সাফায়েত মেহেদী, মিরসরাই (চট্টগ্রাম)
২০১১ সালের ১১ জুলাই চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলায় একটি মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৫ জনের মৃত্যু হয়, যাদের অধিকাংশই ছিল কোমলমতি স্কুলশিক্ষার্থী। সেদিন মিরসরাই স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু-বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা শেষে বিজয় মিছিল করে মিনি ট্রাকে বাড়ি ফেরার পথে দুপুর ২টার দিকে বড়তাকিয়া-আবুতোরাব সড়কের সৈদালী এলাকায় ট্রাকটি উল্টে পাশের ডোবায় পড়ে যায়। মুহূর্তেই নিভে যায় ৪৫টি প্রাণ।
এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম হৃদয়বিদারক সড়ক দুর্ঘটনা হিসেবে পরিচিত। ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। পরবর্তীতে ছুটে আসেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। শোক জানাতে এসেছিলেন দেশ-বিদেশের বহু মানুষ।
ট্র্যাজেডির স্মরণে আবুতোরাব উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রবেশমুখে নির্মাণ করা হয়েছে স্মৃতিস্তম্ভ ‘আবেগ’, আর দুর্ঘটনাস্থলে নির্মিত হয়েছে স্মারক ‘অন্তিম’। প্রতিবছর ১১ জুলাই দিনটিকে মিরসরাইবাসী শ্রদ্ধাভরে পালন করে।
এদিকে সেদিনের সেই দুঃসহ স্মৃতি এখনো বয়ে বেড়ান স্বজনেরা। ছেলের ছবি বুকে নিয়ে নীরবে-নিভৃতে কাঁদেন গর্ভধারিণী মা। দিনটি এলেই শোকে বিহ্বল হয়ে পড়েন স্বজন, সহপাঠী ও শিক্ষকেরা। এখন স্মৃতি বলতে শুধু ছবির সেই বাঁধানো ফ্রেম। পুত্রহারা বাবা-মা সেই ছবি নিয়ে বুক চাপড়াতে চাপড়াতে আহাজারি করেন।
নিহত শাকিব, নয়ন, উজ্জ্বল, টিটু, ইফতেখার, সাজু, কাজল, জুয়েল, মোবারক, ধ্রুবনাথদের পরিবারের খবর কেউ রাখে না বলে অভিযোগ স্বজনদের। তাঁদের দাবি, প্রতিবছর দিবসটি এলে রাজনৈতিক ব্যক্তি ও স্কুল কর্তৃপক্ষ এসে ফটোসেশন ও আলোচনাসভায় সীমাবদ্ধ থাকেন, এরপর আবার সবাই চলে যান।
দিবসটি উপলক্ষে আজ শুক্রবার ১১ জুলাই, আবুতোরাব বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে আয়োজন করা হয়েছে পবিত্র কোরআন খতম, বেলা ১১টায় স্মৃতিস্তম্ভ ‘আবেগ’ ও ‘অন্তিম’-এ পুষ্পস্তবক অর্পণ, এরপর সাড়ে ১১টায় শোকসভা ও দোয়া মাহফিল।
এক শিক্ষার্থীর বাবা নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘দেখতে দেখতে ১৪ বছর হয়ে গেল একমাত্র সন্তানকে হারানোর। ডাক্তার বানানোর স্বপ্ন দেখেছিলাম। কিন্তু নিয়তির নির্মম পরিহাস—ভয়াল ট্র্যাজেডিতে প্রাণ গেল আমার ছেলের।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিবছর এই দিনে রাজনৈতিক ব্যক্তিরা আর স্কুল কর্তৃপক্ষ শুধু ফটোসেশন ও আলোচনা সভাতেই ব্যস্ত থাকেন। আমাদের খবর কেউ রাখে না।’
সহপাঠী হারানো আবুতোরাব উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী আজমল হোসেন বলেন, ‘তারা ছিল আমার বন্ধুর মতো, ভাইয়ের মতো, সাথির মতো। একসাথে ক্লাস করেছি, খেলাধুলা করেছি, বই বদল করে পড়েছি, হাসি-ঠাট্টায় মেতে উঠেছি। মাত্র কয়েক মিনিটেই সব কিছু বদলে গেল—একটি ট্রাক, এক মুহূর্তের অসতর্কতায় নিঃশেষ হয়ে গেল ৪৫টি জীবন, যাদের মধ্যে ১১ জন আমার সবচেয়ে কাছের মানুষ ছিল। ১১ বন্ধুর সাথে যুক্ত হলো নিজের পরিবারের শোকও। বাবার চাচাতো ভাই শুভ মামা আমার খেলার সাথি সেদিনের দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে দীর্ঘ ছয় মাস মৃত্যুর মুখোমুখি থেকে শেষ পর্যন্ত মায়া ত্যাগ করে এ পৃথিবীর। এ মৃত্যু যেন আমার শোক বাড়িয়ে দেয় আরও বহুগুণ।’
আবুতোরাব উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মর্জিনা আক্তার বলেন, ‘১১ জুলাই সকাল ১০টায় নিহতদের স্মরণে দুই স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। এরপর বেলা ১১টায় স্কুলের হলরুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সোমাইয়া আক্তার, নিহতদের পরিবার, স্বজন, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও এলাকাবাসী।’
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ১১ জুলাই মিরসরাই ট্র্যাজেডিতে আবুতোরাব উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩৪ জন, আবুতোরাব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চারজন, আবুতোরাব ফাজিল মাদ্রাসার দুজন, প্রফেসর কামালউদ্দিন চৌধুরী কলেজের দুজন, একজন অভিভাবক, দুজন ফুটবলপ্রেমী যুবকসহ ৪৫ জনের মৃত্যু হয়।
একটি ট্রাক আর এক মুহূর্তের অসতর্কতায় নিঃশেষ হয়ে যায় ৪৫টি সম্ভাবনাময় জীবন। মিরসরাই ট্র্যাজেডির এই ক্ষত আজও শুকায়নি।
২০১১ সালের ১১ জুলাই চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলায় একটি মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৫ জনের মৃত্যু হয়, যাদের অধিকাংশই ছিল কোমলমতি স্কুলশিক্ষার্থী। সেদিন মিরসরাই স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু-বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা শেষে বিজয় মিছিল করে মিনি ট্রাকে বাড়ি ফেরার পথে দুপুর ২টার দিকে বড়তাকিয়া-আবুতোরাব সড়কের সৈদালী এলাকায় ট্রাকটি উল্টে পাশের ডোবায় পড়ে যায়। মুহূর্তেই নিভে যায় ৪৫টি প্রাণ।
এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম হৃদয়বিদারক সড়ক দুর্ঘটনা হিসেবে পরিচিত। ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। পরবর্তীতে ছুটে আসেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। শোক জানাতে এসেছিলেন দেশ-বিদেশের বহু মানুষ।
ট্র্যাজেডির স্মরণে আবুতোরাব উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রবেশমুখে নির্মাণ করা হয়েছে স্মৃতিস্তম্ভ ‘আবেগ’, আর দুর্ঘটনাস্থলে নির্মিত হয়েছে স্মারক ‘অন্তিম’। প্রতিবছর ১১ জুলাই দিনটিকে মিরসরাইবাসী শ্রদ্ধাভরে পালন করে।
এদিকে সেদিনের সেই দুঃসহ স্মৃতি এখনো বয়ে বেড়ান স্বজনেরা। ছেলের ছবি বুকে নিয়ে নীরবে-নিভৃতে কাঁদেন গর্ভধারিণী মা। দিনটি এলেই শোকে বিহ্বল হয়ে পড়েন স্বজন, সহপাঠী ও শিক্ষকেরা। এখন স্মৃতি বলতে শুধু ছবির সেই বাঁধানো ফ্রেম। পুত্রহারা বাবা-মা সেই ছবি নিয়ে বুক চাপড়াতে চাপড়াতে আহাজারি করেন।
নিহত শাকিব, নয়ন, উজ্জ্বল, টিটু, ইফতেখার, সাজু, কাজল, জুয়েল, মোবারক, ধ্রুবনাথদের পরিবারের খবর কেউ রাখে না বলে অভিযোগ স্বজনদের। তাঁদের দাবি, প্রতিবছর দিবসটি এলে রাজনৈতিক ব্যক্তি ও স্কুল কর্তৃপক্ষ এসে ফটোসেশন ও আলোচনাসভায় সীমাবদ্ধ থাকেন, এরপর আবার সবাই চলে যান।
দিবসটি উপলক্ষে আজ শুক্রবার ১১ জুলাই, আবুতোরাব বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে আয়োজন করা হয়েছে পবিত্র কোরআন খতম, বেলা ১১টায় স্মৃতিস্তম্ভ ‘আবেগ’ ও ‘অন্তিম’-এ পুষ্পস্তবক অর্পণ, এরপর সাড়ে ১১টায় শোকসভা ও দোয়া মাহফিল।
এক শিক্ষার্থীর বাবা নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘দেখতে দেখতে ১৪ বছর হয়ে গেল একমাত্র সন্তানকে হারানোর। ডাক্তার বানানোর স্বপ্ন দেখেছিলাম। কিন্তু নিয়তির নির্মম পরিহাস—ভয়াল ট্র্যাজেডিতে প্রাণ গেল আমার ছেলের।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিবছর এই দিনে রাজনৈতিক ব্যক্তিরা আর স্কুল কর্তৃপক্ষ শুধু ফটোসেশন ও আলোচনা সভাতেই ব্যস্ত থাকেন। আমাদের খবর কেউ রাখে না।’
সহপাঠী হারানো আবুতোরাব উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী আজমল হোসেন বলেন, ‘তারা ছিল আমার বন্ধুর মতো, ভাইয়ের মতো, সাথির মতো। একসাথে ক্লাস করেছি, খেলাধুলা করেছি, বই বদল করে পড়েছি, হাসি-ঠাট্টায় মেতে উঠেছি। মাত্র কয়েক মিনিটেই সব কিছু বদলে গেল—একটি ট্রাক, এক মুহূর্তের অসতর্কতায় নিঃশেষ হয়ে গেল ৪৫টি জীবন, যাদের মধ্যে ১১ জন আমার সবচেয়ে কাছের মানুষ ছিল। ১১ বন্ধুর সাথে যুক্ত হলো নিজের পরিবারের শোকও। বাবার চাচাতো ভাই শুভ মামা আমার খেলার সাথি সেদিনের দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে দীর্ঘ ছয় মাস মৃত্যুর মুখোমুখি থেকে শেষ পর্যন্ত মায়া ত্যাগ করে এ পৃথিবীর। এ মৃত্যু যেন আমার শোক বাড়িয়ে দেয় আরও বহুগুণ।’
আবুতোরাব উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মর্জিনা আক্তার বলেন, ‘১১ জুলাই সকাল ১০টায় নিহতদের স্মরণে দুই স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। এরপর বেলা ১১টায় স্কুলের হলরুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সোমাইয়া আক্তার, নিহতদের পরিবার, স্বজন, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও এলাকাবাসী।’
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ১১ জুলাই মিরসরাই ট্র্যাজেডিতে আবুতোরাব উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩৪ জন, আবুতোরাব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চারজন, আবুতোরাব ফাজিল মাদ্রাসার দুজন, প্রফেসর কামালউদ্দিন চৌধুরী কলেজের দুজন, একজন অভিভাবক, দুজন ফুটবলপ্রেমী যুবকসহ ৪৫ জনের মৃত্যু হয়।
একটি ট্রাক আর এক মুহূর্তের অসতর্কতায় নিঃশেষ হয়ে যায় ৪৫টি সম্ভাবনাময় জীবন। মিরসরাই ট্র্যাজেডির এই ক্ষত আজও শুকায়নি।
রফিকুলের ছেলে নিলয় জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন তাঁর বাবা। রাত হয়ে গেলেও ফিরে না আসায় বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করা হয়। ভোরে আবার খুঁজতে বের হন তিনি। পরে খবর পান, তাঁর বাবার লাশ পাওয়া গেছে।
২ ঘণ্টা আগেবালিয়া ভাঙনকূল পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি লিমিটেডের উদ্যোগে স্থানীয়রা স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ রক্ষার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। সমিতি থেকে ইতিমধ্যে এক লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে। তবে স্থানীয়দের দাবি, এটি অস্থায়ী সমাধান; স্থায়ী বাঁধ সংস্কারে সরকারি অর্থ বরাদ্দ জরুরি।
২ ঘণ্টা আগেএই দম্পতির শিক্ষা জীবন নতুনভাবে শুরু হয় নরসিংদীর বেলাব উপজেলার বিন্নাবাইদ দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসা থেকে। সেখান থেকেই তাঁরা কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর উপজেলার লক্ষ্মীপুর টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজ কেন্দ্রের অধীনে দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেন।
২ ঘণ্টা আগেপরীক্ষায় সকল বিষয়ে এ প্লাস পাওয়াসহ মোট ১৩০০ নম্বরের মধ্যে ১২১৩ নম্বর পেয়েছে শিক্ষক দম্পতির মেয়ে রাইদা। সে জগন্নাথপুরের শাহজালাল মহাবিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ এম এ মতিন এবং আব্দুল কাদির সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারি শিক্ষিকা মান্না বেগমের মেয়ে।
২ ঘণ্টা আগে