Ajker Patrika

বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টায় সীমান্তে জড়ো হয়েছে মিয়ানমারের ৪০০ চাকমা

কক্সবাজার প্রতিনিধি
আপডেট : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩: ০৪
বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টায় সীমান্তে জড়ো হয়েছে মিয়ানমারের ৪০০ চাকমা

মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) মধ্যে রাখাইন রাজ্যে কয়েক দিন ধরে সংঘর্ষ চলছে। এতে সেখানে খাদ্য ও নিরাপত্তা সংকটে পড়ে চাকমা জনগোষ্ঠীর ৪০০ জন এবং বেশ কিছু রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের জন্য বাংলাদেশ সীমান্তে অবস্থান নিয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মো. মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, ‘অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিবি) সজাগ রয়েছে। কোনোভাবেই মিয়ানমার থেকে নতুন করে কোনো রোহিঙ্গা বা অন্য সম্প্রদায়ের কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না।’

তিন দিন ধরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে তমব্রু রাইট ক্যাম্প এলাকায় মিয়ানমারের সরকারি বাহিনী ও দুই বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে তুমুল লড়াই চলছে। পাশাপাশি কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার আনজুমানপাড়া, ধামনখালী ও রহমতবিল সীমান্তের ওপারে ঢেঁকিবুনিয়া ও উংচি বান এলাকায় থেমে থেমে গোলাগুলি, মর্টার শেল ও বোমাবর্ষণের ঘটনা ঘটছে।

আজ সোমবার নাইক্ষ্যংছড়ির জলপাইতলী সীমান্তে মর্টার শেল এসে পড়লে এক বাংলাদেশি নারী ও এক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। আরাকান আর্মি ও জান্তাদের সংঘর্ষের তোপের মুখে পড়ে এখন পর্যন্ত মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) ১০৮ জন সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন। তাঁরা বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জিম্মায় রয়েছেন।

উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গফুর মিয়া চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উখিয়ার পালংখালী ও নাইক্ষ্যংছড়ির সীমান্ত দিয়ে ৪০০ চাকমা জনগোষ্ঠী এবং বেশ কিছু রোহিঙ্গা দুই দিন ধরে ঢোকার চেষ্টা করছে। বিজিপির পাশাপাশি স্থানীয়দের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সজাগ রয়েছে বিজিবি।’

অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সরকার কঠোর বলে জানিয়ে আরআরআরসি মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘মিয়ানমারে জান্তা বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির তুমুল লড়াই চলছে। এতে মিয়ানমার সীমান্তে বসবাসকারীদের মধ্যে খাদ্যসংকট দেখা দিয়েছে। তাদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে আছে। এই অবস্থায় তারা জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করছেন।’

এ বিষয়ে দাতা সংস্থার অনেকে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন জানিয়ে মিজানুর রহমান বলেন, ‘সীমান্ত অতিক্রম করে মিয়ানমার থেকে কোনো রোহিঙ্গা অথবা অন্য কোনো সম্প্রদায়ের লোকজন যাতে অনুপ্রবেশ করতে না পারেন, সে জন্য সীমান্তে বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে।’

এদিকে বিজিবি জানিয়েছে, টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের উলুবনিয়া সীমান্ত দিয়ে পাঁচ সদস্যের একটি রোহিঙ্গা পরিবার ঢুকতে চাইলে বিজিবির বাধার মুখে ঢুকতে পারেনি।

বিজিবি কক্সবাজার অঞ্চলের আঞ্চলিক কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোরশেদ আলম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, অনুপ্রবেশের কোনো সুযোগ নেই। সীমান্তে অতিরিক্ত বিজিবি সদস্য ও টহল বাড়ানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত