঘর্ষ, গাড়ি ভাংচুর ও মারধরের অভিযোগে ২২০ জনকে আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে। এ মামলায় কাউন্সিলরসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে।’ 

উল্লেখ্য, গত শনিবার বিকেলে পৌরশহরের সাতার পাড়া চৌরাস্তায় বিএনপির অবস্থান কর্মসুচি চলছিল। ওই স্থানে যুবলীগও শান্তি সমাবেশের ডাক দেয়। যুবলীগের নেতা-কর্মীরা শান্তিসমাবেশ কর্মসুচি পালন করতে জড়ো হন। এ নিয়ে সমাবেশকে ঘিরে দু-পক্ষের মধ্যে উত্তোজনা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বিএনপির অবস্থান কর্মসুচিতে হামলা চালায়। পরে পাল্টা হামলা চালায় বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এতে দু-পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে বিএনপি নেতা আবদুর রহমান, কবির ভাট, আবদুর রহমান মিলন, শেখ কামরুল, নজরুল ইসলাম পিন্টুসহ উভয়পক্ষের অন্তত ১০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয় ১০টি মোটরসাইকেল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত