Ajker Patrika

খাতুনগঞ্জে বেশি দামে পণ্য বিক্রি, প্রশাসনের অভিযান

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
খাতুনগঞ্জে বেশি দামে পণ্য বিক্রি, প্রশাসনের অভিযান

দেশের ভোগ্যপণ্যের অন্যতম বৃহত্তম পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে অভিযান পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন। সেখানে প্রায় প্রত্যেকটা পণ্য কেনার চেয়ে দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে। আজ রোববার দুপুরের পর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্তের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে ৩ প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এর মধ্যে চিনি বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান আরএম এন্টারপ্রাইজকে ৩০ হাজার টাকা এবং নাবিল গ্রুপকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি চট্টগ্রামে এলাচের সবচেয়ে বড় আমদানিকারক এবি ট্রেডার্সকে অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রয়ের কারণে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। 

জেলা প্রশাসন জানায়, এবি ট্রেডার্সের এলসি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, প্রতি কেজি এলাচ আমদানি করতে ট্যাক্স ও আনুষঙ্গিক অন্যান্য হিসেবে মিলিয়ে তাদের প্রায় ১ হাজার ৪৫০ টাকা খরচ পড়েছে। কৃষি বিপণন আইনানুযায়ী পাইকারি পর্যায়ে ১৫ শতাংশ লাভ করলে দাম ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকার মধ্যে থাকার কথা। 

তবে ওই প্রতিষ্ঠানে এলাচ বিক্রি হচ্ছিল ২ হাজার ২০০ থেকে ৩ হাজার ১০০ টাকা পর্যন্ত।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানটি জনসমক্ষে ঘোষণা দিয়েছে তারা ১ হাজার ৬০০ থেকে ২ হাজার টাকার মধ্যে এলাচ বিক্রি করবে। এ ছাড়া কয়েকদিন আগে এসআলম সুগার মিলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পরে খুচরা বাজারে চিনির দাম কেজিপ্রতি ৫ থেকে ৭ টাকা বেড়েছে। তবে পাইকারি বাজার পণ্যটির দাম স্থিতিশীল রয়েছে। রমজানে যেন চিনির পাইকারি ও খুচরা বাজার দুটিই স্থিতিশীল থাকে সে উদ্দেশ্যে আজ অভিযান চালানো হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, চিনি বিক্রয়কারী দুটি প্রতিষ্ঠান আরএম এন্টারপ্রাইজ এবং নাবিল গ্রুপ কারো কাছেই কোনো ক্রয়-বিক্রয় রসিদ সংরক্ষিত ছিল না। ফলে তারা কত টাকায় কিনছেন বা বিক্রি করছেন তা আমরা জানতে পারছি না। এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী এ সুযোগে বাজারে চিনির দাম বাড়িয়ে ফেলছে। এজন্য সতর্কতামূলকভাবে দুটি প্রতিষ্ঠানকে যথাক্রমে ৩০ ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইতালিপ্রবাসী স্ত্রীকে ভিডিও কলে রেখে যুবকের আত্মহত্যা

অগ্নিকাণ্ডের ক্ষতি পোষাতে শাহজালাল বিমানবন্দরে নিজেরাই গুদাম বানাচ্ছেন পোশাক রপ্তানিকারকেরা

৩৬ বার অপারেশন, অবশেষে বাড়ি ফিরল মাইলস্টোনের শিক্ষার্থী নাভিদ

নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে পুলিশের ভূমিকা সর্বাগ্রে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

জাপানে ‘খোলামেলা’ পোশাক পরায় রেস্তোরাঁ থেকে বের করে দেওয়া হলো ২ চীনাকে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চট্টগ্রাম-৯ আসন: বিএনপিতে হেভিওয়েটের ধাক্কাধাক্কি

  • বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট নেতা এই আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হতে চান।
  • মূল লড়াই বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীর মধ্যে হতে পারে।
  • জামায়াত আগেভাগেই প্রার্থী চূড়ান্ত করে ফেলেছে, প্রার্থীও রয়েছেন তৎপর।
সবুর শুভ, চট্টগ্রাম    
মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, ডা. শাহাদাত হোসেন, শামসুল আলম, আবু সুফিয়ান, সাইদ আল নোমান ও এ কে এম ফজলুল হক। ছবি: সংগৃহীত
মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, ডা. শাহাদাত হোসেন, শামসুল আলম, আবু সুফিয়ান, সাইদ আল নোমান ও এ কে এম ফজলুল হক। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম জেলায় ১৬টি সংসদীয় আসন। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালি-বাকলিয়া)। আগের ইতিহাস বলছে, এই আসন থেকে যে দল জয়ী হয়, সেই দলই সরকার গঠন করে। আবার চট্টগ্রাম-৯-এর সংসদ সদস্য স্থান পান সরকারের মন্ত্রিসভায়ও। ১৯৯১ থেকে অনুষ্ঠিত প্রায় সব কটি সংসদ নির্বাচনে এমনটিই ঘটে এসেছে। তাই এবার এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেতে সবচেয়ে বেশি দৌড়ঝাঁপ চলছে। বিশেষ করে বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট নেতা এই আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন। এদিকে জামায়াতে ইসলামী আগেভাগেই প্রার্থী ঠিক করে ফেলায় তিনি একা মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন।

স্থানীয় ও দলীয় সূত্র বলেছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এবার ভোটের রাজনীতির সমীকরণ ভিন্ন। চট্টগ্রাম-৯ আসনে এবার বিএনপি-আওয়ামী লীগ নয়, বিএনপি-জামায়াত লড়াই হবে। এনসিপি, জাতীয় পাটি, এবি পার্টি, ইসলামী আন্দোলন, ইসলামী ফ্রন্ট ও ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থীরাও থাকতে পারেন মাঠে।

১৯৯১ সালে আবদুল্লাহ আল নোমান এই আসন থেকে বিএনপির টিকিটে বিজয়ী হয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পান। ১৯৯৬ সালের জুনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে এখান থেকে আওয়ামী লীগের এম এ মান্নান বিজয়ী হয়ে মন্ত্রী হন। ২০০১ সালে বিএনপির প্রার্থী আবদুল্লাহ আল নোমান বিজয়ী হয়ে হন খাদ্যমন্ত্রী। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের নুরুল ইসলাম বিএসসি চট্টগ্রাম-৯ আসন থেকে বিজয়ী হয়ে হন প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী। ২০১৪ সালের নির্বাচনে সাবেক মন্ত্রী জাতীয় পার্টির জিয়া উদ্দীন আহমেদ বাবলু বিজয়ী হন এখানে। ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছেলে ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান।

এবার চট্টগ্রাম-৯ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন পেতে তৎপর চট্টগ্রাম সিটির সাবেক মেয়র ও সাবেক মন্ত্রী, রাষ্ট্রদূত মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন। তাঁর ছেলে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ব্যারিস্টার মীর হেলাল উদ্দিনও রয়েছেন সক্রিয়। অবশ্য হাটহাজারী আসনেই তাঁর আগ্রহ বেশি বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। এ ছাড়া মাঠে আছেন বর্তমান সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শামসুল আলম, বিএনপি নেতা আবু সুফিয়ান, চট্টগ্রাম নগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর এবং নগর বিএনপির দুই যুগ্ন আহ্বায়ক আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল এবং এস এম সাইফুল আলমও আলোচনায় রয়েছেন। প্রয়াত আবদুল্লাহ আল নোমানের ছেলে সাঈদ আল নোমানও আছেন মাঠে। অবশ্য চট্টগ্রাম-১০ আসনও তাঁর নজরে রয়েছে।

জানতে চাইলে মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন বলেন, ‘সিটি মেয়র ও মন্ত্রী থাকাকালে পুরো চট্টগ্রামের উন্নয়নে কাজ করেছি। শত শত লোকের চাকরির ব্যবস্থা করেছি। দল চাইলে নির্বাচন করতে প্রস্তুত।’

আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী শামসুল আলম বলেন, ‘বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়া এবং ধানের শীষে নির্বাচন করাটা যেন আমার অপরাধ ছিল। এ কারণে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য বলতে গেলে ধ্বংসই করে দিয়েছে। এরপরও আমি দল ছেড়ে যাইনি। এবার দলের মূল্যায়নের অপেক্ষায় থাকলাম।’

নগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, ‘বিগত ১৬ বছরে সাতবার জেলে গেছি ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের রোষানলে পড়ে। আশা করছি দল আমার এ ত্যাগের মূল্যায়ন করবে।’

জানতে চাইলে প্রয়াত আবদুল্লাহ আল নোমানের ছেলে জাতীয়তাবাদী পাট শ্রমিক দলের সভাপতি সাঈদ আল নোমান বলেন, ‘মনোনয়ন পাওয়া বা সংসদ সদস্য হওয়া কখনোই আমার একার সিদ্ধান্ত নয়। এটা জনগণের ভালোবাসা, আস্থা ও দলের সিদ্ধান্ত। দল চাইলে অবশ্যই নির্বাচনী মাঠে থাকব।’

জামায়াতের প্রার্থী চালাচ্ছেন জোর প্রচারণা

জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম-৯ আসন থেকে এ কে এম ফজলুল হকের মনোনয়ন চূড়ান্ত করেছে। তিনি পেশায় একজন চিকিৎসক। পেশাগত দক্ষতা ও অভিজ্ঞতাকে পুঁজি করে তিনি চট্টগ্রাম-৯ আসনের বিভিন্ন এলাকায় মেডিকেল ক্যাম্প পরিচালনা করছেন। জানতে চাইলে জামায়াতের এই প্রার্থী বলেন, ‘নির্বাচনে সৎ ও যোগ্য লোককে ভোট দিয়ে ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনে জামায়াতে ইসলামীর পাশে থাকার আহ্বান রাখছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইতালিপ্রবাসী স্ত্রীকে ভিডিও কলে রেখে যুবকের আত্মহত্যা

অগ্নিকাণ্ডের ক্ষতি পোষাতে শাহজালাল বিমানবন্দরে নিজেরাই গুদাম বানাচ্ছেন পোশাক রপ্তানিকারকেরা

৩৬ বার অপারেশন, অবশেষে বাড়ি ফিরল মাইলস্টোনের শিক্ষার্থী নাভিদ

নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে পুলিশের ভূমিকা সর্বাগ্রে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

জাপানে ‘খোলামেলা’ পোশাক পরায় রেস্তোরাঁ থেকে বের করে দেওয়া হলো ২ চীনাকে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মামলা করলেন মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত আবুল কালামের স্ত্রী

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর ফার্মগেটে মেট্রোরেলের পিলার থেকে বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে এক পথচারীর মৃত্যুর ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। নিহত আবুল কালাম আজাদের স্ত্রী আইরিন আক্তার পিয়া বাদী হয়ে রোববার রাতে তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেন।

সোমবার (২৭ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোবারক হোসেন। তিনি বলেন, এটি একটি অপমৃত্যু মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে।

এর আগে রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফার্মগেট মেট্রোরেল স্টেশনের পশ্চিম পাশে ৪৩৩ নম্বর পিলার থেকে বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে পথচারী আবুল কালাম আজাদের (৩৫) মাথায় লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

ওসি মোবারক হোসেন জানান, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটের সামনের ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় হঠাৎ ওপর থেকে ভারী বিয়ারিং প্যাডটি পড়ে যায়। এতে মাথায় আঘাত পেয়ে আবুল কালাম ঘটনাস্থলেই মারা যান।

দুর্ঘটনার পর প্রায় আড়াই ঘণ্টা বন্ধ থাকে মেট্রোরেলের চলাচল। পরে বিকেল ৩টার দিকে উত্তরা উত্তর থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত, আর সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় মতিঝিল থেকে শাহবাগ পর্যন্ত মেট্রো চলাচল শুরু হয়। তবে বিয়ারিং প্যাড মেরামতের জন্য আগারগাঁও থেকে শাহবাগ অংশে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। সোমবার সকাল ১১টা থেকে পুরো লাইনে চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এ ঘটনায় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি জানান, সেতু বিভাগের সচিব মোহাম্মদ আব্দুর রউফকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দুই সপ্তাহের মধ্যে তারা প্রতিবেদন জমা দেবে।

ফাওজুল কবির খান আরও জানান, নিহত ব্যক্তির পরিবারকে প্রাথমিকভাবে পাঁচ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। পাশাপাশি পরিবারের কোনো কর্মক্ষম সদস্য থাকলে তাকে মেট্রোরেলে চাকরির সুযোগ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইতালিপ্রবাসী স্ত্রীকে ভিডিও কলে রেখে যুবকের আত্মহত্যা

অগ্নিকাণ্ডের ক্ষতি পোষাতে শাহজালাল বিমানবন্দরে নিজেরাই গুদাম বানাচ্ছেন পোশাক রপ্তানিকারকেরা

৩৬ বার অপারেশন, অবশেষে বাড়ি ফিরল মাইলস্টোনের শিক্ষার্থী নাভিদ

নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে পুলিশের ভূমিকা সর্বাগ্রে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

জাপানে ‘খোলামেলা’ পোশাক পরায় রেস্তোরাঁ থেকে বের করে দেওয়া হলো ২ চীনাকে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অপহরণের পর নির্যাতন, সাত দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর কলেজছাত্রের মৃত্যু

কুমিল্লা প্রতিনিধি
নিহত কলেজছাত্র তুহিন। ছবি: সংগৃহীত
নিহত কলেজছাত্র তুহিন। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় অপহরণের পর নির্যাতনের শিকার কলেজছাত্র তুহিন (১৯) সাত দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর মারা গেছেন। আজ সোমবার দুপুরে ঢাকার একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। নিহত তুহিন উপজেলার পীরযাত্রাপুর ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে এবং বুড়িচং এরশাদ ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র।

তুহিনের মা ফেরদৌসী আক্তার জানান, পূর্ববিরোধের জেরে স্থানীয় কয়েকজন তাঁর ছেলেকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল। ঘটনার দিন ২০ অক্টোবর রাত সাড়ে ৮টার দিকে পীরযাত্রাপুর ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের কামাল মিয়ার বাড়ির সামনে থেকে একটি প্রাইভেট কারে করে তুহিনকে তুলে নেয় দুর্বৃত্তরা। পরে তাঁকে অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম বাবুর গোবিন্দপুর এলাকার একটি ভবনে আটকে লোহার রড ও এসএস পাইপ দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।

স্থানীয় বাসিন্দারা পরে তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে বুড়িচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং সেখান থেকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হলে ওই রাতেই তুহিনকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। সাত দিন ধরে তিনি সেখানে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।

এ ঘটনায় তুহিনের মা ফেরদৌসী আক্তার বাদী হয়ে ২০ অক্টোবর বুড়িচং থানায় চারজনের নাম উল্লেখসহ আরও কয়েকজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেন। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন গোবিন্দপুর গ্রামের মো. সাইফুল ইসলাম বাবু (৪৫), মো. নাফিজ উদ্দিন (১৯), শ্রীপুর গ্রামের মো. জহির (৪২) এবং আবদুল আলিম (৪৫)।

এ বিষয়ে বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই মামলা রুজু করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইতালিপ্রবাসী স্ত্রীকে ভিডিও কলে রেখে যুবকের আত্মহত্যা

অগ্নিকাণ্ডের ক্ষতি পোষাতে শাহজালাল বিমানবন্দরে নিজেরাই গুদাম বানাচ্ছেন পোশাক রপ্তানিকারকেরা

৩৬ বার অপারেশন, অবশেষে বাড়ি ফিরল মাইলস্টোনের শিক্ষার্থী নাভিদ

নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে পুলিশের ভূমিকা সর্বাগ্রে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

জাপানে ‘খোলামেলা’ পোশাক পরায় রেস্তোরাঁ থেকে বের করে দেওয়া হলো ২ চীনাকে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মোটরসাইকেল মহড়া থেকে যুবককে তুলে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা

বগুড়া প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বগুড়ায় মোটরসাইকেল মহড়া থেকে তুলে নিয়ে হাবিবুর রহমান খোকন (৩৭) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় আরও এক যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন। আজ সোমবার (২৭ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে শহরের সেউজগাড়ী ইসকন মন্দির এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত হাবিবুর রহমান খোকন শহরের মালতিনগর দক্ষিণপাড়া এলাকার কামাল হোসেনের ছেলে। আর আহত বাঁধন (২৬) বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

গতকাল রোববার রাতে সেউজগাড়ী এলাকায় একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলার জেরে খুনের এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ।

বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসান বাসির এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রাত ৯টার দিকে ইসকন মন্দিরের সামনে হঠাৎ চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে যান। তাঁরা দেখেন, অন্ধকারে কয়েকজন অজ্ঞাতনামা যুবক ধারালো অস্ত্র নিয়ে দুই যুবককে কুপিয়ে ফেলে রেখে পালিয়ে যান। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় বাসিন্দারা দুজনকে উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শজিমেক) নিয়ে গেলে চিকিৎসক খোকনকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে দুটি মোটরসাইকেল জব্দ করেছে পুলিশ। এর মধ্যে একটি মোটরসাইকেলের সামনে আইনজীবী স্টিকার লাগানো।

জানা গেছে, হতাহত দুই যুবক ছাড়াও আরও ১০ থেকে ১২ জন যুবক কয়েকটি মোটরসাইকেল নিয়ে খান্দার এলাকা থেকে সেউজগাড়ী হয়ে শহরে ফিরছিলেন। আগে থেকে ওত পেতে থাকা কিছু যুবক মোটরসাইকেল মহড়া থেকে দুই যুবককে তুলে নিয়ে ইসকন মন্দিরের দিকে অন্ধকারে কুপিয়ে ফেলে রেখে যান।

এ ঘটনায় শহর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ টহল জোরদার করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে শজিমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইতালিপ্রবাসী স্ত্রীকে ভিডিও কলে রেখে যুবকের আত্মহত্যা

অগ্নিকাণ্ডের ক্ষতি পোষাতে শাহজালাল বিমানবন্দরে নিজেরাই গুদাম বানাচ্ছেন পোশাক রপ্তানিকারকেরা

৩৬ বার অপারেশন, অবশেষে বাড়ি ফিরল মাইলস্টোনের শিক্ষার্থী নাভিদ

নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে পুলিশের ভূমিকা সর্বাগ্রে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

জাপানে ‘খোলামেলা’ পোশাক পরায় রেস্তোরাঁ থেকে বের করে দেওয়া হলো ২ চীনাকে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত